Golperjogot

Golperjogot

লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩২ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

Lover Naki Villain

Mona Hossain { Part 32 }

আকাশ মেঘলাকে কথাগুলি বলে ইরাকে বলল , চলো ইরা আমার ভাল লাগছে না আমরা এখন যাই।ইরাও আকাশের কথায় সায় দিয়ে বলল হুম চলো।আকাশ আর ইরা চলে যাচ্ছে মেঘলাও ওদের সাথে সাথে আসছিল কিন্তু আকাশ থেমে গিয়ে বলল তুই কোথায় যাচ্ছিস?মেঘলাঃ বাসায় যাব না?আকাশঃ হ্যা যাবি কিন্তু আমাদের সাথে না।নিজের ব্যবস্থা নিজে করে নে… বলে আকাশ ইরাকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল।একটু এগিয়ে গিয়ে আবার ফিড়ে এসে বলল,মেঘলা তোর ফোন টা দে তো….মেঘলা ফোনটা দিতেই আকাশ সেটা ভেংগে ফেলল তারপর মেঘলার হাত থেকে রিংগুলি খুলতে খুলতে বলল তোর মত মেয়ে আমার ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য না।রিংগুলি খুলে নিয়ে পাশের একটা ডোবায় ফেলে দিল।মেঘলা কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু আকাশ না শুনেই হন হন করে হেঁটে চলে গেল।মেঘলা আকাশ আর ইরার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকল আস্তে আস্তে মেঘলার দৃষ্টির সীমা পেড়িয়ে চলে গেল আকাশ।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে মেঘলার। তার কাছে কোনো টাকা নেই বাসায় কিভাবে যাবে ভাবতে ভাবতে হাঁটছে মেঘলা, বাসা এখান থেকে ৫ কিলো দূরে। হেঁটে যাওয়া অসম্ভব নয় কিন্তু কষ্টকর।যতই কস্টকর হোক মেঘলার আর কোন উপায় নেই তাই হেঁটে হেঁটেই বাসায় যেতে লাগলএক সময় বাসায় পৌছও গেল, ৩ ঘন্টা লেগেছে মেঘলার আসতে।শরীর অসম্ভব ক্লান্ত লাগছে সে বাসায় ফিড়েই নিজের ঘরে চলে গেল।বিছানায় গা মিশাতেই মেঘলার ইচ্ছা করছে ঘুমের রাজ্য পাড়ি দিতে কিন্তু তা আর হল না আকাশ এসে মেঘলার হাত ধরে টানতে লাগল।মেঘলা তাকাতেই আকাশ তাকে টেনে নিয়ে গেল। নিয়ে ওয়াশরুমে ধাক্কা দিয়ে ফেলল আর অনেক গুলি কাপড় চোপড় দিয়ে বলল কেচে দিতে।রাত তখন ১১ তাই মেঘলার আপত্তি করার কথা ছিল কিন্তু সে একটা কথাও না বলে কাপড় ধুতে শুরু করল।ঘরে বসে আকাশ আর ইরা নানান গল্প করছে বিয়েতে কি কি করবে এমন কি বাচ্চার নামও রেখে ফেলেছে।মেঘলা সব শুনতে পাচ্ছে নিজের অজান্তেই জল জমছে মেঘলার চোখের কোণে। যে চোখের জল কে চোখের কোনেই লুকিয়ে রাখতে হয় বাইরে গড়িয়ে পড়তে দেওয়া যায় না।বুক ফাঁটা কান্না যাকে বলে।।।।ঘড়ির কাঁটা ১২ টার ঘর পার হওয়ার পর আকাশ ওয়াশরুমে গেল।সেখানে গিয়ে সে অবাক হয়ে গেল কারন মেঘলা কাপড় ধোয়া বাদ দিয়েছে। সেটা তাও মানার মত ছিল কিন্তু মেঘলা ওয়াশরুমে বসে দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে দেখে আকাশ ভীষন অবাক হল। আকাশ সাথে সাথে এক বালতি পানি নিয়ে মেঘলার উপড় ঢেলে দিল।