Golperjogot

Golperjogot

Best College Love Story Valobashi Dujone Part 11

 

Valobashi Dujone

Imtihan Imran ( Part – 11 )

আয়ানের কথা শুনে ফারিন ক্ষেপে যায়। সে নিজের সিট থেকে তেড়ে আসে আয়ানকে মারতে। সিজান, ফারিনকে ধরে ফেলে, যার কারনে সে আয়ানকে ধরতে পারে না।

 

” দেখ দেখ শাকচুন্নী টা কীভাবে তেড়ে আসছে।

” আরই আয়ান মেরে ফেলবো তোকে। সিজান ছাড়ো আমাকে।

” ফারিন ও মজা করে বলছে, কুল ডাউন।

 

ফারিন তারপরেও না বসতে চাইলে সিজান ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়। ফারিন গাল ফুলিয়ে নিজের সিটে বসে পড়ে।

Romantic Love Story Bangla

 

সিজান একবার ফারিনের দিকে তাকায়। দেখে ফারিন গাল ফুলিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। সিজান হেসে দেয়,এভাবে ফারিনকে দেখে।

 

” কিরে এভাবে গাল ফুলিয়ে বসে আছিস কেনো?

 

ফারিন জবাব দেয় না। তার দৃষ্টি এখনো জানালার বাইরে। সিজান দ্বিতীয় বারও জিজ্ঞেস করে। কিন্তু ফারিন চুপ করেই আছে। সে সিজানের সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করছে না এখন।

 

” ভালোই অভিমান, রাগ হয়েছে দেখছি। এখন ফারিন, সিজানের সাথে কথা বলতে চাইছে না।

 

সিজান, ফারিনের হাত ধরতেই ফারিন তা ছুঁড়ে মারে।

 

” বাহ! বাহ! কী তেজ রে বাবা।(হেসে)

 

সিজান আবারও ফারিনের হাত চেপে ধরে। ফারিন এবারও হাত ছুটাতে চাইলে সিজান শক্ত করে চেপে ধরে।

 

” সর‍্যি রে বাবা। এমন করছিস কেনো?

” আমি কারো বাবা নই।

” আল্লাহ! মুখে কথা ফুটলো অবশেষে।

” আমারে ধমক দিলা কেনো? কানে ধরো।

” কী বলছিস এইসব? এখন সবার সামনে কীভাবে কানে ধরবো?

” সবার সামনে ধরতে না পারলে সবার অগোচরে ধর। কিন্তু কান এক্ষুনি ধরে সর‍্যি বলতে হবে।

 

সিজান আশেপাশে তাকায়। না কেউ তাদের দিকে তাকিয়ে নেই। সবাই নিজেদের মধ্যে গল্প গুজব করতে ব্যস্ত।

 

সিজান তাড়াতাড়ি করে চোখ ফিরিয়ে ফারিনের দিকে নজর দিয়ে কানে হাত দিয়ে চোখ ছোট করে সর‍্যি বলে।

Love Story Bangla

 

এমন কিউট ভাবে সর‍্যি বলায় ফারিন না হেসে পারল না। সে ফিক করে হেসে দেয়। ফারিনের হাসি দেখে সিজানও হেসে দেয়। যাক সে অবশেষে মেয়েটার মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে। এই মেয়েটাকে গম্ভীরমুখে মোটেও মানান সই লাগে না। তাকে সব সময় হাসি খুশিতেই ভালো লাগে। এবং সিজান ঠিক সেই ভাবেই তাকে দেখে অভ্যস্ত।

 

” চিপস থাকলে, চিপস দে। চিপস খেতে ইচ্ছে করছে।

” চিপস আছে, তবে দিবো না। তখন ভাব নিছো না।

” তুই না দিলে সমস্যা নেই। আমি অন্য একটা মেয়ের কাছ থেকে চেয়ে নিবো। অবশ্য তুই সেটা চাবি না।

” ব্ল্যাকমেইল তো ভালোই করতে পারো।

 

