Valobashi Dujone
Imtihan Imran ( Part – 10 )
সিজান তাকিয়ে ড্রেস গুলো দেখছে। সে একবার ফারিনের দিকে তাকায়, তো আরেকবার ড্রেস গুলোর দিকে।
” সমস্যা কী এভাবে তাকাচ্ছ কেনো?
” ডিস্টার্ব করিস না তো ৷ ড্রেস চুজ করতে দে।
মামা ওই যে কলা পাতা রঙের ড্রেস টা,আর এইখানে পাশের কালো সাদা কম্বিনেশনের ড্রেস টা দেখান তো।
ফারিন মনে মনে বলে, না! ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে।
” এই দুইটা ড্রেস নিতে পারিস। খুব মানাবে তোকে।
” হ ভাবী, ভাই জান একদম ঠিক কথা কইছে। আপনারে এই দুইটাতে সেইরাম লাগবে।
” হইছে মিয়া, আপনি একটু চুপ থাকেন। আমাদের একটু কথা বলতে দেন।
” আচ্ছা আচ্ছা আপনারাই বলেন। (হেসে)
” দোকানদার মামা কোনো দেখা দেখি হবে না। আমার হবু জামাই আমার জন্য এই ড্রেস পছন্দ করেছে, সো এই ড্রেস দুইটাই প্যাক করে দেন।
” বেশি কথা বলবিনা। আর ঢঙ করাও শুরু করে দিস যেখানে সেখানে।
{ Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla }
সিজানের কথা শুনে ফারিন হেসে দেয়। আরো কয়েকটা দোকানে গিয়ে ফারিন নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নেয়।
সিজান দুইটা টিশার্ট, দুইটা ট্রাউজার নিলো। সিজানের শপিং করার প্রয়োজন ছিল না। তারপরেও এসেছে যেহেতু সে সামান্য কিছু কিনে নিয়েছে।
সিজান ফারিন দুজনে বাসায় চলে আসে। সিজান নিজের বাসায় ঢুকতে গেলে ফারিন ডাক দেয়,
” ওই দাঁড়াও।
……………………
সিজান দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, কী হয়েছে?
ফারিন, সিজানের হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বলে, এইটা তোমার জন্য।
” কী আছে এখানে?
” বাসায় গিয়ে দেখো। যাও তো।
সিজান কথা বাড়াল না। প্যাকেট টা নিয়ে বাসায় চলে আসল।
রাতে খাওয়ার পর সিজানের, ফারিনের দেওয়া প্যাকেট টার কথা মনে পড়ল। সে ওয়ারড্রব থেকে প্যাকেট বের করে খুলে কিছুটা অবাক হয়ে যায়।
সিজান, ফারিনকে যে দুইটা ড্রেস চুজ করে দিয়েছে, ঠিক সেইম কালারের দুইটা টিশার্ট এই প্যাকেটের ভিতর। সিজান বুঝতে পারছে না, ফারিন টিশার্ট দুইটা কিনলো কখন? তাও আবার তার ড্রেসের সাথে মিলিয়ে সেইম কালার।
সিজান, ফারিনকে ফোন দেয়। ফারিন রিসিভ করতেই সিজান বলে,
” টিশার্ট দুইটা কখন কিনলি, দেখলাম না যে?
” তুমি এক নাম্বার করতে গেছিলা যখন, তখন কিনেছি।
” আচ্ছা আচ্ছা। আর বলতে হবে না ।
” খাওয়া হইছে?
” হুম।তোর?
” আমারও।
সিজান, ফারিন ভার্সিটির দিকে রওনা দিয়েছে। আজকে সেই কাঙ্ক্ষিত দিন,তারা আজকে ভার্সিটি থেকে সিলেট যাবে। সবাই ভার্সিটিতে এসেই বাসে উঠবে। এখান থেকেই যাত্রা শুরু করবে।
{ Romantic Love Story In Bangla }
সিজান ফারিন ভার্সিটিতে পৌঁছে যায়। সিজান প্রথমে বাসে উঠে একটা সিটে বসে পড়ে। ফারিন কিছুক্ষন পর বাসে উঠে দেখে,সিজানের পাশের সিটে একটা মেয়ে বসেছে। ফারিনের তো তা দেখে পিন্ডি জ্বলে উঠে।
” এই মেয়ে উঠো।
” উঠবো কেনো? কী সমস্যা?
” এই সিটে আমি বসবো, তুমি অন্য সিটে গিয়ে বসো।
” আপি এই সিটে আগে আমি বসেছি। আপনি অন্য সিটে গিয়ে বসুন।
” এই মেয়ে তুমি তো বেশি বকছো। উঠতে বলছি না।
” আরে আপি আপনি এমন করছেন কেনো?
” আরে বইন তুই আমার জামাইয়ের পাশে বসে, আমাকে জিজ্ঞেস করছিস আমি এমন করছি কেনো?
” আপনার জামাই?
” হ্যাঁ আমার জামাই। এবার তো আমার জামাইয়ের পাশে আমাকে বসতে দিবি।
” আচ্ছা আপু। আপনি বসুন। আমি উঠছি।
Also Read Those Related Love Story
মেয়েটি উঠে অন্য সিটে গিয়ে বসে। ফারিন ধপাস করে সিজানের পাশের সিটে বসে পড়ে। সিজান মুচকি হেসে বাইরে তাকিয়ে থাকে।
” মেয়েদের সাথে বসতে খুব ভালো লাগে, তাই না? লুচু পোলা একটা।
সিজান এবার বাইরে থেকে মুখ সরিয়ে ফারিনের দিকে তাকায়।
” আমি মোটেও লুচু নই ওকে।
” এই জন্যই তো মেয়েদের সাথে বসতে ভালো লাগে।
” এখানে আমার কোনো দোষ নাই। মেয়েটাই এসে আমার পাশে বসেছে, আমি না।
” বসার সময় নিষেধ করতে পারলি না?
