College Er Crush Jokhon Amar Preme
Amrin Talokder { Part 1 }
আম্মু: আমরিন আমরিন, কিরে ঘুম থেকে ওঠ বিয়ে বারিতে যেতে হবে তো।
আমরিন: বিয়ে কার বিয়ে??
আম্মু: কার আার তোর বিয়ে।
আমি: আমার বিয়ে কিন্তু
আম্মু: কোন কিন্তু নয়।তারাতারি ফ্রেশ হয়েনি তারাতারি যেতে হবে।
তো চলুন পরিচয় তা দিয়ে নেই।
আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ওহহ স্যরি একমাত্র বলতে আমার কোন ভাই নেই তবে একটা পিচ্চি বুড়ি আছে যে আমাকে সব সময় শাসন করে যায়।
ডিপ্লোমা শেষ করে একটা ছোট খাটো জব করছি আর বিএসসি করছি। মধ্যবিত্ত হলে যা হয় আর কি। অনেক পরিচয় দিয়ে ফেলছি তো চলুন গল্পে।
কিছু সময় আগে আম্মু বলে গেলো আমার নাকি বিয়ে আজ। আর আমিই কিচ্ছু জানলাম না। সত্যি অনেক রহস্য বিষয়।
আর কি করার তাই রেডি হয়ে নিলাম। কারণ আমারো ইচ্ছে করছিল আম্মু আব্বুকে আমার বিয়ের কথা বলি, কিন্তু সাহসে পায়নি বলে বলতে পারিনি, আর আজ তো মেঘ না চাইতে জল। তবে সেটা আম্মু আবাবুকে বুঝতে দিলাম না,তাদের সামনে ন্যাকা সেজে বললাম...
আমি: আমাকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করলে এটা কি ঠিক হলো😳
আব্বুঃ তোমার ছেলেকে বলে দিও যেটা আমি বলেছি সেখানে আর কোন কথা যেন না হয়।
আমাদের পরিবারে আব্বুই হলো প্রধানমন্ত্রী। তার উপর কথা বলার আর কারো সাহস নেই। সে যেটা বলবে সেটাই সবাইকে করতে হবে।
তো যেহেতু আমিও চেয়েছিলাম বিয়ে করতে আর পরিবার থেকেও না বলাতে বিয়ে দিবে তাই আমিও খুশি। বিয়ে করতে যাচ্ছি না জানি মেয়ের নাম না জানি মেয়ের ঠিকানা নাই বা দেখেছি মেয়ের কোন ছবি।
জীবনটাই হাহাকার করে কেঁদে উঠছে এগুলো ভাবতে। কিন্তু তবুও মনের ভিতর এক অজানা আনন্দ ঘিরে রয়েছে।
অনেক সময় পর মেয়ের বাড়িতে হিয়ে পৌছাইলাম।
মেয়ের বাড়ির সবাই আমাকে অনেক আদর যত্ন করে বরণ করে নিলো। তবে সেখানে কারো মুখে একটা নাম শুনে পুরানো কথা মনে পরে যায়।
অচেনা কেও: দেখে যাও তোমার ভাতিঝি হাবিবা জান্নাত কত সুন্দর বর পেলো। আল্লাহ হাবিবাকে সুখে রাইখো।
আমি শুধু উপরের কথা টুকু শুনতে পেলাম আর সেই সৃতি গুল মনে পরছে। তাহলে এটাই সেই হাবিবা জান্নাত। নাকি অন্য কেও। আল্লাহ তুমি রক্ষা করো।
আচ্ছা কি এমন হয়েছে যার জন্য আমরিন হাবিবা জান্নাত নাম শুনে এমন করছে.???? তাহলে কি সত্যি তার কোন অতীত রয়েছে তার পাশে এই নাম দিয়ে কি হতে চলছে আমরিনের সাথে।
তো চলুন শুনে আসি আগের কিছু কাহিনি
—-------------------------------------------------------------------------------------
আজ অনেক দিন পর এসএসসি রেজাল্ট দিয়েছে। রেজাল্ট আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে। এখন স্বপ্ন ট্রমা IMT তে পরার। তাই কলেজের আবেদন না করে রয়ে গেলাম ম্যাটস্ আই এইচ টির আবেদন সার্কুলার দেওয়ার।
সময়টি ছিল জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ। সেদিন য়েয়ে কলেজে ভর্তি হয়ে আসি। আর আমার স্বপ্নের কলেজ গুরে আসি।
এক কথায় অসাধারণ অনুভূতি ছিল সেসময় টা। যেরকম ভেবেছিলাম তার থেকেও অনেক সুন্দর মনোরম পরিবেশ। কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে কলেজের একটা গ্রুপে আ্যাড করে দিল। গ্রুপে ছিল অনেক স্টুডেন্ট। তার মধ্যে থেকে একটা মেয়েকে অনেক ভালো লেগে যায় আমার। যাকে বলে প্রথম দেখায় ভালোবাসা।
Another Story
ভর্তি শেষে নিজের বারিতে এসে টরি আর গ্রুপের কয়েকটা ছেলে ও মেয়েকে আইডিতে রিকুয়েষ্ট দিই।
সবার সাথেই কিছু কিছু কথা হতো। তবে একটা মেয়েকে অনেক ভালো লাগতো। যাকে বলে এক দেখায় ভালোবাসা। সময়ের মতো সময় যায়। আস্তে আস্তে ক্লাসও শুরু হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ এক কালো ছায়া নেমে আসলো।
যা সব কিছু তছনছ করে দিয়ে চলে গেল।
বন্ধুদের সাথে অদূর থেকেই একটু আড্ডা ফাজলামোই দিন কাটতে ছিল।
একদিন তারই ক্রাশকে তাদের ফ্রেন্ড গ্রুপে তারই এক ছেলে ফ্রেন্ড জাহিদ আ্যাড করাতে আমরিন জাহিদের ইনবক্সে নক করে।
আমরিনঃ কি বন্ধু তুমি দেখলাম ............ আইডিকে গ্রুপে আ্যাড করলে,তোমার সাথে কথা হয় নাকি??