ফারিন তার হ্যান্ড ব্যাগ থেকে একটা চিপসের প্যাকেট বের করে সিজানের হাতে ধরিয়ে দেয়।

 

সিজান চিপস ছিড়ে খাচ্ছে। সিজান একটা চিপস ফারিনের মুখের সামনে ধরে বলে,

 

” নে হা কর।

 

ফারিন হেসে হা করে সিজানের হাতে থেকে চিপস টা খেয়ে নেয়। ফারিন চিপস খাওয়ার ফাকে সিজানের আঙুলে ছোট্ট করে কামড় বসিয়ে দিতে ভুল করে না।

 

” আউচ..।

 

কীরে কামড় দিলি কেনো?

 

ফারিন হেসে, ডোন্ট কেয়ার ভাব নেয়।

 

” কামড় দিয়ে আবার হাসে।

” তো তুমি চাও আমি কান্না করি।?

” হুম করো।

 

সিজানের উত্তর শুনে ফারিন সিজানের বাহুতে দুইটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।

 

” শয়তান একটা।

 

সিজান হেসে উঠে। ফারিনও হেসে দেয়।

Romantic Story

 

ভার্সিটি গেইট থেকে বাস ভোর ৬ টায় রওনা দিয়েছিল। ঠিক ৯ টার কাছাকাছি বাস এসে সিলেট শহরে এসে থামলো।

 

একজন টিচার সামনের সিট থেকে দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্য বলল,

 

” স্টুডেন্টস আমরা চলে এসেছি। সবাই সবার ব্যাগ পত্র নিয়ে বাস থেকে আস্তে আস্তে নেমে পড়ো।

 

এক এক করে সবাই বাস থেকে নেমে পড়ছে। সবাই বাস থেকে নেমে হাত উপর নিচ প্রসারিত করে আড়মোড়া ভেঙে নেয়।

 

ভার্সিটি কতৃপক্ষ তার স্টুডেন্টস দের জন্য হোটেল লা ভিস্তা বুকিং করেছিল। ভালো একটা আবাসিক হোটেল।

 

টিচার সবাইকে তাদের রুম নাম্বার বুঝিয়ে দেয়। এক রুমে দুই তিনজন করে থাকতে পারবে। তাই সবাই নিজের বন্ধু বান্ধুবী পছন্দ করে একসাথে থাকবে।

 

সিজান আর আয়ান একই রুমে থাকবে ঠিক করল। আর ফারিন নীলার সাথে।

 

সবাই নিজেদের রুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। কারন কিছুক্ষন পরেই তারা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট রওনা দিবে। তারা এখানে এসেছে ঘুরতে, তাই অযথা  সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।

Cute Love Story

 

সবাই হোটেল রুমে চলে যায় ফ্রেশ হওয়ার জন্য। 

সবাই ফিরে এসে একসাথ হতেই নাস্তা করে নেয়।

 

এবার ভ্রমণ করার পালা, 

 

সিলেট শহর থেকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে যেতে হয় জিপ, অটোরিকশা বা সিএনজি দিয়ে।

যেহেতু ৪০ জন স্টুডেন্টস। তাই তাদের জন্য জিপ ভাড়া করা হলো। একটা জিপ এ ১০ জন উঠতে পারে। তাই ৪ টা জিপ ভাড়া করা হলো।

 

সিজান, ফারিন একই জিপে উঠে পাশাপাশি বসে পড়ে।

 

রাতারগুল সিলেটের সুন্দরবন নামে খ্যাত। রাতারগুল জলাবন বছরে তিন চার মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তখন জলে ডুবে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গাছ গুলো দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভীড় জমায়। অনেক পর্যটক রাতার গুলকে বাংলাদেশের আমাজন বন নামে আখ্যায়িত করেন। বর্ষায় গাছের ডালে দেখা মিলে নানান প্রজাতির পাখি। এছাড়াও কিছু বন্য প্রাণী আশ্রয় নেয়,গাছের ডালে। তাছাড়াও শীতকালে রাতারগুল জলাশয়ে দেখা মিলে হাজারও অতিথি পাখির মেলা।


