Golperjogot

Golperjogot

কলেজের ক্রাশ যখন আমার প্রেমে পর্ব 5 | Emotional Love Story

College Er Crush Jokhon Amar Preme

Amrin Talokder { Part 5 }

আমরিন হঠাৎ করে আফিফার দিকে তাকিয়ে দেখে আফিফা তার দিকে তাকিয়ে আছে এক ভাবে, তার সামনে কি আছে সেসব কোন খেয়ালই নেই।

(আমরিনও বুঝতে পারে আফিফা তাকে ভালোবাসে,আর আমরিনের ও আফিফাকে অনেক ভালো লাগে।তার করা পাগলামো,তার শাসন গুলো,সত্যি অনকে অনেক মিস করে যখন সে তার বাসায় থাকে তখন তার অফিস টাইমকে প্রচুর মিস করে.যদি তখনও আফিফার পাগলামো গুলো দেখতে পারতো কতই না সুন্দর হতো।

মাঝে মাঝে ভাবে আমি কি তাহলে আফিফাকে ভালোবেসে ফেললাম নাকি?

না এটা সম্ভব নয় আমার দ্বারা।

কারণ আমি একজনকেই ভালোবেসে ছিলাম, কিন্তু সে তো না পাওয়ার আগেই হারিয়ে গেছে।তাই আর রিলেশনের প্রতি কোন ইচ্ছে জাগে না,তবে হ্যাঁআব্বু আম্মুর পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করবো,তাই আমার দ্বারা এই প্রেম ভালোবাসা সম্ভব নয়।

তাই সেসব ভেবে কোন লাভ নেই।

আফিফা: ম্যাম আসবো?

ম্যাম: জ্বি আসুন।

ভিতরে আমরিন ও আফিফা যাওয়ার পর

—————————————————-ম্যাম: আপনাদের তো পরিচয় পর্বের সময় দেখতে পেলাম না।কোথায় ছিলেন আপনারা দুইজন?

না তাসফি জান্নাত এখন একদম সিওর হয়ে গেছে সে যে আমরিন ছিল।

আফিফা: জ্বি ম্যাম একটু বাহিরে ছিলাম,একটা কাজে স্যরি।

ম্যাম: ইট’স ওকে।এরপর যেন আর না হয় এরকম।আর এই যে আপনি, আপনি কই ছিলেন? আপনারা জানেন না যে আজ আমি আসবো?

আফিফা : জানি,আমরা দুইজন একই জায়গায় ছিলাম একটা কাজে তাই দেরি হয়ে যায় আসতে।

ম্যাম: এই মেয়ে তুমি কেন এত্তো কথা বলছো আমি কি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি নাকি।তুমি কেন সব কথার উত্তর দিচ্ছো? তোমরা কি হাজবেন্ড ওয়াইফ নাকি গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড যে ওই ছেলেটার উকালতি তুমি করছো?

আমরিন তো জান্নাতকে দেখেই বোবা হয়ে গেছে কারণ……..

তো চলুন আরো একটু ফ্লাস ব্যাক থেকে ঘুরে আসিতবে আবার মনে রাইখেন এই পর্যন্ত,অন্য পর্বে চলে যাওয়ার পর যেন বলেন না গল্পের কিচ্ছু বুঝি না

তারা যখন এক সাথে পরতো তখন হাবিবা জান্নাত আর টিনা চৌধুরী আমরিনকে কাছে থেকে এই তাসফি জান্নাতের জন্যই কিছু বলতে পারেনি।কারণ তারা দুইজন ছিল অনেকটাই বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের মতো।

Related Story

তাদের পুরো কলেজেই মনে করতো তারা দুই জন দুজনকে ভালোবাসে।যা টিনা চৌধুরী বা হাবিবা জান্নাত কেওই সহ্য করতে পারতো না,আর না পারতো আমরিনকে তাদের ভালোবাসার কথা বলতে।

যদিও অন্য কোন করণ বসত কথা বলতে পারতো কিন্তু কলেজে যাওয়ারই আগে তারা দুইজন আমরিনের সাথে যে ব্যবহার করেছে তাতে আমরিন তাদের দুইজনের উপর রেগে থাকায় আমরিনের ধারে কাছেও মিশতে পারতো না।

মাঝে মাঝে তারা যদিও আমরিনের কাছে আসতে চাইতো কিন্তু জান্নাতের জন্য আর সেটাও হয়ে উঠতো না।কারণ জান্নাত কলেজের পাশেই থাকতো, আর তাকে দেখে সবাই একটু হলেও ভয় পেতো।

আর তাসফি জান্নাতও আমরিনের সাথে মিশতে মিশতে কবে যে আমরিনকে ভালোবেসে ফেলেছিল সেটা তারও অজানা।

জান্নাত : আমরিন,তোমাকে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে!

