Lover Naki Villain
Mona Hossain { Part 14 }
নাবিলঃ এত চিন্তা করছিস কেন? আমি আছি ত আকাশ, আমি সব করব তোর কিছুই করতে হবে না। চল আমরা এখনি যাব।আর কক্সবাজার এতও দূর না যে আমরা যেতে পাড়ব না প্লেনে গেলে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা লাগবে এখন কথা হল এই সময় ফ্লাইট আছে কিনা।চল গিয়ে দেখি আকাশের ভাগ্য ভালছিল তাই সময়মত টিকিট পেয়ে গেল। কিন্তু আসতে আসতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি শেষ।নাবিল বলল আকাশ তুই যা আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করছি!আকাশঃ ব্যবস্থা করার কিছু নেই মারের উপড় ওষধ নেই পিটে কয়েক ঘা পড়লেই জামাই বাবাজির বিয়ের শখ মিটে যাবে।বর পক্ষ বাসার সামনে আসলে আমাকে কল দিস। দেখব নি কার দৌড় কত দূর।তুই এখানেই থাক আমি বাসায় গিয়ে দেখি ওদিকের কি অবস্থা।আকাশ বাসায় এসে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পেল বরপক্ষ চলে এসেছে, ড্রয়িং রুমে মেঘলা আর হবু বর পাশাপাশি বসেছে।ছেলেটি আকাশের অপরিচিত কেউ নয় সম্পর্কে আকাশের কাজিন হয় সে।যাকে আকাশ শুভ ভাই বলে ডাকে আর তাকে মারা তো দূর কিছু বলার সাহস ও আকাশের নেই। শুভ আকাশের চেয়ে বয়সে বড় খুব ভালবাসে সে আকাশকে। আকাশ শুভ কে দেখে হতবাক হয়ে গেল এখন সে কি করবে বোঝতে পাড়ছে না।সব প্লেন বেহেস্তে গেল শুভকে সে কিভাবে মারবে?আকাশ কে দেখে তার মা কিছুটা ঘাবড়ে গেল কারন আকাশ কিছু না বলে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে এত দূর থেকে ফিরে এসেছে মানে গন্ডোগোল হবে নিশ্চিত।আকাশের মাঃ কি ব্যাপার তোর ত কাল আসার কথা ছিল আজ চলে আসলি…???আকাশকে কিছু বলতে না দিয়ে মেঘলা আমার বিয়ে ভাইয়া না আসলে হয়? আমি বলেছি আসতে।শুভঃ এতক্ষন তো সালা বাবুকেই মিস করছিলাম। কিরে দূরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন কাছে আয়।এতদিন ভাই ছিলি এখন সালা হবি।আকাশঃ হুম সম্পর্কের নামটা বেশ ভাল হয়েছে সালা……আর মেঘলা আমার সামনে অন্যজনের জন্য এত সাজগোজ করেছিস কত সাহস তোর দাঁড়া মজা দেখাচ্চ (মনে মনে)আকাশ গিয়ে সবার সাথে বসল।আকাশঃ তা শুভ ভাই মেয়ে কেমন লাগল?শুভঃ তোর বোন আমার কি খারাপ লাগতে পাড়ে?আকাশঃ তাই তো মেয়ে ভালই….. তবুও আমি ত তোমার ভাই তাই না? ভাই হিসেবে আমারো ত কিছু দায়িত্ব আছে তাই না?শুভঃ অবশ্যই আছে কি করতে চাস…???আকাশঃ বলছি দাঁড়াও, ভাবি দেবরকে এক কাপ চা করে খাওয়ান তো দেখি রান্নার হাত কেমন?মেঘলাঃ এখন চা খাওয়ার সময়?আকাশঃ বোঝলাম কিপটা বউ কখনো মেহমানদের খেতে দিবে না। যাক সমস্যা নেই ভাবি একটু হেটে দেখান….মেঘলাঃ কি আজব হাঁটব কেন?আকাশঃ ভাই দেখো বউ কেমন জগড়াটে? নতুন বউ তাও মুখে মুখে কথা বলে বিয়ের পর কি হবে চিন্তা করো….মেঘলাঃ আমি মোটেও জগড়াটে নই চুপ থাকুন দেখাচ্ছি।মেঘলা হেটে দেখালো।আকাশঃ আচ্ছা ভাবি আপনার চুল কত লম্বা দেখান দেখি।মেঘলা ঘোমটা খুলে চুল দেখাল।আকাশঃ যাক ঘোমটা খুলার পর আর বউ বউ লাগছে না |বাহ বেশ বেশ সুন্দর চুল….আচ্ছা ভাবি এবার ঠোঁট থেকে এই লাল রং টা মুছোন দেখি।মেঘলাঃ এসব কি ধরনের কথা?শুভঃ সত্যিই তো আকাশ কি করছিস? আকাশঃ আমি থাকতে তুমি ঠকবে তা কি করে হয় ভাই?ইনি ৫ কেজি ময়দা মেখে এখানে বসেছেন তাই বাস্তবে দেখতে কেমন সেটাই দেখাতে চাচ্ছি।কি বলেন আন্টি আমি ঠিক বলি নি?শুভর মাঃ ঠিকি ত এত সাজগোজের কি দরকার নরমালি মেয়ে কে দেখতে কেমন দেখি।মেঘলাঃ আমার সাথে ফাযলামি……. আমি বউ সেজেছি সেটাই সহ্য হচ্ছে না তাই তো?যাক সাজটা সার্থক হল আপনাকে জ্বালানোর জন্যই তো এত সাজগুজ।এখন আবার আমাকে শিক্ষা দিতে চাচ্ছেন? তাত হবে না সোনা আমিই উল্ট আপনাকে শাস্তি দিব মিঃ আকাশ দাঁড়ান দেখাচ্ছি(মনে মনে)।মেঘলাঃ আচ্ছা আপনি তো আমার সাথে একা কথা বলতে চেয়েছিলেন তাহলে আমার ঘরে চলুন।আমি চেঞ্জ করে নরমাল হয়ে আসি আর ততক্ষনে আপনিও কথা বলে নিবেন।শুভঃ ঠিক বলেছেন আচ্ছা চলুন।আকাশঃ একটা ছেলেকে নিয়ে ঘরে যাচ্ছে তাও আবার তার সামনে চেঞ্জ করবে….বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছিস মেঘলা থাম চাস না প্লিজ (মনে মনে)মেঘলা শুভ কে নিয়ে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা লক করে দিল।আকাশঃবিয়েটা কিভাবে ভাংব শুভ ভাইকে বলা মানে ত সবাইকে জানানো।এই মুহুর্তে বাড়ির কেউ কি আমাদের সম্পর্ক মেনে নিবে?যেখানে আমার বিয়ে ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে আছে।আর এখন মেঘলা নিজেও তো আপত্তি করবে আমি কি করব এখন? ভাবতে ভাবতে মন খারাপ করে আকাশ নিজের ঘরে গেল।। ।।বেশ অনেক্ষন হয়ে গেছে মেঘলা আর শুভ একসাথে রুমে সময় কাটাচ্ছে রুম থেকে বের হওয়ার নামই নিচ্ছে না তাও ঘরের দরজা ভিতর থেকে লক করে দিয়েছে। আকাশের খুব রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পাড়ছে না কারন বাড়ির সবাই শুভ কে জামাই হিসেবে মেনে নিয়েছে কেউ তাদের একসাথে থাকা নিয়ে আপত্তি করছে না তাই আকাশ ও কিছু বলতে পাড়ছে না।আকাশঃ এখন যদি বের না হস আমি তোকে খুন করে ফেলব মেঘলা…..আর এই শুভ উগান্ডার বাচ্চা ভিতরে এতক্ষন ধরে কি করছিস হে ?বের হ ভাই প্লিজ তোর ২ টা পায়ে পড়ি আরভাল লাগছেনা। উফফ কেমন যে লাগছে কিভাবে বোঝাব….নাহ আর সহ্য হচ্ছে না এবার মনে হয় হার্ট অ্যাটাক করব এসব আর নিতে পাড়ছি না|খোদা রহম করো ঘূর্নিঝড় দাও,ভুমিকম্প দাও তবু এদের ঘর থেকে বের করো প্লিজ…..!!!।
পরবর্তী পর্বের জন্য ক্লিক করুন :>> চলবে
Writer :- মোনা হোসাইন