Golperjogot

Golperjogot

Bangla Premer Golpo Shishir Bindu Part 5 | Bangla Story

 

শিশির বিন্দু { Eid Special }

Sadia islam ( P. 05 )

বিন্দুকে তাদের বাসায় নিয়ে এসেছে শিশির। সিনহাও আছে সাথে। শিশিরের আম্মুকে দেখে বিন্দু তাকে সালাম দিল। বিন্দুর লজ্জা লাগছে। কি বলবে বুঝতে পারছে না। শিশিরের আম্মু যা যা জিজ্ঞেস করল শুধু সেসবের উত্তর দিল। 

 

শিশিরের আম্মু নাস্তা নিয়ে এসেছে। সিনহা বলল আনট্টি এসব কেনো করতে গেলেন আমরা এখুনি চলে যাব। ওই দিন খাও নি আজ না খেয়ে যেতে দিব না। বিন্দু লজ্জায় শিশিরের আম্মুর সামনে কোনো কথা বলছে না। শিশিরের আম্মুর বিন্দুকে বেশ পছন্দ হয়েছে। 

 

বিন্দু আজ শিশিরকে বলল অন্য কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে। শিশির বিন্দুকে  তার ভাইয়ার বাইক নিয়ে  ঘুরতে নিয়ে গেল। বিন্দুকে বাইকের পেছনে বসাতে পেরে শিশিরের বেশ ভালোই লাগছে। 

 

সেদিন আরও বড় একটা ঝামেলা হয়ে গেল। পারার ছেলেরা তাদের আবার দেখে ফেলেছে। শিশিরের সাথে তাদের আগে থেকেই একটা ঝামেলা ছিল তাই তারা তাদের বাসায় সবাইকে বলে দিল। বিষয়টা খুব বাজে ভাবে সারা গ্রামে ছড়িয়ে গেল। 

Shishir Bindu Bangla Love Story

 

তাই বিন্দুর মা বিন্দুকে নিয়ে আবার ঢাকা চলে গেল। শিশিরের সাথে কোনো যোগাযোগ যেন না করতে পারে  সেদিকেও খেয়াল রাখল। তারপরও বিন্দু লুকিয়ে লুকিয়ে শিশিরের সাথে যোগাযোগ রাখল। 

 

বিন্দুর মনে হচ্ছে শিশির আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে। আগের মতো পাগলামিও আর করে না। সে ভাবল শিশিরের কাছে তার গুরুত্ব কমে গেছে। কিন্তু এসবের কিছুই না।শিশির বদলে যায় নি। এখন তার বড় ভাইয়ের ব্যবসার কাজে একটু ব্যস্ত থাকে তাই বিন্দুর সাথে আগের মতো ওতো কথা বলার সময় পায় না। 

 

বিন্দু এই বিষয়টি নিয়ে খুব কষ্ট পায়। তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে ২/৩ বার ঝগরাও হয়েছে। 

এই বিষয়টির জন্য তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একদিন খুব বড় একটা ঝগড়া হয় তাদের মাঝে। শিশির বিন্দুকে খুব বকাঝকা করল। এর পর থেকে বিন্দু শিশিরের সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিল। শিশির অনেক বার বিন্দুকে সরি বলেছে। কিন্তু বিন্দু তাও শিশিরের কোনো কথা শুনে নি। 

 

আগে যেখানে ওরা প্রায় সারাদিনই কথা বলত সেখানে  সারাদিনে  এখন আর ২ ঘণ্টাও কথা বলে না শিশির বিন্দুর সাথে।এরকম শিশিরের আরও অনেক বিষয়ে বিন্দু অনেক কষ্ট পেয়েছে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে। তাই শিশিরের সাথে সব যোগযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। শিশির অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিন্দুর অভিমানের পাহারটি এবার অনেক বড় হয়ে গেছে।

 

Romantic School Life Love Story

 

শিশিরের কথা খুব মনে পড়ে বিন্দুর। কিন্তু তাও শিশিরের সাথে যোগাযোগ করে না।

 

শিশির আর বিন্দু দুজনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল। তারা দুজনেই খুব ভালো রেজাল্ট করল। বিন্দু এখন ঢাকাতে আছে আর শিশির রংপুর এ। তাদের মধ্যে আর যোগাযোগ নেই। কিন্তু এখনও দুজন দুজনকে ভালোবাসে। দুজন দুজনের জন্য অপেক্ষায় আছে।

 

বিন্দু এক বছর গেপ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ১ম বার চান্স পায় নি তাই ২য় বার এপ্লাই করছে। ২য় বারে চান্স পেয়েছে। 

আজ বিন্দুর ক্যাম্পাসে ১ম দিন । র‍্যাগিং এর কথা ভেবে তার একটু একটু ভয় লাগছে। ক্যাম্পাসে পা রাখার সাথে সাথেই সিনিয়ররা শুরু করে দিল। আশে পাশে সিনিয়ররা অনেক জনকেই র‍্যাগিং দিচ্ছে। বিন্দুকেউ র‍্যাগ দিচ্ছে সিনিয়ররা। বিন্দু মাথা নিচু করে আছে। হঠাৎ করে মাথাটা তুলে দেখল পাশে খুব চেনা একজন দারিয়ে আছে।

 

এ তো শিশির। শিশির এখানে কিভাবে এলো?

 

শিশিরও এতোক্ষণ বিন্দুকে খেয়াল করে নি। হঠাৎ করে বিন্দুকে দেখে খুব অবাক হয়ে গেল। 

 

শিশিরও এখানেই পড়ে। কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা রুম ভাড়া থাকে ক্যাম্পাসের পাশেই ।  বিন্দু এক বছর গেপ দিয়েছে। তাই শিশির এখন তার এক বছর সিনিয়ার।

 

দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু কেউ কারোর সাথে কথা বলছে না। 

 

Heart Touching Love Story

 

শিশির তার বন্ধুদের বলল ওকে ছেড়ে দে। যেতে দে ওকে। বিন্দু চলে গেল। এতোদিন পর দুজন দুজনকে দেখে খুব খুশিই হয়েছে কিন্তু অভিমানের কারণে কেউ কারোর সাথে কথা বলে নি। 

 

পরের দিন ক্যাম্পাসে বিন্দু বসে আছে। শিশিরও একটু দূরে বসে আছে। কিছুক্ষন পর পর তারা দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে। হঠাৎ করে শিশির বিন্দুর কাছে গিয়ে বিন্দুকে জিজ্ঞেস করল কেমন আছো?

 

বিন্দুঃ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?

শিশিরঃ আমিও ভালোই আছি।

বিন্দুঃ ভালো থাকলেই ভালো। এখন তো আর আমি নেই তাই ডিসটার্ব করার মতোও কেউ নেই। 

শিশিরঃ এতোদিনে একবারও আমার কথা মনে পড়ে নি?

বিন্দুঃ জানি না। 

শিশিরঃ এখনো  অভিমান করে আছো? 

বিন্দুঃ জানি না। 

 

শিশিরঃ আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি বিশ্বাস কর। সব কিছু কি আবার নতুন করে শুরু করা যায় না?

 

বিন্দুঃ ঠিক আছে। তুমি যদি ক্যাম্পসের সবার সামনে আমাকে প্রপোজ করতে পার তাহলে আমি ভেবে দেখব।

 

শিশিরঃ ঠিক আছে। 

 

এই বলে শিশির হাটু গেড়ে বসে পড়ল। আর সবার সামনে তাকে প্রপোজ করল। বিন্দু এক্সসেপ্ট করে নিল।


Also Read These Another Part of Shishir Bindu


তারপর থেকে ক্যাম্পাসে তারা একসাথেই থাকে। একসাথেই ঘুরাঘুরি করে। ক্যাম্পাসে তাদের জুটির খুব প্রসংসা শোনা যায়। সবায় তাদের নাম দেয় লাভ বার্ড।

 

আজ তাদের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান ৷ বিন্দু সারি পড়ে এসেছে। শিশির বিন্দুর দিক থেকে চোখ সরাতে পারছে না। সারিতে কি অপুর্ব লাগছে বিন্দুকে। শিশির মজা করে বিন্দুকে বলল… 

 

বিয়েটা তাহলে করেই ফেলতে হয়। বউ বউ লাগছে তোমাকে।

 

বিন্দুঃ তাই? কার বউ বউ লাগছে শুনি। 

শিশিরঃ কার আবার আমার। চলো বিয়ে করে ফেলি। 

বিন্দুঃ খুব শখ তাই না? 

