Golperjogot

Golperjogot

Heart Touching Romantic Love Story Valobashi Dujone Part 8

Valobashi Dujone

Imtihan Imran ( Part – 8 )

” কী..? আমার আম্মুর সিজান বাবা, ফিলিং নতুন জামাই। (হেসে )

ফারিনের কথা শুনে সিজান মুচকি হাসি দেয়। এই পাগলী মেয়েটার কথা শুনে না হেসে সে পারে না। সব সময় এই মেয়ে কীভাবে যে মজা করতে পারে, আল্লাহ জানে!

” এই ফাজিল মেয়ে চুপ থাক। ফাজিল একটা। সিজান তুমি নেও তো, ওর এইসব ফাজলামি কথা তুমি শুনিও না।

ফারিনের  আম্মু, সিজানের থালে বেশি বেশি করে বিভিন্ন আইটেমের তরকারি তুলে দেয়।

” আন্টি আর দিয়েন না। এতো খেতে পারবো না।

” কী বলো এইসব? এই বয়সে না খেতে পারলে আর খাবে কখন.? এখনি তো খাওয়ার সময়, নাকি বুড়া হলে খাবে? (হেসে)

” আম্মু সে মনে হয় বুড়া হলেই খাবে। তখন বেশি বেশি করে খেয়ে, তার ভুড়ি বড় করবে।

ফারিন এই কথা বলেই হেসে উঠে। 

” না আন্টি তেমন কিছু না, আপনি আসলে বেশি বেশি দিচ্ছেন,এতো বেশি খেলে তো আমি মোটা হয়ে যাবো।

” ওও তাহলে এই ব্যাপার, আচ্ছা খাও তুমি, আরেকটু খাও, বেশি খেতে হবেনা।

{ Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla } 

বেশি খেতে হবে না বলেও ফারিনের আম্মু সিজানকে বেশিই খাইয়ে দিলেন। ফারিন তো সিজানকে বেশি বেশি খাওয়াতে দেখে অনেক মজা হয়। এবং সিজন যে খুব প্যারাতে আছে, সে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে। সে তার আম্মুকে বারবার বলে,

” আম্মু আরো বেশি করে দেও। এতো কিপটা কেনো তুমি? দাওয়াত দিয়ে এনে খাওয়াতেই চাও না।

ফারিনের কথা শুনে সিজান রাগান্বিত চোখে ফারিনের দিকে তাকায়। ফারিন হেসে সিজানকে তার সেই চির চেনা ভেঙচি দেয়।

ডিনার করা শেষে সিজান, ফারিনের আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে। বাসায় ঢুকে দেখে তার আব্বা জান ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে টিভি দেখছে। সিজানকে আসতে দেখে, উনি জিসানকে জিজ্ঞেস করে,

” কীরে সিজান গেলি সেই সন্ধ্যা বেলা আসলি যে এখন মধ্যরাতে, ব্যাপার কী?

” ব্যাপার কিছু না। জামাই আদর করে ছেড়ে দিছে, এই আরকি।

” বিয়ে না হতেই জামাই আদর পেয়ে গেলি।

” জি আব্বা জান সবই পরম দয়ালু আপনার কৃপায়।

” তাহলে তো পা ধরে একটা সালাম করতে পারিস। সেটা তো করলি না।

” বিয়ে হলে তারপর করব। এখন যাই রুমে, তুমি টিভি দেখতে থাকো।

[ Love Story Bangla }

সিজান, তার আব্বা জানের জবাবের আশা না করে রুমের দিকে পা বাড়াল। কিন্তু রুমে যাওয়ার আগেই খালা এসে পথ আগলে দাঁড়ায়।

” কীরে সন্ধ্যা থেকে কোথায় ছিলি?

” ফারিন দের বাসায় ছিলাম।

বিয়ে না হতেই ওই মাইয়া টা তোরে নিজের বশে নিয়ে নিচ্ছে, নিজের বাসায় আটকে রাখছে, বিয়ে হলে তো তোরে আর এই বাসায় দেখাও যাইবো না। সারাদিন মনে হয় ঘর জামাই হইয়া থাকা লাগব। 

আরে নাহ! খালা তুমি কী যে বলো না। আমি তো ওদের বাসায় যায় না। আজকে আমার দরকারে গেলাম, দরকার না হলে তো যেতাম না। তুমি টেনশন নিও না, আমি ঘর জামাই থাকব না। আমি আমাদের বাসায় থাকবো।

” সত্যি তো।

” হ্যাঁ খালা সত্যি। তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। 

” যাক তোরে বিশ্বাস করলাম। যা রুমে যাইতে লইছিলি, রুমে যা।

” ওকে।

সিজান খালার কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। কালকে তাকে স্টুডিওতে যেতে হবে। কালকেই তাকে গান গাইতে হবে। মুভি গুলাতে গান হিট হলেই, সে মোটামুটি ফেমাস হয়ে যাবে। সেখান থেকেই তার উপরে উঠা শুরু হয়ে যাবে। এতো তাড়াতাড়ি তার ড্রিম পূরন হচ্ছে, ভাবতেই সব কিছু তার কাছে সুখ্যি ময় লাগছে।

সকালবেলা সিজান তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ফারিন ভার্সিটি তে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে সিজান দের বাসায় আসে। বাসায় এসে শুনতে পায় সিজান কিছুক্ষন আগেই বের হয়ে গেছে। এতে ফারিন কিছুটা অবাক হয়।

” আন্টি ও আমাকে না নিয়ে চলে গেলো কেনো?

” ও তো বলছিল ভার্সিটিতে যাবে না। কী একটা কাজ আছে, ওখানেই গেল।

” কী কাজে গেল, বলল না?

