Valobashi Dujone
Imtihan Imran ( Part – 9 )
ফারিন হঠাৎ করেই সিজানের একদম কাছে চলে যায়। সিজান ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। সিজান কিছু বুঝে উঠার আগেই ফারিন সিজানের গালে একটা চুমু বসিয়ে দেয়।
চুমু দিয়ে সে দাঁড়ায় নি। এক দৌড়ে সিজানের সামনে থেকে পালিয়ে গেলো। আর এইদিকে সিজান হা হয়ে যায়, ফারিনের কান্ডে। সে হেসে ফারিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
কিছুক্ষণ পর সিজান রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং রুমে যায়। ডাইনিং রুমে সে কাউকে দেখতে পায় না। সিজান উঁকি ঝুকি মেরে খোঁজার চেষ্টা করছে। উঁকি ঝুকি মারতে মারতে তার খেয়াল নেই,কখন সে খালার সামনে এসে পড়েছে। সে কিছু না জানার, কিছু না খোঁজার মতো ভান করে থাকার চেষ্টা করে।
{ Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla }
” কী খোঁজা হচ্ছে সিজান আব্বা জান?
” ক ক কই খালা, ক কিছু খুঁজছি না তো.?
” কিছু না খুঁজলে ভালো কথা, কিন্তু এভাবে এতো উঁকি ঝুকি মারতেছস ক্যান? আবার তোতলাচ্ছিস কেনো? ভাইরাসে ধরছে নি তোরে?
” আরে না খালা আমি আবার কী খুঁজবো? দেখতে ছিলাম তোমরা কেউ এখানে, আশে পাশে আছ নি? কাউরে তো দেখতেছিলাম না, তাই আর কি..
” ওই থাম। এবার একটু অফ যা। আমি বুঝি না মনে করছস? কচি খোকি ভাবছস আমারে? তুই আমাদের দেখার জন্য এভাবে উঁকি ঝুকি মারতেছস, বুঝি না মনে করছস?
” আরে খালা তুমি বেশি বোঝা ছাড়া, আর কিছুই বুঝো না।
” ওই চুপ যা। কানের নিচে দিমু দুইটা ধইরা। আমি বেশি বুঝি, নাকি তুই সব কিছু লুকাইতেছিস। ভালোই ভালোই বলে দিলে হয়, তুই ফারিন মাইয়া টারে খুঁজতেছিস।
” তুমি যখন সব বুঝো, তো আমারে জিগাও ক্যান? হুদাই এতো গুলা মিথ্যা কথা বলতে হলো?
” তুই মিথ্যা কথা বলস ক্যান? আমি জোর করছি তোরে মিথ্যা কথা বলার জন্য?
” এতো কথা না বলে, বলো তো ফারিন কোথায়?
” কোথায় আবার তাদের বাসায়?
” হেই না কিছুক্ষণ আগে এই বাসায় ছিল।
” হুম, লঞ্চ কইরা চলে চলে গেছে।
” খালা তুমি কী বলো এইসব? মাথা ঠিকাছে তোমার? ফারিন লঞ্চ এ করে কোথায় যাবে? আর এখানে লঞ্চ পাবে কোথায়?
” আরে অশিক্ষিত পোলাডা, এই লঞ্চ সেই লঞ্চ না?
” তাহলে কোন লঞ্চ?
” আরে খেয়ে গেলো, সেটা বললাম তোরে।
সিজান খালার লঞ্চ বলা টা এবার বুঝে গেলো। সে বিষয়টা বুঝে, জোরে এক টান দিলো,
” ওওও.খালা বুঝেছি, তুমি লাঞ্চ রে লঞ্চ বলতেছো।
” ওইই হইলো এই কথা। তুই তো কিছুই দেখু জানস না।
” খালা এক কীভাবে হলো? লঞ্চ আর লাঞ্চ দুইটাই আলাদা শব্দ, শব্দ দুইটার ব্যবধান দেখছো তুমি?
” হইছে থাম। তোরে আর আমারে শব্দ বুঝাইতে হইবো না। অনেক কাম আছে আমার। তোর এইসব শুনার সময় আমার কাছে নাই।
খালা সিজানের জবাবের আশা না করেই চলে গেলো। খালাকে বুঝাতে না পেরে সিজান আফসোস করতে লাগল।
{ Romantic Love Story Bangla }
রাতে,
সিজান, ফারিনকে ম্যাসেঞ্জারে নক দেয়।
” কীরে দুপুরে না বলে উধাও হয়ে গেলি যে?
” এমনি দেখলাম, তুমি আমাকে খোঁজ কিনা? আমাকে খুঁজছো নিশ্চয়?
” তোকে খুঁজতে যাবো কেন?
” তাহলে এখন জিজ্ঞেস করলি কেন?
” এমনি জানতে চাইলাম। তোর কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। তাই বুঝছি তুই বাসায় চলে গেছিস।
” ওও ভালো তো। আচ্ছা শুয়ে পড়ো। একদিনও তো আমার আগে ঘুম থেকে উঠতে পার না। তারপরেও রাত জাগো।
” তুই তো আছিস উঠিয়ে দেওয়ার জন্য। সো আমার আর উঠা নিয়ে টেনশন করতে হয় না।
” যেদিন বউ হয়ে তোমার ঘরে আসবো না, সেদিন থেকে মাইর দিয়ে ঘুম থেকে উঠাবো।
” দেখা যাবে। (হেসে)
” আচ্ছা শুভ রাত্রি। আসসালামু আলাইকুম।
” শুভ রাত্রি। ওয়ালাইকুম আসসালাম।️
সকালবেলা,
সিজান,ফারিন দুজনে একসাথে মিলিত হয় ভার্সিটি যাওয়ার জন্য।
সিজান বাইক বের করতেই ফারিন বাইকের পিছনে উঠে বসে। বাইক চলতে শুরু করে।
” আচ্ছা কোন মুভি তে তোমার কন্ঠের গান গুলা নিচ্ছে?
” তোমাকে চাই।
” আরে ধ্যাত আমাকে চাইতে হবে না এখন, ছবির নাম বলো।
” মাথা মোটা মেয়ে একটা মুভির কথাই বললাম। মুভির নাম তোমাকে চাই।
” ওও আচ্ছা তাই বল।
” হ্যাঁ সেটাই বলছি।
দুজনে কথা বলতে বলতে ভার্সিটিতে চলে আসে।
ভার্সিটিতে এসে নিজেদের ক্লাস রুমে চলে আসে।
ক্লাসে স্যারের লেকচারের মাঝখানে প্রিন্সিপাল স্যার ক্লাসে এসে ঢুকে। সবাইকে দাঁড়িয়ে প্রিন্সিপাল স্যারকে সম্মান জানায়।
{ Bangla Valobashar Golpo }
” গায়েস কেমন আছো সবাই?
” জি স্যার আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন?
” হ্যাঁ আমিও ভালো আছি। এখন তোমাদের কে ভালোর ভিতরে আরেকটা দারুন খবর দিবো।
সবাই তো উৎসাহিত হয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের কথা শুনছে। প্রিন্সিপাল স্যার কীসের দারুন খবর দিতে এসেছেন?।
” স্যার কীসের দারুন খবর?
” আমরা আগামী সপ্তাহে শিক্ষা সফরে যাচ্ছি।
” হুর রে..
সবাই প্রিন্সিপাল স্যারের কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে যায়। প্রিন্সিপাল স্যার আবার বলেন,
” আমরা দুই জায়গা ঠিক করছি, যেখানে ভোট বেশি হবে সেখানেই আমরা যাবো।
জায়গা দুইটা হচ্ছে কক্সবাজার এবং সিলেট।
সো তোমরা কোথায় যেতে চাও, সেটা ভোটের মাধ্যমে সিলেক্ট করব। সো গায়েস তোমরা রেডি?
” জি স্যার।
এক জন একজন করে সবাই যার যার পছন্দের জায়গার টার নাম বলছে। এরই ভিতরে ফারিন সিজানকে জিজ্ঞেস করে,
” আমার তো সিলেট যেতে ইচ্ছে করছে? তূমি কোথায় যেতে চাও?
” আমিও সিলেট এর কথাই বলব।
” ওয়াও সো গুড।
সিজান, ফারিনকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা সিলেটের কথা বলে দেয়।
প্রিন্সিপাল স্যার এবার সবাইর উদ্দেশ্য বলে,
” বেশি ভোট পড়েছে সিলেটে। তাই আমরা সিলেট যাচ্ছি।
” থ্যাঙ্কিউ স্যার।
Also Read Those Related Love Story
প্রিন্সিপাল স্যার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
” ইয়াহু আমরা সিলেট যাচ্ছি। ভাবতেই আমার নাচতে ইচ্ছে করছে।
” বাসায় গিয়ে নাচিস, এখন আপাতত নাচার কথা বাদ দে।
” আচ্ছা দিলাম। (হেসে)
ক্লাস শেষে সিজান,ফারিন দুজনে ক্যান্টিনে গিয়ে বসে।
” মামা গরম গরম সিঙারা আর চমচা দেন তো।
” ওই শুন সিলেট যাচ্ছি, তার আগে একটা শপিং দিলে কেমন হয়?
” দিলে দিবি। সমস্যা কী?
” তাহলে কোন দিন যাচ্ছি শপিং এ আমরা?
” আমি কেনো যাবো? আমার তো শপিং করার এতো ইচ্ছা নাই।
” হুশ আমি কি একলা যাবো, তোমাকে ছাড়া?
” এতো তাড়া কীসের? যখন যাবি তখন দেখা যাবে।
” আচ্ছা যেতে হবে কিন্তু।
সিঙারা চমচা শেষ করে তারা দুজনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
Also, Read These Another Love Story
দুইদিন পর ফারিন, সিজানকে নিয়ে শপিং এ বের হয়। অবশ্য সিজানের যেতে ইচ্ছে করছে না। কারন সে জানে মেয়েদের সাথে শপিং করা মানে আজকে সারাদিন তার পিছনে পিছনে ঘোরা। এরা একটা কাপড় পছন্দের জন্য বত্রিশ টা দোকানে যেতেও কার্পন্য করে না। যাই হোক সিজান ফারিন দুজনে শপিং মলে চলে আসে।
দোকানের ভিতর ঢুকতেই বিক্রেতারা তাদের ওয়েলকাম জানায়।
” ভাই ওই যে নীল রঙের জামাটা দেখান তো?
” ওই মফিজ, ম্যাডামকে ওই নীল রঙের জামা টা দে তো। ম্যাম আপনাকে কিন্তু জামা টায় হেব্বি মানাবে।
” আপনাকে বলতে হবে না। দোকানদার রা একটু বেশি বেশিই বলে। ফারিন তুই মোটেও এদের কথা বিশ্বাস করবি না।
” তাহলে তুমি ড্রেস পছন্দ করে দেও।
” আমি.?
” হ্যাঁ তুমি। দেও তো পছন্দ করে।
” ওয়েট। দেখছি।
সিজান তাকিয়ে ড্রেস গুলো দেখছে। সে একবার ফারিনের দিকে তাকায়, তো আরেকবার ড্রেস গুলোর দিকে।
” সমস্যা কী এভাবে তাকাচ্ছ কেনো?
” ডিস্টার্ব করিস না তো ৷ ড্রেস চুজ করতে দে।
মামা ওই যে কলা পাতা রঙের ড্রেস টা,আর এইখানে পাশের কালো সাদা কম্বিনেশনের ড্রেস টা দেখান তো।
ফারিন মনে মনে বলে, না! ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে।
Click Here For Next Part- চলবে…
Join Our { FB PAGE } and { FB GROUP } For Every Single Minutes Update Of { Golper Jogot- Largest Story Platform }. Also Please Share Our Story On Your Social Media Platform and with Your Friends.