Golperjogot

Golperjogot

লাভার নাকি ভিলেন - পর্ব ৩ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

আকাশ কিছু টাকা এগিয়ে দিয়ে বলল ওই যে দেখছিস স্টপেজ একটু পড়েই বাস আসবে কন্টাকদার কে বলবি কলেজের সামনে নামিয়ে দিতে তাহলেই নামিয়ে দিবে।
মেঘলাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে টাকা গুলি হাতে দিয়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে চোখের পলকেই চলে গেল আকাশ।

মেঘলা শহরে একেবারে নতুন।কিছুই চিনে না আর একা একা বাসেও উঠে নি কখনো তাই তার ভয় করছে কিন্তু অসহায় এর মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া আপাতত তার আর কিছুই করার নেই



মেঘলাঃ সেই তো নিয়ে গেল না তাহলে এতকিছু কেন করাল? আমিও কি বোকা উনার কথামত রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাজগোজ মুছলাম হাহ কপাল🙄
যাক কি আর করার যা হবার হয়েছে,কলেজের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে এবার যেতে হবে কিন্তু কিভাবে যাব আমিত অন্যমেয়েদের মত স্মার্ট নই বাসে কি চড়তে পারব? আচ্ছা বাসায় চলে গেলে হয় না? কাল নাহয় কলেজ যাব।
নাহ আজ কলেজের প্রথম ক্লাস না আজকেই যাই আর আংকেল ব্যস্ত জন্যই তো আকাশের সাথে পাটিয়ে ছিল কাল আবার উনাকে দিয়েই পাঠাবে আর সেইম কাজ হবে কাউকে কে প্যারা দেওয়াটা উচিত হবে না।আমিই যাই। অনেক ভেবে মেঘলা স্টপেজে দাঁড়াল ভয়ে রীতিমতো তার হাত পা কাপছে।খুব অস্বস্তি লাগছে কারন এখানে যারা বাসের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই ছেলে।কোন মেয়ে নেই কিছুক্ষন পর একটা মেয়ে এসে দাঁড়াল।মেঘলা বারবার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে। মেয়েটা সেটা লক্ষ্য করে বলল কিছু বলবে?

মেঘলা ভয়ে ভয়ে বলল আপু আসলে আমি এখানে নতুন গ্রাম থেকে এসেছি তাই…..

মেয়েটিঃ ওহ আচ্ছা,কোথায় যাবে?

মেঘলাঃ সিটি কলেজ….

মেয়েটিঃ চিন্তা করোনা আমি তুমায় পৌছে দিব।বাই দা অয়ে আমি নাদিয়া,তোমার কলেজেই পড়ি।উপড়ের ক্লাসে।
কথাটা শুনে মেঘলার মুখে হাসি ফুটে উঠল।

কিছুক্ষন পর বাস আসল কিন্তু একটাই সিট খালি আছে নাদিয়া মেঘলাকে বসিয়ে দিল।

মেঘলাঃ আপু আমি দাঁড়িয়ে যেতে পাড়ব। আপনি বসুন প্লিজ।

মেয়েটিঃ তুমি বসো। দাঁড়িয়ে যেতে আমার সমস্যা হবে না কিন্তু তুমি দাঁড়িয়ে গেলে আমি আর কলেজেই ঢুকতে পাড়ব না।
মেঘলা খুব অবাক হয়ে বলল মানে…..??

নাদিয়াঃ কিছু না তুমি আমার ছোট বোনের মত আমি কি নিজের ছোট বোনকে দাঁড় করিয়ে রেখে বসতে পাড়তাম বলো?দায়িত্ব যখন নিয়েছি পালন করতে হবে।

রাস্তায় নাদিয়া আর মেঘলা অনেক কথা বলল।

একসময় তারা কলেজে পৌছে গেল আজ কলেজটা বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে

মেঘলা নাদিয়া কে জিজ্ঞাস করল আপু আজ কি এখানে কোন অনুষ্ঠান আছে নাকি?

নাদিয়াঃ ও মা মেয়ে বলে কি? আজ তোমাদের নবীন বরন না? আজ তো তোমাদের বরণ করা হবে।তারপর নাচ গান হবে।

মেঘলাঃ তাই বোঝি?তাহলে তো খুব মজা হবে।আসলে আমি এসব জানতাম না।
নাদিয়াঃ হুম তাই… চলো ভিতরে চলো।

যেতে যেতে নাদিয়ার এক বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়ায় সে মেঘলাকে বলল তুমি যাও আমি আসছি।

মেঘলা আচ্ছা আপু যাচ্ছি মেঘলা মনে মনে ভাবছে ধুর আজ কলেজে অনুষ্ঠান জানলে তো একটু ভাল ড্রেস পড়ে আসতাম। যাও একটু সেজেগুজে এসেছিলাম বদমেজাজির জন্য সেটাও হল না।কেমন যে দেখাচ্ছে আমায় কে জানে।ভাবতে ভাবতে কলেজে ডুকছে তখনি কয়েকটা ছেলে মেঘলাকে একা পেয়ে র‍্যাগিং করা শুরু করল প্রথম মেঘলা রিয়েক্ট করলেও ওদের কথা শুনে ওর কান্না পাচ্ছে।

তখনি নাদিয়া পিছন থেকে দৌড়ে এসে ছেলেগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলল কলেজে নতুন তাই না?তোমাদের কপাল খুব খারাপ সাথে আমারটাও সুস্থভাবে কলেজে এসেছিলে কিন্তু প্রথম দিনেই নিজের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পাড়বে না।

পড়ুন  Love Never Ended Part 9 | Come Back Sad Love Story

কথা গুলী শুনেই ছেলেগুলো এসে নাদিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগল। মেঘলা অবাক হয়ে দেখছে আমিও মেয়ে উনিও মেয়ে কিন্তু আমাদের কত পার্থক্য আমাকে ছেলেগুলী কত কিছু বলল আর উনাকে কত ভয় পাচ্ছে।

তখন নাদিয়ার সেই বান্ধবিটা এসে বলল কি হয়েছে?
নাদিয়া চেচিয়ে বলল কি হয়েছে বোঝতে পাড়ছিস না?এখনো কিছু হয় নি তবে হবে আজ তো আমার কপালে দুঃখ নিশ্চিত আমাকে তখন কেন আটকে ছিলি বলতো সব দোষ তোর কিন্তু শাস্তি পেতে হবে আমার? আর কখনো কলেজে আসা হবে কিনা জানি না।নাদিয়ার কথার আগামাথা মেঘলার ছোট মাথায় ঢুকছে না।

মেঘলা এসে বলল ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলেছো এতে দোষের কি হল?

নাদিয়াঃ আমার যে কি হয়েছে কাউকে বলতে পাড়ব না।কিন্তু আমার সাথে সাংঘাতিক কিছু ঘটতে চলেছে এটা জানি আর সেটা শুধুমাত্র এই ছেলেগুলির জন্য।
তুমি যাও আপু প্যান্ডেলে গিয়ে বসো। এদিক ওদিক কোথাও যেও না প্লিজ।

মেঘলা নাদিয়ার কথায় অবাক হলেও কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পেল না তার আগেই নাদিয়া ওকে পাটিয়ে দিল।

নাদিয়া গিয়ে প্যান্ডেলে নির্দিষ্ট জায়গায় বসল।

কিছুক্ষন পর অনুষ্ঠান শুরু হল।উপস্থাপনার জন্য একটা ছেলে আসল। যাকে দেখে মেঘলার হার্টবিট বেড়ে গেছে কারন ছেলেটা আকাশ,সে যে ড্রেসে বাসা থেকে বের হয়েছিল সে ড্রেস পরে নয় নতুন ড্রেসে নতুন সাজে সবার সামনে এসেছে। নীল পাঞ্জাবিতে আকাশকে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে সব মেয়ের চোখ তার দিকেই।মেঘলাও হা করে তাকিয়ে আছে।

আকাশঃ ভাবছি কি বলা যায়… আসলি কি বলা উচিত? তোমাদের আমাদের আমাদের কলেজে স্বাগতম জানানো উচিত তাই না? কিন্তু আমি তা বলব না বরং কলেজের স্যার এবং পুরাতন সকল সুডেন্টদের বলব আসুন দেখে যান আমাদের কলেজে আজ তারার মেলার বসেছে।
কারন এখানে আজ যারা বসে আছে প্রত্যেকেই এক একটা ★ ☆ ★ যাদের পরিচয়ে সবাই আমাদের কলেজ কে নতুন করে চিনবে।তাহলে চলুন প্রথমেই সেই স্টারগুলোকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেই।
আকাশ সুন্দর করে গুছানো উপস্থাপনার মাধ্যমে সবাইকে আনন্দ দিচ্ছে।
আর ৪ টা ছেলে মেয়ে এসে সবাইকে ফুল দিতে লাগল।সবাইকে রজনীগন্ধার স্টিক দেওয়া হচ্ছে।মেঘলার খুব ভাল লাগছে আকাশ নানা ভংগিতে কথা বলে সবাইকে হাসিয়ে যাচ্ছে। ১ টা ফুল দিতে দিতে মেঘলার কাছে এসে একটা গোলাপ দিল। মেঘলা বলল সবাই তো রজনী গন্ধা পেয়েছে আমি গোলাপ কেন?

মেয়েটা হেসে বলল তোমার গোলাপ পছন্দ তাই।
মেঘলা হতবাক….আপনি কি করে জানেন আমার গোলাপ পছন্দ?

মেয়েটা আমতা আমতা করে বলল না মানে সব মেয়েরেই তো গোলাপ পছন্দ তাই বল্লাম আসলে আমার কাছে রজনিগন্ধা শেষ তাই গোলাপ দিলাম বলে মেয়েটা চলে গেল।অথচ মেয়েটার হাতে রজনিগন্ধা ছিল।

মেঘলাঃ মিথ্যা কেন বল্ল? যাক ভালই হল নিজেকে লাকি মনে হচ্ছে সবাই রজনিগন্ধা পেয়েছে আমি গোলাপ কথাগুলো ভেবে…. সে আবার আকাশের কথায় মন দিল।

একে একে স্যারেরা বক্তব্য রাখল।
বক্তব্য শেষে আকাশ বলল এবার উপস্থাপনা করবে নাবিল।
কথাটা বলতেই সবাই আপত্তি জানাল তারা আকাশের উপস্থাপনা শুনতে চায়।
নাবিল এসে বলল আরে আপনারা কি আকাশের কথাই শুধু শুনবেন আমাদের হিরোর নাচ দেখবেন না? একটু সময় দিন হিরো ড্রেস চেঞ্জ করে আসুক।
তারপর নাবিল কথা বলতে শুরু করল। মেঘলার চোখ শুধু আকাশ কে খোঁজছে।সে এদিক ওদিক খোঁজতে লাগল।
কিছুক্ষন পড়েই স্টেজের পাশে এসে আকাশ দাঁড়াল। আকাশ এবার কালো জ্যাকেট পড়েছে সাথে সাদা টিশার্ট। চুল জেল দিয়ে সেট করেছে কানে কাল দুল পড়েছে সাথে সান গ্লাস তার এই লুক দেখে হয়ত অনেকেই ক্রাস খেয়েছে যার ফলে আকাশ আসতেই কিছু মেয়ে স্টেজের সামনে গিয়ে আকাশের সাথে কথা বলতে শুরু করল।আকাশো হেসে হেসে কথা বলছে তাদের সাথে।মেঘলার আকাশ কে দেখতে ভাল লাগলেও মেয়েদের সাথে কথা কথা বলাটা তার খুব খারাপ লাগছে।

পড়ুন  ভিলেন – এ্যাকশন লাভস্টোরি পর্ব 7 | Villain Bangla Golpo

মেঘলাঃসাকচুন্নির দল জীবনে ছেলে দেখিস নি?
(মনে মনে) আর আকাশও বা কেমন আমার সাথে আগে এত মিশত আর এখন সারাদিনে একটা কথা পর্যন্ত বলে না কিন্তু এদের সাথে তো ঠিকি বলছে।

আকাশ পারফরম্যান্স করার জন্য রেডি কিন্তু মেঘলার এসব সহ্য হচ্ছে না।স্টেজে আকাশের ডাক পড়তেই মেয়েগুলো চিৎকার করে আকাশকে welcome জানালো। আকাশ আর একটা মেয়ে নাচ করবে মেয়েটাও স্টেজে আসল সাথে সাথে মেঘলার মন আরো খারাপ হয়ে গেল।মুখ মলিন করে পাশের মেয়েটাকে বলল আচ্ছা আজ তো ক্লাস হবে না তাই না?

