Mukhosh
Mona Hossain { Part 10 } recap
রুহি রাজের দিকে মুখ তুলে তাকাল।
রাজ রুহির কপালে চুমু খেয়ে বলল আমি আছি ত এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই চলো যাই।
রুহির মুখে কথা নেই।
রাজ রুহিকে নিয়ে গাড়িতে বসাল।
রুহিঃ একটা কথা জানার ছিল....
রাজঃ বলেন কি জানতে চান।
রুহিঃ আপনি এত রাতে এখানে কি করছিলেন?
রাজঃআসলে শহরটা কুয়াশায় ঢেকে গেছে তাই মশা গুলি উড়তে পাড়ছে না।
মশাগুলিকে খাবার দিতে এসেছিলাম।
রুহিঃ তারমানে....???
রাজঃ মশার কামড় খেতে এসেছিলাম।
রুহিঃ মশার কামড় খেতে ষ্টেশানে এসেছিলেন মানে কি কিছুই তো বোঝলাম না।
রাজঃ একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাস করার কথা বলে ৩ টা করলেন আমার পক্ষে কি উত্তর আর দেওয়া ঠিক হবে?
রুহিঃ মাথার তার কি আমার ছিড়েছে নাকি উনার...???
রাজঃ এবার আমি কিছু প্রশ্ন করি?
রুহিঃ জ্বি করুন
রাজঃ কয়টা বাজে এখন?
রুহিঃ ১ টা
রাজঃ তুমি ত জানতে তোমার বাড়ি থেকে এখামে আসতে কতক্ষন লাগে তাহলে এই টাইমে রওনা দিলে কেন( খুব জোরে ধমক দিয়ে)
ধমক শুনে রুহি আতঁকে উঠল।
রাজঃ উত্তর চেয়েছি....
রুহিঃ ম ম মা মানে.....
রাজ দাঁতে দাঁত চেপে বলল আজ যদি আমি না থাকতাম কি হত তোমার? হ্যায় লিসেন টু মি স্টুপিড.... তুমি যে রাত একটা বাজে শহরে এসেছো হোস্টেলের গেট কি ১ টায় খোলা থাকে?
এখন তুমি কোথায় যাবে? রাগে রাজের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।
রুহিঃ আমি মানে এতটা বোঝিনি।
রাজঃ ইডিয়েট গার্ল।মেজাজ টাই খারাপ করে দিয়েছক।
রুহিঃআমি আপনাকে বিরক্ত করতে চাইনি।
রাজঃ তাহলে এত রাতে ফোন করেছিলি কেন?
রুহিঃ ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দিন। আমাকে নামিয়ে দিন আমি যেতে পাড়ব।
রাজ জোরে ব্রেক চেপে গাড়ি থামাল।
রাজঃ রিয়েলি?গুড নামো তাহলে।
রুহিঃ সত্যিই চলে যাব?
রাজঃ বড় বড় চোখ করে রুহির দিকে তাকাল।
রুহি ভয় পেয়ে নেমে গেল।
রাজ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।
রুহিঃ একটু আগেই তো বলছিল আমি আছি ভয় পাওয়ার কিছু নেই আর এখন সত্যিই চলে গেল?
আচ্ছা যাক ছেলে গুলির হাত থেকে বাঁচিয়েছে এই অনেক।
এখন নিজেই যেতে পাড়ব।গেইট না খুললে গেইটের সামনে তো বসে থাকতে পাড়ব।
কিন্তু একি,গাড়িটা চলে যেতেই রুহি লক্ষ করল রাস্তার এই পাশটায় কোন লাইট নেই এতক্ষন গাড়ির হেডলাইটে জায়গাটা আলোকিত ছিল।
অন্ধকার রুহি বরাবরেই ভয় পায়।
রুহিঃ হায় হায় এখন কি হবে কিছুই তো দেখতে পাচ্ছিনা যাব কিভাবে?বেশ ঠান্ডাও পড়েছে।
জার্নির পরিশ্রম,এখনের ভয়,সারাদিন কিছু না খাওয়া আর ঠান্ডা সব মিলিয়ে রুহির আর দখল সহ্য হল না অসুস্থ হয়ে পড়ল।যাকে চিকিৎসার ভাষায় বলে হাইপোথার্মিয়া।
রুহির বমি পাচ্ছে।
রুহি রাস্তার পাশে বসে বমি করতে লাগল।খালি পেটে বমি তো হচ্ছে না যেন নাড়ি বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। রুহির বেশ কষ্ট হচ্ছে আর নিজেকে অসহায় ও লাগছে।একপর্যায়ে রুহি অজ্ঞান হয়ে গেল।
যখন জ্ঞান ফিড়ল রুহি নিজেকে একটা ঘরে আবিষ্কার করল।ঘরটা বেশ সাজানো গোছানো।
ঘরের দেয়ালে খুব সুন্দর করে ২ টি চোখ আর্ট করা।
রুহিঃ চোখ ২ টি একদম আমার মত,তারমানে এটা রাজের রুম কিন্তু আমি এখানে আসলাম কি করে।
রুহির ভাবনার ছেদ ঘটল পাশের রুম থেকে আসা বকা বকির শব্দে।
কেউ একজন রাজের নাম ধরে বকাবকি করছে।
দিস ইজ টো মাচ রাজ সেই কখন তুমি বের হয়েছো আর এখন এসেছো বাসায়।
যেখানে তুমি জানো গার্ডস ছাড়া আমি তোমাকে বের হতে দেই না সেখানে তুমি কাউকে কিছু না বলে ১ নয় ২ নয় পুরু ৬ ঘন্টার জন্য লাপাত্তা হয়ে গেলে? সবার ঘুম হারাম করে দিয়েছো তুমি।লাস্টবার বলছি এমন আর কখনো করবা না
যাও এবার ঘুমাও গিয়ে।
রাজ রাগে গজ গজ করতে করত রুমে ঢুকল।
রাজঃ অন্যায় করবে একজন আর বকা খাবে অন্যজন কি আজব নিয়ম।আমি কি বাচ্চা নাকি যে আমাকে সবসময় চোখে চোখে রাখতে হবে।এসব বলতে বলতেই হঠাৎ রাজের চোখ পড়ল রুহির উপড়।
রুহি বোকার মত হা করে তাকিয়ে আছে রাজ এর দিকে।
রাজ রুহির সামনে এসে বলল সব আপনার জন্য হয়েছে।আপনি উল্টা পালটা টাইমে রওনা দিয়েছেন।যখন দুপুরে ফোন দিয়েছিলাম তখনি বোঝেছিলাম আপনি আসছেন তাই সন্ধ্যা থেকে ষ্টেশানে বসে ছিলাম তাই এখন বকা শুনতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ি আপনার বকা খাওয়ার কথা আমার না।
রুহিঃ বোকার মত বলল আমি তো রাস্তায় ছিলাম এখানে কি করে আসলাম।
রাজঃ উড়ে উড়ে।রাজ অন্যদিকে তাকিয়ে বলতে লাগল এই কে আছো খাবার দিয়ে যাও।
রুহি হঠাৎ চিৎকার করে উঠল।
রাজঃ আহ কি হয়েছে কানের পোকা মেরে ফেলার কি হল?
রুহিঃএ এ এগুলা কি?
রাজঃ কোন গুলা?
রুহিঃনিজের জামার দিকে ইশারা করে বলল এসব কার জামা?
রাজঃ কেন আমার....
রুহিঃ আ আ আপনার জামা আমাত গাঁয়ে কেন?
আমিত এসব পড়ি নি।
রাজঃ এতে এত অবাক হওয়ার কি হল? আপনি রাস্তায় জ্ঞান হাড়িয়েছিলেন আপনার অবস্থা দেখে ভয়ে আপনাকে তুলতে গিয়ে ব্যাগ ওখানেই ফেলে চলে এসেছি।আর আপনার জামা কাপড় নোংরা ছিল তাই আমার জামা কাপড় দিয়েছি।
রুহিঃ কে চেঞ্জ করছে এগুলা?
রাজঃ ও আচ্ছা তাই বলেন এই জন্য চিৎকার.... না আমি করি নি আমার মা করে দিয়েছে।
রুহিঃ বিশ্বাস করি না।
রাজঃ ভাল কথা কবেই বা আপনি শুনেছিলেন?
রাগ না করলে আপনি তো কিছুই বোঝেনি না বিশ্বাস কিভাবে করবেন?
এর মধ্যে একজন এসে খাবার দিয়ে গেল।
রাজঃ নেন খেয়ে নেন।
রুহিঃ খেতে ইচ্ছা করছেনা
রাজঃ আমারো না এই রুম ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না
রুহিঃ মানে....???
Related Story
রাজঃ ভোর হতে এখনো ২ ঘন্টা বাকি এই ২ ঘন্টা আমি দরজা লক করে এখানেই থাকতে পাড়ি।
আর ২ ঘন্টায় কি কি হতে পাড়ে বোঝতে পাড়ছেন নিশ্চুই।
খাবেন নাকি দরজা লক করব?
রুহিঃ খাব.....
রাজ শয়তানি হাসি দিয়ে নিন শুরু করুন তাহলে।
রুহিকে খায়িয়ে দিয়ে এখন ঘুমান বলে রাজ রুম থেকে চলে গেল।
সকালে রুহির ঘুম ভাংগল ১০ টায়।
ঘুম ভাংগতেই বাইরে এসে রুহি অবাক হয়ে গেল।
কি হচ্ছে এসব আমি কি স্বপ্ন দেখছি.....???