Golperjogot

Golperjogot

হ্যাকার সিনিয়র বউ – রোমান্টিক গল্পের শেষ পর্ব 2 | Love Story

Hacker Senior Bou

Amrin Talokder { Part 2 }


বান্ধবী গুলোর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তাসফি আপুর কাছে চলে গেলাম আমাকে দেখে সে কিছুটা ভয় পেয়ে গেছে,কেননন আমি হুট করেই তার কাছে চলে যাই,আমার এরকম আসাটা বোধয সে আশা করে নি।তাই তারা তারি সে যতটা সম্ভব নিজেকে সামলিয়ে বলল,

কিরে আমরিন কিছু সমস্যা, কি দরকার আজ আমার কাছে আসলি??

আসলে আপু আমি না আমার ফোনটা পাচ্ছি না,আপনার ফোন টা যদি একটু দিতেন, তাহলে আপু উপকার হতো।

কেন আমার ফোন কেন??তোর বান্ধবী গুলোর কাছ থেকে নিতে পারিস না,আমার কাছে কেন আসচ্ছিস, সেটা বলতো,তোর কি মতলব,বুঝতে পারছি না, (কিছুটা থতমত খেয়ে)

দিবে নাকি সেটা বলো,নাকি তোমার ফোনে কোন সমস্যা আছে???

কি সমস্যা থাকবে, ফোন চেয়েছিস তো,এই নে কাকে ফোন দিবি দে।

তার পর আমি তার ফোন নিয়ে তার আইডি তে গেলাম,কিন্তু যা দেখলাম তা দেখে তো আমি পাগল প্রায়,ফেসবুকে আমার আইডি লক ইন করা,

আচ্ছা তুমি ছেলেদের আইডি চালাও কবে থেকে।

ফোনটা ছোঁ মেরে নিয়ে গেল,আর বলল....

কে বলছে আমি ছেলেদের আইডি চালাই,
তুমি মিথ্যে বলছো কেন হুমমম,তুমি আমার আইডি হ্যাক করে আমার আইডি চালাও না??

ইয়ে মানে,, তুমি কিভাবে জানলে??

তুই থেকে তুমি কাহিনি কি বুঝতে পারছি না,ভার্সিটির ক্রাশ আমার প্রেমে ভাবতেই আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে,কিন্তু রাগও হচ্ছে। কেননা হাজার হলেও একজন হ্যাকার কে বিয়ে করলে জিবনটা শেষ হয়ে যাবে।
(এই সব মনে মনে ভাবতে ছিলাম)

কি হলো উত্তর দাও,তুমি কি ভাবে দেখলে??

আচ্ছা তাসফি তুমি কি আমাকে ভালোবাস??

কেন????🙄

না আসলে আমি তোমার ফেসবুকে ডুকেছিলাম,তোমার ফোনের ফেসবুকে আমার আইডি লক ইন করা তাই।আর তার থেকে বড় কথা তুমি আমার আইডি হ্যাক করে নষ্ট করে দাও কেন??আমাকে কি ভালোবাস??

তাসফি এরকম কাজ করবে তা ভাবতেও পারিনি,পুরো ভার্সিটি স্তব্ধ হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমি কি করবো তা ভাবতে পারছি না।আমার কি করা উচিত তা বুঝতে পারছি না,

আমরিন আমি জানি না তোমাকে কিভাবে আমি ভালোবেসে ফেলেছি,আমি জানি তুমি আমার জুনিয়র, তাও আমি আমার মনকে বুঝাতে পারি নাই,সব সময় তোমার কথা মনে পরে, জানি না একে ভালোবাসা বলে নাকি,তবে আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি,তোমাকে ছারা বাঁচবো না।।

আমি কি বলবো বুঝতে না পেরে একদমে বলে দিলাম,কিন্তু তাকে আমিও ভালোবাসি,

দেখো তাসফি তুমি আমার সিনিয়র, আমার এই অনিশ্চিত জিবনে তোমাকে কিভাবে জরাবো, আমার স্টাডি কম্পিলিট হতে না হতেই তোমার বিয়ের প্যারা দিবে বারিতে থেকে।তখন আমার স্টাডি কম্পিলিট হবে না,তোমাকে কিভাবে তখন বিয়ে করবো,বিয়ে না হয় করলাম,কিন্তু তোমাকে কি খাওয়াবো বলো,আর অভাব যখন দরজায় এসে দারায় তখন ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।তাই তোমাকে আমি মেনে নিতে পারছি না,তুমি মনে করো না যে তোমাকে আমি ভালোবাসি না,আমিও তোমাকে ভালোবাসি,কিন্তু বাস্তবতাকে আগে মানতে হবে তার পর আবেগ।

