Valobashi Dujone
Imtihan Imran [ Part – 13 ]
সিজান ফারিন পাশাপাশি সিটে বসে পড়ে। নতুন, ছোট ছোট শিল্পীরা গান গেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শিল্পী ইমরান এখনো আসছে না কেনো? ফারিন তো বিরক্তি নিয়ে সিজানকে জিজ্ঞেস করে,
” এখনো ইমরান আসছে না কেনো?
” আমিও তো তোর সাথে এখানে বসে আছি ৷ আমি কীভাবে জানবো?
কিছুক্ষণ পর কতৃপক্ষ মাইকে এনাউন্সমেন্ট করে বলে,
” আপনাদেরকে দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, কণ্ঠশিল্পী ইমরান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারবেন না। আমরা আমাদের নতুন শিল্পীদের দিয়েই প্রোগ্রাম টা শেষ করব। আমরা আশা করি আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন।
ফারিন তো এই কথা শুনে বিরক্তি নিয়ে বলল,
” দূর হুদাই এতোক্ষণ অপেক্ষা করলাম। চলো তো যাই।
Valobashi Dujone Cute Love Story
উপস্থিত থাকা লোকজনে সিট থেকে উঠে পড়ে চলে যাওয়ার জন্য।
” ফারিন তুই বসে থাক। আমি একটু আসছি।
” কোথায় যাচ্ছ?
” অপেক্ষা করো,দেখবে।
সিজান ফারিনকে রেখে চলে যায়। ফারিন,সিজানের কথা শুনে বসে থাকে।
এইদিকে সিজান কতৃপক্ষের কাছে এসে বলে,
” স্যার আমি একটু চেষ্টা করে দেখি সবাইকে সিটে বসানো যায় কিনা। যদি অনুমতি দিতেন।
” তুমি মিয়া কে? আর কী চেষ্টা করবে? ডিস্টার্ব করিও না তো।যাও।
” স্যার সবাই তো চলেই যাচ্ছে। আমি চেষ্টা করে দেখলে সমস্যা তো নাই।
কতৃপক্ষ তাকিয়ে দেখে সবাই সত্যি চলে যাচ্ছে। তাই তিনি সিজানকে অনুমতি দিয়ে দিলেন।
সিজানকে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে দাঁড়াতে ফারিন চমকে যায়। সিজান কি এখন গান গাইবে?
ফারিনের ভাবনার ভিতর দিয়েই সিজানের গানের মিউজিক শুরু হয়।
মনে মনে মিলে গেছে,প্রেম তাই হয়ে গেছে
খুব ভালো আছি দুজনে,এভাবে দিন চলেছে..
পাশাপাশি দুজন,রবো সারাটি জীবন
আর কিছু নেই প্রয়োজন….।
মনে মনে মিলে গেছে,প্রেম তাই হয়ে গেছে
খুব ভালো আছি দুজনে,এভাবে দিন চলেছে।
নতুন কোনো শিল্পীর কন্ঠে গান শুনে দর্শক রা অবাক হয়ে ঘুরে স্টিজের দিকে তাকায়।। সবাই ফিরে এসে সিটে গিয়ে বসে। এই নতুন শিল্পীর গান তাদের মনে ধরেছে। অসাধারণ গান গাচ্ছে তো।
Bangla Premer Golpo
ফারিনও বরাবরের মতো হাসি মুখে গালে হাত দিয়ে মুগ্ধ হয়ে তার সিজানের গান শুনছে।
তোমাকে পেয়ে যেনো সব কিছু ভুলেছি
স্বপ্নের পাড়াতে দুজন বাসা বেঁধেছি।
তোমাকে পেয়ে যেনো সব কিছু ভুলেছি
স্বপ্নের পাড়াতে দুজন বাসা বেঁধেছি।
পাশাপাশি দুজন,রবো সারাটি জীবন
আর কিছু নেই প্রয়োজন…।
মনে মনে মিলে গেছে, প্রেম তাই হয়ে গেছে
খুব ভালো আছি দুজনে, এভাবে দিন চলেছে..।
দুজনে একই সাথে চলেছি যে পথে
সরবো না এই পথ থেকে কোনো মতে..
