Golperjogot

Golperjogot

shishir bindu premer golpo part 4

Heart Touching Romantic Love Story Shishir Bindu Part 4

 

Shishir Bindu { Eid Special }

Sadia Islam ( P. 04 )

বিন্দু বাসায় পৌছানোর কিছুক্ষণ পর সিনহা বিন্দুদের বাসায় গেল। সিনহা বিন্দুকে বলল….

 

সিনহাঃ তুমি আর শিশির কোথায় গিয়েছিলে? 

বিন্দুঃ কেন কি হয়েছে? আর তুমি কিভাবে জানলে?

 

সিনহাঃ অনেক কিছু হয়ে গেছে। পারার  ছেলেরা তোমাদের একসাথে দেখে ফেলেছে। পুরো গ্রামের লোকজন তোমাদের ব্যপারে যেনে গেছে। তোমার আর শিশির এর বাড়িতে তারা নালিশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে আর করে নি। বলেছে আর একবার কিছু দেখলে সব বলে দিবে তোমার আম্মুকে।

 

বিন্দুর মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে বলে মনে হচ্ছে। খুব অবাক হয়ে বলল…

 

বিন্দুঃ কি বলছ এইসব। আমার খুব ভয় করছে। কি করব এখন আমি? আমার বাসায় বলে দিলে আমাকে মেরেই ফেলবে আম্মু। 

 

সিনহাঃ কি আর করবে? আমি আগেই তোমাকে নিষেধ করেছিলাম ওর সাথে জড়িও না। আমার কথা তো শুনলে না। বুঝো এবার। 

 

বিন্দুঃ আচ্ছা তুমি এতো কিছু কই থেকে শুনলে? 

সিনহাঃ আমার বান্ধবীর ভাইরা তোমাদের দেখেছে। আমার বান্ধবী আমাকে বলল।

 

বিন্দু শিশিরকে মেসেজ দিল।

 

বিন্দুঃ শুনেছো কতো কি হয়ে গেছে। 

শিশিরঃ হ্যাঁ শুনলাম তো। 

বিন্দুঃ তুমি বলেছিলে কিছুই হবে না কিন্তু অনেক কিছু হয়ে গেল। 

 

শিশিরঃ তুমি চিন্তা করো না। কিছু হবে না। আমি আছি তো। শুধু কয়েকটা দিন আমাদের বাসার এদিকে এসো না। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। 

বিন্দুঃ ঠিক আছে। 

 

পরের দিন শিশির রংপুর চলে গেল।

Shishir Bindu Premer Golpo

 

এই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন তারা দেখা করে নি। এদিকে বিন্দুর বড় বোন বৃষ্টি এসেছে। বিন্দু ভয়ে ভয়ে বৃষ্টিকে শিশির এর ব্যপার এ সবকিছু বলল। বৃষ্টি বিন্দুকে কিছু বলল না। শিশির এর সাথে কথা বলতে দিল।

 

শিশির এখন আর রংপুরে থাকে না। তার ভাই এর সাথে খুব জোড়াজুড়ি করে এখানেই থাকে এখন। 

 

বৃষ্টি এখানে এসে কিছু ছেলে মেয়ে দের প্রাইভেট পড়ায়। শিশির এর সাথে বিন্দুর দেখাও হয় না এখন আর। তাই বিন্দু শিশিরকে বলল বৃষ্টি আপুর সাথে কথা বলতে যেন তার কাছে প্রাইভেট পড়তে পারে। তাহলে ১ ঘণ্টার জন্য রোজ তাদের দেখা হবে। 

পড়ুন  প্রেম কাহিনী – স্কুল জীবনের প্রেমের গল্প পর্ব 11 | Golpo

 

শিশির বৃষ্টির সাথে কথা বলল। বৃষ্টি পড়ানোর জন্য রাজি হয়েছে। কিন্তু বলে দিয়েছে পড়া বাদে অন্য কোনো কথা যেন না হয়। 

 

বৃষ্টির সাথে বিন্দু মোটামুটি ফ্রী। কিন্তু বৃষ্টি খুব বকা ঝকা করে বিন্দুর ওপর। 

আজ শিশির পরতে আসবে। বিন্দু আর শিশির একসাথে পড়বে। তারা দুজনেই আজ খুব খুশি। বাহিরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। সেই বৃষ্টির মধ্যেই শিশির এলো। পড়ার ফাকে ফাকে বৃষ্টির নজর এড়িয়ে দুজনে দুজনের দিকে তাকায় আর মুচকি মুচকি হাসে। 

 

তাদের দিন বেশ ভালোই কাটছে। বৃষ্টির সাথে শিশির এর ভালোই মিল হয়েছে। তাদের মিল দেখে বিন্দুও খুব খুশি।

 

কিন্তু হঠাৎ একদিন বিন্দু আর শিশির যখন প্রাইভেট পরছিল তখন বৃষ্টি একটু বাহিরে গিয়েছিল। তখন বিন্দু আর শিশির একজন আর একজনের হাত টা ধরল। একটু পাশাপাশি এসে বসল। যখনি বিন্দু শিশির এর ঘারে তার মাথাটা রেখেছে তখনই বৃষ্টি এসে তাদের দেখে ফেলে।

Romantic love story bangla

 

রাগে বৃষ্টির রক্ত মাথায় উঠে গেল। শিশির লজ্জায় মাথা নিচু করে বাহিরে চলে গেল। ভয়ে বিন্দুর হাত পা কাপছে। আর ভাবছে আপু তো এবার আমাকে শেষ করে ফেলবে। বিন্দু কি করবে বুঝতে পারছে না। বৃষ্টি হঠাৎ ঠাস করে বিন্দুর গালে একটা থাপ্পর মারল। তারপর বলল….

 

বৃষ্টিঃ পড়া বাদ দিয়ে এই সব কি? এসব করার জন্য ওকে পড়তে আসতে বলেছি আমি? আমি আগেই বলেছিলাম পড়া ছাড়া আর কিছু যেন না হয়। ছেলেটাকে ভালো ভেবেছিলাম। ওকে বলবি আমার চখের সামনে যেন না আসে কোনোদিন। বেয়াদপ ছেলে।

 

তারপর বৃষ্টি বিন্দুকে অনেক বকাঝকা করল। 

 

বিন্দু কান্না করেই যাচ্ছে। বিন্দুকে মারার পর থেকে বৃষ্টিরও ভালো লাগছে না। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি নিজেই বিন্দুর কাছে গিয়ে ওকে বুঝাল। আদর করল। ভাত খাইয়ে দিল।

 

বৃষ্টি কয়েকদিন পর আবার ঢাকায় চলে যাবে। সে ভাবল আমি চলে গেলে বিন্দু একদমই পড়াশোনা করবে না। আরও খারাপ হয়ে যাবে। তাই সে ভাবল যাওয়ার  আগে তার আম্মুকে সব বলে দিবে। 

 

বৃষ্টি তার আম্মুকে সব বলে দিল। খুব মার খেলো বিন্দু তার আম্মুর হাতে। উঠতে বসতে বিন্দুকে কথা শুনতে হচ্ছে এখন। বিন্দুর ফোন ধরা বন্ধ হয়ে গেল। এভাবে আর থাকতে পারছে না বিন্দু। বাসায় দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। কিভাবে শিশির এর সাথে যোগাযোগ করবে বুঝতে পারছে না। শিশিরেরও খুব খারাপ লাগছে। কয়েকদিন তাদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ থাকল।

পড়ুন  প্রেম কাহিনী – স্কুল জীবনের প্রেমের গল্প পর্ব 2 | Love Story

 


Also, Read These Emotional Love Story


 

বৃষ্টি  ঢাকায় চলে গেল। আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হয়ে গেল। বিন্দু  শিশিরের সাথে আবার যোগাযোগ করল । ভালোই চলছে তাদের দিনকাল।

 

বিন্দু আজ শিশিরের ওপর বেশ রাগ করে আছে। শিশিরকে অনেক বার কল করছে সে কিন্তু শিশির একটু ব্যস্ত ছিল তাই তার কল ধরতে পারে নি। তাই বিন্দু ভেবেছে আজ আর কথাই বলবে না শিশিরের সাথে। 

 

শিশির তার কাজ শেষ করার পর ফোন হাতে নিল।দেখল বিন্দু তাকে ২৭ বার কল করছে। শিশির মনে মনে ভাবল আজ আমি শেষ। আজ তার রাগ সহজে ভাঙবে না। শিশির অনেকগুলো মেসেজ দিল। কিন্তু বিন্দু রিপ্লাই দিচ্ছে না। অনলাইনেও আসছে না। কিভাবে বিন্দুর রাগ ভাঙাবে বুঝতে পারছে না। 

 

আজ সারাদিন শিশিরের সাথে বিন্দু কথা বলে নি। বিন্দু বিকালে বারান্দায় গিয়ে  হঠাৎ দেখে শিশির তাদের বাড়ির সামনে আইসক্রীম নিয়ে  দারিয়ে আছে। বিন্দু আইসক্রীম  খেতে ভালোবাসে তাই সে আইসক্রীম নিয়ে এসেছে। বিন্দু তাড়াতাড়ি করে ফোনটা নিয়ে এসে শিশিরকে মেসেজ দিল। 

 

বিন্দুঃ তুমি এখানে কেনো এসেছো?  আম্মু তোমায় একবার দেখে ফেললে কি হবে বুঝতে পারছো?

শিশিরঃ তুমি রাগ করে ছিলে কথা বলছিলে না তাই চলে এসেছি। 

বিন্দুঃ বাসায় যাও কেউ দেখে ফেললে অনেক বড় সমস্যা হবে।

শিশিরঃ সরি। আর কখনো এমন হবে না। একটু কাজ করছিলাম তাই কল রিছিভ করতে পারি নি। রাগ করে থেকো না আর। 

Valobashar Golpo Bangla

 

বিন্দুঃ আমি কারোর ওপর রাগ করি নি। আমার সাথে কাউকে কথা বলতে হবে না। চলে যাও।

শিশিরঃ না যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত মাফ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত যাব না। তোমার জন্য আইসক্রীম এনেছি। নিয়ে যাও।

বিন্দুঃ তোমার দেওয়া আইসক্রীম নেব না আমি। ( আভিমানের শুরে) 

শিশিরঃ তাহলে ফেলে দিলাম। দিলাম কিন্তু। 

বিন্দুঃ আরে দাড়াও দাড়াও। আগে কান ধরে উঠবস কর তাহলে নিব। 

শিশিরঃ এতো মানুষের সামনে কিভাবে কান ধরি বলো।

বিন্দুঃ ঠিক আছে তাহলে আমিও কথা বলব না। আইসক্রীমও নেব না। 

পড়ুন  লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ১৯ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

শিশিরঃ আচ্ছা করছি।

সবার চোখের আড়াল হয়ে শিশির কান ধরে উঠবস করল। তাও কিছু লোক শিশিরকে দেখে হাসছে। বিন্দু বারান্দা  থেকে শিশিরের উঠবস দেখল। তারপর গিয়ে আইসক্রীম নিয়ে আসল। আর শিশিরকে বলল পাগল ছেলে একটা। 

 


Also, Read These Another Love Story


 

এভাবে মাঝে মাঝে বিন্দু অভিমান করলে শিশির পাগলামি করে তার অভিমান ভাঙাত।  আর শিশিরের পাগলামি গুলো বিন্দুর ভালোই লাগত। তারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে।

 

শিশির বিন্দুকে উপহার দেওয়ার জন্য বিন্দুর জন্য একটা জামা কিনেছে। বিন্দুকে জামাটা দিল। জামাটি বিন্দুর বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু জামার ব্যাপার এ বাসায় কি বলবে তা বুঝতে পারছে না। বাসায় নিয়ে গেলেই আম্মু জিজ্ঞেস করবে কথায় পেলি? তখন কি বলবে সে। 

 

বুদ্ধি করে তার আম্মুকে কিছু একটা বলে দিল। তার আম্মুও জামাটার প্রতি ওতো আগ্রহ দেখাল না।

 

 

শিশিরের মায়ের সাথে শিশির ভালোই ফ্রী। শিশির তার আম্মুকে বিন্দুর কথা বলল। তার আম্মু বিন্দুকে একদিন বাসায় নিয়ে আসতে বলল।

 

বিন্দু একটি ছল দিয়ে বাসা থেকে বের হলো। শিশিরের দেওয়া জামাটি পড়েছে। বেশ ভালো মানিয়েছে বিন্দুকে। শিশির বিন্দুকে বলল খুব সুন্দর লাগছে। শিশির আজ বিন্দুকে তাদের বাসায় নিয়ে যাবে  তার আম্মুর সাথে দেখা করানোর জন্য। { EID SPECIAL }

 

Click Here For Next Part-    চলবে

 

Writer- সাদিয়া ইসলাম

 

Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of  { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends. 

 

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top