জাহিদ: হুমম হয়তো ওই আমার এক্স
আমরিন জাহিদের মুখে তারই ক্রাশ তারই এক বন্ধুর এক্স শুনে অনেক খারাপ লাগে। তাই আবার বলে।
আমরিন: আচ্ছা তা কত দিনের??
জাহিদ: যেদিন কলেজ গ্রুপে আইডি পাইছি।
জাহিদের এসএমএসের কথা দেখে নিজের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ছি ছি জান্নাত এরকম মিথ্যে কথা বললো আমাকে।
তাই জাহিদকে আর কিছু না বলে সোজা জান্নাকে নক করি।
আমরিন: অভিনন্দন আপনাদের রিলেশনের।
জান্নাতঃ কিসের রিলেশন????
আমরিনঃ কেন জানো না তুমি দারাও দেখাচ্ছি।
তার পর জাহিদের সাথে যা কথা হয়েছে সব গুলো স্কিনশুট দিয়ে জান্নাতকে দেখালাম। আর বললাম তুমি রিলেশন করো তো ভালো কথা তা শিকার করতে কি সমস্যা হবে????
তার পর অনেক ঝগড়া করি জান্নাতের সাথে……...
ঝগড়া শেষে আর কেও কাওকে পরে আর নক করিনি। আর আমিও চেয়েছিলাম ওর সাথে আর কখনই কথা বলবো না।
এভাবেই চলছে দিনের পর দিন। আস্তে আস্তে কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ও চলে আসে।
আর কলেজের যারা দুরে থাকতো আমার মতো তারাও সবাই যার যার পছন্দ মতো যায়গায় শিফট হয়ে যাই।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ফেসবুকে যাদের সাথে কথা হতো তাদের সাথে কথা বলেছি, আর অন্য কোন মেয়ের সাথেও কথা বলি নি।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সবার থেকে একদম ভিন্ন রকম হয়ে গিয়েছিলাম। তাই সবার নজরেই প্রায় আমিই ছিলাম😍
সে যাই হোক নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে বড় আপুদের থেকে মিষ্টি খাওয়ার সময় কয়েটা আপুর প্রোপোজও পেয়ে গেলাম..
কিন্তু সেখানে মাত্র আমি পরতে গিয়েছি রিলেশন করতে নাহ। তাই তাদেরকে পাত্তা না দিয়ে সব কিছু শেষে আমি যেখানে শিফট হয়েছি সেখানে আই মিন মেসে চলে আসলাম।
পরের দিন থেকে যথারিতে ক্লাস চলছে। আমি আমার মতো ক্লাসে বসে ক্লাস করে চুপ চাপ চলে আসতাম।
অনেকই অনেকের সাথে দুষ্টুমি ফাজলামো করতো, কিন্তু আমার কেন যেন সেগুলো সহ্য হতো না। জানি না কেন যেন তাকে খুব মিস করতাম। কেন যে তার সাথে ঝগড়া করতে গেলাম।
আর অন্য দিকে জান্নাত......
ইশ কেন যে সেদিন আমরিনের সাথে ওই রকম ভাবে কথা বলেছি,আজও পর্যন্ত আমার সাথে কথা বললো নাহ,ও কি সত্যি আর আমার সাথে কথা বলবে না???
নাকি ওই আমার উপর রেগে আছে বোধয়।
তাসফি তার ফোন বের করে আমরিনের সাথে কথা বলা গুলো চেক করে।তার এসএমএস গুলো দেখে তাসফির মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তাহলে কি আমরিন আমাকে ভালবাসতো।
জান্নাতের ও মন খারাপ থাকে সব সময়। কিচ্ছু ভালো লাগে না,
জান্নাত তো চেয়েছিল প্রেম ভালোবাসাতে সে জরাবে না তাহলে কেন আমরিনকে এত্ত ভালো লাগে। কি আছে আমরিনের প্রতি।যার জন্য আমরিনের প্রতি জান্নাত পাগলি হই গেছে।
জান্নাতের মাথায় সব সময় এই সব চিন্তায় ক্লাসে কি পরাচ্ছে কিচ্ছু ডুকছে না।
ম্যাম: জান্নাত..?
জান্নাতঃ জ্বি মিস.
ম্যাম: তুমি কোথায় হারিয়ে গিয়েছো??এটা স্কুল নয় যে ছোট বাচ্চাদের মতো আচরণ করবে।
জান্নাত: স্যরি মিস এরপর আর হবে না
ম্যাম : ইট'স ওকে,বসো
আর অন্য দিকে আমরিন.........
আমরিন নিশ্চিন্তে তার ক্লাস গুলো করে তার মতো করে চলছে সব কিছু।।
ওহহ বলে রাখা ভালো আমরিন রেডিওলোজীর স্টুডেন্ট আর জান্নাত ল্যাবরেটরি বা প্যাথলজীর স্টুডেন্ট।
তাই দুইজনের ডিপার্টমেন্ট আলাদা আলাদা। কিন্তু ক্লাস শেষে চাইলে দেখা যায় বের হলে।
কিন্তু আমরিনের ক্লাস শেষ হলে কখনই বের হতো না,পরবর্তী স্যার বা ম্যাম ক্লাসে না আসা পর্যন্ত।
আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
ধন্যবাদ
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন