মুখোশ সিজন ২
Mona Hossain { Part 13 / Last Part }
ডাক্তারঃ we are sorry.... he is no more.....
কথাগুলি শুনামাত্র রুহির মাথা ভারি হয়ে গেল কেউ যেন তার মাথায় জোরে আঘাত করেছে চিৎকার দেওয়ার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছে..... ক্রমোশো তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে রুহি অজানায় তলিয়ে যাচ্ছে রুহি বোঝতে পারছে সে জ্ঞান হারাচ্ছে.....
,
,
,
,
,
,
প্রায় ৩ ঘন্টা পর রুহির জ্ঞান ফিড়ল রুহি নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করল।মিট মিট করে চোখ খুলে রুহি অবাক হয়ে গেল।
কারন তার হাত ধরে যে বসে আছে সে আর কেউ নয় রাজ.....
রুহি আর কিছু না ভেবেই রাজকে ঝাঁপটে ধরল।
রাজঃ আরে কি করছো রুহি.... তোমার হাতে সেলাইন লাগানো খুলে যাবে তো....
রুহি কিছু বলতে পাড়ছে না শুধু কেঁদেই যাচ্ছে।
রাজ রুহিকে বুকে জড়িয়ে রুহির হাতের সেলাইন টা খুলে দিল। কারন সেটা ইতিমধ্যেই খুলে গিয়ে রুহির হাতে বিধেঁ গেছে।হয়ত রুহি ব্যাথাও পাচ্ছে কিন্তু সেটা বোঝার অবস্থায় রুহি নেই।
রাজঃ আমাকে হারানোর যন্ত্রনা ৫ মিনিট সহ্য করতে পাড়লে না?আর সেইম কষ্টটাই আমাকে ৫ বছর ধরে দিয়ে আসছো তুমি। এই যন্ত্রনাটা তো তোমার আরও কিছু সময় পাওয়া উচিত ছিল। ভেবেছিলাম আরো সময় ধরে অভিনয়টা চালিয়ে যাব কিন্তু রোজ এর জন্য পারলাম না এমনভাবে পাপা পাপা ডাকছিল,মনে হচ্ছিল মরে গেলেও হয়ত এই ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারতাম না।বেঁচে থেকে কিভাবে সহ্য করব।তাই উঠে পড়লাম
রাজ রুহির মুখটা উঁচু করে ধরে বলল কি হল ম্যাডাম নিজের ভুল টা বোঝতে পারছেন তো নাকি?
রুহি কিছু না বলে রাজকে আরো চেপে ধরে রাজের বুকে মুখ গুঁজে দিল।
রাজঃ আরে পাগলি এই বুকে শুধু তুই ই আছিস এত খোঁজে দেখতে হবে না।
রুহি এবার একটু শান্ত হল।
মুখ তুলে বলল জানি আর কেউ নেই বলতে হবে না। এখন এটা বল আমি তো তোমাকে কিছু বলি নি তাহলে তুমি সব জানলে কি করে।
রাজঃ সব কৃতিত্ব নীলয়ের ওকে যখন আমি প্রথম ফোন করলাম আমি তো ভেবেছিলাম নীলয় আমার সাথে কথাই বলবে না।কিন্তু ও তো রাজ নামটা শুনেই খুশিতে পাগল হয়ে গেছিল।ওর কথা শুনে মনে হচ্ছিল কত বছর ধরে বেচারা আমাকে খুঁজছে বেড়াচ্ছে।আমাকে বলল
রাজ তোমাকে আমি খুঁজে পেয়েছি আমার তো বিশ্বাস এই হচ্ছে না থেংকস গড।কতদিন থেকে যে খুঁজছি বোঝাতে পাড়ব না।
ডিটেল জানতাম না তাই খুঁজে পায়নি।
আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম আমাকে কেন খুজঁছিলেন?