মেয়েটাঃ না হবে না।

মেঘলাঃ ওহ এখানে বাস স্টপেজ কোথায় আমাকে একটু বলতে পাড়বে।

মেয়েটা বলে দিল। মেঘলা যেই উঠতে যাবে তখনি দেখল আকাশ ফোনে কথা বলতে বলতে স্টেজ থেকে নেমে গেল। আর সবাইকে হতাশ করে বলল পড়ের কাপলদের ডাক নাবিল আমি পারফরম্যান্স করব না।একটু প্রবলেম হয়ে গেছে। আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলল।আকাশ যা বলে তাই করে সেটা সবাই জানে তাই আর কেউ জোর করল না।

মেঘলা বোঝল না কি ঘটল। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে দেখল একটা ছেলে ফোন হাতে দাঁড়িয়ে আছে।এটা দেখে মেঘলার সন্দেহ হল তারপর সে হিসাব মিলাতে শুরু করল।
আচ্ছা আজ কলেজে অনুষ্ঠান

আকাশ আমাকে রেখে চলে আসল? আর নাদিয়াকে কে কি আকাশই পাঠিয়েছিল তাই নাদিয়া এমন অদ্ভুত কথা বলছিল। আর গোলাপ যে আমার পছন্দ সেটা তো আকাশ ছাড়া এখানে কেউ জানে না।তাহলে কি গোলাপ টা আকাশ দিল?আর এই ছেলেটাকি এখন আকাশ কে বলল যে আমি চলে যেতে চাইছি তাই আকাশ নাচল না? কথাগুলো ভেবেই মেঘলার মন খুশিতে ভরে গেল….
আমি জানতাম আকাশ বদলাতে পাড়ে না।কিন্তু ও আমার সাথে কথা বলে না কেন? আমি কি কিছু ভুল করেছি? যাই হোক আমি ওর রাগ ভাংগাব।

মেঘলা উঠে গিয়ে আকাশের পিছন পিছন গেল। প্যান্ডেল থেকে বের হয়েই মেঘলা দৌড়ে গিয়ে আকাশ কে জড়িয়ে ধরল।সে আকাশ কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আকাশ মেঘলাকে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে দিল।
আর ধমক দিয়ে বলল এটা কি ধরনের অসভ্যতা…??

মেঘলাঃ আকাশ…..

আকাশের চিৎকার শুনে অনেকেই বাইরে এলো।

কিরে আকাশ কি হয়েছে?

আকাশঃ কি হয়নি সেটা বল? কে এই মেয়েটা? কথা নাই বার্তা নাই হুট করে এসে জড়িয়ে ধরল যতসব ফালতু মেয়ে লাজ লজ্জা কিছু নাই।

ছেড়ে দে আকাশ বাচ্চা মেয়ে হয়ত বোঝতে পাড়েনি।

আকাশঃ কি বোঝতে পাড়েনি? বয়স কম না হয় বোঝলাম কিন্তু এতটাও ছোট নয় যে এটা বোঝবে না। ছেলেদের সাথে কিভাবে সে*** করতে হয় সেটা তো ঠিকি শিখে গেছে।তা নাহলে জড়িয়ে ধরত নাকি?

কথাটা শুনে মেঘলার মাটি ফাঁক করে ঢুকে যেতে ইচ্ছা করছে।কিছু বলতে পাড়ছে না।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

আকাশঃ চিনা নাই জানা নাই একটা ছেলে জড়িয়ে ধরার কারনটা কি জানতে পাড়ি? মা বাবা কিছু শিখায় নি? তোমাকে যেন নেক্সট টাইম চোখের সামনে না দেখি ঠিকআছে।শোনো ছেলেদের সাথে মিশার খুব ইচ্ছা হলে চোখে কাজল দিয়ে ঠোঁটে লিপষ্টিক পড়ে চুল খোলে কানে দুল পড়ে রাতে ওভারব্রীজ এ দাঁড়িয়ে থেকো কলেজে আসার দরকার নেই বোঝেছো?
এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেন কথাগুলি শুনতে খুব ভাল লাগছে? অবশ্য যে যেমন তাকে সেটা বল্লে ভাল লাগার এই কথা বেহায়া মেয়ে যাস্ট বিদায় হও চোখের সামনে থেকে।

পড়ুন  ভিলেন পর্ব 78 - প্রেমের গল্প | Romantic Premer Golpo

মেঘলাঃ আপনি…..

আকাশ মেঘলার মুখ চেপে মেঘলাকে টেনে একটু দূরে নিয়ে বলল কি বলবি? আমি তোকে চিনি তাই তো? শোন কেউ যদি এটা জানতে পড়ে তোর পড়াশুন এখানে বন্ধ করে দিব মনে রাখিস। আকাশ তার ফ্রেন্ডদের দিকে তাকিয়ে বলল এই তোরা কেউ এটাকে নিয়ে যা না প্লিজ সামনে থাকলে কি কি করব নিজেই জানি না।

ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটা মেয়ে এসে মেঘলাকে নিয়ে গেল মেঘলার গাল লাল হয়ে গেছে।কাঁদতে কাঁদতে মেঘলা কলেজ থেকে বের হয়ে গেল।

কিন্তু একটু পড়েই মেঘলা আবারো আকাশের কাছে ফিড়ে আসল।আকাশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিল।

মেঘলা একটু দূর থেকে আকাশকে ডাকল।মেঘলাকে দেখে আকাশ রেগে গেল।আকাশ মেঘলার কাছে গিয়ে আবারো প্রচন্ড জোরে একটা থাপ্পড় মারল তাল সামলাতে না পেরে মেঘলা নিচে পড়ে গেল।আকাশ এসে বলল লজ্জা বলতে কিচ্ছু নেই তোর?

মেঘলা কোনমতে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বলল আমি চলেই গেছিলাম কিন্তু স্টপেজে গিয়ে দেখি আপনার দেওয়া টাকাগুলি হাতে নেই কোথাও ফেলে দিয়েছি অনেক খোঁজেছি পাইনি তাই বাধ্য হয়ে আবারো এসেছি কারন টাকা ছাড়া তো বাড়ি যাওয়া সম্ভব না।

আকাশ মুখের উপড় কয়েকটা ছুড়ে দিয়ে বলল সবার সামনে এটাই প্রমান করতে চাস তো যে আমি তোকে চিনি তাই টাকা নেওয়ার অযুহাতে আমার কাছে আসলি এখন সবাই জিজ্ঞাস করবে আমি কেন তোকে টাকা দিলাম বাধ্য হয়ে স্বীকার করতে হবে আমি তোকে চিনি কি বুদ্ধি রে তোর মাথায়।

আমি তো সবার সামনে কিছু বলিনি আপনাকে ডেকে এনেই তো বল্লাম।তার জন্য মারলেন ও।কাঁদতে কাঁদতে বলল মেঘলা।

পাকামি করতে হবে না টাকাগুলি তুলে নিয়ে বিদায় হ এখনের পর থেকে যাই হয়ে যাক আমার কাছে আসবি না মনে করবি আমি তোকে চিনি না।বলে আকাশ মেঘলাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে গেল।

মেঘলা একটা বাইকের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ল তার পর বাইকটাও পড়ে গেল। আকাশ সেটা না দেখেই চলে গেল ।

মেঘলা সেখানে বসেই কাঁদতে লাগল কিছুক্ষন পর নাবিল বাইক নিতে আসল।

এসে দেখে একটা মেয়ে তার বাইকের পাশে বসে বসে কাঁদছে।
নাবিলঃ আরে বাইকটা পড়ল কিভাবে? আর কে আপনি? এভাবে কাঁদছেন কেন?

মেঘলাঃ পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছি কোন খচ্চরের বাইক জানি এটা পায়ের উপড় পড়েছে সরাতেও পাড়ছি না আর উঠতে পাড়ছি না।

নাবিলঃ ও মাই গড কি বলেন কাউকে ডাকলেন না কেন পা হয়ত ভেংগে গেছে।নাবিল বাইকটা তুলে মেঘলাকেও তুলল তারপর বলল চলুন আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

মেঘলঃ না না আমি নিজেই যেতে পাড়ব বাইক টা ত পায়ের উপড় পড়ে নি সামনের দিকটা একটু পড়েছিল।বেশি লাগেনি কিন্তু বাইকটা নড়াতে পাড়ছিলাম না তাই উঠতে পাড়ি নি যেতেও পাড়িনি আর আপনি কেন নিবেন আপনি যান আমি নিজেই যেতে পাড়ব।

নাবিলঃ আমি নিব কারন বাইকটা আমার মানে এই খচ্চরের তাই।চুপচাপ বসুন তো একটা মেয়েকে এভাবে ফেলে রেখে আমি যেতে পাড়ব না…..



চলবে…!!!

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top