” ছোট্ট বোন হিসেবে পাশে বসতেই পারে, মানা করার কী আছে?
” ছোট্ট বোন, ওও তাহলে ঠিক আছে।
” হ্যাঁ। তুই কী মনে করেছিস,বউ মনে করে বসেছে?
” না না একদম না। তোমার একমাত্র বউ আমি। অন্য কাউকে মনে করতে যাবো কেনো?
সিজান কিছু বলল না।
…………………………
” আচ্ছা তুমি এইপাশে আসো তো। আমি জানালার পাশে বসব।
সিজান কথা বাড়াল না। সে জানালার পাশের সিটটা ফারিনকে ছেড়ে দেয়।
বাস চলতে শুরু করল। সবাই মজা করছে, গান গাচ্ছে। কেউ কেউ হাততালি দিয়ে তাদের সাথে যোগ দিচ্ছে।
” ওই ইমরান একটা গান ধর না। আমাদের বাসে কণ্ঠশিল্পী থাকতে আমরা গান গাচ্ছি। এটা তো ঠিক না।
নীলাও আয়ানের সাথে তাল মিলিয়ে বলল।
” হ্যাঁ ঠিক ঠিক। সিজান এখন আমাদের গান শুনাবে।
সবাই একসাথে ইয়েস বলে উঠল। সিজানও আর না করতে পারল না। সে গান গাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
” ভাই গিটার টা দাও তো।
সিজান হাতে গিটার টা হাতে নিয়ে আওয়াজ তুলে।
পাগল তোর জন্য রে, পাগল এই মন..পাগল।
পাগল তোর জন্য রে, পাগল এই মন..পাগল।
মুখে বলি দূরে যা,মন বলে থেকে যা(২)
দূরে গেলে মন বুঝে..তুই কতো আপন..।
মুখ বলে দূরে গেলে তুই বেশি কিছু হবে কি..?
মেঘে ঢাকা এ জলে গেলে দেবে চাঁদ উঁকি।
রাত যখন উঠে যায়, ছুতে চায় কেনো তোরি হাত(২)
সারাক্ষণ যাস ছুঁয়ে আমার এই মন..
পাগল তোর জন্যরে পাগল এই মন পাগল।
মরিই ভেবে হায় উতাল পাতাল মনের ভিতর কি.. আছে..?
কেন এমন হয় দূরে গেলে তুই চাই কাছে..।
নির্ঘুম কেন কাটে রাত,কেন শুধু আর্তনাদ(২)
প্রতিদিন তোকে ভেবে হ্নদয় খরন
পাগল তোর জন্য রে পাগল এই মন..পাগল।
পাগল তোর জন্য রে পাগল এই মন..পাগল।
মুখে বলি দূরে যা..মনে বলে থেকে যা।
দূরে গেলে মন বুঝে.. তুই কতো আপন..।
পাগল তোর জন্য রে, পাগল ই মন..পাগল।
গান শেষ হতেই সবাই সিটি বাজিয়ে হাত তালি দিয়ে উঠে। সবাই একসাথে উচ্চস্বরে বলে উঠে,
” ওয়ান্স মোর, ওয়ান্স মোর।
” না না এখন আর একটাও না। জায়গায় যায়, তখন আরো হবে।
” ঠিক তো।
” একদম। (হেসে)
{ Bangla Premer Golpo }
ফারিন চিপসের প্যাকেট খুলে চিপস খাচ্ছে। সে সিজানকে জিজ্ঞেস করে খাবে কিনা?
” না খাবো না।
” আরে খাও, সমস্যা নেই।
” আমি কখন বললাম, সমস্যা আছে?
” আচ্ছা না খেলে নাই, আমি খাই।
ফারিন চিপস খাওয়ার সময় আওয়াজ হচ্ছে, যার জন্য সিজান বিরক্তি নিয়ে বলছে।
” চিপস খাচ্ছিস ভালো কথা। এতো আওয়াজ করছিস কেনো?
” এখানে আমার কোনো দোষ নেই। চিপস মচমচে,তাই আওয়াজ হয়।
” তো এখানে কার দোষ শুনি?
” তোমার দোষ। (হেসে)
” আবার হাসে।
” কীরে সিজান, চিপসের আওয়াজ নিয়ে ঝগড়া করছিস মনে হয়।🤣
Also Read These Another Love Story
আয়ান বামপাশের সিট থেকে কথাটা বলল।
” তুই শুনলি কীভাবে?
” আসলেই ঠিকি বলছস ফারিন এর চিপস খাওয়ার টা ভীষণ শব্দ দূষন করছে,আমরাও আওয়াজ টা শুনতে পারছি।
আয়ানের কথা শুনে ফারিন ক্ষেপে যায়। সে নিজের সিট থেকে তেড়ে আসে আয়ানকে মারতে। সিজান, ফারিনকে ধরে ফেলে, যার কারনে সে আয়ানকে ধরতে পারে না।
” দেখ দেখ শাকচুন্নী টা কীভাবে তেড়ে আসছে।
” আরই আয়ান মেরে ফেলবো তোকে। সিজান ছাড়ো আমাকে।
” ফারিন ও মজা করে বলছে, কুল ডাউন।
ফারিন তারপরেও না বসতে চাইলে সিজান ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়। ফারিন গাল ফুলিয়ে নিজের সিটে বসে পড়ে।
সিজান একবার ফারিনের দিকে তাকায়। দেখে ফারিন গাল ফুলিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। সিজান হেসে দেয়, এভাবে ফারিনকে দেখে।
Click Here For Next Part- চলবে…
Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends.