Golperjogot

Golperjogot

কলেজের ক্রাশ যখন আমার প্রেমে পর্ব 7 | Emotional Love Story

College Er Crush Jokhon Amar Preme

Amrin Talokder { Part 7 }

আর কিছুই বলতে পারেনি আমরিন তার আগেই সে জ্ঞান হারিয়ে পরে।তার আর কিচ্ছু মনে নেই

যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখতে পায় একটা বেডে শুয়ে আছে।

চারদিকে তাকিয়ে কিছু মনে করার চেষ্টা করছে সে এখন কোথায় বা এখানেই বা কি কর এলো।কিন্তু কিচ্ছু মনে পরছে না অনেক কষ্ট হচ্ছে আমরিনের মাথায়।কিন্তু রুমের ভিতর কেওই নেই যাকে একটু বলবে তার মাথা বেথা করছে।

কিছু সময় পর একটা নার্স ভিতরে ঢুকে, আর ঢুকার পর দেখে পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে তাই বাহিরে তার পরিবারকে বলতে যায়।

পরিবার বলতে যেই ব্যক্তি তাকে হসপিটালে নিয়ে এসেছে তাকে।সে সব সময় আমরিনের পাশেই ছিল নামাজের সময় হয়েছিল বলে সে নামাজ পর আমরিনের জন্য দোয়া করতে গিয়েছিল।তাই আমেিনের জ্ঞান ফিরার পর সে আর ছিল না আমরিনের পাশে।

কে সেই ব্যক্তি যে কিনা আমরিনের জন্য এত্ত মায়া দেখাচ্ছে?সে কি আফিফা নাকি অন্য কেও?কে হতে পারে? কারণ সে তো ঢাকাতে এসে ছিল তার বসের জন্মদিনের দাওয়াত খেতে, তাহলে অন্য কারো সাথে তো দেখা হওয়ার প্রশ্নই উঠে না তাইনা?তাহলে আপনারা তো সিওর বলবেন তাহলে সেই মেয়েটি আর কেও নয় আফিফাই হবে তাই নয় কি?

কিন্তু না সে আফিফা ছিল না।সে ছিল জান্নাত।আরে বা**ল বলে কি জান্নাত, কিন্তু সে তো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিল তাহলে জান্নাত কেন আসবে,তার থেকে বড় কথা হলো জান্নাত আমরিনকে তো এখন দেখতেই পারে না।

হ্যাঁ সে ছিল সেই জান্নাত যাকে আমরিন কলেজে না যাওয়ার আগে ফোনে ছবি দেখেই ক্রাশ খেয়েছিল।হ্যাঁ সে সেই জান্নাত সে হলো হাবিবা জান্নাত।

তো চলুন কি হয়ে ছিল আমরিনের সাথে সেই দিন জন্মদিনের দাওয়াত খাওয়ার পর শুনে আসি…

————————————————————-

আমরিন যখন ঢাকার মাটিতে পা দিয়েছে তার মধ্যে কি যেন একটা মায়া টান লেগেছে।কিন্তু কি সেটা যা আমরিনের হয়তো অজানা।

যেহেতু আমরিন জান্নাতদের বাসা চিনতো তাই তাসফি জান্নাত ওরফে তার বসের বাসায় সরামরি চলে আসচ্ছে।বেশি কষ্ট করে খুজতে হয়নি।

সবার সাথে খাওয়া দাওয়া করার পর আমরিন যখন চলে আসবে। তখন জান্নাত আমরিনকে ডাক দেয়।

জান্নাত: আমরিন আমি আজও তোমাকে পাওয়ার জন্য বিয়ে করি নি।আর তুমি কিনা আমাকে কথা দিয়েও রাখলে না। কি দোষ ছিল আমার ভালোবাসায তুমি বলো আমরিন।তুমি তো কথা দিয়েছিলে।

আমরিন: দেখো তুমি যা ভাবছো….

জান্নাত: প্লিজ আমরিন আর মিথ্যে কথা বলো না তো।তুমি আমাকে এক বার ঠকিয়েছো আশা দিয়ে,আর নয়।তোমার মিথ্যে কথা শুনতে ভালো লাগে না চাও এখান থেকে মুডটাই নষ্ট করে দিলে।

আমরিন:মনে হয় তারে আমি ডেকেছিলাম,সে নিজেই ডাকলো আবার বলে আমি মুড নষ্ট করে দিছি।আর যেটা জানে না সেটা নিয়ে এত্ত কিছু ভেবেছে।এখনও বিয়েটাই করলাম না।আর জান্নাত বলে কিনা বিয়ে করে নিছি।আমার কথাটাও শুনলে না(মনে মনে ভাবছে আর সেখান থেকে বের হয়ে আমরিন রাস্তায় চলে আসে।

তার পর তো আপনারা জনেন ই আমরিনকে একটা পাইভেট কার ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। আর তার পর তো আমরিনের জ্ঞান ছিল না।আর যখন জ্ঞান ফিরে তখন একটা রুমে আবিষ্কার করে।

চলুন বাস্তবে ফিরি এবার..

তো জান্নাত আই মিন হাবিবা জান্নাত।প্লিজ কেও বকা দিয়েন না।গল্পটি লিখতে আমিও গোলক ধাধায় পরে যাই।আর সেখানে তো আপনারা পাঠক পাঠিকা।

তো হ্যাঁ জান্নাত মানে হাবিবা জান্নাত নামাজ পরে আমরিনের জন্য দোয়া করে আমরিনের কেবিনের দিকে যেতে লাগে।

এমন সময় আমরিনের কেবিনে ডুকা নার্স বের হয় ডাক্তার ডাকতে।আর সামনে জান্নাতকে দেখতে পাওয়ায় জান্নাত কেও খুশির সংবাদ দেয়।কারণ আজ ১০ টি দিন ধরে জান্নাত হসপিটালে আমরিনের জন্য খেয়ে না খেয়ে পরে রইছে আমরিনের সুস্থ হওয়ার আশায়।

নার্স: মিস জান্নাত আপনার পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে। আপনি চাইলে দেখা করতে পারেন।

জান্নাত : কিহহহ সত্যি আমরিনের জ্ঞান ফিরেছেবলেই নার্স কে ধরে সেই কি ঘুরানি।এত্ত পরিমাণ খুশি হয়েছে যে তার সিমা নেই।তার ভালোবাসার মানুষটির জ্ঞান ফিরেছে আজ ১০ দিন পর।এই ১০ দিনের কষ্ট সার্থক হয়েছে আজ জান্নাতের।

Short Story

আজ হাবিবা জান্নাতের চেয়ে এই পৃথিবীতে আর কেও সুখী মানুষ নেই।আজ সত্যি তাকে ভাগ্যবতী মনে করছে।

নার্স: আরে আরে কি করছেন আমাকে তো ছারুন, আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তো।

জান্নাত: ওহহহ স্যরি স্যরি আসলে আজ আমি অনেক অনেক সুখি,এবং খুশি।যা আপনাকে বলে বুঝাতে পারব না তাই ভুলেই গিয়েছিলাম।

নার্স: আচ্ছা আপনি ভিতরে যান, তার সাথে দেখা করুন।

তার পর আর জান্নাত আর একটি কথাও না বলে দৌড়িয়ে আমরিনের কেবিনে চলে যায়।কেবিনে ভিতর ডুকার পর দেখে আমরিন বেডের উপর বসে বসে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।

জান্নাত: কেমন আছো আমরিন?

আমরিন: জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনাকে চিনা চিনা লাগছে কিন্তু মনে করতে পারছি না আপনি কে?

জান্নাত: কি হয়েছে তোমার আমরিন তুমি সত্যি চিনতে পারছো নাকি আমাকে??? আমব হাবিবা জান্নাত।কলেজ লাইফ থেকে যে তোমাকে ভালোবেসে আসচ্ছে আর এখনও ভালোবেসে যাচ্ছে আমি সেই হাবিবা জান্নাত।যার সাথে তুমি কলেজে ডুকার আগেই অনলাইনে আই মিন মেছেনজারে ঝগড়া করেছিলে।আমি সেই হাবিবা জান্নাত যে কিনা তোমার ক্রাশ ছিলাম।কিন্তু সামান্য ঝগড়া জন্য আর আমার সাথে কথা বলো নি।আমরিন তুমি কি এখনও চিনতে পারো নাই?

আমরিন: আমার মাথা কেমন যেন করছে। আমাকে একটু একা থাকতে দেন প্লিজ। আমাকে কি যেন টানছে কি যেন আমাকে পিছু থেকে বলছে প্লিজ আমাকে একটু চুপ থাকতে দেন।

আমরিনের এই অবস্থা দেখে জান্নাত আর কিছু না বলে আমরিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।আচ্ছা তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি কেমন।

আমরিন আর কিছু না বলে চুপ চাপ জান্নাতের কোলে শুয়ে পরে ঘুমিয়ে যায়।

ঘুম থেকে উঠে ৩ ঘন্টা পর আর এই তিন ঘন্টা জান্নাত আমরিনের মাথা বুলিয়ে দেয়।আর কোন সময় যে আমরিনের উপর শুয়ে ঘুমিয়ে পরছে তারই খেয়াল নেই।

যখন আমরিন ঘুম থেকে উঠে দেখে একটা মেয়ে তার উপর শুয়ে আছে।পাশ ফিরে তাকাতেই সে অবাক।

পাশি ফিরে তাকিয়ে দেখে সে কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিস্তব্ধতা মেরে বসে।সে কিভাবে হসপিটালে আসলো।

Related Story

সে তো গিয়েছিল তার বসের জন্মদিনের দাওয়াত খেতে।আর এই মেয়েটিই বা কে?তার উপর শুয়ে আছে।না স্মেলটা কেমন যেন পরিচিত মনে হচ্ছে কিন্তু মনে পরছে না।অনেক বছর পুরোনো স্মেল বলে হয়তো।

আমরিন তাই মেয়েটির কাঁধে হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়।

আমরিন: এই যে শুনছেন? ঘুমিয়ে গেছেন কেন? আর কেইবা আপনি আমি এখানে কেন?

আমরিনের কথা শুনে জান্নাতের ঘুম ভেঙ্গে যায়।আর দেখে আমরিন তার কাঁধে ধাক্কাচ্ছে।তাই সে উঠে বসে।

জান্নাত উঠে বসার পর তো আমরিন দ্বিতীয় বারের মতো শকড খেলো কি করে হতে পারে জান্নাত। আমরিনের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না।তার চোখের নিচে কালি পরে গেছে।হয়তো অনেক দিন ধরে কান্না করে তাই চোখের নিচে কালি জমে গেছে।আর খনেক শুকিয়েও গেছে।

আমরিন: জান্নাত তুমি এখানে?আর আমিই বা এখানে কি করে এলাম?

জান্নাত: সে সব পরে কথা হবে। আগে তুমি উঠে বসো আমি তোমাকে কিছু নাস্তা করিয়ে দেই।

আমরিন: দাও আমার হাতে আমি খেতে পারবো😎।

জান্নাত: বেশি পাকনামি করবে না আমার সাথে বুঝলে।চুপচাপ বসে থাকো আমি খাওয়াইয়ে দিচ্ছি চুপটি মেরে খেয়ে নিবে।

———————————————————————

আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুনধন্যবাদ

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Amrin Talokder

Leave a Comment