পড়ুন  Love Never Ended Part 8 | Come Back Sad Love Story

আমি এতো কিছু জানি না, আমি তোকে ভালোবাসি আর তোকেই বিয়ে করতে চাই।
আচ্ছা তুমি যদি আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারো তাহলে তোমাকেই বিয়ে করবো।

না তোর সাথে রিলেশন করে আমি বিয়ে করবো,আমি যদি তাসফি হই তাহলে আমার কথা আমি রাখবো।

আমি আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলাম,কি করবো বলেন আপনারা আমারো যে হাত পা বাধা, না হলে তাসফি কে
আপন করে নিতাম।তাসফি যদি আমার ভাগ্যে থাকে তাহলে অবশ্যই পাবো তাই ভাগ্যের উপর ছেরে দিলাম।

এভাবেই চলছিল আমাদের দিন গুলো, কিন্তু তাসফির পাগলামো দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিলো।
তাই রাগ করে চলে আসলাম নিজের দেশের বাড়ি টাংগাইল।
দুই দিন আমাকে না দেখতে পেরে তাসফি নিজের হাত কেঁটে ফেলে,যা আমি জানি না।

তাসফি যখন হাসপাতালে তখন জাহিদ বললো।

আমরিন তুই কোথায়,তোকে আমরাও খুঁজে পাচ্ছি না,তাসফি তো নিজের হাত কেটে এখন হাসপাতালে।তুই তারা তারি আয়,তাসফির জ্ঞান ফিরে তোকে না দেখতে পারলে কি যে করবে আল্লাহ জানে।

জাহিদের কথা শুনে আমার পায়ের মাটি নিচ থেকে মনে হলো সরে যাচ্ছে।কেননা আমিও তো তাসফিকে ভালোবাসি,আর আজ আমার জন্য তাসফির এই অবস্থা। তাসফির যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।আমিও নিজেকে শেষ করে দিব,ভালোবাসার মানুষ যদি না থাকে তাহলে আমি থেকে কি করবো।

আমি তখনই টাংগাইল থেকে ডাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি।আজ মনে হচ্ছে রাস্তা যেন কমছেই না।যত যাচ্চি মনে হচ্ছে আরো দুরত্ব বেরে যাচ্ছে।

৩ ঘন্টা পর তাসপিকে যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে সেখানে গেলাম।
যেয়ে দেখি তাসফির বাবা মা চেয়ারে বসে কান্না করছে,আমি জাহিদকে বললাম...

কিরে কিভাবে হলো এসব??

তোকে ঠাঠিয়ে চর মারতে ইচ্ছে করছে। তোর জন্য এই মেয়েটা দুই দিন ধরে না খাওয়া,আর আজকেও তোকে দেখতে না পেরে ক্লাস না করে বারিতে যেয়ে আত্নহত্যা করে,ভাগ্য ক্রমে তার বাবা মা হাসপাতালে আনে না হলে আজ আর বেঁচে ফিরত না।

এখন তাসফি কেমন আছে বল না(আমি কান্না করে দিছি,তাসফির এমন অবস্থার কথা শুনে, আমি কিভাবে পারলাম তাসফিকে এতটা কষ্ট দিতে,এগুলো ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে,না আর নয়,আজকেই তাসফিকে আপন করে নিব,পরেরটা পরে দেখা যাবে)

আরো কিছুক্ষণ পর তাসফিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেডে স্থানান্তরিত করে দেয়,এখন তাসফি কিছুটা সুস্থ।

সবাই দেখা করে আসলো,শেষে আমিও দেখা করতে গেলাম,

কিন্তু তাসফি আমাকে দেখে মুখ গুরিয়ে নিল,আর বলল আমি যেন এখান থেকে চলে যাই,।

তাসফি সত্যি আর কখনও তোমাকে রেখে দুরে কোথাও যাবো না,সব সময় তোমার পাশে থাকবো,প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও,কথা দিচ্ছি আর কখনও তোমাকে কষ্ট পেতে দিব না।

আমার কথার কোন প্রতিউত্তর দিল না,আর মুখটাও অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখছে,বুঝতে পারলাম আমার উপর হয়তো অনেক অভিমান করেছে,তাই হাত ধরতে যাবো এমন সময় তাসফি যেটা বলল, তা শুনে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছি না।

