Golperjogot

Golperjogot

Emotional Sad Love Story Bangla Mr. Fuska wala Part 7 End

Emotional Sad Love Story Bangla Mr. Fuska wala Part 7 End

মি:ফুচকাওয়ালা

Amrin Talokder ( Part 7 )


পপি : আমিও দেখবো তাসফি তুমি কতটা দিন এই বারিতে থাকো। আমার রাম্তা থেকে সরাতে যদি তোমাকে গুম করতে হয় তাও আমি করতে দ্বিতীয় বার ভাববো না, আমি চাই এই বাড়ির সব টাকা সম্পত্তি। আমি হবো এই বাড়ির রাণি। আমার কথায় চলে এই বাড়ির সব নিয়ম কানুন।

তাসফি দরজার আড়াল থেকে সব শুনতে পায়। আর আমি তাকাতেই তাসফি চলে যায়, জানি না তাসফি কি না কি ভাবছে।

তার পর আর সারাটা দিন আমার সামনে আসে নাই। অনেক বার ডেকেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমার থেকে দুরে দুরে থেকেছে। এমনেই রাগ উঠে রয়েছে তার উপর তাসফি দুরে দুরে আছে।
রাতে যখন কাছে আসলো.......

আমি: তাসফি তুমি কি কোন কারণে আমার উপর রেগে আছো?
তাসফি: …………

কোন কথা নাই মুখে, আমি কথা বলতেই কেঁদে দিল ।

আমিঃ কি সমস্যা তুমি আমাকে বলো, পপির ব্যবহারের জন্য রেগে আছো তুমি।

তাসফি:.........

আমি: তাসফি আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি, কি সমস্যা, আমি বলতে বলছি না।

তাসফি: তোমাদের নাকি সব কিছু হয়ে গেছে তো কেন আমাকে বিয়ে করলে।
আমি: সব কিছু মানে।কি হইছে, আর কার সাথে??

তাসফি: কার সাথে জানো না, পপির সাথে কি কি করেছো তুমি, এইসব তুমি করতে পারলা, আর একটা মেয়েকে এই ভাবে ঠকিয়ে কি লাভ পেয়েছো তুমি।
আমি: দেখ তাসফি তি কি বলছো আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। তুমি কি সব কিছু খুলে বলবে, পপি তোমাকে কি বলেছে।

তাসফি…………………
আমি: কি ও এই গুলা বলেছে??
তাসফি: হুমম....।

আমি আর তাসফিকে কিচ্ছু না বলে তাসফির হাত ধরে নিয়ে গেলাম সবার সামনে, আর সবার সামনে নিয়ে যাওয়ার পর সবাইকে ডাকলাম নিচে। সবাই আসার পর..

আমি: পপি তুই তাসফিকে কি বলেছিস??
পপি : কই আমি কি বলবো,

আমিঃ কিছুই বলিস নি??
পপি: না তো কেন তোমার বউ আমার নামে কি বলেছে বানিয়ে বানিয়ে, তুমি শুধু আমার, আর আমি সেটা করেই ছারবো। তোমার বউ যাই বলুক না কে তুমি তা বিশ্বাস করো না কেমন।

সবার সামনে নির্লজ্জের মতো কথা বলছে, আমারই মরে যেতে ইচ্ছে করছে। বারির সবার সামনে কিভাবে কথা বলছে একটু ও যদি কোন লাজ লজ্জা থাকতো।

Bangla Premer Golpo

আমি: পপি যা বলেছিস একবারই বলেছিস আর যেন কখনও তোর মুখ থেকে এই সব না শুনি, আর যদি শুনি তো আমার থেকে খারাপ আর এই পৃথিবীতে কেও হবে না।

এই বলে সেখান থেকে চলে আসি তাসফিকে নিয়ে, তার পর কয় দিন আর জ্বালাতন করে নি। কিন্তু কিছু দিন যেতেই আবার শুরু করেছে, তবে এবার আমাকে নয়।

তাসফি: আম্মু দাও আমি রান্না করবো আজ,
আম্মু : না মা তুই পারবি না.