” না তো সেটা বলে নি।

” আচ্ছা আমি তাহলে আসি।

” কিছু খেয়ে যাও।

” আন্টি খেয়ে আসলাম মাত্র। বাই।

” আচ্ছা সাবধানে যেও।

” ওকে আন্টি।

ফারিন, সিজানের আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দিলো।  ফারিন ভার্সিটিতে আসতেই আয়ান ও নীলার সাথে হাই হ্যালো হয়।

” কীরে সিজান কই? সিজান এলো না?

” আরে সকাল সকাল সে নাকি কোথাও বের হলো। কী নাকি ইম্পটেন্ট কাজ আছে তার?

” ওও আচ্ছা। বাট কী কাজ জানস?

” না জানি না।

” আচ্ছা পরে জেনে নিস। চল এখন ক্লাসে যাই।

” হুম চল।

সবাই ক্লাসে চলে যায়।  ক্লাস শেষে ফারিন কোথাও না দাঁড়িয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসে। নিজের বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সে সিজানের বাসায় চলে আসে, সিজান কে খোঁজ করতে। 

” আন্টি সিজান এসেছে।

” হুম রুমে আছে। 

” আচ্ছা আমি দেখা করে আসি।

” হুম যাও।

ফারিন সিজানের রুমে গিয়ে নক দেয়।

{ Cute Bangla Story }

” আসতে পারি?

সিজান বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপছিল। ফারিনকে দেখে সে বিছানা থেকে উঠে বসে।

” বাহ! বাহ! আজকে নক করা হচ্ছে। কী ব্যাপার? 

” যা তোমার অনুমতি নিবোই না। আমি নিজেই আসছি।

ফারিন এসে সিজানের এক পাশে বিছানায় বসে। দুজনে কিছুক্ষন চুপ। প্রথমে ফারিন মুখ খুলল।

” আজকে যে ভার্সিটিতে গেলা না। কোথায় গিয়েছিলে?

” যেই জন্য সেদিন তোকে ট্রিট দিয়েছি, সেই কাজে।

” ওয়াও সত্যি। গান গেয়েছো?

” হুম। (হেসে) 

” কংগ্রাচুলেশন মি. সিংগার সিজান আহম্মেদ।

” থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ। (হেসে)

” কিন্তু তুমি কিন্তু এটা একদম ঠিক করো নাই।

” কী ঠিক করি নাই।

” আমাকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিল। একবার বলে গেলে কী হতো?

” ওও হো সরি সরি, আমার ভুল হয়ে গেছে। নেক্সট টাইম থেকে জানাবো।

” না না এভাবে বললে হবে নাহ। সুন্দর করে বলো, তুমি করে বলো।

” তুমি করে বলতে হবে?

” জি নাহলে সরি কাউন্ট হবে না।

” আচ্ছা বলতেছি।

” তাড়াতাড়ি বলো।

” সরি ফারিন আমার ভুল হয়ে গেছে। নেক্সট টাইম থেকে কোথাও গেলে তোমাকে ইঙ্গিত দিয়ে যাব। এবারোর মতো সরি টা এক্সেপ্ট কর। 

Also, Read Those Related Love Story

  1. Valobashi Dujone Part – 1

  2. Valobashi Dujone Part – 2

  3. Valobashi Dujone Part – 5

  4. Valobashi Dujone Part – 6

সিজানের উপর ফারিন খুশি হয়ে হেসে দেয়। সে বলে উঠে,

” আচ্ছা এবারের মতো তোমার সরি টা এক্সেপ্ট করা হলো।

” এই জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সিজানের কথা শুনে ফারিন খিল খিল করে হেসে উঠে। 

” দুপুরের খাওয়া হয়েছে?

” না এখন গিয়ে করবো। আসলে মন টা উশ খুশ করছিল, কখন তোমাকে পেয়ে কথা টা জিজ্ঞেস করবো।

” আচ্ছা তাই।

” হুম।

” হইছে এখন আর তোদের বাসায় যেয়ে খেতে হবে না। আমাদের বাসায় দুপুরের খাবার টা খেয়ে নে।

” জি না দরকার নাই। আমি আমাদের বাসায় গিয়েই খাবো।

” চুপ আমাদের বাসায় এসে পড়েছিস। সো এখন তোকে আমাদের বাসায় খেতে হবে। কোনো কথা শুনছি।

সিজান তার আম্মুকে ডাক দেয়। ফারিন মানা করলেও শুনে নি। সিজানের আম্মু রুমে আসে।

” কীরে কী হয়েছে ডাকছিলি কেনো?

” ফারিনকে কিছু খাওয়াও। 

” মানে?

” মানে বুঝিয়ে বলতে হবে তোমাকে?

” না না বলতে হবে না বুঝেছি। ফারিন চল তো আমার সাথে।

” আন্টি যান আমি আসতেছি।

” তাড়াতাড়ি আয়।

সিজানের আম্মু চলে গেলে, সিজান ফারিনকে জিজ্ঞেস করে,

Also, Read These Another Love Story

” আবার কী হলো?

ফারিন হঠাৎ করেই সিজানের একদম কাছে চলে যায়। সিজান ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। সিজান কিছু বুঝে উঠার আগেই ফারিন সিজানের গালে একটা চুমু বসিয়ে দেয়।

চুমু দিয়ে সে দাঁড়ায় নি। এক দৌড়ে সিজানের সামনে থেকে পালিয়ে গেলো। আর এইদিকে সিজান হা হয়ে যায়,ফারিনের কান্ডে। সে হেসে ফারিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

Click Here For Next Part-    চলবে…

Writer- ইমতিহান ইমরান

Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla Part 8
Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla Part 8

Leave a Comment