আমরিন: আমাকে তো প্রতিদিন অনেক কথাই বলো। আজ আবার অনুমতির প্রয়োজন কেন পরছে?

জান্নাত :জানি না,তবে ভয় করে,তুমি কিছু মনে করবে না তো?

আমরিন: দেখো যা বলার সোজাসাপটা বলে দেও।আমি তোমাকে একটা ভালো বন্ধু ভাবি,তুমি যাই বলো না কেন আমার খারাপ লাগবে না তাই বুঝেছো।

আমরিনের মুখে শুধু একজন ভালো বন্ধু সম্পর্কের কথা শুনে মনটা ভেঙ্গে যায়।তাই আর কোন কথা না বলে সেদিন চলে যায়।

তার পরের দিন

জান্নাত ক্লাসে ডুকবে তার আগে দেখে আমরিন একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে।তা দেখে জান্নাতের মনে একটা কষ্টের অনুভব সৃষ্টি হয়।যার জন্য মন খারাপ করে আমরিনকে দেখেও না দেখার ভান করে সবার পিছনে বসে।

যদিও আমরিন ও জান্নাত প্রতিদিন দুইজন একই সাথে সামনে বসতো কিন্তু আজ কেন যেন চাচ্ছে না জান্নাত আমরিনের সাথে বসতে।

হয়তো ভালবাসার অভিমান, কষ্ট,রাগ,মন ভাঙ্গার বেদনায় ভালো লাগছে না।

আমরিন দেখতে পেলো জান্নাত ক্লাসে এসে তার সাথে কথা না বলে তার পাশে না বসে পিছনে চলে গেলো।কিন্তু কেন??জান্নাত তো প্রতিদিনই আমার সাথে বসে তাহলে আজ??কি এমন হলো?আর কাল না কি যেন বলতে চেয়েছিল কিন্তু বললো না,আবার আজ ক্লাসে এসেই একা একা পিছনে চলে গেলো।

নাহ আমরিন কেন যেন বিষটা নিতে পারলো না।

আমরিন: জান্নাত তুমি সামনে না বসে এখানে পিছনে কেন বসলে?

জান্নাত :

আমরিন: কি হলো জান্নাত আমি তোমাকে কিছু বলছি।আর কাল কি যেন বলতে চেয়েছিলে সেটা না বলেই বা কাল চলে কেন গিয়ে ছিলে?আমার কথার উত্তর দাও?

এই বলে যেই আমরিন জান্নাতের কাঁধে হাত রাখবে তখনই জান্নাত ধাক্কা মেরে আমরিনের হাত সরিয়ে দেয়।

পুরো ক্লাসে এভাবে আমরিনকে অপমাণিত করাতে আমরিনের ও কিছুটক অভিমান জমে যায় মনের গহীনে।

যেটা জান্নাত কেন আমরিনও বুঝতে পারে না

আমরিন সেখান থেকে চুপ করে চলে আসে, জান্নাতের কোন প্রকার রেসপন্স না পাওয়াতে।

যে যেরকম থাকতে চায় তাকে তার মতো থাকতে দাও।কেন ডিস্টার্ব করে তার কাছে ছোট হবে।তাই নিজেকে কখনও অন্যের কাছে ছোট করো না।

প্রতিদিন ক্লাস শেষে দুইজন কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিয়ে তার পর বাসায় যেতো, কিন্তু আজ আমরিন আর একটু সময়ও দেরি করেনি।ক্লাস শেষ হতে না হতেই হঠাৎ করেই আমরিন হাওয়া হয়ে যায়।

কিন্তু তাকে দুইটি চোখ অনেক খুঁজে যায় কিন্তু পায়নি।শেষ মুহূর্তে সেই দুইটি চোখ ভিজে যায় তারই পানিতে।

আজ ওই দুইটি চোখের পানি কেও মুছে দেওয়ার নেই।জান্নাতও বুঝতে পারেনি সে কি করে আমরিনের সাথে সকালে ওই রকম ব্যবহার করতে পারলো।

কেন সহ্য করতে পারে না আমরিনের পাশে কোন মেয়েকে।কি আছে আমরিনের মাঝে?