তাসফি: আরে দেও না, তোমাকে আজ ছুটি দিলাম কেমন, তুমি রুমে যেয়ে রেস্ট করো, আমার রান্না মেষ হলে ডাকবো কেমন।
আম্মু : আচ্ছা, আর দেখে শুনে কাজ করিস কেমন,
তাসফি: সেগুলো আমাকে বলতে হবে না তুমি যাও তো।

তার পর আম্মু তার রুমে এসে বিশ্রাম করে আর ওই দিকে তাসফি একাই রান্না করে।

তাসফি রান্নার কথা না বলাটাই বেটার, কেননা তাসফির রান্নার হাতটা অনেক পাকা। যে একবার তার রান্না খাবে, সে কোন দিন ভুলবে না।অনেক অনেক ভালো লাগে তাসফির হাতের রান্না।

কিন্তু আজ খেতে বসে খাবার মুখে দিতেই জ্বালে মুখে দেওয়া যাচ্ছে না, আমি জানি আজ তাসফি রান্না করছে কিন্তু আমার মনে একটা হিনিস ডুকছে না, তাসফি তো জানে আমি বেশি জ্বাল পছন্দ করি না, তাহলে এতো জাবাল দেওয়ার লক্ষ্য কি??
অনেক কষ্টে পুরোটা খাবার কোন রকমে খেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম, কি করবো সবার সামনে তো আর কিছু বলা যাবে না, আর সবারই একই অবস্থা, আর আজ প্রথম তাসফির রান্না এরকম হলো, তাই কেও কিচ্ছু বললো না।

পড়ুন  শেষ ঠিকানা তুমি – প্রেমের গল্প পর্ব 17 | Bangla Golpo

সবার খাওয়ার শেষে তাসফি খাবার খেতে বসে দেখে তরকারিতে জ্বালে শেষ, কিন্তু কেও কিচ্ছু বললো না কেন আমাকে। আর আমরিন না এতো জ্বাল খেতে পারে না, আর ও এতো জ্বাল কি করে খেল,

তাসফি আর খাওয়ার টেবিলে এক মুহুর্ত না থেকে আমাদের রুমে এসে দেখে আমি বাথরুমে শাওয়ার ছেরে দারিয়ে আছি,

কি করবো এত্ত পরিমান জ্বাল যা আপনাদের বুঝাতে পারবো না। কিন্তু আমার বিম্বাস তাসফি নিজে থেকে এরকমটা কোন দিনও করবে না। কেও তো তাসপির পিছে লাগছে, না হলে এরকম কোন দিনও হবে না।

আমি বাথরুম থেকে বের হলে ……….

তাসফি: স্যরি আসলে আমি বুঝতে পারিনি এত্তটা জ্বাল হয়েছে। আমি তো মরিচের গুড়ো কমিয়ে দিছিলাম কিন্তু এরকম হবে জানতাম না,

আমি: আমি জানি আমার জানটা এরকম রান্না করতেই পারেনা, কেও তো তোমার পিছে লেগেছে।

তার পর আরো অনেক কথাই হয়।তার পর দিনও এরকম অবস্থা,
আজও রান্নার এই অবস্থা দেখে……

পপি: তাসফি তুমি এগুলো কি রান্না করো, এগুলো কি খাবার বানিয়েছো নাকি মুখেই তো তুলা যাচ্ছে না।

আজ সবাই তাসপিকে কিছুটা বকেছে, কেননা একদিন হইছে কিন্তু ভুলে হইছে বলে কিচ্ছু বলেনি, কিন্তু একটানা দুই দিন কেন হবে।

আমি: না কিছু একটা আমাকেই করতে হবে।আমার বিশ্বাস পপির কাজ এগুলো।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে তাসফি যখন রান্না করবে তখন আমি দেখবো দুর থেকে কে এগুলো করে।

যেই ভাবা সেই কাজ তাসফি রান্নার মধ্যে বাহিরে যায়, আর এই সুযোগে পপি রান্না ঘরে ডুকে।

