Valobashi Dujone Bangla Golpo
Imtihan Imran [ Part – 15 ]
সিলেট শহরের কাছেই হযরত শাহাজালাল (রঃ) এর মাজার। হযরত শাহজালাল (রঃ) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। ১৩০৩ সালে তিনি ইয়ামিন থেকে সিলেটে আসেন।
সকল স্টুডেন্টস ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে মাজার দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়।
শহরের মাঝে ছোট্ট একটা টিলার উপরেই হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজারটি। মাজারের কাছেই একটা পুকুরে রয়েছে বড় বড় গজার মাছ। মাজারের প্রান্তে রয়েছে অনেক কবুতর, যা কেউ বধ করে না।
কবুতর গুলো জালালি কবুতর নামে পরিচিত।
ফারিন কবুতর ধরার জন্য ছুটে যায়। কিছুক্ষণ ব্যর্থ হয়,অবশেষে সে সাদা দুইটা কবুতর ধরে। কবুতর ধরে ফারিনের হাসি যেনো আর ধরে না। সে কবুতর হাতে নিয়ে মহাখুশি।
সিজানের খুব আকর্ষন ছিল মাজারে কী হয়, তা দেখার। সে মাজারে কাউকে সেজদাহ দিতে দেখে নি। তবে মাজারে অনেক মোমবাতি জ্বালানো ছিল।
এখানকার একজন লোককে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন,প্রতিদিনই এভাবে এখানে মোমবাতি জ্বালানো হয়। কেনো জ্বালানো হয়,এটা কীসের প্রতিক? তার সঠিক ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।
Valobashar Golpo Bangla Valobashi Dujone
হযরত শাহাজালাল (রঃ) এর মাজার দেখার পর তারা সবাই শাহপরাণ (রঃ) মাজার শরীফ দেখার জন্য যায়।
তাপসকুল শিরোমণি হযরত (রঃ) শায়িত আছেন সিলেটের খাদিম পাড়ায়। সিলেট শহরের প্রায় আট কিলোমিটার পূর্ব দিকে সিলেট তামাবিল সড়ক থেকে ০.৩ কিলোমিটার ভিতরে সু উচ্চ ও মনোরম টিলায় অবস্থিত হযরত শাহপরাণ (রঃ) এর মসজিদ ও দরগাহ। মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে সমাধিটি।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন মাজার যিয়ারত করার জন্য পূর্ণময় সিলেট ভ্রমনে আসেন।
ফারিন আশেপাশে ঘুরঘুর করে সবকিছু দেখছে। খুব ভালো লাগছে এখানে আসে। মনে আলাদা একটা শান্তি কাজ করছে এখানে এসে। ফারিন দেখলো মাজারের সাথে হাত দিয়ে কিছু মানুষ কান্নাকাটি করে কী যেনো চাচ্ছে। ফারিন অবাক হয়ে সিজানকে জিজ্ঞেস করে,
” এরা কান্না করে কী চাচ্ছে?
” বাবার কাছে কান্না করে কী চাচ্ছে, হয়তো বাবাও জানে না। বাদ দে এদের কথা।
তারা আরো দেখলো কিছু মানুষ মাজারের ধুলাবালি হাতে মেখে মুখ ও বুকে মেখে নিচ্ছে।
” অদ্ভুত কাজ কর্ম।
রাত ৯ টার মতো সময়ে তারা হোটেলে ফিরে আসে। ভোরে তারা ঢাকায় ফিরে যাবে। তাই টিচারে সকল স্টুডেন্টস দের তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার আদেশ দেয়।
ভালোবাসার গল্প
সিজান ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দুই দিনে তোলা পিক গুলো দেখছে। আয়ান এসে সিজানের পাশে শুয়ে পড়ে।
” ভাই তোর আর সিনহার একটা ঝাক্কাস ফটো আমার মোবাইলে তুলছি।
” তাই নাকি? তা কেমন ঝাক্কাস ফটো দেখি তো!