পড়ুন  শেষ ঠিকানা তুমি – প্রেমের গল্প পর্ব 10 | Bangla Golpo

তুই যদি আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করিস তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি, চলে যা এখান থেকে,তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে না।

আপনারা বিশ্বাস করেন আমি জিবনেও ভাবিনি তাসফি এমন কথা বলবে,বুকের ভিতর কষ্ট গুলো চাপা দিয়ে চলে আসলাম হাসপাতাল থেকে। মনটা অনেক খারাপ তাই বুঝতে পারি নি কখন রাস্তার মাঝে চলে আসচ্ছি,এমন সময় একটা বাস এসে আমার সামনে ব্রেক করে, তবুও বাসের গতির কারণে কিছুটা ধাক্ক লাগে মাথায়,আর সেখানেই পরে যাই।চোখ গুলো বন্ধ হয়ে আসছিল।এমন সময় তাসপির কথা গুলো,আর তাসফির মুখটা ভেসে উঠল।হয়তো বা আর কোন দিন তাসফিকে দেখতে পারবো না।জানি না বাঁচবো কিনা,।

আমার যখন জ্ঞান ফিরলো,দেখি তাসফি আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে আমার বুকে।আমি তাসফিকে আমার বুকে দেখে মনে হলো তাসফির সেদিন কার কথা গুলো,তাই তাসফিকে ডাকলাম,

এই যে, শুনছেন।।আপনাকে আমি টাচ করতে চাই না,আর আমার জন্য আপনাকে মরতেও হবে না,উঠুন প্লিজ।
আমার ডাকা ডাকিতে তাসফি ঘুম থেকে উঠলো,আর বাহির থেকে আমার বন্ধু গুলো ভিতরে আসলো,

তাসফিতে দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক দিন ধরে কাওয়া দাওয়া ঠিক মত করে না,আর ঘুমতো আসেই না,কেননা তাসফি অনেকটা চিকন হয়ে গেছে, আর চোখ গুলো ফুলা ফুলা।

তার পর বন্ধুরা যা বলল,তা শুনে মনে হলো আকাশ থেকে পরলাম।

আমরিন তুই ১ মাস কমায় ছিলি,আর তোর সব সময় কেয়াল রেখেছে তাসফি আপু,তাসফি আপু যদি না থাকতো তাহলে হয়তো এতো তারাতারি কমা থেকে ঠিক হযে উঠতে পারতি না।

আমি তাসফির দিকে একভাবে তাকিয়ে আছি,কেন আমাকে এত যত্ন করলো,সেদিন না বলে দিলো যে আমি যেন তার সামনে আসি না,তাহলে কেন আমার এত সেবা যত্ন করলো, এগুলো ভাবছিলাম তখন তাসফি বলল....

এখন কেমন লাগছে তোমার??

কেন আমাকে এতো সেবা যত্ন করলেন,সেদিন না বলে দিছিলেন আমি যেন আপনার সামনে না আসি,তাহলে কেন আমাকে টাচ করলেন,আপনাকে তো টাচ পর্যন্ত করতে না করেছেন,

তাসপি কোন কথা না বলে চার ঠোঁট এক করে দিল,পাশে যে আমার বন্ধুরা আছে তার কোন খেয়াল নেই,।

তাসফির এরকম কান্ড দেখে,সবাই বের হয়ে গেল, আর বলল,দোরজাটা লাগিয়ে নিতে।

তাসফি তাদের কথা শুনে লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুখ লুকালো।

আজকেই তোমাকে বিয়ে করবো, আর একটা বার যদি না করো তাহলে তোমাকে মেরে আমিও মরে যাব।

তার পর আজ আমাকে হসপিটাল থেকে রিলিজ করে দেয়,আর আজই আমাদের বিয়ে,সবারই দাওয়ার রইল সবাই এসে পরবেন কিন্তু,
বাসর ঘরে ডুকে দোরজা আটকিয়ে যেই সামনে গুরেছি দেখি আমার হ্যাকার বউ আবার আমার বিছানা হ্যাক করে বসে আছে,আমার হ্যাকার বউটা তো জানে না তার বরটাও হ্যাকার গ্রুপের সিও,

পড়ুন  মুখোশ – রহস্যময়, রোমান্টিক প্রেমের গল্প পর্ব ৬ | মোনা হোসাইন

অবশেষে পেয়ে গেলাম হ্যাকার বউটা,আল্লাহর রহমত সাথে থাকলে কোন কিছু পাওয়া ব্যপার না।