পপি রান্না ঘরে ঢুকেই লবণ আর মরিচের কৌটা নিয়ে তরকারিতে ঢেলে দেয়, কোন পরিমান ছারাই।
এখন বুঝতে পারলাম তাহলে আসল কাজটা কার,তাই তো বলি আমার স্ত্রীর এত্ত সুন্দর রান্না করা খাবারে কে জল ডেরে দেয়।

আমি ফোনটা বের করে কয়েকটা পিক তুলে নিয়ে সেখান থেকে এসে পরি। খাওয়ার সময় আজও তাসফিকে বকুনি খেতে হয়, আর আজ তাসফি সহ্য করতে না পেরে কান্না করে দেয়।
না আর নয় অনেক সহ্য করেছি, তার পর সবার সামনে সব প্রমাণ দিয়ে পপিকে এই বারি থেকে গাড় ধাক্ক দিয়ে বের করে দেই।

Bangla Valobashar Golpo

আমাদের জিবনের মধ্যে আর কোন বাধাই নেই। সবার নেজের ভুল বুঝতে পেরে তাসফির কাছে সবাই নিচু হয়ে গেছে। তার পর থেকে আর তাসফির কাজে কেও কখনও ভুল দরেনি,

ও এর মাঝে আপনাদের একটা খুশির সংবাদ দেই।তাসফির ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এখন তাসফিকে কোন কাজ করতে দেয় না আমার আম্মু। তাসফিকে অনেক যত্নে রাখে। তাসফি নিজে থেকে কাজ করতে চাইলেও কোন কাজই করতে দেয় না।

আজ তাসফির ডেলিভারি ডেট অনেক চিন্তা হচ্ছে, কি হবে যদি তাসপির কিছু হয়ে যায় কি নিয়ে বাঁচবো আমি।

তাসফিও আমার হাতটি অনেক শক্ত করে ধরে আছে, মনে হচ্ছে আমি হাতটি চেরে দিলেই হারিয়ে যাবো। হাজারো মান অভিমনের মধ্যে দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি, তাই অনেক চিন্তু হচ্ছে।

তাসফিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়, কিছুক্ষণ পর তাসফির অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে লকল বাতিটা নিভে যায়।

আল্লাহ যানে কি রকম আছে তাসিফি, বিতর থেকে শুধু আমাদের বাচ্চার কান্না আসচ্ছে, জানি না পাগলটা কেমন আছে, অনেকটা ঘেমেও গেছি পাগলিটার কথা ভাবতে ভাবতে। ডাক্তার দরজা খুলে বের হয়ে আম্মুর হাতে বাচ্চাকে দিয়ে বলল...………

ডক্টর : আমরিন কে???

আমি: জ্বি আমি কেন কি হয়েছে, আমার পাগলটা কেমন আছে,ওর কিচু হয় নি তো,

ডক্টর : দেখুন অপারেশনের সময় অনেক রক্ত বের হয়েছে, মে আর হয়তো আর কিছুক্ষণ এই পৃথিবীতে থাকবে, আপনার সাথে আপনার স্ত্রী কথা বলতে চেয়েছে।

আমি: না ডক্টর এ হতে পারে না, আমার পাগলিকে বাঁচান যত টাকা রাগে দিব কিন্তু আমার পাগলিটাকে বাঁচান।
ডক্টর : দেখুন আমরা চেষ্ট করেছি কিন্তু পারিনি, তাই আপনি তার সাথে কথা বলুন প্লিজ।
আমি আর দেরি না করে তামফির কাছে চরে যাই,

আমিঃ ওই পাগলি একি হলো তোমায়।আমি কি নিয়ে বাঁচবো বলো, আমি যে তোমাকে ছারা বাঁচবো না। তুমি যদি চলে যাও আমাকেও সাথে করে নিয়ে যাও।

পড়ুন  লাভার নাকি ভিলেন সিজন ২ – পর্ব ১ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

