Golperjogot

Golperjogot

কলেজের ক্রাশ যখন আমার প্রেমে পর্ব 3 | Emotional Love Story

College Er Crush Jokhon Amar Preme

Amrin Talokder { Part 3 }

আর অন্য দিকে জান্নাত তো রিতী মতো বোবা হয়ে গেছে আজকে আমরিনকে দেখে।আজ কি সত্যি সে এগুলো বাস্তবে দেখছে নাকি স্বপ্ন। তার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে।কিছু সময় পর তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে এমন মনে হচ্ছে।

কিন্তু না জান্নাত স্বপ্ন না বাস্তবে দেখছে সব কিছু। তার ভাবনার ছেদ ঘটে যখন তার এক ফ্রেন্ড তাকে ডাক দেয়।

রিয়া: জান্নাত কিরে কি ভাবছিস??জান্নাত: না কিছু না চল যাই ক্লাসে।

তার পর রিয়ার সাথে জান্নাত আই মিন হাবিবা জান্নাত তার ক্লাসে বসে ক্লাস করে।কিন্তু তার তো মন ক্লাসে নেই।তার মন ঘুরছে আমরিনের কাছে।

হাবিবা জান্নাত আমরিনের কাছে অনেক বার গিয়েছে কিন্তু তার কোন বারই তার ভালোবাসা অগ্রাধিকার পায়নি।পেয়েছে একরাশ অবহেলা।

হয়তো সত্যি আমরিন নিজের পুরোটাই বদলিয়ে নিয়েছে।তাইতো তার বলা অনেক আগের কথা গুলোর উপর সে এখনও অটুট।

অন্যদিকে তাসফি জান্নাতের সাথে অনেক ভাব হয় আমরিনের কিন্তু সেটা মাত্র বন্ধুত্বের, কিন্তু কলেজের সবাই ভাবে আমরিন আর তাসফির মাঝে কিছু চলছে।

যা শুনে আমরিন আর তাসফি চুপি চুপি হেসে যায়।কিন্তু আসল সত্যি তো আমরিন আর তাসফিই জানে।

আমরিন আর তাসফির এত্তটা মেলামিশা তাদের অগোচরে দুই জোড়া চোখ তাদের দিকে রক্ত বর্ণ ধারণ করে থাকে।কিন্তু কেওই সাহস পায় না।

এভাবেই কেটে যায় কলেজ লাইফ।কিন্তু না আমরিন কাওকে ভালবাসালো, না তারা তিন জন কাওকে ভালোবাসলো।তাসফি জান্নাত আমরিনের সাথে বন্ধুত্বের জন্য কারো সাথে রিলেশনে যায় নি,তার চেয়ে বড় কথা তাসফি জান্নাতের ও স্বপ্ন পূরণ করা।তাই আর রিলেশনে যাওয়া হয়নি।

Related Story

আর ওই দিকে হাবিবা জান্নাত ও টিনা চৌধুরী, তারাও আমরিনের অপেক্ষায় অন্য কোন রিলেশনে জরায়নি।কিন্তু আফসোস আজও আমিরন তাদের ভালোবাসা বুঝতে পারলো না।

লেখা পড়া শেষ করে সবে মাত্র চাকরি পেয়েছে আমরিন,আর তার মাঝেই ঘটে যায় এক বড় দুর্ঘটনা।

যা আমরিনের জীবনে নিয়ে আসে এক অন্ধকার জীবন।।

এক দিন অফিস থেকে ফির ছিলো বাসার দিকে হঠাৎ করে একটা গাড়ী এক্সিডেন্টে আমরিন রাস্তায় পরে যায়।

এক্সিডেন্ট শব্দে আমরিনের চারপাশ মানুষের ভিড় জমে যায়।

আর এই দিকে যাচ্ছে হাবিবা জান্নাত সেই রাস্তা দিয়ে কোন এক যায়গায়। সামনে এক্সিডেন্ট হওয়ার হাবিবা জান্নাতের গাড়ী জেমে আটকে গিয়েছে।

তাই সে সামনে কি হয়েছে দেখার জন্য একটু এগিয়ে দেখে তার খুব পরিচিত একজন, সে আর কেও নয় আমরিন রাস্তায় পরে রয়েছে,তার এটা দেখে এক চিৎকার দিয়ে সেখানেই জ্ঞান হারায়।

হাবিবা জান্নাতের চিৎকার শুনে তার গাড়ীতে তার বান্ধবীরা বের হয়ে আসে।আর সেখানে হাবিবা জান্নাত ও আমরিনকে পরে থাকতে দেখে তারাতারি তাদের দুইজনকে গাড়ীতে করে হসপিটালে নিয়ে আসে।

তো এখন বলি এই যে আমরিন গাড়ি এক্সিডেন্ট করে রাস্তায় পরে ছিল,অনেকেই দেখছে শুধু কিন্তু কেও ধরছে না,হ্যাঁ এটাই শহরের বাড়ী।কোন বিপদে পরলেও অচেনা কেও এগিয়ে আসবে না,সেক্ষেত্রে গ্রাম অনেক ভালো,যতই প্রতিবেশির সাথে ঝগড়া হোক না কেন, যদি কোন সমস্যা হয় তো সেই প্রতিবেশিই এগিয়ে আসে।

কিন্তু শহরের বাড়ী ঠিক তার উল্টো।যদি কেও একটু পানির অভাবে মারা যায়, তবুও কেও এক ফোটা পানি পান করাবে না সেই তৃষ্ণার্থ ব্যক্তি কে।

সে যাই হোক চলুন গল্পের ফিরি।।

যেহেতু আমিরন আর হাবিবা জান্নাত একই কলেজে পরতো তো তাই জান্নাতের সকল ফ্রেন্ড আমরিনকে চিনতো,তাই দুইজনকেই হসপিটালে ভর্তি করানো হয়।

এক দিকে আমরিনের অপারেশন চলছে।আর অন্য দিকে জান্নাতকে মেডিসিন দিেওয়ার পর ঠিক হয়ে যায়।কিন্তি জ্ঞান ফিরার পর জান্নাত পাগলের মতো করে।

জান্নাত: মায়া,আমার আমরিন কোথায়???তোরা আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসচ্ছিস?কি হলো বল আমরিন কোথায়?

নুপুর: জান্নাত প্লিজ চুপ কর।আমরিনের কিচ্ছু হয়নি।আমরিনের চিকিৎসা চলছে,এই হসপিটালেই আছে।দোয়া কর যেন তারাতারি সব ঠিক হয়ে যায়।

জান্নাত আর কিছু না বলে চুপি চুপি কেঁদে চলছে।আর ভাবছে কি করে আমরিনের এত্ত বড় এক্সিডেন্ট হলো।

নাহ যে যায়গায় এক্সিডেন্ট হইছে সেটা তো এক্সিডেন্ট হওয়ার যায়গা নয়।তাহলে কি এটা কেও ইচ্ছে করে করেছে??আমরিনকে কি কেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল??

জান্নাত এই গুলো ভাবছে আর অঝোর ধারায় চুপি চুপি কেঁদে চলছে।কিন্তু কাওকে কিচ্ছুই বলছে না।

কিন্তু জান্নাতও ছেরে দেওয়ার মেয়ে নয়।কি করে আমরিনের এক্সিডেন্ট হলো তা সে দেখেই ছারবে আর কেই বা করলো।

আচ্ছা কার হাত থাকতে পারে এই এক্সিডেন্টের পিছনে?নাকি এটা শুধুই একটা দুর্ঘটনা?

তো চলুন দেখে আসি আমরিনের সাথে কি এটা একটা দুর্ঘটনাই ছিল নাকি ছিল আমরিনকে মারা প্রচেষ্ঠা।

আমরিন যে কোম্পনিরতে জব করতো সেটা আমরিনের কোন এক পরিচিত একজনের ছিল,যদিও আমরিন জব নেওয়ার সময় কিছু জানতো না,

আমরিনকে তার সেই চিরচেনা মানুষটি দেখে অনেকটাই পাগল পারা হয়ে গেছে।কাকে সে দেখছে তাদের অফিসে।

কে হতে পারে প্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা??আপনারা কি কিছু বুঝতে পারছেন নাকি আমাকেই বলে দিতে হবে??

আচ্ছা শুনুন তাহলে……..

আমরিনকে যে দুইটা মেয়ে ভালোবাসতো তাদের অবস্থা অনেক ভালো,তাদের দুইজনের বাবারই বিজনেস রয়েছে।আর একজন যে কিনা আমরিনের সাথে ফ্রেন্ড ছিল,হ্যাঁ ঠিকই ধরতে পেরেছেন তাসফি জান্নাত।

তাসফি জান্নাত হলো ঢাকার টপ বিজনেস ম্যানের একমাত্র মেয়ে,তাসফিদের অনেক রকমের ব্যবসা আছে।

তাসফি জান্নাত ও আমরিনের সাথে বন্ধুত্বে থাকতে থাকতে কখন যে তার মায়ায় পরে যায় সে তা জানতেও পারেনি।

কিন্তু যখন বুঝতে পারছে তখন আর কাজ হয়নি।কারণ আমরিন তখন অনেক দূর।।

কেননা আমরিনের সাথে যখন কলেজের সবারই দুরত্ব বেরে যায়,আই মিন তাসফি জান্নাতের সাথে খুব কমই দেখা হয় তখনই বুঝতে পারে আমরিন তার জীবনে ঠিক কি ছিল।

কিন্তু এখন বুঝেইবা কি হবে আমরিন তো তার জীবন যুদ্ধে সিলেটে জব নিয়েছে।সে ঢাকা ছেরে চলে গেছে।

Related Story

কিন্তু ভাগ্যে যদি থাকে তাহলে গুরে ফিরে আসিবে।কথায় আছে না,সেরকম হইছে তাসফি জান্নাতের।ভাগ্যক্রমে আমরিন জান্নাতদের এক হসপিটালে মেডিকেল টেকনোলজিস্টে জব নেয়।

এর মাঝে ঢাকাতে ঘটে যায় নানান পরিবর্তন।যা আমরিন কিচ্ছু যানে না।

টিনা চৌধুরী লেখা পরা শেষ করে একটা জব নিয়েছে,যদিও তার বাবারও ছোট খাটো বিজনেসটা আছে তবুও টিনা চায় যে সে জব করতে তাই সে একটা ঢাকার কোন এক হসপিটালে টেকনোলজিস্টে জব নেয়,আর তার সহকর্মি একটা ছেলে পরে,তার সাথে কাজের মাঝে তাদের রিলেশন তার পর তাদের বিয়ে,

তো এখন টিনা তো আমরিনের জীবন থেকে গেলো তার পরও এখন দুই জন রয়েই গেছে।

আর হাবিবা জান্নাত আমরিনকে অনেক খুঁজে বেরিয়েছে এই ঢাকার প্রতিটা অলি গলিতে।কিন্তু জান্নাত আমরিনকে পাবেই বা কি করে সে তো অন্য এক শহরে।

আর তাসফি জান্নাতদের সিলেটের অফিসটি তার আব্বু সামলাতো।কিন্তু জান্নাতের আব্বু একটু অসুস্থ থাকায় তাসফি জান্নাতের আব্বু তার মেয়ের হাতে কয়েকটা অফিসের দায়িত্ব তুলে দেয়।

ওহহহ স্যরি আপনাদের তো বলাই হয়নি।তাসফি জান্নাত তারা দুই বোন,তার মধ্যে তাসফি জান্নাতই বড়।আর যে হাবিবা জান্নাত তার একটা ছোট ভাই আর সে।

যাই হোক তাসফি জান্নাতের আব্বু তাকে যখন অফিসের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিল,তখন ভাগ্যক্রমে তার সিলেটের অফিটাও পরে যায়।

Golperjogot Status

———————––––———————————

আমরিনে জীবনের প্রথম জব, দিন গুলো ভালোই কাটছে।প্রতি দিনকার মতো কাজে যাওয়া,নতুন বন্ধু বান্ধব পেয়ে তার মনেও কিছুটা আনন্দে কাটছে।

একদিন আমরিন তার ডেস্কে কাজ করছিলো,এমন সময় পিয়ন এসে বলে গেলো।

পিয়ন: স্যার,আজ অফিসের বস আসবে,ও তার পরিবারের লোকজন আসবে,আর বর্তমান বস তার মেয়েকে বস বনািয়ে রেখে যাবে,তাই সবাইকে নিচে ডাকা হয়েছে

আমি: আচ্ছা আমি আসচ্ছি আপনি যান,

———————————————————————

আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুনধন্যবাদ

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Amrin Talokder

Leave a Comment