মেঘলা ধরফরিয়ে উঠল,আকাশঃ এখন এই ভিজা অবস্থাতেই তুই কাপড় ধুবি এই প্রথম কাউকে দেখলাম যে কিনা ওয়াশরুমেও ঘুমাতে পাড়ে যতসব আজাইরা অভিনয়।বলে আকাশ চলে গেল।রুমে এসে আকাশ বসতেই তার মাথায় একটা চিন্তা এসে ভর করল।আকাশঃ মেঘলার এই যখন তখন যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়াটা কি স্বাভাবিক ?নাকি কোন গাফলা আছে এর পিছনে?না এতটা হেঁটে এসেছে তাই মনে হয় ক্লান্ত ছিল অথব অভিনয় করে।।।।মেঘলা ঠান্ডার মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে কাপড় ধুয়ে শেষ করল।আকাশ মেঘলার আচারনে অবাক হচ্ছে কারন মেঘলা আকাশের সব কাজ বলার সাথে সাথেই করছে কোন আপত্তি করছে না।এমন কি কথা বলাও কমিয়ে দিয়েছে…মেঘলা সব কাজ করে রুমে যাচ্ছিল তখনি ইরা এসে বলল মেঘলা তোমাকে বলেছিলাম না দিন একদিন আমারো আসবে দেখেছো এসেছে।তোমার চোখের সামনে আকাশ আমার হবে তুমি কিছুই করতে পাড়বে না।মেঘলাঃ আমি নিজেই চাই আকাশ তোমার হোক বলে একটু হেসে চলে গেল।মেঘলা ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।পরদিন সকালে মেঘলা সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেল কিন্তু তাতেও দুর্ভোগ হল আকাশ চা খাওয়ার বদলে মেঘলার উপড় ছুড়ে মারল।মেঘলা এবারো কিছু বলল না।সকালে সবার খাওয়ার পর মেঘলা যখন খেতে বসবে তখন আকাশ বলে বসল মেঘলার খাওয়া বন্ধ কেউ যেন তাকে খাবার না দেয়।মেঘলা এবার আর মানতে পাড়ল না বলে উঠল আমি রাতেও কিছু খাইনি ভাইয়া খুব ক্ষিদে পেয়েছে অল্প কিছু খেতে দিন প্লিজ…যদিও মেঘলা অনুরোধ করেছিল কিন্তু কথাটা বলার সাথে সাথে আকাশ মেঘলাকে থাপ্পড় মারল।মেঘলা ছিটকে গিয়ে নিচে পড়ল।আকাশ মেঘলার গায়ে হাত দিয়ে অনুভব করল মেঘলার গা গরম হয়ে আছে।জ্বর এসেছে হয়তো কাল ওইভাবে ভিজার জন্য।আকাশ তবুও বাইরে চলে গেল কোনরকম দয়া দেখাল না।এদিকে ইরা সারাদিন ধরে মেঘলাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করিয়েছে।রাত হয়ে গেছে মেঘলার শরীর আর চলছে না।মেঘলা বসে ছিল আকাশ আর ইরাও ছিল।হটাৎ একটা পার্সেল আসল। তাও মেঘলার নামে।মেঘলা অবাক হয়ে পার্সেল রিসিভ করল।প্যাকেট খুলে দেখল তাতে একটা সুন্দর চকলেট কেক যার উপড় লিখা আছে বেস্ট উইস ফর মেঘলা।মেঘলা কেক টা দেখে খুব খুশি হয়েছিল কারন চকলেট কেক তার খুব পছন্দের মনে মনে ভেবেছিল হয়ত আকাশ অর্ডার দিয়েছে।কিন্তু আকাশের কথা শুনে মেঘলার কেক খাওয়ার ইচ্ছা চলে গেল।আকাশঃ বাহ আজ তোর জন্মদিন নাকি মেঘলা? কই আমরা তো জানতাম না রাস্তায় ফেলে রাখা কার না কার জারজ সন্তান তার আবার জন্মদিন হা হা হা এই হাস্যকর কাজ টা কে করল বলতো?