তাসফি: আমাকে কথা দাও এমন কোন কাজ করবে না।তুমি যদি কিছু করে ফেল, তাহলে আমাদের মেয়ের কি হবে বলো, আমাদের মেযের মাঝেই আমাকে খুঁজে পাবে, আমাদের মেয়েটাকে কোন দিন কষ্ট দিওনা কেমন,ওকে কখনও বুঝতে দিওনা আমার অভাবটা।তুমি কথা দাও আমার কথা রাখবে।
আমি: হুমম তাসফি ....।

আর কিচ্ছু বলতে পারেনি, তার আগেই আল্লাহর তাছে চলে যায় আমার পাগলিটা। কিছু কিছু গল্প সমাপ্ত হয়েও অসমাপ্ত থেকে যায়।আর আমরিন তার মেয়েকে কখনও তার মায়ের অভাব বুজতে দেয় নি। সে নিজেই তার বাবা মার দায়িত্ব পালন করেছে। আপনার সবাই দোয়া করবেন তাদের জন্য,

সমাপ্ত

Writer :- Amrin Talokder


Also Read Our New Story Intro


রাত ১১ টা বেজে ৫৮ মিনিট, আগামীকাল মানে ১২ টার পর মেঘলার জন্মদিন আর তার প্রবল আত্মবিশ্বাস তাকে প্রথম উইশ টা আকাশেই করবে তাই অধীর আগ্রহে ফোনের স্ক্রিনে চোখ আটকে বসে আছে মেঘলা।

আকাশের নামের পাশের সবুজ বাতিটা জ্বলজ্বল করে প্রমাণ করছে সে এখনো অনলাইনেই আছে আকাশ সাধারনত এত রাত পর্যন্ত অনলাইনে থাকে না তারমানে কি আকাশ মেঘলাকে উইশ করার জন্যই অপেক্ষা করছে..?? ভেবেই মেঘলার মনে খুশির ঝলক বয়ে গেল।আকাশ মেঘলার মামাত ভাই যাকে মেঘলা পাগলের মত ভালবাসে তবে কোন অজানা কারনে প্রেম টা হয়ে ওঠে নি।

মেঘলা কয়েকবার নিজের মনের কথা আকাশের কাছে প্রকাশ করেছিল কিন্তু আকাশ পাত্তা দেয় নি তারপরেও মেঘালার পুরো বিশ্বাস আকাশ তাকে ভালবাসে কারন আকাশ মেঘলার অনেক কেয়ার করে সমস্ত বিপদ থেকে আগলে রাখে সম্পর্কে ভাই হওয়ায় হয়ত ভালবাসার কথা প্রকাশ করে না।

আকাশ তাকে ভালবাসুক আর নাই বাসুক অলিখিত নীতির মত অলিখিত নিয়মে সে আকাশের মালিকানা নিয়ে নিয়েছে অনেক আগেই।

আকাশ শুধুমাত্র মেঘলার এই সুত্রকে মূলমন্ত্র বানিয়ে নিজের জীবনের সমীকরন মিলিয়ে নিয়েছে মেঘলা। কোন কারনে তার এই অংক ভুল হবে না, হতে পারে না এটাই তার বিশ্বাস।

দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা ১২ টার ঘর পেরিয়ে গেল সাথে সাথে গোটা বিশের মত এসমেস এসে মেঘলার ফোনের নটিফিকেশন বক্সে হানা দিল কিন্তু সেসব চেক করার সময় বা ইচ্ছে কোনটাই মেঘলার নেই কারন মেঘলার চোখ এখনো আকাশের ইনবক্সে আটকে আছে দেখতে দেখতে আরও মিনিট দশেক কেটে গেল কিন্তু মেঘলার কাঙ্খিত সেই কল টা আর আসল না।

মেঘলাও হার মানার পাত্রী নয় অলিখিত সেই অধিকারবোধ থেকে মেঘলা নিজেই আকাশ কে ফোন দিল কিন্তু ফোনটা ওয়েটিং এ…

প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলল মেঘলার এই ফোন দেয়া নেয়া কিন্তু আকাশ এখনো ওয়েটিং এ।
আকাশের এই ফোনালাপ মেঘলার মন ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে কিন্তু আকাশ তাতে মোটেও বিচলিত নয়। সে নিজ মনে কথা বলে চলেছে মেঘলা বারবার ফোন দিচ্ছে দেখেও আকাশ প্রতিবার মেঘলার ফোন টা কেটে দিয়ে কথা বলায় মত্ত হয়ে উঠেছে।