Also, Read Those Related Love Story

  1. Valobashi Dujone Part – 1

  2. Valobashi Dujone Part – 2

  3. Valobashi Dujone Part 9

  4. Valobashi Dujone Part 10


 

জিপে করে তারা রাতারগুল নৌকাঘাটে চলে আসে। সবাই জিপ থেকে নেমে দাঁড়ায়। এবার উদ্দেশ্যে নৌকায় উঠা। একটা নৌকায় চার পাঁচ জনের বেশি উঠা যায় না।

 

সিজান, ফারিন, আয়ান ও নীলা একটা নৌকায় উঠে। নৌকা ছেড়ে দিলেই প্রাকৃতিক শুনশান নিরবতায় সিজান ফারিনরা মুগ্ধ মাতোয়ারা হয়ে যায়। সিজান আশার সময় ক্যামেরা নিয়ে আসে। সে আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য ক্যামেরা বন্দী করতে ভুল করে না। ফারিন খুশিতে চিৎকার দিয়ে উঠে। তার চিৎকারের আওয়াজ ফিরে আসে না। কোথায় যেনো মিলিয়ে যায়।

 

” ম্যাডাম মনে হয়ে এখানে প্রথম এসেছেন? ( হেসে)

” হ্যাঁ মামা। এইজন্যই আমি অনেক এক্সাইটেড। আমি এখন থেকে কোথাও ঘুরতে চাইলে এখানেই ফিরে আসবো। এতো সুন্দর জায়গাটা।

 

ফারিনের এক্সাইটমেন্ট দেখে সিজান হেসে দেয়। সে ঝটপট ফারিনের কয়েকটা ফটো তুলে নেয়। আশেপাশে সৌন্দয্য দেখায় ব্যস্ত থাকায় ফারিন তা খেয়াল করে নি।

 

পানির উপর ভেসা থাকা গাছে হঠাৎ একটা সাপ দেখতে পেয়ে ফারিন ভয় পেয়ে যায়।

 

” সাপ সাপ।

 

সবাই তাকিয়ে দেখে সত্যি সত্যি একটা সাপ গাছের উপর শুয়ে আছে।

 

” মামা একটু দূরে দিয়া যান।

” ওকে ভাইজান সমস্যা নাই। আমরা সাপের আশেপাশে দিয়ে যাবো না।

 


Also, Read These Romantic Love Story


 

রাতারগুলে রয়েছে প্রায় পাঁচ তলার সমান উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। টাওয়ারের উপর থেকে গোটা এলাকার এক অপূর্ব ভিউ দেখতে পাওয়া যায়। রাতারগুলে পানি উত্তপ্ত থাকে এবং পরিবেশও বেশ গরম থাকে। তাই ছাতা বা ক্যাপ সাথে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

 

সিজান ফারিন রা নৌকা থেকে নেমে ওয়াচ টাওয়ারের উপর উঠল। ওয়াচ টাওয়ারের উপর উঠে ফারিনের মনটা আনন্দে প্রফুল্ল হয়ে উঠল।

 

” এই সিজান আমার ফটো তুলো তো।

 

ফারিন দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ায়। সিজান এভাবেই ফারিনের কয়েকটা ফটো তুলে নেয়।

 

ওয়াচ টাওয়ার থেকে নামতে ফারিন পড়ে যেতে নিলেই সিজান ফারিনকে ঝাঁপটে ধরে ফেলে। ফারিন ভয় পেয়ে সিজানকে জড়িয়ে ধরে।

 

” সবাই দেখছে তুই যে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস।

 

সিজানের কথা শুনে ফারিন, সিজানকে ছেড়ে দেয়। ফারিনের মুখ দেখে মনে হচ্ছে সে লজ্জা পাচ্ছে। ফারিনকে কম্পোটেবল করতে সিজান বলে,

 

” একটু সাবধানে তো নামবি। এতো তাড়াহুড়োর কিছু নেই।….

Click Here For Next Part-    চলবে…

 

Writer- ইমতিহান ইমরান

Join Our FB PAGE and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of  { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends.

Leave a Comment