নিশ্চুই তোর কোনো নাগর তাই না?মেঘলা উত্তর না দিয়ে কেক এর প্যাকেট টা রেখে চলে যেতে চাইল কিন্তু ইরা এসে বলল ওয়াও কি সুন্দর কেক টা….মেঘলা হেসে বলল তুমি খাবে?ইরা ছুড়ি হাতে নিয়ে বলল অবশ্যই।ইরা যেই কাটতে যাবে আকাশ এসে ইরার হাত ধরে ফেলল।ইরাঃ কি হল?আকাশঃ কাজের মেয়ে থাকতে তুমি কাটবে কেন ওই কেটে তোমাকে দিবে তুমি কস্ট করবে কেন বেবি?ইরা মেঘলার হাতে ছুড়ি হাতে দিয়ে বলল কেটে দাও।মেঘলা কেটে দিল। কিন্তু ইরা যেই মুখে দিতে নিবে আকাশ আবার ইরাকে বাধা দিয়ে কেক এর টুকরা টা নিয়ে মেঘলাকে খেতে বলল।কিন্তু মেঘলা খাবে না বলল।ইরা রেগে গিয়ে বলল কি হল আকাশ?আকাশঃ এটা কে পাটিয়েছে আমরা সঠিক জানি না এটা তো মেঘলার চালও হতে পাড়ে যদি এতে বিষ মিশানো থাকে? তাই আগে ও খেয়ে প্রমান করুক এটা ভাল….তারপর তুমি খাবে আফটার অল তুমি আমার একটাই বউ।ইরাঃএভাবে তো ভাবি নি ঠিকি বলেছো…আকাশ মেঘলার মুখে কেক দিয়ে বলল খা মেঘলাও খেয়ে নিল।আকাশঃ এবার ইরাকে এক পিস কেটে দে ও তো আর তোর এঁটু করা টা খাবে না।মেঘলা কেটে দিল। আর আকাশ মেঘলার খাওয়া টুকরাটাই খেল।আকাশঃ তুই আজ তারিখ টাও ভুলে গেছিস মেঘলা? কিন্তু একদিন তো তুই ই বলেছিল তুই এই দিনটা সবসময় পালন করবি….যেদিন তুই প্রথম বলেছিল আমরা আর জগড়া করব না সবসময় মিলে থাকব।আজ তুই ই ভুলে গেছিস? যাক ভুলে গেলেও তুই ই কেক টা কেটেছিস আর তুই ই প্রথম খেয়েছিস তাতেই হবে….ছোট বেলাটাই ভাল ছিল রে মেঘলা,তুই কেমন আমার সব বদঅভ্যাস গুলি তোর ভালবাসা দিয়ে বদলে দিতি।ভালবাসা তো তুই ই প্রথম শিখিয়েছিলি আমি তো সারাদিন দুস্টামি করতাম তোকে মারতাম জগড়া করতাম কিন্তু তুই এসে প্রথমে বন্ধুত্ব করবি বলেছিলি আমাকে বদলে দিয়েছিলি আর আজ তুই এই আমাকে ছুড়ে ফেলে দিলি (মনে মনে)।।।যদিও ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিয়ের তারিখ ঠিক করা হল ১ মাস পর।আর দেখতে দেখতে সময়ও কেটে গেল আকাশ আর ইরার বিয়ের দিনটাও চলে আসল।আজকাল মেঘলা আর আগের মত ছটফট করে না।আকাশও মেঘলাকে নিয়ে তেমন চিন্তা করে না।ইরা মেঘলার উপড় নানা রকম অত্যাচার করে আকাশ দেখেও কিছু বলে না।ইরা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে মেঘলাকে মার খাওয়ায়।প্রায় প্রতিদিনি মেঘলাকে মার খেতে হয়। মোট কথা মেঘলা আকাশের চোখের সামনে পড়লেই মারে।আর কোন ভুল করলে তো কথায় নেই।এই এক মাসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস হয় নি মেঘলার,সবসময় নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হয়েছে।ইরা মেঘলাকে ঠিক মত খেতে পর্যন্ত দেয় না।