শিশিরঃ একটু শখ থাকতে হয়। 

 

এভাবে তাদের মধ্যে দুষ্ট মিষ্টি সম্পর্ক চলতে থাকে।

 খুনশুটি ভালোবাসার গল্প

 

আজ বিন্দুর বড় বোন বৃষ্টির বিয়ে। বিয়েতে বিন্দু খুব নাচানাচি করল। খুব মজা করল। যখন বরের গেট ধরল তখন টাকা নিয়ে বরের বন্ধুদের সাথে তাদের মিষ্টি মিষ্টি ঝগরা হলো। সেখানে একটা ছেলে বিন্দুকে দেখে তাকে পছন্দ করে ফেলে।ছেলেটি বরের বন্ধু। ছেলেটির নাম সাকিব। ছেলেটি পেশায় ডাক্তার। 

 

তার বোনের বিয়ের কিছু দিন পর বিন্দুর বোনের সামি  সরাসরি বিন্দুর বাবা মায়ের কাছে সাকিব আর বিন্দুর বিয়ের প্রস্তাব দিল। বিন্দুর বাবা ছেলের ব্যাপার এ খোজ খবর নিয়ে দেখল ছেলেটি ভালো। তাই বিন্দুর বাবা মা বৃষ্টির সামি কে বলল বিন্দুকে যেন তারা দেখতে আসে।

 

এদিকে বিন্দু এসবের কিছুই জানে না। ক্যাম্পাস থেকে বাসায় এসে দেখতে পেল বাসায় এতো কিছু হয়ে গেছে। বিন্দুকে দেখতে এসেছে। বিন্দুর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। কি করবে বুঝতে পারছে না। 

 

মায়ের কথা শুনে সাকিবের বাবা মার সামনে গেল। সবাই বিন্দুকে খুব পছন্দ করল। তারা চলে যাওয়ার পর বিন্দু তার মা কে ডেকে বলল।

 

বিন্দুঃ মা এই ছেলেকে আমার পছন্দ হয় নি। তোমরা আমাকে না জানিয়েই এতো কিছু কেন করলে?

বিন্দুর মাঃ পছন্দ হয় নি মানে? ছেলেটাকে পছন্দ না হওয়ার মতো কোনো কারণ তো আমি দেখছি না। 

বিন্দুঃ আমি শিশিরকে ভালোবাসি মা। আমি ওকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না। 


Also Read These Another Love Story Article


 

তোর বাবা ওদের কথা দিয়ে দিয়েছে। আর ওই শিশিরের সাথে তুই এখনো কথা বলিস? চুপ চাপ বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে কর। আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না। 

 

বিন্দু কান্না করছে। শিশিরকে কল দিল।

 

বিন্দুঃ শিশির… (কান্না কান্না গলায়।

শিশিরঃ কি হয়েছে?  তুমি কাদছো কেনো? 

বিন্দুঃ বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। 

শিশিরঃ কিহ?? কি বলছো এইসব?  হঠাৎ করে বিয়ে কেনো?

বিন্দুঃ হঠাৎ করে না। আগে থেকেই সব কিছু ঠিক ছিল। কিন্তু আমাকে কেউ কিছু জানায় নি। 

 

বিন্দু শিশিরকে সব খুলে বলল। শিশিরের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।  { EID SPECIAL }

 

Click Here For Next Part-    চলবে

 

Writer- সাদিয়া ইসলাম

 

Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of  { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends. 

 


 

 

Bangla Premer Golpo Shishir Bindu Part 5
Bangla Premer Golpo Shishir Bindu Part 5

 

Leave a Comment