Golperjogot

Golperjogot

কলেজের ক্রাশ যখন আমার প্রেমে পর্ব 4 | Emotional Love Story

College Er Crush Jokhon Amar Preme

Amrin Talokder { Part 4 }

পিয়ন: স্যার,আজ অফিসের বস আসবে,ও তার পরিবারের লোকজন আসবে,আর বর্তমান বস তার মেয়েকে বস বানিয়ে রেখে যাবে,তাই সবাইকে নিচে ডাকা হয়েছে

আমি: আচ্ছা আমি আসচ্ছি আপনি যান,

আমরিনের হাতে কিছু কাজ ছিল সব কিছু শেষ করে যেতে যেতে সবার পরে সবার মাঝে পৌছায়।সবার শেষে যাওয়ায় সবার পিছনে এক যায়গায় দারিয়ে আছে তার অফিসের বসের অপেক্ষায়।

অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটে।তাদের বস গাড়ি থেকে নামার সব অফিসের সকল স্টাফ তাদেরকে ফুলের তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

সবার শেষে আমরিন তার বসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে যেই পিছনে ঘুরতে যাবে ঠিক সে সময় জান্নাতকে দেখে সে অবাক হয়ে যায়।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা, কথা হলো জান্নাত এটা কোনটা???হাবিবা জান্নাত নাকি তাসফি জান্নাত?? কাকে দেখছে আমরিন?সেটা আপনাদের কাছে প্রশ্ন রয়ে গেলো।

আমরিন তো জান্নাতকে দেখে পুরোই অবাক এখানে জান্নাত কি করে থাকতে পারে??আমাকে তো কখনও বলেনি তাদের সিলেটে কোন অফিস আছে।

হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন তাসফি জান্নাত।যাকে আমরিন দেখেছে এই অফিসের বসের সাথে।

কারণ একটা জান্নতের সাথেই সে কথা বলতো,সে হলো তাসফি জান্নাত।তাই এখানে তাসফি জান্নাত ছারা অন্য কেও হতেই পারে না।

আফিফা: কি হলো মি. আমরিন এখানে এভাবে দারিয়ে থাকবেন নাকি ভিতরে চলবেন সবাই তো চলে গেছে।

ওহহ আমরিন তাসফি জান্নাতকে দেখে অনেকটাই অবাক হওয়ায় কিছুটা থমকে ধারায়।তাই পাশে কি হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না,যখন তারই কলিক ডাক দেয় তখন বুঝতে পারে সবাই এখান থেকে চলে গেছে।

আমরিন: ওহহ হ্যাঁ মিস: আফিফা বলুন কি যেন বলছিলেন।আফিফা: বলছি আপনার মাথা, এখানে দারিয়ে থাকবেন নাকি ভিতরে যাবেন???আমরিন: হুমমম যাবো তো চলুন..

আমরিন বুঝতে পারে না এই আফিফা কেন তার সাথে সব সময় এরকম করে।(হয়তো ভালো লাগা বা ভালোবাসা বা হয়তো বা কলিক হিসেবে তার কর্তব্য)

সে যাই হোক অফিসের ভিতর সবাই চলে আমার পর বর্তমান বস নতুন বস আই মিন তার মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

————————————————————

Boss: Hlw guys.Assalamu Alaikum.Today I will introduce you to someone who is your new boss, She is none other than my eldest daughter Tasfi Jannat, I hope you will help my eldest daughter as you are helping me in office work.(আসসালামু আলাইকুম, আমি আজ আপনাদের সাথে এমন একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যে আপনাদের নতুন বস, সে আর কেও নয় আমার বড় মেয়ে তাসফি জান্নাত, আমাকে যেরকম আপনারা সাহায্য করছেন অফিসের কাজে।সেরকম আমার বড় মেয়েকেও সাহায্য করবেন আশা করি।)

Everyone: yes boss!

Boss: You know my daughter, I mean, from the cabin of the current boss. Thank you, I’m coming. From now on my eldest daughter will handle this company.(আচ্ছা আপনারা যার যার পরিচয় দিয়ে আমার মেয়ে আই মিন আপনাদের এখন থেকে বর্তমান বসের সাথে পরিচিত হয়ে নিবেন তার কেবিন থেকে. এখন থেকে আমার বড় মেয়ে এই কোম্পানি সামলাবে।ধন্যবাদ আমি এখন আসচ্ছি।)

আমরিনের জবের আজই প্রথম তার বসকে দেখেছে আর প্রথম দিনই তার বস তার মেয়েকে তার কোম্পানির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলো।

কিন্তু আমরিন একটা জিনিস বুঝতে পারছে না এটা কি সত্যি তাসফি জান্নাত, নাকি তাসফি জান্নাতের মতো দেখতে অন্য কেও।(মনে মনে ভাবছে আমরিন)

এমন সময় আফিফার আগমন,

আফিফা: কি মি.আমরিন তালুকদার, ম্যামের সাথে পরিচয় হতে যাবেন না??

আমরিন:হুমম যাবো,আপনি গিয়েছিলেন?

আফিফা: না, যেতে ছিলাম তার আগে আপনাকে বলতে আসচ্ছিলাম যদি আপনি না যেয়ে থাকেন তো আপনার সাথে যেতে চেয়েছিলাম,যদি এখন আপনি আমার সাথে যান।

আমরিন : হুমম অবশ্যই যাবো, এটা কি এমন।

তার পর আমরিন আর আফিফা দুইজন কথা বলতে বলতে নতুন ম্যাম আই মিন বসের রুমে যেতে থাকে।

————————————––––

তাসফি জান্নাত তার বাবার সাথে অফিসে আসে,আর তারা অফিসের পৌছানোর সাথে সাথে তাদের কে বরণ করে নেয় তাদের অফিসের কর্মচারিরা,কিন্তু শেষ কাওকে দেখে সে পুরোই অন্য জগৎে চলে গেছে,এটা কি করে সম্ভব আমরিন এখানে?

যাকে সে ঢাকার কোন এক রাস্তায় হারিয়ে ফেলেছিল কিন্তু সে এখানে এরকম তারই অফিসে কাজ করছে সে ভাবতেও পারেনি।

সে আমরিনকে দেখে কিছুটা রেগে যায়,রেগে যাওয়ার কারণটা না হয় কোন এক সময় বলবো আপনাদের।

Short Story

তারপর তারা সবাই যখন অফিসের ভিতর ছিল,কোন একজনের দুই জোড়া চোখ কাওকে খুজে চলেছিল,যা সবাইকে ফাকি দিয়ে সবার আড়ালে লুকোচুরি খেলছিলো কাওকে খুজতে।কিন্তু সেই লুকোচুরিতে তার সেই দুই জোড়া চোখ ব্যর্থ হয় সেই মানুষটিকে খুঁজতে।

হ্যাঁ তাসফি জান্নাত আমরিনকে খুজে ছিল,কারণ তাদেরকে বরণ করে নেওয়ার সময় আমরিনকে দেখেছিল কিন্তু এখন তাকে দেখতে পাচ্ছে না তাই তাকে সবার আড়ালে খুজে চলছিল,কিন্তু আমরিনকে তাসফি কি করে খুজে পাবে।

আমরিন তো তাসফি জান্নাতকে দেখে সেই অফিসের বাহিরেই থমকে দারিয়ে আছি, তার তো খেয়ালই ছিল না, যে সবাই ভিতরে চলে গেছে।

যখন সে ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আসে তখন ভিতরে থেকে বস তার মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসে।

আর আমরিন ভিতরে যেয়ে দেখে সবাই বসের রুম থেকে বের হচ্ছে।

আর এই দিকে আমরিনকে ডাকতে গিয়ে আফিফাও তখন ছিল না যখন বস তার মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলো।

তাই অন্যদের কাছে জানতে পারে বস চলে গিয়েছেন আর সবাইকে নতুন বসের সাথে পরিচিত হয়ে নিতে তার ক্যাবিনে যেতে বলেছে।

তার পর কি আর আফিফা আর আমরিন দুইজন একই সাথে কথা বলতে বলতে তাদের বসের কেবিনে যায়।তারা এখন তাদের নতুন বসকে দেখতে পারেনি।কেননা তার দেরি করে ফেলিছল বাহিরে।আর তাই ভিতরে কেই বা অপেক্ষা করছে তাও তাদের অজানা।

––––––––––––––––––––

আফিফা: আচ্ছা আমরিন আপনাকে এত্তো ভালো লাগে কেন?আমরিন: হয়তও আমি পাগল তাই।আফিফা:সেই পাগলের তো পাগলি হতে চাই বুঝেন না কেন(আস্তে আস্তে বিরবির করে বলছে)আমরিন: মিস: আফিফা আপনি কিছু কি বললেন?আফিফা: না, না আমি কিছু বলিনি তো।

Related Story

(কি বলবো আর তোমাতে তুমি কি বুঝো না, তোমার সাথে সব সময় কেন এই ভাবে লেগে থাকি,আমি যে বড্ড ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়,আমি যে তোমারই প্রিমে পাগল হয়ে আছি,কবে তুমি আমাতে বুঝবে,আমি তোমাকে ভালোবাসি,নাকি তুমি বুঝেও না বুঝার মতো করে থাকো।আমি যে আর এভাবে পারছি না,না পারছি তোমাকে বলতে না পারছি আর এত্ত অবুঝ সহ্য করতে।তোমাকে আমি কবে আপন করে পাবো)আফিফা মনে মনে এইসব ভেবে ভেবে চলছে আমরিনের দিকে তাকিয়ে তার বসের রুমে।

আমরিন হঠাৎ করে আফিফার দিকে তাকিয়ে দেখে আফিফা তার দিকে তাকিয়ে আছে এক ভাবে, তার সামনে কি আছে সেসব কোন খেয়ালই নেই।

(আমরিনও বুঝতে পারে আফিফা তাকে ভালোবাসে,আর আমরিনের ও আফিফাকে অনেক ভালো লাগে।তার করা পাগলামো,তার শাসন গুলো,সত্যি অনকে অনেক মিস করে যখন সে তার বাসায় থাকে তখন তার অফিস টাইমকে প্রচুর মিস করে.যদি তখনও আফিফার পাগলামো গুলো দেখতে পারতো কতই না সুন্দর হতো।

মাঝে মাঝে ভাবে আমি কি তাহলে আফিফাকে ভালোবেসে ফেললাম নাকি?

না এটা সম্ভব নয় আমার দ্বারা।কারণটা না হয় আগামী কালই বলবো ইনশাআল্লাহ।

———————————————————————

আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুনধন্যবাদ

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Amrin Talokder

Leave a Comment