তো ভাইয়া ও আপুরা আর কি দেখবেন আমরিন আর তাসফির বাসরটা তাদের করতে দেন,কেন এখনও থেকে ডিস্টার্ব করছেন।

সমাপ্ত

Writter :- Amrin Talokder


Also Read Our New Story

ভিলেন এ্যাকশন লাভস্টোরি
Writer- Monna Hossain


আকাশের এন্ট্রি দেখে যে কারোরেই ভয় পাওয়ার কথা আকাশ একা নয় সাথে আরো অনেকগুলি ছেলে আছে। সবার হাতে বন্দুক আছে।

আকাশকে আসতে দেখেই আরোহীর বাবা এগিয়ে গেলেন...

আকাশঃ সামনে থেকে সরুন আংকেল বুঝতেই পারছেন আজ আমি কারোর কোন কথাই শুনব না আরোহীকে আমি নিতে এসেছি পৃথিবীর কোন শক্তিই আজ ওকে আমার কাছে থেকে সরাতে পারবে না তাই অযথা ঝামেলা বাড়িয়ে কি লাভ? সরুন প্লিজ।

কয়েকটা ছেলে আরোহীর বাবাকে সরিয়ে দিল।আকাশ এবার আরোহীর কাছে গেল।

আজ আরোহীর বিয়ে বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন পাত্র পক্ষও চলে এসেছে কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগ মুহুর্তে আকাশ নামের এই মসীবত এসে হাজির হয়েছে। 

আকাশ এবার আরোহীর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। 

তারপর আরোহীর থুতনিতে হাত দিয়ে বলল……

বাহ কি সুন্দর সেজেছিস রে আরোহী...দেখি দেখি বাপরে লিপষ্টিক পরেছেও তাও লাল রং এর।

আকাশ এবার আরোহীর হাত টেনে বলল মেহেদীও পড়েছিস নাকি দেখি বাহ সাহস তো ভালই হয়েছে দেখতে পাচ্ছি...

তবে এটা বুঝলাম না সেজেগুঁজে ঢং করার অধিকার তোকে কে দিল..??একবারো বুক কাঁপলো না?

আকাশের কথা বলার ধরন দেখেই আরোহীর পরাণ পাখি উড়ে গেল কারন আকাশ সাধারনত এভাবে কথা বলে না...আর মেয়েদের গায়ে হাত তো একেবারেই দেয় না। তাও এত লোকের সামনে....

আরোহী ভয়ে ভয়ে বলল ভ ভ ভ ভাইয়া বস না...

আকাশঃ হ্যা বসতে তো পারতামেই কিন্তু হাতে যে একদম সময় নেই বোন অনেক কাজ বাকি। চল তোকে এখন আমার সাথে যেতে হবে।

আরোহীঃ আ আ আমার তো আজ বিয়ে ভাইয়া আমি কি করে যাব..... 

কথা শেষ হওয়ার আগেই আকাশ স্বজোরে আরোহীর গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। আরোহী ছিটকে গিয়ে নিচে পড়ল। আকাশ গিয়ে আরোহীর চুলের মুটি ধরে টেনে তুলল..

আকাশঃ আজ তোর কি যানি আবার বল..? শুনতে পাই নি। আকাশ দাঁতে দাঁত চেপে বলল আমাকে না জানিয়ে তুই বিয়ের পীড়িতে বসিস এত সাহস কই পেলি? আচ্ছা চল তোর বিয়ে করার শখ আমি মিটিয়ে দিচ্ছি।বলেই আরোহীকে টানতে লাগল আকাশ।

আরোহীঃ তুই আমার কাজিন হয়ে এমন ভিলেনের মত আচারন কি করে করছিস ভাইয়া?

আকাশঃ মুখ দিয়ে আর একটা শব্দ বের হলে এখানেই মেরে পুঁতে রেখে দিব বলে বরপক্ষের সামনেই আরোহী কে নিয়ে আকাশ বেরিয়ে গেল।

আকাশের সাথের ছেলেদের প্রত্যেকের হাতে গান ছিল তাই কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।

আকাশ আরোহীকে গাড়ীতে করে নিয়ে যাচ্ছে...

চলুন এবার দেখে আসি এই আরোহী আর আকাশ কে...........................

পুরো গল্প পড়ুন

Leave a Comment

Home
Stories
Status
Account
Search