দুজনে একই সাথে চলেছি যে পথে
সরবো না এই পথ থেকে কোনো মতে..
পাশাপাশি দুজন, রবো সারাটি জীবন
আর কিছু নেই প্রয়োজন…।
মনে মনে মিলে গেছে, প্রেম তাই হয়ে গেছে
খুব ভালো আছি দুজনে,এভাবে দিন চলেছে।
সিজান গান টা শেষ করে মাইক্রোফোন টা হাতে নেয়। সে সামনে সারিতে বসা উপস্থিত দর্শক দের দিকে তাকায়,তাদের ভাব ভঙ্গি বুঝার জন্য। সবাই চুপ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সিজান আশেপাশেও তাকায়,দেখে তারাও চুপ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ফারিনও আশে পাশে তাকায়। সে উপস্থিত দর্শক দের রেসপন্স না পেয়ে ভয় পাচ্ছে। সিজানের গান কি এদের ভালো লাগেনি? কিন্তু কী করে সম্ভব এটা? গান টা তো যথেষ্ট ভালো হয়েছে।
Valobashar Golpo Bangla
সিজান যখন স্টেজ থেকে নামার জন প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনি করতালির আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠে স্থান টা। করাতালির সাথে সাথে অনেকে সিটি বাজাচ্ছে। সিজানের মুখে হাসি ফুটে উঠে। সেই সাথে ফারিনেরও। সিজান, ফারিনের দিকে তাকাতেই ফারিন হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, গান টা সুন্দর হয়েছে।
দর্শক রা এবার চিৎকার করে সিজানকে আরেকটা গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।
” ওয়ান্স মোর। ওয়ান্স মোর।
সিজান হাসিমুখে তা সাধরে গ্রহণ করে আরেকটা গান শুরু করে।
O Re Piya…
Main Ta Tere Lai
Sau Raatan… Jagoon
Jittehe Jawe Tu, Utthe Jawe Dil
Dass Ki, Main Karoon
Jo Tu Russ Ja Aniye
Dil Ye Tut Jaaniye
Tere Sang Sang Raahan
Sari Kat Janiye
Main Tere Naal Rehna
Maan Inna Mere Kehna
Meri Akhniyan Se Hana Kadi Door Na
Tari Bin…..
Tere Bin…..
Teri Bin Nai Lagda Dil Mere Dholana
Tere Bin Nai Lagda Dil Mere Dholana.
সিজানের মুখে হিন্দি গান শুনে ফারিন অবাক হয় নি। চমকে উঠেছে। সে তো সিজান কে কখনো কারো সামনে হিন্দি গান বলতে দেখেনি, শুনেনি। আজকে সিজান স্টেজে উঠে হিন্দি গান গেয়ে তাকে চমকে দিয়েছে।
Bangla Love Story
ফারিন সবাইকে হাত দিয়ে বিদায় জানিয়ে স্টেজ থেকে নেমে আসে।
কতৃপক্ষ সিজানের কাছে এসে সিজান কে ধন্যবাদ জানায়।
” খুব খুব খুব ভালো গান গেয়েছো। আমাদের অনুষ্ঠান কেও তুমি পরিপূর্ণ করেছে। সেই জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
” ইটস মাই প্লেজার, স্যার!
” এই খামটা রাখো।
” কী আছে এখানে?
