Golperjogot

Golperjogot

Love Never Ended Part 11 | Come Back Sad Love Story

Love Never Ended

ইলোরা জাহান ঊর্মি

একের পর এক ওয়াইনের বোতল শেষ করে যাচ্ছে জোহান চৌধুরী। রুমের ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে চেহারা দেখা না গেলেও নিঃশ্বাসের শব্দ স্পষ্ট। রাগে কপালের চিন্তারেখা নীলচে হয়ে গেছে। এক হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আরেক হাতে ওয়াইনের বোতল মুখে নিয়ে ঢকঢক করে গিলে যাচ্ছে। রাগের তোপে শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। 

হঠাৎ হাতের ওয়াইনের বোতলটা জোরে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারলো। সঙ্গে সঙ্গে বোতলটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। কিছুক্ষণ জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে একটু শান্ত করে টি-টেবিলে রাখা ফোনটা হাতে নিয়ে একটা নাম্বারে ডায়াল করলো। ফোনের ওপাশের ব্যাক্তিটি সঙ্গে সঙ্গে ফোন রিসিভ করলো। জোহান শান্ত কন্ঠে বলল,

জোহান: কাল মি. সরোয়ারের পার্টিতে সব বিজনেসম্যানদের ইনভাইট করা হয়েছে জানিস নিশ্চয়ই? খান ইন্ডাস্ট্রির এমডি রাইফ ইয়াসারকে পৃথিবী থেকে বিদায় দিয়ে কেটে পড়বি। রাইফ ইয়াসারকে মেরে লাশ গুম করে দিবি। কাক-পক্ষীও যেন টের না পায়। ওর মৃত্যুর পর আমি ওর পিএকে দেখে নেবো। আগে ওর ব্যবস্থা কর।

কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলেই জোহান ফোন কেটে টেবিলে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। বিশ্রী হাসি দিয়ে আপন মনেই বলে উঠলো,

জোহান: জোহান চৌধুরীকে অপমান করার শাস্তি তো পেতেই হবে মি. রাইফ ইয়াসার। স্পর্ধা যখন দেখিয়েছিস এবার তার ফল ভোগ করবি। আর তোর মৃত্যুর পর তোর ঐ সুন্দরী পিএকে তো আমি তুলে এনে নিজের কাছে রেখে শাস্তি দেবো। এখন শুধু কালকের দিনের অপেক্ষা।

{ Love Never Ended Heart Touching Love Story Bangla }

সকালে ঘুম থেকে উঠে আভা দু’পা ভাঁজ করে দুহাতের উপর থুতনি রেখে চিন্তিত মুখে বসে আছে। সে ভাবছে আজ প্রথম সে রাইফের সাথে বড় একটা পার্টিতে যাবে। কতো বড় বড় বিজনেসম্যানরা থাকবে সেখানে। রাইফ তো তাদের সাথেই মেতে থাকবে। তাহলে সে তখন একা একা কী করবে? 

আভার একটুও ইচ্ছে করছে না পার্টিতে যেতে। কিন্তু সে তো রাইফের পিএ। রাইফ নিজের মুখে গতকাল বলে দিয়েছে সময়মতো অফিসে চলে যেতে। অফিস থেকে সোজা পার্টিতে চলে যাবে। রাইফ যখন বলেছে তখন না গিয়েও উপায় নেই। এতে করে তাকে কয়েকটা কড়া কথা শুনতে হবে শুধু শুধু। 

কিন্তু কেন জানি আভার মনটা খচখচ করছে। বারবার মনে হচ্ছে আজ কিছু একটা খারাপ হবে। এইজন্যই তার মন সায় দিচ্ছে না পার্টিতে যেতে। 

এরইমধ্যে সামিদ এসে তাড়া দিয়ে গেল তাড়াতাড়ি রেডি হওয়ার জন্য। আভা আর কিছু না ভেবে তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো। যেহেতু এতো বড় পার্টিতে যাবে সেহেতু আভা আজ নিজেকে একটু সাজালো। তবে খুব বেশি সাজলো না। 

………………

গাউনের সাথে মেচিং হিজাব পড়লো,চোখে হালকা কাজল,ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক,এক হাতে মুঠো ভর্তি চুড়ি আর আরেকহাতে ঘড়ি পড়লো। এতেই আভাকে দারুণ লাগছে।

সামিদ আবার ডাক দেয়ার সাথে সাথে আভা পার্স আর ফোনটা নিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো। সামান্য কিছু খাবার মুখে দিয়ে তাড়াতাড়ি সামিদ আর আভা অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। অফিসে পৌঁছে দেখলো রাইফ এখনো আসেনি।

মনে মনে আভা খুশিই হলো। কারণ রাইফের পরে এলে তাকে কথা শুনতে হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে রাইফও চলে এলো। অফিসে ঢুকে আভাকে দেখেই থমকে গেল। 

আভাকে এমন সাজে অনেক দিন পর দেখছে রাইফ। 

খুব মিষ্টি দেখতে লাগছে ওকে। ইচ্ছে হচ্ছে ওর কাছে গিয়ে ওর হাতটা ছুঁতে। কিন্তু না,ও অন্য কারো স্ত্রী। ওকে মন ভরে দেখার আর ছোঁয়ার অধিকার তো শুধু সামিদেরই আছে। রাইফ দ্রুত নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। রাইফকে ওর দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে আভা অনেক অবাক হয়ে গেল। এই মুগ্ধ দৃষ্টি যে আভার খুব পরিচিত।

চার বছর আগেও রাইফ ওর দিকে এমন মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। তখন আভা বললেও ও দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতো না। কিন্তু আজ ও নিজেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো। আভা রাইফকে লক্ষ্য করতেই দেখলো ওকেও আজ খুব সুন্দর লাগছে। কালো স্যুট,কালো জুতা,কালো ঘড়ি। একদম ব্লাক ডায়মন্ড মনে হচ্ছে। 

পার্টিতে গিয়ে যে কয়েকটা মেয়ের মাথা ঘুরিয়ে দেবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত আভা। ভার্সিটিতে যখন আভা রাইফের সাথে ঘুরে বেড়াতো তখন অনেক মেয়ে আভার দিকে কটমট করে তাকাতো। কারণ রাইফ তাদের ক্রাশ ছিল। কিন্তু রাইফ কাউকে পাত্তা না দিয়ে শুধুমাত্র আভাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। 

এইজন্যই সব মেয়েরা আভাকে হিংসা করতো। কিন্তু এখন রাইফের জীবনে অন্য একটা মেয়ে জায়গা করে নিয়েছে। 

{ bangla love story , Bangla Valobashar Golpo }

হয়তো সে তার থেকেও অনেক বেশি সুন্দরী। তাই তো রাইফ তার দিকে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করে না। যার বর্তমানটা সুন্দর সে কেন অতীতের দিকে ফিরে তাকাবে? হঠাৎ রাইফের কথায় আভার ভাবনায় ছেদ পড়লো। রাইফ বলে উঠলো,

রাইফ: মিসেস আভা। চলুন রওনা দেয়া যাক। দেরি হয়ে যাচ্ছে।

…..

রাইফের মুখে মিসেস আভা নামটা আভার কাছে বিষের মতো মনে হয়। তবু চুপচাপ মাথা নাড়িয়ে রাইফের পেছন পেছন হাঁটতে শুরু করলো। অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়ির কাছে গিয়ে রাইফ ড্রাইভিং সিটে বসলো।

আভাকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাইফ কিছুটা ঝাঁঝালো গলায় বলল তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠতে। আভা তাড়াতাড়ি উঠে রাইফের পাশের সিটে বসে পড়লো। সিটবেল্ট লাগিয়ে রাইফ গাড়ি স্টার্ট দিলো। 

আজ অনেক দিন পর দুজন একসাথে জার্নি করছে। অথচ কারো মুখেই কোনো কথা নেই। দুজনেরই ভেতরটা বারবার দুমড়ে মুচড়ে উঠছে শুধুমাত্র একটা ভুল ধারণার জন্য। রাইফ কিছুটা অবাক হলো এটা ভেবে যে আভা তার সাথে অফিস থেকে বেরিয়ে এলো অথচ নিজের হাসবেন্ডকে একবার বলেও এলো না। আর সামিদও এগিয়ে এলো না। 

নিজের ওয়াইফ অন্য একজনের সাথে এতো বড় পার্টিতে যাচ্ছে জেনেও একবার তাকে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে বিদায় দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলো না! 

সারা পথ নীরবতা পালন করে একসময় গন্তব্যে পৌঁছে গেল তারা। গাড়ি থেকে নেমেই আভা বুঝতে পারলো বিরাট হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। রাইফ গাড়ি থেকে নেমে আভার দিকে না তাকিয়ে হনহন করে হোটেলের ভেতরে রওনা দিল। আভা দৌড়ে তার পিছু নিলো। 

হোটেলে ঢুকতেই একজন মধ্যবয়স্ক লোক এসে রাইফকে ওয়েলকাম জানালো। রাইফ হাত বাড়িয়ে তার সাথে করমর্দন করে হাসিমুখে কথা বলল।  তাদের কথা শুনে আভা বুঝতে পারলো ইনিই মি. সরোয়ার হোসেন। আর আজকের পার্টির হোস্ট ইনি। 

{ Bangla Sad Love Story | কষ্টের ভালোবাসার গল্প বাংলা } 

রাইফের পাশে আভাকে দেখে মি. সরোয়ার আভার পরিচয় জানতে চাইলেন। রাইফ হাসিমুখে বলে দিলো যে আভা ওর পিএ। 

মি. সরোয়ার আভার সাথেও হাসিমুখে কথা বললেন। আভার কাছে লোকটার আচরণ,কথাবার্তা সত্যিই খুব ভালো লাগলো। পার্টিতে ঢুকতেই এমন ভালো মনের একজন মানুষের সাথে কথা বলে আভার মনটা ভালো হয়ে গেল। মি. সরোয়ার রাইফ আর আভাকে বসতে বলে অন্যদিকে ছুটলেন। 

এরইমধ্যে রাইফকে অনেকেই ঘিরে ধরেছে আলাপ করার জন্য। রাইফ হাসিমুখে সবার সাথে কথা বলছে। আভা এতো দিনে শুধুমাত্র দুদিন রাইফকে হাসতে দেখেছে। যে দুদিন ইয়ানা রাইফের সাথে অফিসে গিয়েছিল সেই দুদিনই রাইফ ইয়ানার সাথে হেসে হেসে কথা বলেছে। আর আজকের হাসির মধ্যে তার অনেক তফাৎ। 

আজকের হাসিটা সৌজন্যমূলক মনে হচ্ছে। তাহলে কী রাইফ শুধুমাত্র ইয়ানার সাথেই হাসিমুখে কথা বলে? কিন্তু আগে তো রাইফ সবসময় খুব হাসিমুখে কথা বলতো সবার সাথে।

Also, Read Those Heart- Touching Come Back Sad Love Story

  1.  Love Never Ended Part – 1

  2.   Love Never Ended  Part – 8

  3.   Love Never Ended  Part – 9

  4.  Love Never Ended  Part  – 10

  5. Love Never Ended Part 11

  6. Love Never Ended Part 12

আভার হঠাৎ চোখ চলে গেল একপাশে  দাঁড়ানো জোহান চৌধুরীর উপর। 

একহাত পকেটে গুঁজে আরেকহাতে ড্রিংকের গ্লাস নিয়ে বাঁকা হেসে দূর থেকে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে জোহান। মুহূর্তে আভার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। জোহানের দৃষ্টি দেখেই আভা একটা শুকনো ঢোক গিললো। 

রাইফ খেয়াল করলো আভা হঠাৎ জড়োসড়ো হয়ে তার পেছনে লুকিয়ে পড়ছে। রাইফ ঘাড় ঘুরিয়ে আভার দিকে তাকিয়েই আভার মুখের অবস্থা দেখে অবাক হয়ে গেল। আভার মুখটা শুকিয়ে গেছে। ভীতু চোখে সে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। আভার দৃষ্টি অনুসরণ করে রাইফ সামনে তাকিয়েই দেখলো কিছু দূরেই জোহান দাঁড়িয়ে আছে।

 মুহূর্তে রাইফের চোখেমুখ রাগে শক্ত হয়ে গেল। রাইফ এবার কিছুটা রেগে আভার দিকে তাকিয়ে বলল,

রাইফ: এতো ভয় পাওয়ার কী আছে আজব?

আভা: কাল উনি কী বলেছিলেন মনে নেই আপনার?(আমতা আমতা করে বলল আভা)

রাইফ: কী?(ভ্রূকুটি করে জিজ্ঞেস করলো রাইফ)

আভা: উনি বলেছিলেন আমাদের উপর প্রতিশোধ নেবেন।(ভীতু কন্ঠে বলল আভা)

রাইফ: তো কী হয়েছে? নিজের কৃতকর্মের ফল পেলে চরিত্রহীন লোকেরা এসবই বলে। তাতে এতো ভয় পাবার কী আছে?(বিরক্ত কন্ঠে বলল রাইফ)

আভা: ঐ লোকটার দৃষ্টি আমার মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না স্যার। আমি এখান থেকে চলে যাবো।(জেদ ধরে বসলো আভা)

রাইফ: মানে? পার্টির মাঝখান থেকে চলে গেলে সবাই বিভিন্ন প্রশ্ন করবে।(এবারো রাইফের কন্ঠে বিরক্তি)

আভা: প্লিজ স্যার।(মিনতির সুরে বলল আভা)

রাইফ আভার মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে থমকে গেল। এক নিমিষেই তার সব বিরক্তি উধাও হয়ে গেল। রাইফ আর কোনো কথা না বলে মি. সরোয়ারের কাছে গিয়ে বলল তার বুবু ফোন করেছিল। তাকে এক্ষুনি বাড়ি ফিরতে হবে। রাইফকে মিথ্যে বলতে দেখে আভা কিছুটা অবাক হলো। 

রাইফ তো তাকে একাই পাঠিয়ে দিতে পারতো। তা না করে সে মিথ্যে বলে নিজেও চলে যাচ্ছে! আভা দেখলো জোহানকে এখন আর দেখা যাচ্ছে না। রাইফ মি. সরোয়ারের থেকে বিদায় নিয়ে আভাকে নিয়ে হোটেলের থেকে বেরিয়ে এলো। তারপর গাড়ি নিয়ে অফিসের দিকে রওনা হলো। কিন্তু কিছুদূর যেতেই ঘটলো এক বিপত্তি।

Also Visit Those  Romantic Love Story Article

জোরে ব্রেক কষে গাড়ি থেমে গেল। রাইফ বুঝতে পারলো গাড়ির টায়ার পাংচার হয়ে গেছে। রাইফ একরাশ বিরক্তি নিয়ে স্টেয়ারিংয়ের উপর হাত দিয়ে জোরে আঘাত করলো। আভাও থতমত খেয়ে গেল। কারণ এখানে আশেপাশে কোথাও গ্যারেজ নেই। রাইফ গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। রাইফের সাথে সাথে আভাও নামলো। গাড়ি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো গাড়ির পেছনের একটা টায়ার পাংচার হয়ে গেছে। 

আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতেই রাইফ চমকে উঠলো। কারণ পেছনের টায়ার কেউ গুলি করে পাংচার করে দিয়েছে। রাইফ অবাক হয়ে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো। ইচ্ছে করে কে টায়ারে গুলি করলো! আভা যেন কোনো পূর্ব বিপদের আভাস পাচ্ছে। ভয়ে আভার মুখটা মলিন হয়ে গেল।

রাইফের দিকে তাকিয়ে দেখলো রাইফ চারদিকে সন্ধানী দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। কিন্তু আশেপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। জায়গাটা অনেকটা নিড়িবিলি। তাহলে এই কাজটা কে করলো? হঠাৎ আভার দৃষ্টি চলে গেল দূরের একটা বড় গাছের দিকে। গাছের আড়ালে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা বড় বিষয় না। 

আভা লক্ষ্য করলো লোকটাকে দেখা না গেলেও লোকটার হাতে যে রিভলবার আছে সেটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আর সেই রিভলবার এখন রাইফের দিকে তাক করা। এক্ষুনি হয়তো লোকটা শুট করবে। 

আভা চোখ বড়সড় করে একবার ঐ লোকটার দিকে আরেকবার রাইফের দিকে তাকিয়ে কিছু না ভেবেই হঠাৎ  রাইফের নাম ধরে জোরে চিৎকার দিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। তাল সামলাতে না পেরে রাইফ হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল। ঠিক তখনই গাছের আড়ালে দাঁড়ানো লোকটা রিভলবারের ট্রিগার চেপে ধরলো।

রাইফকে ধাক্কা দিয়ে আভা সামনে চলে আসায় দূর্ভাগ্যবশত গুলিটা সোজা এসে আভার ডান হাতের বাহুতে লাগলো। ঘটনার আকস্মিকতায় রাইফ হতভম্ব হয়ে গেল। আভা তার বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের বাহু চেপে ধরে যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলো। 

Click Here For Next Part  চলবে

Writer- ইলোরা জাহান ঊর্মি

Love Never Ended Part 11
Love Never Ended Part 11

Leave a Comment