আজ একটা চাকরির ভাইবা দিতে গেছিলাম।যানি না চাকরিটা হবে কিনা।তবে চাকরিটা হলে আমাদের পরিবারের আর কোন দুঃখ কষ্ট থাকবে না।
আমি বাবা মায়ের বড় ছেলে, আমার আর একটা ছোট বোন আছে,চার জনের পরিবার আমাদের।আমি আমরিন।আর আমার ছোট বোন জান্নাতুন রুহি।আর আমার বাবা নেই,মা অনেক কষ্ট করে আমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে,কিন্তু মামা খালু না থাকায় আর টাকা না থাকায় কোন চাকরি হচ্ছে না।
আজও একটা চাকরির ভাইবা দিতে গেছিলাম।জানি না চাকরিটা হবে কিনা।তবে এটা শিওর যে এখানে কোন টাকা ছারাই চাকরি পাওয়া যায়।
তাই আশা আছে চাকরিটা হওয়ার,কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে করার কিচ্ছু নেই।
চাকরির ভাইবা দেওয়ার দুই দিন পর এক আত্নীয় বারিতে ফোন দিতেছিলাম,এমন সময় হটাৎ করে একটা এসএমএস আসলো।এসএমএস টা অন করে আমার চোখ চড়ক গাছ।
কি ভেবেছিলাম আর কি হলো,২ দিন আগে যে কম্পানিতে ভাইবা দিয়েছিলাম,সেখান থেকে এসএমএস আসচ্ছে।আমাকে বসের পিএ হিসেবে জয়েন করতে বলা হয়েছে।আমার রেজাল্ট সব সময় ভালো ছিলো বিধায় হয়তো একবারে পিএ পোষ্টে দিয়েছে,
কিন্তু একটা সমস্যা হলো বস হচ্ছে একটা মেয়ে।কালকে থেকে আমার জয়েনিং ডেট
আজ তারাতারি ঘুম থেকে উঠে কিছু খাবার খেয়ে চলে গেলাম অফসে।কিন্তু সমস্যা হলো রাস্তায়,মাঝ রাস্তায় জ্যামে আটকাপরে গেলাম।
আজ প্রথম দিন ১০ মিনিট লেট হলো। জানি না কপালে কি আছে।অফিসে যাওয়ার পর পিয়ন এসে বলল,
পিয়ন : স্যার ম্যাম আপনাকে যেতে বলেছে।
আমি: আচ্ছা, আমি আসতেছি।আপনি যান।
তারপর আমি ম্যামের রুমে চলে গেলাম,
আমিঃ ম্যাম আসবো?
ম্যামঃ হুমম আসেন।প্রথম দিনই লেট কেন,এটা কি আপনার শ্বশুর বাড়ি পেয়েছেন,যখন ইচ্ছে আসবেন যাবেন,এরপর লেট হলে চাকরি থাকবে না বলে দিলাম।
তার পর কিছু ফাইল দিলো আমাকে ঠিক করতে,আর বলল আজ থেকে আপনি আমার পিএ, ঠিক সময় মত কাজ করবেন, অলস ব্যক্তি আমি পছন্দ করি না।
আমি আমার কাজ করতে ছিলাম।আজ প্রথম তাই বেশি কোন কাজ নেই,আর আমি তো ম্যমের সহকারি তাই আমার কাজ হলো ম্যামকে সহায়তা করা।
দুপুর টাইমে লান্স করে আমি আমার ক্যাবিনে ফিরছিলাম।কিন্তু একজনকে দেখে আমি অবাক হয়ে যাই।
আমিঃ এইযে আপু, আমাকে একটা সাহায্য করবেন।
মেয়েটিও আমাকে দেখে অবাক,তাহলে চলেন কে সেই মেয়ে তার সাথে পরিচয় হয়ে আসি।
মেয়েটি আর কেও নয়,সে হচ্ছে স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড।তাকে অনেক বার লাইন মারতে গেছিলাম,কিন্তু কোন কাজ হয়নি,আর এতো বছর পর আমাকে দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যায়।
আমিঃ কি চিনতে পারছো নাকি পরিচয় দিতে হবে??
মিমঃ না, না,তোমাকে চিনতে পারবো না এটা কোন কথা হলো.
আমিঃ এখানে কত দিন ধরে জব করছো??
মিমঃ এইতো ৬ মাস,তা তুমি এখানে কেন??কোন দারকার নাকি?কার জন্য এসেছো???
আমিঃ আমার কোন দরকার নেই.আর আমি কারো জন্য আসিও নি।আর আমি আজই এই অফিসে বসের পিএ হিসেবে জয়েন দিয়েছি।
আমার কথা শুনে মিম এক প্রকার অবাক হয়ে যায়।প্রথমেই পিএ পোষ্টে চলে গেছো।তার সাথে আর কিছু কথা বলে আমার কেবিনে চলে আসলাম।
এভাবে কেটে যায় বেশ কিছু দিন।আর আমার পরিবারের কিছুটা অভাব পূরণ হয়েছে।এখন মা চাচ্ছে আমার বিয়েটা দেওয়া।কিন্তু আমি এখনই বিয়েটা করতে চাইনা।
কিন্তু মায়ের জোরাজুরিতে রাজি না হয়ে পারলাম না।
…………..….……………………
আজ আমার বিয়ে, বিয়ের সব কাজ সম্পূর্ণ করে রাতে বাসর ঘরে যাইতেছি।আর ভাপতেছি কিভাবে কি করবো,একটা নতুন মেয়ে, তাকে কখনো দেখিনি।তার সাথে এক বিছানায় থাকবো,এগুলো ভাবতেই কেমন যেন লাগছে,
না অনেক দেরি করে ফেলছি, আর না তাই আর দেরি না করে ঢুকে পরলাম বাসর ঘরে।আমি যাওয়ার পর মেয়েটি আসাকে সালাম করলো,আমি তাকে উঠিয়ে বললাম,
আমিঃ চলুন আগে নামাজ পরে নেই।
এখনও মেয়েটির নাম জানিনি,বিয়ের সময় একবার বলে চিল কাজি সাহেব, কিন্তু খেয়াল করি নি।
মেয়েটিঃ আচ্ছা,
তারপর নামাজ পরে কাটে বসে আছি, তারপর মেয়েটি আসলো,তার পর তার সাথে কিছু কথা বলে নিলাম তার আর আপনারা নাই বা জানলেন….
বিয়ের ৩ দিন পর চলে গেলাম আমার গন্তব্য, মা বলে ছিল তাসফিকে আমার সাথে নিতে,আমিই নিই নি,বলেছিলাম তাহলে তোমাকে সহযোগিতা কে করবে,
এই দিকে আমি অপিসে এসে আবার কাজে মনযোগ দিলাম,ম্যাম আর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে না।কারণ দেখে আমি সব কাজ সততার সহিত করি সেজন্য।
২ মাস পর বারিতে যাচ্ছি,কিন্তু কাওকে বলিনি।সারপ্রাইজ দিবো বলে কাওকে কিচ্ছু জানাইনি,কিন্তু নিজেই যে এভাবে সারপ্রাইজ হয়ে যাবো তা কখনও ভাবি নি।
কি হয়ে ছিলো আমরিনে সাথে, কিসের জন্য আমরিন নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যায়।কি এমন দেখে ছিলো যার জন্য সে এরকম নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যায়।
আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করেন জানতে পারবেন।