” এই দেখ।
ফটো দেখে সিজান, আয়ানের পিঠে একটা থাপ্পড় মারে। আয়ান সিজানকে মূলত ওয়াচ টাওয়ারের ফটো টা দেখিয়েছে। যেখানে ফারিন পড়ে যেতে নিলে সিজান ধরে ফেললে, ফারিন ভয় পেয়ে সিজানকে জড়িয়ে ধরে।
” শালা এটাই তোমার ঝাক্কাস ফটো।
” কেনো তোর কাছে ঝাক্কাস লাগে নাই?
” ভাই ঝাক্কাস আর যাই হোক, এটা আমার ফোনে পাঠিয়ে দে। (হেসে)
” ট্রিট দেও, তাহলে পাঠিয়ে দিবো।(হেসে)
” ধুর শালা, একটা ফটো দিবি, তার জন্যও ট্রিট খুঁজছিস?
” কিছু করার নাই ভাই, এটাই ট্রেন্ড। (হেসে)
” আচ্ছা যা ট্রিট দিমু নে।
” সত্যি তো।
” হ্যাঁ সত্যি। এখন দে।
আয়ান, সিজানের ফোনে সিজান আর ফারিনের পিক টা সেন্ড করে দেয়।
Romantic Love Story Bangla
পরেরদিন খুব ভোরে রওনা দিয়ে তারা ঢাকায় ফিরে আসে। সিজান, ফারিন দুজনেই যার যার বাসায় চলে যায়।
” কিরে সিজান চলে এলি?
” হ্যাঁ মা।
” আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?
” না মা, কোনো সমস্যা হয়নি?
” ফারিন বাসায় গিয়েছে?
” হুম। তোমার প্রশ্ন শেষ হলে,আমি ফ্রেশ হতে যাই।?
” আচ্ছা যা।
ফারিনের আম্মু ও আব্বু মাহফুজ সাহেব নাস্তা করতে বসেছেন।
” তোমার মেয়ে এসেছে।
” ভ্রমণ শেষ?
” হুম।
” তো ডাকো,আমার মামুনীকে। একসাথে নাস্তা করব।
” ফারিন,ফারিন…
ফারিন ভিতর থেকেই জবাব দেয়।
” আসছি আম্মু।
ফারিন এসে দেখে,তার আব্বুও ডাইনিং টেবিলে। সে দৌড়ে এসে তার আব্বুকে জড়িয়ে ধরে।
” হোয়াট অ্যা সারপ্রাইজ আব্বু? তুমি কবে এলে?
” গত কাল রাতে আসলাম। কিন্তু তুমি তো আমার কোনো খোঁজ খবর’ই নিলে না।
” সরি আব্বু জার্নি করেছিলাম তো, তাই তাড়াহুড়ো করে ফ্রেশ হতে চলে গিয়েছি।
” ইটস ওকে। মজা করছিলাম।
প্রেমের গল্প
ফারিন তার আব্বুকে ছেড়ে চেয়ার এ বসে পড়ে।
” জার্নি টা নিশ্চয় সিজানের পাশে বসে কেটেছে।
” তো আর কার পাশে বসবো,যেখানে জামাই আছে। সেখানে অন্য কারো পাশে বসার প্রশ্নই আসে না।
” তোমার মেয়ে কি বেহায়া হয়েছে দেখেছো? বিয়ে না হতেই বাবা মার সামনে কীভাবে জামাই জামাই করছে?
” তোমরা শুধু আমার বাবা মা না আমার বেস্ট ফ্রেন্ডও। তাই তোমাদের কাছে আমার কোনো লজ্জা নেই।(হেসে)
” ফাজিল মেয়ে একটা। (হেসে)
ভার্সিটির মাঠে সবার সামনে একটা ছেলে, একটা মেয়েকে হাটু গেড়ে বসে ফুল দিয়ে প্রপোজ করছে। মেয়েটা ছেলেটার কাছ থেকে এখনো ফুল নিচ্ছে না। আশেপাশ থেকে সবাই মেয়েটিকে ফুল নেওয়ার জন্য বলছে। সবাই মেয়েটিকে বলছে,
” Nila say yes..