বাসায় প্রচুর পানি থাকতেও মেঘলাকে রাস্তার ট্যাপে গিয়ে গোসল করতে হয় রাস্তার লোকেরা বাজে ভাবে তাকিয়ে থাকে তাতেও আকাশের খারাপ লাগে না।মেঘলা আকাশের কাছে কোন অভিযোগ করলে মার খেতে হয়।আকাশ কে ইদানিং মেঘলা খুব ভয় পায় আকাশ কে দেখলেই মেঘলা ভয়ে কুঁকড়ে যায়।আকাশ রাগি লুক নিয়ে তাকালে নিজের অজান্তেই কাঁপতে থাকে মেঘলা কারন আকাশ কোন রকম মায়াদয়া ছাড়াই কারনে অকারনে মেঘলাকে মারে।আগে মারলে ওষধ দিত এখন মেঘলা ব্যাথা সহ্য করতে না পেড়ে নিজে ওষধ খেতে চাইলেও আকাশ খেতে দেয় না।আকাশ বাড়ির সব কাজের লোকদের বিদায় করে দিয়েছে রান্না থেকে শুরু করে ঘর মুছা বাসন মাজা কাপড় ধোয়া এমনকি বাজার করা সব মেঘলাকে দিয়ে করায়।বাজারে ছেলেরা মেঘলাকে আজেবাজে কথা বলে জন্য মেঘলা একদিন বলেছিল অন্তত বাজারের জন্য একটা লোক যেন রাখে,কিন্তু এটা বলার জন্য আকাশ মেঘলাকে খুব মেরেছিল মারার পড়ে আবার সারাদিন বাথরুমে বন্দি করে রেখেছিল। এরপর থেকে মেঘলা কোনদিন কোন কাজে আর আপত্তি জানানোর সাহস পায় নি।।এই একমাসে মেঘলা বোঝে গেছে আকাশ এর মনে থেকে তার সব চিহ্ন একেবারে মুছে গেছে।মেঘলার কলেজে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে কারন বাসার কাজ একটু উনিশ বিশ হলেই আকাশ ভয়ানক শাস্তি দেয়।মেঘলা কবে পেট ভরে খেয়েছিল সেটাও আজ ভুলে গেছে।এক বেলা খেতে পেলে ২ বারেই খেতে দেয় না।বাড়ির কেউ আকাশের কথার উপড় কথা বলার সাহস পায় না।আকাশ সবসময় রেগে থাকে।শুধু যে মেঘলার উপড় রাগ দেখায় তাই না সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে প্রতিদিনি আকাশ কে নিয়ে নিউজ হয় আকাশ বাইরেও খুব মারামারি করে।কিন্তু সবার সাথে খারাপ আচারন করলেও আকাশ ইরাকে খুব ভালবাসে ইরা যাই বলে তাই করে একমাত্র ইরার সাথেই সে একটু ভাল সময় কাটায়, তাকে নিয়ে প্রায়েই ঘুরতে যায়,সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলেও সময়ময় বাসায় এসে নিজের হাতে ইরাকে খায়িয়ে দিয়ে যায় যত ব্যস্তই থাকুক এটা কখনো মিস করে না। ইরার জন্য দামি দামি গিফট নিয়ে আসে আকাশ। ইরার খুব যত্ন নেয় যেমন টা আগে মেঘলার নিত।আকাশ আস্তে আস্তে ইরাকে মেঘলার জায়গাটা দিয়ে দিয়েছে ইরাও আকাশ কে খুশি রাখে।।।।।আগামিকাল ইরা আর আকাশের বিয়ে,মেঘলা রাতে শুয়ে আছে চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে মেঘলার কারন আজও সে মার খেয়েছে।ইরা মেঘলাকে জুতা পড়িয়ে দিতে বলেছিল মেঘলা আপত্তি করায় আকাশ বাড়ি ভর্তি মেহমানের সামনে যা নয় তাই বলে অপমান করেছে মেঘলাকে বাবা মার পরিচয় নিয়ে কথা বলেছে এমনকি তার মায়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সবার সামনে জুতা পড়িয়ে দিতে বাধ্য করেছে জোরে জোরে থাপ্পড় ও মেরেছে।।মেঘলাঃ আচ্ছা ভালোবাসা বোঝি এমনি হয়? আকাশ আপনি কি সত্যিই আমায় ভালবাসেন বা কোনদিন বেসেছিলেন?আমার জন্য আপনার যেটা ছিল হয়ত ভাললাগা ছিল কিন্তু সেটা ভালবাসা কিছুতেই হতে পাড়ে না।ভালবাসা কখনো স্বার্থের জন্য হয় না। আজ আমি আপনাকে খুশি করতে পাড়ি নি বলে আপনি আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন? একবারো ভাবলেন না আমি যাই করে থাকি আমি তো আপনাকে ছেড়ে চলে যাই নি…আচ্ছা আমি কি এমন করেছিলাম?শুধু এইটুকুই তো বলেছিলাম যে আপনার সাথে প্রেম করব না তাই বলে অন্যকারোর হাত ধরে চলে তো যাই নি আপনার কাছেই ছিলাম।আগেও যেমন আপনার সেবা করতাম এখনো হয়ত তাই করতাম কিন্তু শুধু প্রেম করব না এই একটা কথায় আপনাকে কতটা বদলে দিল? আজ আমার জন্য আপনার কোনো ইমোশান কাজ করে না আপনি হয়ত ভুলেই গেছেন আমিও রক্তে মাংসে তৈরি একটা মানুষ কোন রোবর্ট নই।যে আকাশ আমাকে এত কেয়ার করত সে আজ রাতের বেলা আমাকে একা রেখে চলে আসতেও দ্বিধা করে না ছেলেরা বাজে ভাবে তাকালেও তার খারাপ লাগে না। ব্যাথায় ছটফট করলে একটা ওষধ দেয় না বরং ওষধ খাওয়ার অপরাধে আরও মারেন ক্ষিদের জ্বালায় একবার খাবার চাইলে, খাবার দেওয়ার বদলে পরের বেলার খাবারটাও বন্ধ করে যদি ভালবাসতেন তাহলে কি পারতেন এমন করতে?নাইবা করলাম বিয়ে,দিলাম নাহয় হাজার কস্ট আপনাকে তাই বলে ভালবাসা কমে যাবে? এটাই বোঝি ভালবাসা?না এটা আর যাই হোক ভালবাসা হতে পাড়ে না সার্থের জন্য ভালবাসা বদলায় না যেমন আমি পাড়িনি বদলাতে হাজার কস্ট সহ্য করেও আপনার কাছেই পড়ে আছি পাড়ি নি আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পাড়ি নি।পাড়িনি নিজেকে বদলাতে কিন্তু আপনি বদলে গেছেন।ভাল হয়ত আপনিও বেসেছেন কিন্ত আমায় নয় ভালবেসেছেন নিজেকে…তাই তো যখন শুনছেন আমি আপনার সাথে প্রেম করব না সাথে সাথে নিজেকে ভাল রাখতে অন্যকাউকে বেচে নিয়েছেন।আপনি নাকি আমার মনের কথা শুনতে পেতেন তাহলে আজ কোথায় গেল সেই মনের টান কেন আমার নিশব্দ কান্নার আওয়াজ আপনার কানে পৌছাচ্ছে না?এই স্বার্থপর আকাশকে তো আমি কখনই চাই নি। আমার আকাশ হারিয়ে গেছে,যা হচ্ছে ভালই হচ্ছে।কিন্তু আমি যে শুনেছিলাম প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে নাকি অনেকেই সারাজীবন আর বিয়ে না করে প্রেমিকার স্মৃতি আখরে ধরে বেঁচে থাকে,অনেকেই নাকি সোসাইড পর্যন্ত করে সেসব কি তাহলে মিথ্যা?নাকি এমন নিস্বার্থ ভালবাসা পাওয়ার জন্য ভাগ্য লাগে? যে ভাগ্য হয়ত আমার ছিল না…

পরবর্তী পর্বের জন্য ক্লিক করুন :>> চলবে

Writer :- মোনা হোসাইন

Leave a Comment