Golperjogot

Golperjogot

ফুপাতো বোন যখন বউ – অনুগল্প | Bangla Emotional Short Story

Fufato Bon Jokhon Bou

Amrin Talokder { Short Story }


আজ ফুপাতো বোনের বিয়ে, বিয়ের আগেই ফুপাতো বোনকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছি আমি, যদিও পরিবারের জন্য কিছুটা খারাপ লাগছে কিন্তু আমার হাতে যে আর কোন রাস্তাই খোলা নেই।তাই কি করবো ভেবে না পেয়ে বিয়ের আগ মুহুর্তে ফুপাতো বোনকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার হাতটি ধরে দৌড়াচ্ছি।

দৌড়াতে দৌড়াতে হাপিয়ে গেছি।আর দৌড়াতে ভালো লাগছে না,তাই বুঝতে চেষ্টা করলাম এত্তক্ষণ দৌড়িয়ে কোথায় আসলাম,যখন বুঝলাম আমরা মেইন রোড়ের পাশেই, আমরা দুজন গিয়ে রাস্তায় দারালাম,অন্ধকারে কোন কিছুই ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে না,রাত্রির অন্ধকারে প্রিয় মানুষটির হাত ধরে বাসা থেকে বের হয়ে আসচ্ছি।

জানি না কোথায় যাবো আর কিই বা করবো।শুধু এটাই জানি আমার ভালোবাসাকে বাঁচাতে আজ আমি ছুটেছি এক অজানা গন্তব্য। কিছু সময় পর একটা গাড়ি আসলে সেখানে আমি লিফট চাই।উদ্দেশ্য ঢাকায়,এক বন্ধু বাসায়।তাই গাড়িতে উঠে বারিতে ফোন করলাম,

ওহহহ আচ্ছা আমার তো পরিচয় দেওয়া হয়নি।আমি রাফসান ইসলাম,বর্তমানে আমি কম্পিউটার অপারেটরে জব করছি।আর আমাদের ভালোবাসাটা সেই ছোট বেলা থেকে।আস্তে আস্তে দুজনে পুষে সেই ছোট্ট বেলা থেকে এই পর্যন্ত,তাকে কি করে হারতে দিব।তাই তো চলে এসেছি তার হাত ধরে দুর অজানায়।

বুঝছেন না তো আচ্ছা চলুন তাহলে ফ্ল্যাস ব্যাক।।

৫ বছর আগের কথা

আমি যখন সবে মাত্র এসএসসি পরিক্ষা দিব তখন এক দিন ফুপির বাড়িতে যাই ঘুরতে। ফুপা ফুপির সাথে কথা বলে মেঘার রুমে যাই মেঘা নাকি পরছে।মেঘার রুমে নক করলাম কোন শব্দই হলো নন,তাই ডুকে পরি রুমে।

রুমের ভিতর কাওকে না পেয়ে মেঘার বিছানার উপর বসে আছি।এমন সময় বাথরুম থেকে কেও একজন বের হয়ে আসলো যার গায়ে নেই মাত্র একটি সুতো।আমি দেখে মুখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি।মেঘা হয়তো এখনও আমাকে দেখেনি।ভাবতে ভাবতেই মেঘা আমাকে দেখতে পেয়েই দিছে এা চিল্লানি।সাথে সাথে আমিও চিল্লাই।
মেঘা দৌড়ে বাথরুমে ডুকে পরে।
কিছু সময় পর মেঘা একটা তোয়ালে পেচিয়ে বেরিয়ে আসলে আমি বলতে শুরু করি.

পড়ুন  রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 9 – বাংলা ভালোবাসার গল্প

আমি: যা দেখার তো দেখেই ফেলেছি,এখন কি তোয়ালে পরাটা ভালো দেখায়?এমেই তো প্রাকৃতিক দৃশ্য অনরক সুন্দর দেখতে ছিল(বলেই হাসতে থাকি)

মেঘাঃ রাফসাননননন, লুইচ্চা, বদ,চরিত্রহীনা,কুত্তা বানর,তুই আমার রুমে আসচ্ছিস কেন?জানিস না,কোন মেয়ের রুমে ডুকতে পরমিশন নিতে হয়।

আমি: পারশিশন নিতে গেলে কি আর বিনা টিকেটে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারতাম?

মেঘা: আ্যাঁ আ্যাঁ আ্যাঁ আ্যাঁ(কেঁদে কেঁদে)তুই আমার সব শেষ করে তিছিস,আমায় কে বিয়ে করবে,আর কেই আমার সাথে রিলেশন করবে।তুই কেন এরকম করলি বল?

আমি: আমি তো আছি, আমিই বিয়ে করবো।আমাকে তোর কি ভালো লাগে না?

মেঘা: যা হারামি তোর চেহারা আয়নায় দেখ আগে।

আমি: হু তোর চেহেরা আগে দেখ।তোর মতো কাল নাগিনীকে বিয়ে করতে চাইছি তাই তো ভালো।

মেঘা: যাবি আমার রুম থেকে আমি ড্রেস পরবো।

আমি: তো না করছে কে?আমব তো সব দেখেই নিয়েছি,তো আবার দেখলে কি হবে?আর তুই হবি আমার ভবিষ্যৎ বউ তো আমার তো অধিকার আছেই তাই না?

মেঘা: কুত্তা দ্বারা অধিকার দেখাচ্চি?
(বলেই একটা জারু নিয়ে রাফসাকে মারতে যাই আর রাফসান আমার হাতে জারু দেখে দৌড়ে পালায়)

রাফসান চলে যাওয়ার পর আমি দরজা আটকিয়ে দিয়ে ড্রেস চেইঞ্জ করে নেই।আর তার পর নিচে যাই খাবার খেতে দেখি বাবা মা ও রাফসান বসে বসে কথা বলছে আমি যেতেই খাবার খাওয়া শুরু করে।খাওয়ার মাঝে রাফসান আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।হাসি দেখে নিজের ভিতর পুরে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে রাফসানের বাচ্চাকে কাচা গিলে খাই।কিন্তু আব্বু আম্মু থাকায় কিছু না বলে মাথা নিচের দিকে দিয়ে চুপচাপ খেয়ে রুমে এসে শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে নিউজ ফিড স্কোলিং করছিলাম।

হঠাৎ দরজায় নক করার শব্দে বলে উঠলাম কে?

আমি: রাফসান,ভিতরে কি আসবো নাকি লাইভ চলছে পরে আসতে হবে?হাহাহা

মেঘা: আয় ভিতরে।আচ্ছা তুই এত্ত বেহায় কেন.এক কথা বার বার কেন বলিস?কি চাস তুই?

আমি: আমি তোমাকে চাই প্রিয়, তোমার ওই রুপ দেখে ভালো যে বেসছি আমি তোমাকে।তোমার মাঝে যাবো যে হারিয়ে, তুমি নিবে আমায় আগলিয়ে?I love You ফুপাতো বোন

মেঘা: কিহহহ,তুই এই সব কি বলিস?তোর মাথা ঠিক আছে?আমি তোর বোন হই?

পড়ুন  অফিসের পিএ যখন বউ – অনুগল্প | Bangla Short Story Romantic

আমি: তো কি হইছে আপন বোন তো না,ফুপাতো বোন।সত্যি অনেক অনেক ভালোবাসি, একবার ভেবে দেখিস।

আর ওই দিকে আমি মেঘার দৌড়ানি খেয়ে ফুপির বাড়িতে চলে আসি, মেঘার রুমে শুয়ে আছি।এমন সময় রুমের দরজা খোলার আওয়াজ আসলো।তাকিয়ে দেখি মেঘা ডুকছে রুমে।

মেঘা: মিস মেঘা.প্লিজ,এত্ত কেন ভালোবাসিস রাফসানকে?(একা একাই বক বক করছি)

আমি: (পিছন থেকে)কিরে এত্ত ভালোবাসিস বুঝি?

মেঘা: কেন জান না তুমি?

আমি: না তো, তা আমার জন্য তোমার মনে যে ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা কি সব সময় সব পরিস্থিতিতে এক থাকবে.

মেঘা: বুঝি না,ভালোবাসা কাকে বলে।কাকেই বা বলে ভালো লাগা,তবে তুমি পাশে থাকলে মনে হয় অন্য রকম এক মুহুর্ত কাটচ্ছি।আমি অনেক অনেক ভালোবাসি।

আমি: এগুলো তুই কি বললি আমি তো কিছুই বুঝলাম না?

মেঘা: দেখো সত্যি বলতে এটাই যে আমি অনেক ছোট তাই সব কথাই গুছিয়ে বলতে পারি না,

আমিঃ তাই বুঝি।তাই ভালোবাসা আমার ফুপাতো বোনটাকে।অনেক অনেক ভালো বাসি পাগলিকে বলেই মেঘাকে জরিয়ে দরলাম।

এভাবে কেটে যায় অনেকটি বছর, আচ্ছা যাইহোক বর্তমানে চলুন।

মেঘাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরি।সকাল ৬ টার দিকে ঢাকায় পৌছে যাই।ঢাকাতে গিয়ে নামার পর এক বন্ধুকে ফোন দেই।বন্ধু আসলে তার সাথে করে তার বাসায় উঠি।সেখানে দুই দিন মেঘাকে নিয়ে থাকার পর আমি আমার বাসায় আই মিন আমি যেখানে থাকি সেখানে নিয়ে আসি।ওহহহ আপনাদের তো বলাই হয়নি আমরা আজই বিয়ে করে নিজের বাসায় বউ নিয়ে উঠলাম,আর আজ আমাদের বাসর রাত,সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন,চেয়েছিলাম সবার দোয়া নিয়ে সবার সাথে সবার মত নিয়ে পাগলিটাকে বিয়ে করবো কিন্তু তা আর হলো না,পালাতে হলো আমাদের,হলো না নেওয়া বড় দের দোয়া,পারলাম না বলতে আমাদের বিয়ের কথা,তাদেরকে বলতে।

বন্ধুরা বাসর ঘর সাজিয়ে দিয়ে চলে গেছে,বউ আমার বসে আছে রুমে তাই রুমে যেয়ে দরজা আটকিয়ে দিয়ে দেখি মেঘা কান্না করছে।কান্না করবেই বা না কেন?পরিবার ছেরে চলে আসচ্ছে অনেক দুর আমরা কেও জানি না আমাদের পরিবার কখনও আমাদের মেনে নিবে কিনা।আমাকে দেখে মেঘা নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো তার পর শুরু হলো বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার।

পড়ুন  লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩৭/অন্তিম পর্ব থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

মেঘা: রাফসান, আমার বেবি চাই।

আমি: তো আমি কি করবো?

মেঘা: তো আমি অন্যের কাছে থেকে আনবো বুঝি হারামি তুই কি করবি জানিস না?আমি আজকে রাত্রির ভিতর আমার কাছে বেবি দিতে হবে। আমার শেষ কথা।

আমি: আমার যে টুইন বেবি লাগবে, তাহলে কেমন হবে?
মেঘা: আমি কি করে বলবো?

এই আপনারা এখানেই এসে পরছেন?যান এখান থেকে আমার বউয়ের বেবি লাগবে আর আমার লাগবে টুইন বেবি, তাই নেমে পরলাম টি-টুয়ান্টি খেলতে মাঠে।

সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গলে দেখি মেঘা আমার উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।দুজনের মাঝে একটা সুতো নেই।কেন যেন মেঘার পাপাড়ির মতো ঠোঁট গুলো দেখে লোভ সামলাতে পারছি না,তাই তার ঠোঁট গুলো আমার মাঝে নিয়ে কিস করতে থাকি।কিছু সময় পর মেঘারও রেসপন্স পেতে থাকি,আস্তে আস্তে আমরা আবার..........

মেঘা: এই ছাড়ো অনেক হইছে,মন ভরে নি বুঝি?
আমি: তোমার মাঝে প্রতিটা সেকেন্ডে নতুন করে হারাতে চাই প্রিয়,তাও জানি না মন ভরবে কিনা।

মেঘা: যা হারামি উঠতে হবে।

আমি: না গো শুয়েই থাকো না,আর একবার করবো আমি তোমাকে....

মেঘা: ছি ছি রাফসান,প্লিজ একদিনে দুইবার করছো,আর না,আমি পারবো না......

আমি: আচ্ছা যাও যাও।

মেঘা: ওই পাগল আমি পালিয়ে যাচ্ছি নাকি?তোমার কাছেই তো আছি,রান্না করতে হবে না বুঝি,সারা দিন শুয়ে থাকলে খাবো কি?

আমি: ওকে ওকে যাও তারাতারি গোসল করে বের হও,আমিও গোসল দিব।

এভাবেই তাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে উঠে,সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন,

ধন্যবাদ এত্তক্ষণ ধরে গল্পটি পরার জন্য
গল্পটি শুধুই একটি কাল্পনিক চরিত্র

END

Writer :- Amrin Talokder

Leave a Comment

Home
Stories
Status
Account
Search