মেয়েটি অবশেষে ছেলেটির ডাকে সাড়া দিয়ে হাসিমুখে তারা হাত থেকে ফুল নেয়। সবাই হাত তালি দিয়ে তাদেত অভিনন্দন জানায়। এখানে সিজান,ফারিন দুজনেই উপস্থিত ছিল। সিনহা তো এই দৃশ্য দেখে হেসে জোরে হাত তালি দিয়ে উঠে।
সিজান তখন ফারিনের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল, ফারিন যে কতোখানি খুশি হয়েছে সে নিজের চোখে দেখেছে।
Also Read Those Related Love Story
সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। ফারিন, সিজান দুজনকে ইশারা ইঙিত দিয়া ভালোবাসার কথা জানান দিলেও কেউ মুখ ফুটে বলেনি। ফারিন আই লাভ ইউ,সিজান আই লাভ ইউ। কিন্তু এতোদিনে দুজনেই বুঝে গেছে দুজন,দুজনকে ছাড়া চলবে না।
ভার্সিটি পরীক্ষা শেষ। দুই ফ্যামিলি এবার ঠিক করলো ধুমধাম করে তাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিবে। দুজনকে বিয়ে সম্পর্কে বললে,দুজনে পরিবারের উপর ছেড়ে দেয়।
ফারিন ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনসময় সিজানের কল আসে। ফারিন রিসিভ করে,
” হুম বলো।
” নিচে নেমে আসো,অপেক্ষা করছি।
” এতো রাতে নিচে নামবো? আর তুমি অপেক্ষা করছো…কেনো?
” এতো কথা বলতে পারবো না তো,নিচে আসো। (রাগ দেখিয়ে)
” যাহ! রেগে যাচ্ছো কেনো, আসতেছি।
Also Read These Another Love Story
ফারিন ফোন কেটে, নিরবে বাসা থেকে বের হয়। বাসা থেকে বের হতেই দেখে সিজান, দাঁড়িয়ে আছে।
” কী হয়েছে বলো তো, এতো রাতে ডাকছো কেনো?
” তোকে নিয়ে এক জায়গায় যাবো।
” কোথায়?
” আমার সাথে যেতে কোনো সমস্যা নেই তো।
” আরে, তোমার সাথে যেতে আবার আমার কীসের সমস্যা থাকবে?
” তাহলে প্রশ্ন না করে চুপচাপ আমার সাথে চল।
” আচ্ছা।
ফারিন সিজানের সাথে রাস্তায় বের হতেই দেখে একটা রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে। দুজনেই রিক্সায় দাঁড়িয়ে আছে। ফারিনের মনে অনেক প্রশ্ন উঁকি ঝুকি মারছে। কিন্তু সিজানের সাফ মানা,কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।
Bangla Love Story
রিক্সায় উঠার পর সিজান,রুমাল দিয়ে ফারিনের চোখ বেঁধে দেয়। ফারিন ভয় পেয়ে যায়।
” চোখ বাঁধছো কেনো?
” হুশ,বিশ্বাস রাখো আমার উপর।
ফারিন চুপ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারে রিক্সা থেমে যায়। সিজান,ফারিনকে নিয়ে রিক্সা থেকে নামে। সিজান ফারিনের এক হাত ধরে রাখে হাটতে থাকে। রাস্তার কোলাহল বন্ধ হয়ে যায়। আশেপাশে শুনশান নিরবতা। ফারিন,সিজানের হাত টা শক্ত করে ধরে রাখে। হঠাৎ করে সিজান,ফারিনের হাত ছেড়ে দেয়।
” রুমাল খুলবে না। আমি বললে তখন খুলবে।
Click Here For Next Part- চলবে…
Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends.