Mukhosh
Mona Hossain { Part 17 } recap
রুহিরা প্রায় পৌছে গেছে,
রুহি রাজের ফোনে মোবাইলে গেম খেলায় ব্যাস্ত তখনি একটা কল আসলো।
রুহিঃ উফ আমার খেলার ১২ টা বাজিয়ে দিল।
রাজঃ বেবি ফোন টা রিসিভ করেই আবার দিচ্ছি মন খারাপ কইর না প্লিজ।
রাজঃ হ্যালো কে বলছেন?
জ্বি স্যার আমি।
রাজঃ এক মিনিট হোল্ড করো।রুহি সোজা হয়ে বসো বলে রুহিকে নিজের বুক থেকে সরিয়ে ফোনে মনযোগ দিল রাজ। হ্যা বলো
রুহিঃ কে বা তার কথা শুনতে গেছে আজব।
ফোনের অপর পাশ থেকে জ্বি স্যার রুহির বিএফ কক্সবাজার এসেছে ১০০% সিওর।
২ জনকে একসাথে দেখলে পিক তুলে পাঠিয়ে দিব।
রাজের মুখ লাল হয়ে গেল।রাজ ফোনটা কেটে সামনের স্টিলের স্টেন্ডে জোরে আঘাত করল।আর রুহির দিকে তাকাল।
রুহি রাজের এই চেহারাটাকে ভিষন ভয় পায়।
তাই তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে ঘুমের অভিনয় করল।
রাজ রুহির দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে এর প্রতিটা হিসেব আমি নিব রুহি।কেন আমাকে ঠকাচ্ছ?
আমার কিসের অভাব ? আমি দেখতে খারাপ? কই কেউ তো তা বলে না বরং সবাই উল্টো টাই বলে।আমার টাকা নেই? আমি তোমাকে গিফট দেই না? নাকি তোমাকে ভালবাসি না?
হ্যা এটা ঠিক বিয়ের আগে তোমার সাথে খারাপ কিছু করতে চাই না কিন্তু তুমি যদি সেটার জন্য অন্য ছেলে খুঁজে নাও আমি সেটা কি করে মেনে নিব?
এতই যদি তোমার চাহিদা থাকে আমাকে কেন বলো না? যদি তুমি আমায় পুরুষত্বহীন ভাবো তাহলে তার প্রমান তো দিতেই হবে।কিন্তু আমার বাবা মা যে আমাকে সে শিক্ষা দেয় নি রুহি।একটা মেয়ে কি করে এত খারাপ হতে পাড়ে?রুহির দিকে রাজ এগুলোই ভাবছিল।
রাজের ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে ড্রাইভার বলল স্যার আমরা চলে এসেছি।
রাজ মন খারাপ করে নেমে গেল।সবাই নেমে গেছে।
রাজ হোটেলে গিয়ে সবার রুম বুক করে ম্যানেজারের কাছে চাবি দিয়ে দিল শুধু রুহিরটা নিজের কাছে রাখল।
রাজ হোটেল ম্যানেজারকে বলল সবাইকে চাবি দিয়ে দিতে আর রুহিকে যেন বলে ওর জন্য রুম নেওয়া হয়নি।
ম্যানেজারঃ জ্বি স্যার।
এরিমধ্যে সবাই হোটেলে চলে আসলো।
ম্যানেজারঃ সবাই রুমে যান আমি সবার ল্যাগেজ পাটিয়ে দিচ্ছি।
রাজঃ তার দরকার হবে না আমাদের লোক আছে।রুহি সবার ব্যাগ রুমে দিয়ে আসো।
রুহি অবাক হয়ে গেল রাজ আমি.....
রাজঃ কথা কানে যায় নি?কেন নিবে সেটা সবার সামনে আবার রিপিট করতে হবে?
