Golperjogot

Golperjogot

lover naki villain season 2 part 19

লাভার নাকি ভিলেন সিজন ২ – পর্ব ১৯ থ্রিলার গল্প | মনা হোসাইন

লাভার নাকি ভিলেন সিজন ২

Mona Hossain { পর্ব ১৯ }


সামিরার মা নাবিলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন,নাবিল কে দেখে ডাক্তার জানালেন নাবিলের হাতে গুলি লেগেছে অপারেশন লাগবে।
সামিরার মা চিকিৎসার সমস্ত খরচ দিলেন।অপারেশন করা হল,
বেশ কিছুক্ষন পর নাবিলের জ্ঞান ফিরল।

জ্ঞান ফিরার সাথে সাথে নাবিল গভীর চিন্তায় নিমজ্জিত হল কারন সে এখন বেশ অসুস্থ আকাশের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেয়া তো দূর নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতাও তার নেই। অন্যদিকে পুলিশ তাকে পাগলের মত খুঁজছে।
সব মিলে সে যে একটা ভুল স্টেপ নিয়েছে এটা এখন বেশ বুঝতে পারছে।

নাবিল যখন নিজের চিন্তায় ব্যাস্ত তখন সামিরা আর সামিরার মা নাবিলের সাথে দেখা করতে আসলেন

সামিরার মাঃ এখন কেমন আছো?

নাবিলের মুখে উত্তর নেই কারন সে এদের চিনে না।তাছাড়া সে অন্য চিন্তায় ব্যস্ত।

সামিরাঃ বাপ রে কি অহংকার... এই ছেলে তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করছি শুনতে পাচ্ছো না..??

নাবিল সামিরার ব্যবহারে অবাক হল...
নাবিলঃ মেয়েটা পাগল নাকি? (মনে মনে)

সামিরার মাঃ আহ সামিরা,কখন কি বলতে হয় বুঝো না? মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতে শিখো।
বাবা তোমার নাম কি?
কোথায় থাকো?
কি হয়েছিল তোমার সাথে?

নাবিল এবার ইচ্ছা করেই উত্তর দিল না কারন পুলিশ ওকে খুঁজছে এটা বলা ঠিক মনে হল না।আর সামিরার কথাতেও একটু জেদ উঠেছে।

সামিরাঃ দেখছো কি পরিমান বেয়াদব?এখুনো উত্তর দিচ্ছে না
এই ছেলে এত ভাব দেখাচ্ছো কাকে হুম?যানো আমি কে?
শুনো আমরা যদি তোমাকে না বাঁচাতাম, এতক্ষনে মরে ভুত হয়ে যেতে। হারামি কোথাকার আসছে আমাদের ভাব দেখাতে।এই জন্যই কারো ভাল করতে নেই একে তো রাস্তায় ফেলে আসা উচিত ছিল।

নাবিলঃ আসলে ম্যাডাম আমার কিছু মনে পড়ছে না তাই উত্তর দিতে পারছি না।ক্ষমা করবেন আমি ভাব দেখাতে চাচ্ছি না আপনি হয়ত ভুল বুঝছেন।

সামিরাঃ তোমার এত সাহস? আমার মুখে মুখে কথা বলো তোমাকে তো আমি দেখে নিব...বলে সামিরা নাবিলের দিকে এগিয়ে আসল।

নাবিলঃ এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু? আর একটু হলেই হয়ত মারতে শুরু করত (মনে মনে)

সামিরার মাঃ তুমি কি পুরো পাগল হয়ে গেছো সামিরা? নাকি এটা ভুলে গেছো কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়?ওর যে কন্ডিশন ভুলে যেতেই পারে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় তুমি বাইরে যাও।কিছু মনে করো না বাবা ও একটু এমনেই।
আমরা এখন যাই পরে না হয় কথা হবে বলে সামিরার মা এগিয়ে গিয়ে বলল সামিরা এসো।

সামিরা যাওয়ার সময় নাবিলের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটল আর বিড়বিড় করে বলল আমাকে বকা খাওয়ানো তাই না? মজা বুঝাব তো...জনিকে একবার বলে তোমার যে কি অবস্থা হবে ভেবেই খুশি লাগছে...একটা হাড়গোড় আস্ত থাকবে না।

নাবিলঃ এটা কোন ধরনের মেয়ে?নিজেরাই বাঁচাল আর নিজেই মারার হুমকি দিচ্ছে?
এত দেখছি মেঘলার চেয়েও এক কাটি উপড়ে।একফোঁটাও ধর্য্য নেই।উত্তর দেই নি বলে এত কিছু? মেয়ে মানেই আজব প্রানী কখন কি করে তারা ছাড়া কারোর বুঝার ক্ষমতা নেই। যাক এসব আমার দেখার বিষয় না আমি এখন কি করব সেটা নিয়ে ভাবি আর কোন ভুল স্টেপ নেওয়া যাবে না।
কারো কাছে নিজের আসল পরিচয় দেওয়া উচিত হবে না।যতদিন না সুস্থ হচ্ছি স্মৃতি হারানোর অভিনয় করতে হবে....




এদিকে আকাশেরো জ্ঞান ফিরেছে তবে তার অবস্থা বেশ খারাপ কাওকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় নি প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে তাই এখনো ব্লাড দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে আকাশের নিরাপত্তার সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আত্মীয় বন্ধু সহকর্মী ছাড়াও কয়েকজন গার্ড আকাশের কেবিনের বাইরে অপেক্ষা করছে।তাদের মধ্যে আবির, ইরা আকাশের বাবা মাও আছে।

পড়ুন  তোমার আমার প্রেম – লাভস্টোরি পর্ব 16 | Bangla Golpo

ইতিমধ্যে আকাশের উপর আক্রমনের খবরটা প্রতিটা নিউজ চ্যানেলের হেড লাইন হয়ে গেছে।
মেঘলার নামে পুলিশ কেস করার কথা থাকলেও আকাশের বাবা তা করেন নি বলেছে যা সিধান্ত নেওয়ার আকাশ সুস্থ হয়ে নিবে।

মেঘলাকে আবির তার নিজের বাসায় নিরাপদে রেখে আসলেও মেঘলার মন কিছুতেই মানছে না সে আকাশের জন্য ছটফট করছে। টুনির কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে আবিরের কাছ ফোন দিয়ে আকাশের খোঁজ নিয়েছে।
আকাশ এখন সংকা মুক্ত এটা জেনেও মেঘলা শান্ত হতে পারছে না কারন মেঘলা আকাশকে অসম্ভব ভালবাসে।

মেঘলাঃ আমি আজ আকাশকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেল্লাম ও আর কোনদিন আমাকে মেনে নিবে না। এখন থেকে আকাশ আমাকে ঘৃনা করবে হয়ত আর কোনদিন আমাকে বিশ্বাস করবে না। ইরা আপু তার সুযোগ নিবে।আকাশকে নিজের করে নিবে।
গত একদিন আগেও আমার আশেপাশে কত ভালবাসা ছিল আজ আমার পাশে কেউ নেই। একদম একা অসহায় আমি।

শেষমেষ মেঘলা আর নিজেকে সামলাতে পারল না। যা হওয়ার হবে সে আকাশের কাছে যাওয়ার সিধান্ত নিল।আর চলেও গেল।মেঘলা ভয়ে ভয়ে এক পা এক পা করে হাসপাতালে ঢুকছে তার ভয় করছে কারন যদিও আবিরের কাছে প্রকাশ করে নি কিন্তু কিছুক্ষন আগেই সে অনেক মার খেয়েছে এখন আবার মার খেতে হবে সেটা যেনেই সে এখানে এসেছে কিন্তু মার খেতে সবারেই ভয় লাগে মেঘলারও ভয় করছে।

মেঘলা যখন হাসপাতালে পৌছাল তখন আকাশের বাবা আর ইরা মেডিসিন কিনতে বাইরে গিয়েছে বাকিরা কেবিনের বাইরেই আছে।

মেঘলাকে দেখামাত্র সবাই ক্ষেপে গেল তখন আবির মেঘলাকে বাঁচালেও এখন আবিরো প্রচন্ড ক্ষেপেছে।কারন মেঘলা যেনে বুঝেই সেখানে এসেছে।
আবির সবার আগে এগিয়ে গিয়ে বলল আপনি এখানে? কি চান? মরার খুব ইচ্ছা তাই না?

মেঘলা অবাক হল একমুর্হতে মানুষ কি করে বদলাতে পারে তার মাথায় ঢুকল না।তবুও সাহস করে বলল আকাশ.....

আবিরঃ নাবিল ভাই বলেছিল আপনার মাথায় সমস্যা আছে আমি তখন ভেবেছিলাম হয়ত মজা করে বলেছে কিন্তু এখন দেখছি সেটা দেখছি একদম সত্যি কথা।
কি মনে করেন এরা আপনাকে ছেড়ে দিবে?এদের সবার হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করার ক্ষমতা আমার আছে? যদি থাকত তাহলে তো তখনি সাথে নিয়ে আসতাম।এতবার বলতাম না বাসায় থাকার জন্য।
ম্যাডাম এখনো সময় আছে পালান এখান থেকে প্লিজ যান। আমি ওদের সাময়িক সময়ের জন্য আটকানোর চেস্টা করছি।

কিন্তু আবিরের কথা আবিরের মুখে থাকতেই আকাশের মা এসে মেঘলার চুলের মুঠি ধরে বলল তুই আবার এসেছিস কাল নাগানি আকাশ এতদিন দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষেছে তাই না।আজ তো আমি তোকে দেখে নিব বলেই মেঘলাকে মারতে শুরু করল।

আবির আর যাই করুক আকাশের মাকে তো বাঁধা দিতে পারে না। তবুও বার বার অনুরোধ করছে কিন্তু আকাশের মা কিছুই শুনছে না।

আকাশের মা গার্ডস দের ডেকে বলল তোমাদের এখানে কেন রাখা হয়েছে?কথাটা বলতেই কিছু লোক এসে মেঘলাকে ধরে ফেলল

পড়ুন  হ্যাকার সিনিয়র বউ – রোমান্টিক গল্প পর্ব 1 | Hacker Senior Bou

আবিরঃ আন্টি ছেড়ে দিন প্লিজ ছোট মানুষ বুঝতে পারেনি ভুল করে ফেলেছে এভাবে মারবেন না দরকার হলে উনাকে পুলিশে দিয়ে দিন

আকাশের মাঃ ও যখন আমার ছেলেকে মারল তখন তুমি কোথায় ছিলে তখন ওকে নিষেধ করতে পারলে না?ওর সাত খুন মাফ তাই না?
এই তোমারা মারো কেউ যদি বাঁধা দেয় সেটাকেও মেরে পুতে দিবে।

সবাই যখন মেঘলাকে নিয়ে ব্যস্ত তখম পিছন থেকে কেউ বলে উঠল কি হচ্ছে এখানে?

তার দিকে তাকিয়ে সবাই অবাক হয়ে গেল কারন সেটা আকাশ। এই অবস্থাতেও সে মেঘলার জন্য ছুটে এসেছে। আকাশ অনেক ক্ষেপে গিয়েছে।
রাগে হাত কাঁপছে আকাশের সুস্থ থাকলে হয়ত এতক্ষনে কয়েকটা খুন করে ফেলত...আকাশ ঠিকমত দাঁড়াতেও পারছে তবুও
অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল কি বলেছিলাম আমি? মেঘলার গায়ে কোন ছেলে কখনো টাচও করবে না তাহলে ওকে মারার সাহস হয় কি করে? কি ভেবেছিস আকাশ মারা গেছে তাই তার কথার কোনো দাম নেই?
কিন্তু ভুলে গেছিস আকাশ এখুনো জীবিত আমি থাকতে মেঘলার দিকে চোখ তুলে তাকানোর দুঃসাহস কে দিল?

আকাশের কথা শুনে গার্ডস গুলি তাড়াতাড়ি করে মেঘলাকে ছেড়ে দিল।

মেঘলা নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছে না যে আকাশ কে সে কিছুক্ষন আগে এত আঘাত করেছে সেই কিনা এসব বলছে।

আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল দাঁড়িয়ে আছিস কেন মেঘলা আসবি না?

কথাটা বলতে দেড়ি হল মেঘলার ছোটে আসতে দেড়ি হল না।
দৌড়ে এসে আকাশকে জড়িয়ে ধরল মেঘলা।

এতক্ষন না কাঁদলেও এবার আকাশের মায়াভরা কথা শুনে মেঘলা কাঁদতে শুরু করল।

আকাশকে জড়িয়ে ধরে মেঘলা কাঁদছে।আকাশো মেঘলাকে জড়িয়ে ধরেছে।

ডাক্তার ছোটে এসে বলল স্যার আপনি কি করছেন এসব?
আপনার এখন কারও সাথে কথা বলা তো দূর দেখা করারো পারমিশন নেই আর আপনি ব্লাড দেওয়া বন্ধ করে এখানে চলেছেন?প্লিজ কেবিনে যান এমন করলে আপনার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

আকাশঃ হুম আমার শরীর খারাপ লাগছে আমি এমনেতেও এখানে থাকতে পারব না চলে যাচ্ছি।

মেঘলা এতই কাঁদছে যে কাঁন্নার জন্য স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছে না

মেঘলাঃ আ আ আ ম ম ম.....

আকাশঃ হুম হুম বুঝেছি আর বলতে হবে আমার সাথে যাবি তাই তো?

মেঘলাঃ হুম..

আকাশঃ কান্না থামা আমি তোকে নিয়েই যাব এখানে রেখে যাব না।

ডাক্তারঃ মানে...

আকাশঃ ও আমার সাথে কেবিনে থাকবে...

ডাক্তারঃ কিন্তু স্যার এখন কাওকে এলাউ করা যাবে না কাল থেকে থাকতে পারবে।

আকাশ হেসে বলল আত্মা ছাড়া শরীরের চিকিৎসা করে কি করবেন ডাক্তার?
কথাটা শুনে ডাক্তার সহ উপস্থিত সবাই আকাশের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকল।

আকাশ মেঘলাকে এটা ওটা বলে শান্তনা দিতে দিতে কেবিনের দিকে যাচ্ছে যেন। সমস্যা আকাশের নয় মেঘলার হয়েছে।

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে...

আকাশ গিয়ে বেডে শুয়ে মেঘলাকে পাশের চেয়ারে বসতে বলল। ডাক্তার এসে আকাশের এক হাতে রক্ত দেয়ার জন্য সুঁই লাগিয়ে দিল।

আকাশের এক হাতে রক্ত দেওয়া হচ্ছে অন্যহাত মেঘলা ধরে বসে আছে।
মেঘলা কাঁদছে জন্যে আকাশ ডাক্তারকে ইশারা করল।

পড়ুন  লাভার নাকি ভিলেন সিজন ২ – পর্ব ২৯ থ্রিলার গল্প | মনা হোসাইন

ডাক্তারঃ ম্যাডাম আপনি এমন করলে স্যারের প্রবলেম হবে মাথায় চাপ পড়বে কান্না থামান এমন কিছু করবেন না যাতে উনি উত্তিজিত হয় ঠিক আছে?

মেঘলা মাথা নেড়ে চোখ মুছে নিল।

আকাশঃ লক্ষি মেয়ে...

ডাক্তার চলে গেল।

আকাশঃ মেঘলা আমার খারাপ লাগছে আমি একটু ঘুমাই?

মেঘলাঃ মাথায় বেন্ডেজ তো হাত বুলাব কি করে?

আকাশঃ হাত বুলাতে হবে না এমনি ঘুমাতে পারব তুই কোন ঝমেলা করবি না বল তাহলেই হবে

মেঘলঃ করব না

আকাশঃ সত্যি তো কাঁদবি না বল?

মেঘলাঃ কাঁদব না।

আকাশ ঘুমিয়ে পড়ল।আকাশের চোখ মুখ শুকিয়ে গিয়েছে মাথায় বেন্ডেজ।
আকাশকে এমন নিস্তেজ অবস্থায় মেঘলা কখনো দেখে নি। আকাশকে এভাবে দেখে মেঘলার কান্না শুরু হয়ে গেল আকাশের এই অবস্থার জন্য সে নিজেই দায়ী এটা সে কিছুতেই মানতে পারছে না।চেয়ারে বসে আকাশের বেডে মাথা রেখে নিশব্দে কাঁদছে মেঘলা...কাঁদতে কাঁদতে এক সময় ঘুমিয়ে গেল মেঘলা।

কিছুক্ষন পর আকাশের ঘুম ভাংগল
তাকিয়ে দেখল মেঘলা বসে বসে ঘুমাচ্ছে।

আকাশঃ আবির আবির...

আবির বাইরে বসে ছিল অস্পষ্ট আওয়াজ শুনে আবির চমকে উঠল
আবিরঃ ভাই ডাকল মনে হল...
আবির তাড়াতাড়ি করে কেবিনে গেল
আবিরঃ ভাই কিছু লাগবে?

আকাশঃ হুম মেঘলাকে কোলে করে আমার পাশে শুইয়ে দে...

আবিরঃ কিন্তু ভাই আপনার অসুবিধে হবে তো...

আকাশঃ যেটা বল্লাম সেটা কর বেশি কথা বলিস কেন?আর দেখিস মেঘলার ঘুম যেন না ভাংগে....

আকাশের কথা শুনে আবির যেন আকাশ থেকে পড়ল।

আকাশঃ হা করে তাকিয়ে আছিস কেন আমি নিজে কোন ছেলেকে বল্লাম মেঘলাকে টাচ করতে বুঝতে পেরেছিস।

আবিরঃ ভাই আমি আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা কোন দিন করব না বলে মেঘলাকে কোলে নিয়ে আকাশের পাশে শুইয়ে দিল।

আকাশঃ যা এবার আর তুই আজ এখানেই থাকিস।

আবিরঃ জ্বি ভাই

আকাশ এক হাতে মেঘলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।মেঘলা আকাশের সাথে মিশে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে।

আবির এসব দেখে খুব অবাক হল।

আবিরঃ কতটা ভালবাসা থাকলে এটা সম্ভব? একজন নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও অন্যজনের কাছে ছুটে এসেছিল আর একজন মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও অন্যজনের ঘুমের খেয়াল রাখছে...
সত্যিকারের ভালবাসা মনে হয় এমনেই হয়।
সেখানে যে যতই ভুল করুক ভুল গুলি ফুলে পরিণত হয়।
তানাহলে নাবিল ভাইয়ের হত্যাকারির জন্য মেঘলার এত টান কেন থাকবে এত মার খেয়েও আবার কেন আকাশ ভাইয়ের কাছে আসবে
আর যেই মেয়েটিকে আকাশ ভাইকে মারার চেষ্টা করল তার জন্যেই বা আকাশ ভাইয়ের এত টান কেন থাকবে...??

দোয়া করি সব যেন তাড়াতাড়ি মিটে যায় নাবিল ভাইয়ের যেনো কিছু না হয় সবাই খুব তাড়াতাড়ি মিলে যাক সব ভুল বুঝাবুঝির অবশান হোক।এই ভালবাসা অমর হোক...

পরবর্তী পর্বের জন্য ক্লিক করুন :>> চলবে

Writer :- মোনা হোসাইন

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top