নীলয়ঃ তোমার জিনিস তোমাকে ফিড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
আমি কিছুই বোঝতে পারলাম না।
তখন নিলয় আমাকে সব খুলে বলল, তোমার রাগ ভাংগানোর কথা বলল। তোমাকে বাড়িতে আনার সব প্লেন ওই আমায় শিখিয়ে দিয়েছিল।
আর এই মরার অভিনয়ের প্লেন টা স্নেহার। স্নেহা বলল রুহি কি ভুল করেছে সেটা বোঝানোর এটাই ভাল উপায় তাই এত কিছু করা।তানাহলে রুহির ১ টা কেন ১০ টা বাচ্চা হলেও আমি ওকে ছাড়তাম না। কারোর ক্ষমতা নেই রাজের কাছ থেকে রুহিকে কেড়ে নেওয়ার বোঝেছো।
রুহিঃসব বোঝলাম কিন্ত খুব খারাপ করেছো তুমি এটা আমার কত কষ্ট হয়েছিল জানো....
রাজঃ তুমি বোঝি ভাল করেছিলে....???
রুহিঃআমিতো.....
রাজঃ থাক আর বলতে হবে না এবার এটা বলো আর কখনো ছেড়ে যাবে না তো আমায়?
রুহিঃ আমি সেই ৫ বছর আগে থেকেই তোমার সাথে থাকতে চাই রাজ কিন্তু রোজ.....আর
মিহিরিমাকে দেওয়া আমার কথা....
তখনি রোজের গলার আওয়াজ শুনা গেল.....
রোজ বাইরে থেকে চেঁচাচ্ছে পাপার কাছে যাব, ছাড়ো আমায়।
রাজঃ অই যে আসছে আমার মহারানী।আজ ওর জন্যই তোমার শাস্তি কমে গেল বোঝেছো....রাজ স্নেহাকে ডেকে বলল,স্নেহা রোজকে একটু দিয়ে যা তো।
নিলয় রোজকে নিয়ে আসল রোজ দৌড়ে রাজের কাছে গিয়ে বলল মাম্মাম এত উপড়ে,মাম্মামের মুখ টা দেখতে পাচ্ছি না কোলে নাও তো আমাকে।
রাজঃওরে আমার পাকা বুড়ি মাম্মাম এর কাছে দিব না তোকে।
রোজঃ আচ্ছা দিও না কোলে তো নাও।
আর এটা বলো তোমার তখন কি হয়েছিল কত ডাকছিলাম তুমি কেন শুনলে না?যানো আমার খুব রাগ হচ্ছিল তখন।
রাজঃ তাই বোঝি আয় কোলে আয়।বলে রোজকে কোলে নিয়ে নিল।আর কখনো এমন করব না সোনা।
নীলয়ঃ আজ আমি দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পেলাম। আমার খুব ভাল লাগছে যানো রাজ মিহিরিমা রোজকে রুহির হাতে আর রুহিকে আমার হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিল।আমি অনেকবার রুহিকে সামাজিক স্বিকৃতি দিতে চেয়েছি মানে বিয়ে করতে চেয়েছি কিন্তু রুহি রাজি হয় নি। তার এক কথা রাজ ছাড়া কারোর বউ সে হবে না।সমাজে রোজকে নিয়ে অনেক কথাও শুনেছে তবুও বিয়েতে রাজি হয় নি।যাকে ভালবাসে তাকে হয়ত কোন দিন পাবে না এটা জেনেও সবার কাছে অপমানিত হয়ে তার জন্য অপেক্ষা করাটা অবিশ্বাস্য। কতটা ভালবাসা থাকলে এটা সম্ভব?
মিহিরিমাকে দেওয়া কথা আমি রেখেছি রুহিকে ভাল রাখার সব চেষ্টাই আমি করেছি কিন্তু রুহির রাজ কে তার কাছে আনতে পাড়ি নি। খোদার অশেষ রহমত আজ সেটাও পাড়লাম।
মিহিরিমা দেখছো তুমি? আমি রুহিকে একলা রেখে যাচ্ছি না তাকে তার ভালবাসার কাছে রেখে যাচ্ছি।আজ থেকে আমি মুক্ত।
রুহি তোমাকে নিয়ে অনেক টেনশান করতাম আজ সবকিছুর অবশান হল।
শুধু বাকি থাকল রোজ.....
রাজ যদি রাজি থাকে উইদাউট এনি কন্ডিশান আমি আজ এক্ষনি এক কথায় রোজকে দত্তক দিয়ে দিব।কিন্তু রাজ না চাইলে কখনই জোর করব না।
আসলে রোজ বাবা হিসেবে তার বাবাই কে নয় পাপা কেই চায়।রাজকে রোজ কতটা পছন্দ করে সেটা দেখলেই বোঝা যায়।রাজের কোলে উঠার জন্য বাহানা খুঁজে আর আমার কোল থেকে নামার জন্য।
রুহিঃ আসলে রোজ আমার ছাড়া কারোর আদর কোনদিন পায় নি রাজেই প্রথম যে কিনা রোজকে এত ভালবেসেছে আর আপনি তো ওকে বেশির ভাগ সমায় বকা দিতেন তাই ভয় পেত।
নিলয় হুম হয়ত তাই.....মিহিরিমার চলে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে পাড়িনি।তাই রোজকেও কাছে টানতে পাড়িনি।
যাইহোক তোমাদের এখুনো বিয়ে হয় নি তাই রোজকে আমি তোমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাই না।এখন তোমদের রোমেন্টিক সময় কাটানো উচিত।বাচ্চা মানুষ করার সময় এটা নয়।তোমরা বিয়ে করবে নিজেদের বাচ্চা হবে এটাই সাভাবিক।
রাজঃ তাই নাকি...... কিন্তু মিঃ নিলয় আহমেদ আমি যেদিন রোজকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিনেই ঠিক করেছিলাম রুহিকে পাই আর না পাই রোজকে আমি আমার কাছেই রাখব।আজকের সব কিছু মিথ্যা হলেও উইল টা মিথ্যে নয় রোজের যখন ১৮ বছর হবে রোজ আমার কম্পানির মালিক হবে।আমি রোজকে কোথাও যেতে দিব না।
রুহি রোজ কে কাছে টেনে জিজ্ঞাস করল মাম্মাম তুমি কোথায় থাকতে চাও পাপার বাসায় নাকি আমাদের বাসায়?
রোজঃজানি না.....
রুহিঃ আচ্ছা এটা বলো পাপার কাছে থাকতে চাও নাকি বাবাই এর কাছে?
রোজ নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কুঁকড়ে উঠে হাত বাড়িয়ে রাজের কোলে উঠে গেল।
রাজঃ থাক আর বলতে হবে না তোমরা চাও আর না চাও রোজ আমার কাছেই থাকবে।
নিলয়ঃ এটাই হয়ত উপড় ওয়ালার ইচ্ছে ছিল তাই আমি রোজকে কখনো আদর করি নি, তাই আজ এত সহজে তোমাদের কাছে দিয়ে দিতে পারছি রাজের মত বাবা হলে হয়ত পারতাম না।
রুহিঃ আর আপনার কি হবে....??? কি নিয়ে বাঁচবেন আপনি?আপনাকে একা রেখে সার্থপরের মত নিজের সুখ খোঁজে নিব?
নীলয়ঃ আরে একা কে বলল আমি এলিনাকে নিয়ে বাঁচব.....
রুহিঃ এলিনা.....???
নিলয়ঃ হুম আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এলিনা ও আমাকে ভালবাসত আমি জানতাম না। আমি তো মিহিরিমাকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম এলিনা সেই দুঃখে বিয়ে করে নি আমার সাথে যোগাযোগ ও রাখে নি। মিহিরিমা মারা যাওয়ার পড় যোগাযোগ করেছিল বিয়ে করার জন্যও বলেছিল রোজ কে মেনে নিবে সেটাও বলেছিল কিন্তু তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করতে পাড়িনি কারন আমি জানতাম একটা মেয়ে কখনোই মানতে পাড়বে না তার স্বামি অন্য মেয়েকে এত কেয়ার করুক।এলিনা তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত যা আমি মেনে নিতে পারতাম না তাই করি নি।
কিন্তু এখন তো আমি দায় মুক্ত তাই ফিড়ে গিয়েই বিয়ে করে নিব।
নিলয় আর রুহি কথা বলছিল তাই খেয়াল করে নি রাজ কখন উঠে গেছে।আসলে রোজ রাজ কে নিয়ে গেছে বেলকনিতে রাখা ফুল গাছ দেখাতে ২ জন মিলে খুনশুটি করছে তা রোজ একবার এটা দেখাচ্ছে আবার ওইটা দেখাছে রাজো রোজের সাথে তাল মিলাচ্ছে দেখে মনেই হচ্ছেনা এদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নেই।
নিলয়ঃ আর্দশ পাপা কি করে হতে হয় রাজ কে দেখে শিখা উচিত।আমার মেয়ে এমন একটা পাপা পেয়েছে ভেবতেই ভাল লাগছে।
,
,
,
,
,
,
,
সেদিন বিকালেই রূহিরা বাড়ি ফিড়ে আসল।
রুহির বাবা মাকে খবর দেওয়া হল সাথে দিয়া আর দিয়ার বাবা মাকেও।
রুহির মা বাবা এসে রুহিকে দেখে কেঁদে ফেলল।
কি করে পাড়লি আমাদের এত কষ্ট দিতে?
রুহিঃ যখন আমার কাছে টাকা পয়সা ছিল না তোমাদের বোঝা হয়ে থাকতে চাই নি তাই ফিড়ে এসেছিলাম কিন্তু যখন সব হল ফিড়ে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তোমাদের প্রতিমাসে বেনামে টাকা পাঠানোর পড়েও তোমরা যখন একবারো জানতে চাইলে না কে টাকা পাঠাচ্ছে তখন আর যেতে ইচ্ছা করে নি। তোমাদের তো আমি ছাড়া কেউ ছিল না তবুও কেন ভাবলে না....
সেই রাগেই আর ফিড়ে যাই নি।
তোমাদের কাছে টাকাই সব।
রুহির মাঃ আমরা কি জানব তুই টাকা পাঠাচ্ছিস তুই হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রতিমাসেই তো রাজ টাকা পাঠাত আমাদের সব দায়িত্ব রাজ নিয়েছিল কয়েকমাস পর পর যেত দেখা করতে রোজ ফোন করত।রাজও নিজের নামে টাকা পাঠাত না তাতে নাকি তার অস্বস্তি হত।
তাহলে আমরা কি করে বোঝব তুই পাঠাচ্ছিস নাকি রাজ? মাসে ২ বার টাকা যাওয়াতে অবাক হতাম ঠিকি কিন্তু আমরা ভাবতাম রাজ পাঠাচ্ছে।রাজকে জিজ্ঞাস করে ওকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই নি তাই জিজ্ঞাস করা হয় নি।
রুহি অবাক হয়ে গেল,আমার স্বপ্ন তো এটাই ছিল বাবা মাকে খুশি রাখব রাজ তবে আমার সেই স্বপ্ন পুরন করেছিল..... অথচ আমি জানতাম না?
এর মধ্যেই দিয়া আর দিয়ার বাবা মা আসল।
দিয়া দৌড়ে এসে রুহিকে জড়িয়ে ধরল
দিয়াঃ সব দোষ আমার।তুই আমার জন্য কত কষ্ট পেয়েছিস প্লিজ তুই আমাকে ক্ষমা করে দে বোন।আমি জেনে বোঝে তোকে কষ্ট দেই নি রে.... যা হয়েছে সবটাই এক্সিডেন্ট। রাজের জন্য আমার যেটা ছিল সেটা এট্রাকশান লাভ নয় তাই ওকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম তার শাস্তি তুই পেয়েছিস। তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুখ হয়ত আমার নেই।
দিয়ার মা চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলল তোকে খোঁজে পাব কোনদিন ভাবি নি রে মা। আমরা তোকে আগলে রাখতে পাড়ি নি এটা আমাদের ব্যার্থতা।
দিয়ার বাবা রুহির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল তুই আমাদের ক্ষমা কর মা।
আমাদের ব্যার্থতার মাসুল তোকে দিতে হল।
রুহিঃ আজ আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। আসলে সব খারাপ দিকের একটা ভাল দিক থাকে।
আমি যদি হারিয়ে না যেতাম তাহলে আজকের দিনটা পেতাম না। আর এ সব কিছুর পিছনে সব কৃতিত্ব রাজের, রাজ যদি আমার জীবনে না আসত তাহলে আমি সবাইকে ফিড়ে পেতাম না।
একদিন ভেবেছিলাম আমার চেহারা আমার জন্য অভিশাপস্বরুপ আজ মনে হচ্ছে এই চেহারাই আমার সবচেয়ে মুল্যবান যার জন্য আমি সব কিছু ফিড়ে পেলাম।
আমার মত ভাগ্যবান কয়জন হয় বলোতো ১ টা ২ টা নয় ৩,৩ টা বাবা মা আমার....
সবাই অবাক হল ৩ টা মানে....???
রুহি এগিয়ে গিয়ে পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজের মাকে জড়িয়ে ধরে বলল তুমি বোঝি আমার মা নও?আর ইনি বাবা নয়?
রাজের মা কেঁদে ফেললেন
রাজের মাঃ কত স্বপ্ন ছিল আমার একটা মেয়ে হবে.... খোদা এভাবে আমার সেই আশা পূরন করবেন কখনো ভাবি নি।রাজের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল বলেছিলাম না এই মেয়ে রাজ কে কষ্ট দিতে পাড়ে না দেখেছো আমার কথাই ঠিক হল।
রাজের বাবাঃ তোর মত মেয়ের বাবা মা হওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার
পিছন থেকে রুহির পালিত বাবা বলে উঠল তবে কি রুহি আর আমাদের কাছে থাকবে না ওর নিজের বাবা মার বাড়িতে থাকবে....
রাজ হেসে বলল না....
রূহি আজ থেকে নাতো আপনাদের বাড়িতে থাকবে নাতো দিয়ার বাড়িতে থাকবে রুহি এখন থেকে রোজের বাবার বাড়ি মানে রাজের বাড়িতে থাকবে।
মানে আমি বলতে চাচ্ছি যে যদি রুহির ৩ বাবামার মত থাকে তবে আমি রুহিকে বিয়ে করতে চাই।
রুহি লজ্জা পেল।
রাজঃ লজ্জা পেয়ে লাভ নেই আপনার মেয়ে বিয়েতে মত দিয়েছে।
রুহি অবাক হয়ে বলল কি...???
রাজ রোজের দিকে তাকাতেই রোজ বলে উঠল কি মজা কি মজা মাম্মাম,পাপার বিয়ে হবে। রোজঃ মাম্মাম জানো পাপা বলেছে বিয়েতে আমি প্রিন্সেস এর মত সাজব....
রোজের কথায় সবাই হেসে উঠল।
নিলয় এসে রোজকে কোলে নিয়ে বলল যার এমন পাপা আর মাম্মাম আছে তাকে প্রিন্সেস সাজতে হয় না সে এমনেতেই প্রিন্সেস।
নীলয়ঃযানো রুহি যার মন ভাল থাকে তার সাথে সবসময় ভাল হয় তুমি নিঃসার্থ ভাবে রোজের জন্য যা করেছো তার বিনিময়ে এগুলো তোমার প্রাপ্যই ছিল।তুমি না থাকলে রোজ হয়ত আজ কোন এতিম খানায় থাকত আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ।
,
,
,
,
,
কিছুদিন পর ধুমধাম করে রাজ রুহির বিয়ে হয়ে গেল।
বিয়ের দিন স্নেহাঃ এত কমপ্লিকেটেড একটা লাভ স্টোরি শেষ পর্যন্ত পুর্নতা পেল ভাবতেই খুশি লাগছে।
জানিস রাজ তোদের নিয়ে গল্প লিখা যাবে.... ভাবছি আমি যদি সেটা লিখি আমি তো সেলিব্রিটি হয়ে যাব। তাই আগে থেকেই লাইনে দাঁড়া অটোগ্রাফের জন্য না হলে পড়ে পাবি না বলে দিলাম
স্নেহার কথায় সবাই হেসে উঠল। সবার মুখের হাসির মাধ্যমেই মুখোশ গল্পের সিজন ২ শেষ হল।
এখন দেখার পালা রোজ কি বড় হয়ে রাজ আর রুহির এই আদরের মর্যাদা দিতে পাড়ে কিনা।
----------
Sometime it felt like too much…..
But luckily climax was decent.
😷