রুহি বোঝল সে যে টাকা দেয় নি সেই বিষয়টাই রাজ ইংগত করছে।
রুহিঃ না স্যার আমি বোঝতে পেড়েছি আপনারা যান আমি নিয়ে যাচ্ছি।
স্নেহাঃ এখানে তো কেউ খুঁড়া না যে নিজের ব্যাগ নিজে নিতে পাড়বে না তাহলে রুহির নিতে হবে কেন?
রাজঃ স্নেহা আগলা পিড়িত গুলি নিজের কাছেই রাখ, দেখাতে আসিস না অনেক হয়েছে এবার অফ যা।তুই রুমে যা।
রুহির খুব রাগ হচ্ছে তাও সবার ব্যাগে সে গিয়ে রুমে দিয়ে এসেছে।সবার ল্যাগেজ বেশ ভারি তার উপড় সেগুলো নিয়ে ১ তলা সিঁড়ি ভেংগে উঠতে হচ্ছে রুহি ১৩ বার উঠা নামা করে ফেলেছে রুহি একদম হাঁফিয়ে উঠেছে।
রুহিঃ যাক বাবা সবারটাই দেওয়া শেষ
বাকি আছে শুধু রাজেরটা।তাহলেই মুক্তি।
কিন্তু রুহির জানা ছিল না এর চেয়েও বড় শাস্তি তার জন্য অপেক্ষা করছে।
রুহি রাজের রুমে নক না করেই ডুকে গেল কিন্তু তাতে সে যা দেখল তাতে তার পৃথিবী টা অন্ধকার হয়ে গেল।
রাজ তার রুমে মিনির সাথে ঘনিষ্ট অবস্থায়।এটা দেখে রুহি যেমন কষ্ট পেল তেমনি রাগ ও হল।
রুহি রেগে গিয়ে বলল,ছি ছি ছি....এসব কি আপনাদের লজ্জা করে না?
রাজঃ এই ইডিয়েট কারোর রুমে ঢোকার আগে পারমিশন নিতে হয় জানো না?
রুহিঃ কারো সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে দরজা লক করতে হয় জানেন না?
রাজঃ না তোমার মত এত অভিজ্ঞতা নেই তো তাই জানি না।
রুহিঃ কার কি আছে দেখতেই পাচ্ছি আপনি এসব করতে এসেছেন আমার জানা ছিল না আমিত ভেবেছিলা ক্লাসের জন্যই এসেছেন যাই হোক ব্যাগটা দিতে এসেছিলাম।
রাজ এগিয়ে এসে রুহির হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে রুহিকে ঘাড় থাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে দরজা লক করে দিল।
রুহি ধাক্কা সামলাতে না পেরে নিচে পরে গেল।আর ওখানে বসেই কাঁদতে শুরু করল স্নেহা এদিক দিয়েই যাচ্ছিল রুহিকে কাঁদতে দেখে দৌড়ে এসে বলল রুহি কাঁদছ কেন ব্যাথা পেয়েছো নাকি? কোথায় লেগেছে দেখি।
রুহিঃ আমার ঠিক কোথায় লেগেছে আমি তোমায় কিভাবে দেখাব স্নেহা।নিজের বিএফ অন্যকারো সাথে ফুর্তি করছে এটা বলাটাও যে নিজের জন্য অসম্মাজনক(মনে মনে)
কিছু হয়নি স্নেহা আমি রুমে যাই বলে রুহি চোখ মুছতে মুছতে নিচে গেল চাবি আনতে।
কিন্তু ম্যানেজার জানিয়ে দিল তার জন্য রুম নেওয়া হয় নি। রাজের সাথে কথা বলতে বলল।
রুহিঃ আচ্ছা আমি কথা বলে নিব।আমি আপাদত এখানে একটু অপেক্ষা করতে পাড়ি?
ম্যানেজারঃ জ্বি অবশ্যই ম্যাম।
রুহি অপেক্ষা করতে লাগল কখন রাজ নিচে নামবে কারন সে আর রাজের রুমে যেতে চায় না।