Golperjogot

Golperjogot

লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩৩ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

Lover Naki Villain

Mona Hossain { Part 33 }

বিয়ের সময় হয়ে গেছে…. বাড়ি ভর্তি মেহমান।আকাশ নিজের রুমে রেডি হচ্ছে,আকাশ মেঘলাকে দায়িত্ব দিয়েছে ইরাকে সাজানোর।মেঘলাও মন দিয়ে সাজাচ্ছে।মেঘলার মুখেও হাসি।সে এসব মেনে নিয়েছে।কিন্তু একজন এই বিয়ে একদমি মেনে নিতে পাড়ছে না সেই একজন হল নাবিল।নাবিল অনেক্ষন ধরে ২ জনের ভাব দেখল,নাবিলঃ না এসব ফাযলামি আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না,নাবিল এবার তোর কিছু করার সময় এসেছে কাজে লেগে পড়।।নাবিল আকাশের ঘরে ঢুকে কোন কথা না বলে প্রথমেই আকাশ কে থাপ্পড় মারল।আকাশ একটুও অবাক হল না,অন্য সময় হলে আকাশ রিয়েক্ট করত কিন্তু আজ রিয়েক্ট না করে হেসে বলল দোস্তের মেজাজ খারাপ মনে হচ্ছে?আজ আমার বিয়ে কিন্তু তুমি এত হাইপার হয়ে আছো কেন? একটু সেজে গুজে লোকজনদের আপ্যায়ন করো।এমন মুখ গোমরা করে আছো কেন?কত কত ফুলটুসি চারদিকে ঘুরে বাড়াচ্ছে তার পরেও এত রাগ কেন?নাবিলঃ তোর বিয়ের গোস্টি কিলাই, আর এসব ফুলটুসিদের নিয়ে এসে নিজের বেড রুমে রেখে দে তোর ত একটা দিয়ে হবে না দুশ্চরিত্র ছেলে একটা।তুই আমার বন্ধু এটা ভেবেই তো আমার লজ্জা করছে।কি করে পাড়ছিস মেঘলাকে কস্ট দিতে?আকাশ অবাক হওয়ার ভান করে বলল কস্ট কেন দিব ওই দেখ ম্যাডাম কিভাবে হাসছে?উনার কোন কস্ট নেই বরং খুশি।নাবিলঃ তোদের ২ জনের মাঝে কি হয়েছে আমি জানি না কিন্তু যাই হয়ে যাক সব কিছুর পড়েও অনুরোধ করছি এই ভুল তুই করিস না আকাশ।আকাশঃ ঠিক আছে করব না যদি মেঘলা বলে। মেঘলাকে বল আমাকে একবার বলতে।নাবিলঃ কথা দিচ্ছিস তো… মেঘলা একবার বল্লেই তুই বিয়ে ভেংগে দিবি?আকাশঃ হুম পাক্কা কথা দিচ্ছি… কিন্তু তুই জানিস না যে মেঘলাকে দিয়ে তুই বলাতে পাড়বি না।নাবিলঃ ভালবাসা এত ফালতু হতে পাড়ে না। মেঘলার জেদ আজ ভালবাসার কাছে হার মানবে।আকাশ একটু হেসে বলল যা ট্রাই করে দেখ।নাবিল চলে গেল,আকাশঃ বৃথা চেস্টা করবি নাবিল।মেঘলা প্রতিজ্ঞা করেছে সে আর আমার কাছে ফিড়বে না।আর প্রতিজ্ঞা ভাংগার মেয়ে মেঘলা না বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল আকাশ।নাবিল ইরার ঘরে গেল…ইরা নাবিল কে দেখে বলল আরে নাবিল এসো এসো…নাবিলঃ না এখন না পড়ে আসবো মেঘলা একটু এদিকে এসো তো কথা আছে।মেঘলাঃ এখানেই বলুন না…আমি আপুকে সাজাচ্ছি দেখতে পাচ্ছেন না?নাবিল রেগে গিয়ে বকল আগে নিজের জীবন টা সাজাও তারপর অন্য কিছু সাজিও বলতে বলতে মেঘলার হাত ধরে নিয়ে আকাশের ঘরে ঢুকলো নাবিল তারপর দরজা লাগিয়ে দিল।আকাশ তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না মেঘলাও না।নাবিলঃ মেঘলা তোমার সমস্যা কি? একদিন তো খুব ভালবাসতে আকাশকে এখন কি হয়েছে?কি এমন ঘটেছে যে নিজেই আকাশের বিয়ে দিচ্ছো?মেঘলাঃ কিছুই হয়নি আর আমি তো আকাশ ভাইকে আগেই বলেছিলাম আমি আগে যা যা করেছি সব অভিনয় ছিল ভালবাসা না।নাবিল অবাক হল, এই মেয়ে একটু পর আকাশের বিয়ে বোঝতে পাড়ছো তুমি? একটাবার আটকানোর চেস্টা করো নাহলে সারাজীবন কেঁদেও কূল পাবে না।মেঘলাঃ এমন বদমেজাজি বড় শুধু আমার কেন কারোর যেন না হয় দোয়া করি…আকাশঃ শুধু শুধু আমার রাগ তুলছিস কেন?একে নিয়ে এখুনি বিদায় হ নাবিল আজ অন্তত মারতে চাচ্ছি না।নাবিল চুপ হয়ে গেল আর রাগে রুম থেকে চলে গেল।মেঘলাও চলে গেল।।।।।সকল প্রস্তুতি শেষ বিয়ের একদম সময় হয়ে গেছে।ইরার পাশে মেঘলা দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা নিজেও আজ সুন্দর করে সেজেছে,মেহমান সবাই বসে আছে মিডয়ার লোকজন ও এসেছে।শহরের সকল গন্যমান্য ব্যাক্তিদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে অনেকেই এসেছে।সবাই বিয়ে দেখার অপেক্ষা করছে।কিন্তু আকাশ হটাৎ করে নার্ভাস হয়ে পড়েছে..আকাশঃ আমি পাড়ব তো নাবিল…???নাবিলঃ হ্যা তোকে পাড়তে হবে…আকাশঃ প্লেন তো অনেক আগেই করেছিলাম কিন্তু এখন সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে।মেঘলার খুব কস্ট হবে।নাবিলঃ হোক কত ভালভাবে বোঝালাম, কিন্তু বোঝলো কি? ওর জন্য এটাই ঠিক আছে…আকাশঃ তুই সবটা একটু সামলে নিস।নাবিলঃ চিন্তা করিস না আমি আছি তো।নাবিলের মাঃ এই তোরা শিয়ালের মত কি যুক্তি করছিস? আকাশ যা বিয়ের সময় তো হয়ে গেল।নাবিলঃ হুম আকাশ আর সময় নেই যা করার এখুনি করতে হবে….আকাশঃ হুম ভাল লাভার তো হতে পাড়লাম না দোয়া করিস দোস্ত যেন ভাল ভিলেন হতে পাড়ি….

পরবর্তী পর্বের জন্য ক্লিক করুন :>> চলবে

Writer :- মোনা হোসাইন

Leave a Comment