Golperjogot

Golperjogot

মুখোশ - সাসপেন্স রোমান্টিক গল্প পর্ব 1। মোনা হোসাইন

মুখোশ – রহস্যময়, রোমান্টিক প্রেমের গল্প পর্ব 1 | মোনা হোসাইন

Mukhosh

Mona Hossain { Part 1} - Recap


রাজঃ আমি কিছুতেই বোঝতে পাড়ছি না তুমি আমার সাথে এমন ব্যবহার কেন করছো দিয়া?
তুমি কি বোঝতে পাড়ছো না তুমি আমাকে রাগিয়ে দিচ্ছো।আর তুমি এমন করতে থাকলে আমি কতক্ষন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পাড়ব জানি না।

আপনাকে কতবার বলব আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে আমি দিয়া নই, আমি মনা।
আপনি এই সহজ কথাটা কেন বোঝতে পাড়ছেন না,আমি সেটাই বোঝতে পাড়ছি না।
আপনি কারন ছাড়াই আমার পিছনে পড়ে আছেন প্লিজ আমাকে একলা ছেড়ে দিন।

রাজঃএই চুপ একদম চুপ আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা একবারো উচ্চারন করবি না।এত ভাল করে বোঝাচ্ছি ভাল লাগছে না?
তুই নিজের পরিচয় লুকাতে চাইলেই আমি সেটা মেনে নিব ভেবেছিস? তর মুখোশ টা ছিড়ে ফেলতে রাজের ১ মিনিটও লাগবে না বোঝেছিস?তবুও আমি তোকে সুযোগ দিচ্ছি,নিজে থেকে ঠিক হয়ে যা তা নাহলে নিজের অবস্থা দেখে নিজেই আঁতকে উঠবি।
অনেক খেলেছিস আমাকে নিয়ে আর না। এবার সেটাই হবে যেটা আমি চাইব।
কথাগুলো বলেই রাজ চলে গেল।

 

আমি মনা গরীব বাবা মার একমাত্র মেয়ে এই বছরেই পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি।এর আগে আমি গ্রামেই পড়াশুনা করতাম। বাবা মার খুব ইচ্ছা আমি ভালমত পড়াশুনা শেষ করে ভাল একটা চাকরি করে বাবার কষ্ট দূর করব। আমিও তাই চাই, একদিন পরিবারের অভাব দূর করব, তাই খুব মন দিয়ে পড়াশুনা করি যার ফলস্বরুপ এত ভাল ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি।

কিছুদিন আগেই আমি এই শহরে এসেছি ছোট থেকে গ্রামে বড় হওয়ায় শহরে কারো সাথেই তেমন তালমিলাতে পাড়ছি না।এখানে সবাই মোটামুটি বড়লোক বাবা মার আদুরে সন্তান।

আমি এখানে কিছুই চিনি না। নিজেকে কেমন অসহায় লাগে কিন্তু যতই কষ্ট হোক বাবা মার জন্য হলেও আমার এখানে থাকতে হবে।
ভার্সিটির হলে উঠেছি।এখানেই ২ টা মেয়ের সাথে একরুমে থাকি। কিন্তু মেয়েগুলোও বড়লোক আমার সাথে তেমন কথা বলে না।

তার মধ্যে আমি নতুন এক নতুন মছিবতে পড়েছি।

আমার এই মছিবতের নাম হল রাজ....

মন্ত্রীর একমাত্র ছেলে রাজ।বাসা ভার্সিটির কাছেই। তার বাবা সবসময় তার সুযোগ সুবিধার দিকে লক্ষ রাখেন একদল গার্ডস এসে তাকে ভার্সিটিতে দিয়ে যায় আবার এসে বাসায় নিয়ে যায়।
ভার্সিটির সব স্যারেরাও তাকে তোয়াজ করে চলে কারন রাজের কোনো অসুবিধা হলে তার বাবা সেই স্যারকে চাকরি করতে দিবেনা তার উপড় সে নিজেও রাগি।
রাজ নামটা বলতেই ভার্সিটির সবাই পাগল। সে ভার্সিটির জুনিয়র হলেও সিনিয়রাও তাকে দেখে ভয় পায় কারন সে কিছুটা উগ্র মেজাজের। যখন তখন সিনিয়র দের গায়ে হাত তুলতে একবারও ভাবে না।
সবসময় একটা গ্যাং নিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়।

পড়ুন  প্রেম কাহিনী – স্কুল জীবনের প্রেমের গল্প পর্ব 27

এক কথায় রাজের যখন যা করার ইচ্ছা করবে,সব করার পারমিশন আছে তার।
দেখতেও খুব হ্যান্ডসাম প্রতিদিনি নতুন নতুন ড্রেস পড়ে ভার্সিটিতে আসে। তাকে দেখে সিনিয়র মেয়েরাও ক্রাস খায়।
আমিত এমনেতেই সাধারন ধনিদের সাথেই তাল মিলাতে পাড়ছি না।
আর এই রাজ তো তাই v.v.i.p রাজের সাথে কথাতো দূর তার দিকে তাকানোর সাহসও আমার নাই।যদিও সে আমার সাবজেক্টই পড়ে।

ক্লাসের ফাস্ট সিরিয়ালটা রাজ আর রাজের বন্ধু বন্ধবিদের জন্য বরাদ্বকৃত আর আমি সবার পিছনের সিরিয়ালে বসি তাই একসাথে ক্লাস
করলেও আমাকে রাজ কখনো দেখে নি।

কিন্তু ২ আগে আমি তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম আর রাজ উপড়ে উঠছিল,আমি রাজকে খেয়াল করি নি হঠাৎ করেই আমার রাজের সাথে ধাক্কা লেগে গেল।

আমি তাড়াতাড়ি করে সরি বল্লাম আমার ভুল হয়ে গেছে সেটাও বল্লাম।
কিন্তু রাজ সেদিন আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে ছিল যেন আমি কাউকে খুন করে ফেলার মত অপরাধ করে ফেলছি।
প্রচন্ড রেগে গেছিল।চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল আমি মাথা নিচু করে চলে এসেছিলাম।
সেই থেকে আমার মছিবত শুরু রাজ আমার উপড় সবসময় নজর রাখা শুরু করেছে আর আমি ওকে এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করছি।

(ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

Click Here For Next :চলবে

Writer :- Mona Hossain

About The Author

2 thoughts on “মুখোশ – রহস্যময়, রোমান্টিক প্রেমের গল্প পর্ব 1 | মোনা হোসাইন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top