অনেকবার কেটে দেয়ার পর মেঘলা রেগে গিয়ে ফোন রেখে উঠে বসল। কিন্তু নিজের ফোনের ওয়াল পেপারে থাকা আকাশের হাসিমাখা ছবিতে চোখ পড়তেই মেঘলার রাগ নিমিষেই নিস্তেজ হয়ে গেল সে আবারও ফোন হাতে নিল কিন্তু এবার ফোন নয় এসমেস করল আকাশকে।

- কার সাথে কথা বলছিস...??

২,৩ মিনিট পর কল আসল কল টা, আকাশ করেছে দেখে মেঘলার মন খুশিতে নেচে উঠল। সাথে সাথে ঠিক করে নিল সকালে আকাশ কে নিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরবে কি কি খাবে সব ট্রিট আকাশের কাছ থেকে এখনী চেয়ে নিবে। অধীর আগ্রহে মেঘলা ফোনটা রিসিভ করল।
কিন্তু ফোন ধরার সাথে সাথে একটা রুক্ষ কন্ঠ ভেসে এল আকাশ পাহাড় সমান বিরক্ত নিয়ে বলে উঠল,

আকাশঃ কি সমস্যা তোর? এতবার ফোন করছিলি কেন? বারবার কেটে দিয়েও শান্তি পাচ্ছিলাম না ব্যাপারটা কি?

- তুই দেখছিলি আমি ফোন করছি তাও ফোন টা কেটে দিলি..??
- তো তুই কোন দেশের প্রিন্সেস যে তোর ফোন কাটা যাবে না?

পড়ুন  ভিলেন পর্ব 65 - থ্রিলার প্রেমের গল্প | Romantic Premer Golpo

মেঘলা অভিমানী কন্ঠে প্রশ্ন করল,
- খুব ইম্পর্টেন্ট কেউ কল করেছিল বুঝি...??

আকাশ যথারীতি রাগী কন্ঠে জবাব দিল,
- হ্যা আমার ভার্সিটি ফ্রেন্ড নন্দিনী, এখন দেশের বাইরে থাকে অনেক দিন পর ফোন করেছিল। বাই দ্যা ওয়ে আমি কার সাথে কথা বলছিলাম বা বলব তার কয়ফত তোকে দিতে হবে নাকি?

- কয়ফত চাইব কেন আমি তো এমনি জিজ্ঞেস করছিলাম

- জানিস মেঘলা সবাই এমনি এমনি বলে না, তুই আসলেই একটা ঝামেলা এতদিন পর মেয়েটা ফোন দিয়েছিল তোর যন্ত্রনায় ভালভাবে কথাও বলতে পারলাম না।

মেঘলা রাগে তেতে উঠে জবাব দিল,
-তো আমার সাথে কথা বলার পর আবার ফোন দিলেই ত হয়...

আকাশ তাছিল্যের হাসি দিয়ে জবাব দিল,
- সবাই কি তোর মত ফালতু নাকি যে যখন ফোন দিব তখনী ফ্রি থাকবে...??

- বাজে কথা বলবি না আমি মোটেও ফালতু না আমিও দরকারেই ফোন দিয়েছিলাম।

- কিসের সাথে কিসের তুলনা করিস বুঝি না... কোথায় তুই আর কোথায় নন্দীনি? জানিস ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে স্কলারশীপে বিদেশে গিয়েছে অসম্ভব ট্যালেন্টেড মেয়ে সারাক্ষন বইয়ে ডুবে থাকে।
কথা বলার মত এত সময় ওর নেই আর তুই ত সবসময়েই ফ্রি থাকিস। ফোন দিলে তুই বাথরুমে থাকলেও কথা বলা শুরু করে দিবি।

কথাটা মেঘলার খুব খারাপ লাগলেও প্রকাশ করল না আসলে সে আকাশকে খুবি পছন্দ করে তাই সে যত ব্যস্তই থাকুক আকাশ ফোন দিলে কথা বলার চেষ্টা করে এমন কি ক্লাসের মাঝখানে ফোন দিলেও সে রিসিভ করে স্যারের কাছে বকা খেলেও ফোন ধরতে ভুল করে না। তার কাছে আকাশের চেয়ে ইম্পোর্টেন্ট আর কিছু নেই হতেই পারে না। সবার আগে আকাশ তারপর অন্য কিছু তাই রাগের সাথে ভালবাসা মিশিয়ে জবাব দিল,

- সেটা তো তোর সাথে কথা বলতে ভাল লাগে তাই...

মেঘলার কথা শেষ করার আগেই আকাশ মেঘলাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
- হয়েছে রাখ তোর আজাইরা পেচাল। এসব বাদ দিয়ে বল ফোন দিয়েছিলি কেন?

আকাশের এমন অপমানের পর মেঘলা কি বলবে বুঝতে পারছেনা চোখ ফেঁটে কান্না পাচ্ছে পেটের ভিতর কথা সাজানো থাকলেও মুখে আসছে না কথাগুলো গলায় এসে কেমন যেন দলা পাকিয়ে আটকে যাচ্ছে কথা বলতে গিয়ে বারম্বার ঠোঁট ২টি কেঁপে কেঁপে উঠছে এ যেন অদ্ভুত এক অনুভুতি ভালবাসার মানুষকে আজ হটাৎ করেই যেন অপরিচিত মনে হচ্ছে মেঘলার..

- কিরে জবাব দিচ্ছিস না কেন? কোন কিছু বলার না থাকলে ফোন টা রাখতে পারি বলে আকাশ মেঘলাকে উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়েই ফোন টা কেটে দিল।

ফোন টা কেটে দেয়ায় মেঘলার যথেষ্ট খারাপ লাগল কিন্তু অদৃশ্য কোন টানে আকাশকে ক্ষমা করে দিয়ে মেঘলা আবার ফোন দিল কারন সে চায় আকাশ জানুক আজ তার জন্মদিন। কিন্তু এবারেও ফোন টা ব্যাস্ত পেল…….

- নন্দনী কি এতটাই ইম্পর্টেন্ট আর আমি কি এতটাই সস্তা? যার জন্য আমার সাথে কথা বলার কোন আগ্রহই খুঁজে পাচ্ছে না ভাইয়া...?? কি করব আবার কল দিব? কল দেয়া টা কি উচিত হবে?
হ্যা অবশ্যই হবে জন্মদিন তো আর প্রতিদিন আসবে না রাগ করে এই দিন টা নষ্ট করতে চাই না ও যদি জানে আজ আমার জন্মদিন নিশ্চুই আমার সাথে কথা বলবে।

মেঘলা আবারো ফোন দিল কিন্তু আবারও ব্যাস্ত পেল। তাই মেঘলা সিধান্ত নিল ম্যাসেঞ্জারে এসমেস দিয়ে জানিয়ে দিবে আজ তার জন্মদিন আর তারপর আকাশের সাথে রাগ করার অভিনয় করবে আর আকাশ তার রাগ ভাঙ্গাবে মেঘলা সেটা উপভোগ করবে…...

যেমন ভাবনা তেমন কাজ, মেঘলা ম্যাজেঞ্জার টা অন করল কিন্তু তাতে যা দেখল তাতে কষ্ট টা হাজার গুণ বেড়ে গেল। বুকের বা পাশে অসহ্যকর চিনচিন ব্যাথা শুরু হল কারন আকাশ মেঘলাকে ফেসবুকে ব্লক করেছে। সে চাইলেও আকাশকে আর এসমেস করতে পারবে না। ফোনে কয়েকবার ট্রাই করে বুঝতে পারল আকাশ এবার ফোনে কথা বলছে না বরং মেঘলার নাম্বার টা ব্লেকলিস্টে রেখে দিয়েছে………………………

গল্পের বাকী অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন - 

মেঘলা আকাশের প্রেমজুরি পর্বঃ০১

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top