তোমার ওই হাসিতে কি আছে যা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে তোমার পাগল করে যায় প্রতি নিয়ত।কি এমন আছে তোমার ওই চোখে ডার জন্য আমি এক তোমার প্রেমে পাগলি হয়ে তোমার ভালোবাসা পেতে তোমার কাছে যেতে নানান বাহান করে বেরাই।তুমি কি বুঝো না আমি তোমাকে কত্তটা ভাোবাসি।নাকি তুমি আমাকে বুঝতে চাও না।

(এই সব ভেবে চোখ গুলো ভিজে যাচ্ছে কি করে সে আজ আমরিনের সাথে সকালে সেরকম করতে পারলো,আর সে না হয় রাগ করে করছে কিন্তু আমরিন তো তাকে একটু বুঝতে পারতো।কিন্তু তাতে একটুও বুঝার চেষ্টা করলো না।আমরিনই কি করে পারলো প্রতি দিনের আড্ডা রেখে চলে যেতে।তাহলে কি আমরিন আমাকে বুঝার চেষ্টা কখনই করে নি?)

তার পর আমরিনের উপর অভিমান করে দুই দিন কলেজে যায় নি।প্রথম দিন না যাওয়ায় কি মনে নেয় নি আমরিন,কিন্তু তার পর দিন ও না আসাতে পরে খোজ নেয়।

হাজার হোক বেষ্ট ফ্রেন্ড তো।তাই আর রেগে থাততে পারেনি।তার পর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় কিন্তু একটা জিনিস একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যায় সেটা হলো…

সেদিন যেদিন আমরিন তার খোঁজ নিতে যায় তখন

জান্নাত আমরিনকে জরিয়ে ধরে, আর বলে….

Related Story

জান্নাত : আমরিন আমি আর পারছি না,আমি যে তোমাকে ভালোবাসি সেটা কি তুমি বুঝো না?আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছো?আমি তোমার পাশে আমাকে ছারা আর কাওকে সহ্য করতে পারি না।তুমি বুঝেও কেন বুঝতে চাওনা,প্লিজ আমরিন তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না,আমি তোমাতে ছারা বাঁচবো না।

আমরিন আস্তে করে জান্নাতকে ছারিয়ে নেয়।তার পর বলা শুরৃ করে…

আমরিন: দেখো জান্নাত তুমি দেখতে সুন্দর, অনেক মায়াবতীও কিন্তু আমি যে পারবো না তোমাকে ভালোবাসতে, কারণ আমার ভবিষ্যৎ এখনও ঠিক হয়নি।আর আমি এই রিলেশন করে নিজের ক্যারিয়ার নষ্ট করতে আমি পারবো না,তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তো অপেক্ষা করতে পারো যদি ভাগ্যে তুমি থেকে থাকো তো অবশ্যই আমাকে পাবে।

আল্লাহ তায়ালা যদি তোমাকে আমার বাম পাজরের হার দিয়ে বানিয়ে থাকে তো তুমই হবে,শুধু সময়ের অপেক্ষা করো।তবে যদি তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করো তো তোমার সাথে এখানেই সব সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য হবো।

যদিও আমরিন বললো না সে যে অন্য একজনকে ভালোবাসতো কিন্তু তাকে না বলার আগেই ঝগড়া হয়েছে তার সাথে,আর এখন কথাই বলে না,তাই তার বিয়ে তার বাবা মায়ের পছন্দ অনুযায়ী ছেরে দিছে।এটা কেন যেন আমরিন বলতে চেয়েও বলতে পারেনি।হয়তো প্রশ্ন বেরে যেতে পারে তাই।

———————————————————————

আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুনধন্যবাদ

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Amrin Talokder

Leave a Comment