” আমার, আমাদের অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে তোমার জন্য উপহার স্বরুপ কিছু টাকা।
” ছি! ছি! টাকা দিয়ে আমাকে লজ্জিত করবেন না। আমি টাকার জন্য গান গাইনি।
” জানি আমি। ইমরান আসলে এর থেকে ডাবল দেওয়া লাগত আমাদের। সেই হিসেবে এটা সামান্যই। উপহার হিসেবে রেখে দাও, না করো না।
সিজান মানা করলে কতৃপক্ষ শুনেনি। কতৃপক্ষ অনেক জোর করেই সিজানের হাতে খামটা ধরিয়ে দেয়।
Also Read Those Related Love Story
- Valobashi Dujone Part – 1
- Valobashi Dujone Part – 3
- Valobashi dujone Part 5
- Valobashi dujone Part 8
- Love Never Ended Part 9
- Valobashi dujone Part 11
- Valobashi Dujone Part 12
সিজান ফারিনের কাছে আসে। সেখানে আয়ান ও নীলাও ছিল। আয়ান তো সিজানের পিঠে থাপ্পড় দিয়ে বলে,
” মামা ফাটিয়ে দিয়েছো। জাস্ট অসাধারণ।
” থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ।
” সিজান তোমাকে হিন্দি গান গাইতে দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম। আর কোথাও কোনো স্টেজে তোমাকে হিন্দি গান গাইতে দেখি নি বলে।
” হুম এবার সাহস করলাম। (হেসে)
তারা সবাই হাসি খুশি মন নিয়ে হোটেলে ফিরে আসে।
পরেরদিন,
সবাই নাস্তা করে একত্রিত হয়ে জিপ ভাড়া করে নেয়। আগের দিনের মতো যে যার যার মতো বন্ধু বান্ধুবের সাথে জিপে উঠে পড়ে।
বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে এয়ারপোর্ট রোড ধরে যাওয়ার সময় আশে পাশের চা বাগানের দৃশ্য আপনার মন ভরিয়ে দিবে। দেখা যাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন মালনিছড়া চা বাগান। এ সৌন্দর্য কিছুতেই ক্যামেরাবন্দী করা সম্ভব না। এয়ারপোর্টে রোড পেরিয়ে সালুটিকর রোড ধরে কিছুদূর এগোনোর পর গোয়াইন নদী অতিক্রম করে মহাসড়ক থেকে ডানদিকে গোয়াইনঘাট রোডে ঢুকে পড়বে জিপ।
মনে হবে আরেক সৌন্দর্যের দেশে ঢুকে পড়েছেন। প্রথমদিকে রাস্তা খুব ভালো এবং আশেপাশের দৃশ্যও মনোমুগ্ধকর। কিন্তু কিছুদূর যেতেই সব আনন্দে ভাটা পড়বেন। রাস্তার অবস্থা খুবই করুন এবং খানা খন্দে ভরপুর। অনিচ্ছাকৃত ভাবে আপনাকে জিপের ভিতর নাচতে নাচতে গোয়াইনঘাট যেতে হবে।
Also Read These Another Love Story
- Shishir Bindu Part 1
- Shishir Bindu Part 5
- Opurno Valobasha Part 1
- Opurno Valobasha Part 2
- Love Never Ended Part 1
- Love Never Ended Part 15
- Mamato Boner Bandhobi Jokhon Bou Part 1
- Mamato Boner Bandhobi Jokhon Bou Part 2
ফারিন তো বারবার সিজানের কোলের উপর এসে পড়ছিল। সিজান বিরক্ত হয়ে শেষে ফারিনকে শক্ত করে এক হাত দিয়ে ঝাপটে ধরে,যাতে করে ফারিন আর নিজের উপর এসে না পড়ে।
আর আয়ান গিয়ে নীলার কোলেত উপর এসে পড়ে। আয়ান যতোবার, নীলার কোলের উপর এসে পড়ে, নীলা ততোবার ঠাস ঠুস করে কয়েক ঘা বসিয়ে দেয় আয়ানেত পিঠের উপর।
” শালা আমি মেয়ে হয়ে তোর কোলের উপর এসে পড়িনা। আর তুই ছেলে হয়ে আমার কোলের উপর এসে পড়ছিস।
” তার জন্য তো ঠাস ঠুস করে মেরেই দিলি।
” মারব না, আর পড়লে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিবো।
আয়ান, নীলার কান্ড দেখে সিজান হেসে দেয়।
Click Here For Next Part- চলবে…
Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends.