Golperjogot

Golperjogot

mukhosh season 2 romance love story part 9

মুখোশ সিজন ২ – রহস্যময় প্রেমের গল্প পর্ব ৯ | মোনা হোসাইন

   মুখোশ সিজন ২

     Mona Hossain { Part 9  }


রাজঃ মুখ বন্ধ করো আমার কথা না শুনলে এটাই হবে বোঝেছো রোজের জন্য আমার ভালবাসা থাকলেও নিলয় এর জন্য কোন রকম সিম্পেথি আমার নেই ওর বুকে ছুড়ি চালাতে আমার হাত একটুও কাঁপবে না বোঝেছো ....যাও এখন বাসায় যাও।কথা বলার সময় নাই আমার।
রুহিঃ আমি নীলয় কে সব বলে দিব রাজ।
রাজঃ তোমার তাহলে এটা মনে হচ্ছে যে আমি নীলয় কে ভয় পাই?
রুহিঃ আমার কি বলা উচিত আর কি করা উচিত আমি বোঝতে পাড়ছি না। কিন্ত আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন?আমাকে আমার মত থাকতে দিন প্লিজ।
রাজঃ রুহি প্লিজ তুমি এভাবে বলো না আমি তোমার কথা ফেলতে পারব না কিন্তু তোমাকে ছাড়াও যে থাকতে পাড়ব না।তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি সব করতে পাড়ি।
রুহি তাছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,সেদিনও আপনি সব করতে পাড়তেন তবে আমার জন্য নয় দিয়ার জন্য।এতটাই করতে পাড়তেন যে একটা নির্দোষ,নিরহ মেয়ের সমস্ত আশা, ভরসা, স্বপ্ন ভেংগে দিতেও আপনার বিবেক একবার নাড়া দেয় নি।
আমি তো আগে থেকে নস্টা ছিলাম টাকার জন্য বড়লোকের ছেলের সাথে প্রেম করতাম হোটেলেও যেতাম।আজ হঠাৎ করে এই অভ্যাসগুলি ছেড়ে দিব কি করে বলুন?
রাজঃ রুহি প্লিজ চুপ করো।
রুহিঃ কথা গুলি আমার না আপনার.... যেটা আগে আপনি বলতেন আজ সবাই বলে।
যানেন সেদিন অনেকেই আমার রেট জানতে চেয়েছিল আমি খুব কেঁদেছিলাম কিন্তু এখন না আর খারাপ লাগে না মনে হয় এটাই স্ট্যাটাস। কথা গুলি বলতে বলতে রুহির কথা জড়িয়ে যাচ্ছে তার কান্না পাচ্ছে কিন্তু সে তা কন্ট্রোল করার চেস্টা করছে।তাই কথা জড়িয়ে যাচ্ছে।কিন্তু শেষ মেস সব বাঁধা পেড়িয়ে রুহির চোখের নোনা জল,তার গাল ছুঁয়ে গেল।
রুহি চোখ মুছতে মুছতে বলল, আপনি আমার যে স্বপ্নগুলি মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন নীলয় সেগুলো একটা একটা করে মাটি খুঁড়ে বের করে এনেছে।
এখন আপনিই বলুন না নীলয় কে ছেড়ে আমি আপনার কাছে কি করে আসব?
পিউ আর কোনদিন রুহি হবে না। রুহি মারা গেছে।
রাজের মুখে কোন কথা নেই আসলে কথা বলার মুখ রাজের নেই।সে যা যা করছে তারপরে এগুলিই তার প্রাপ্য।
রুহিঃ যাই তাহলে আমি জানি রোজ আপনার কাছে ভালই থাকবে।তাই রেখে যাচ্ছি রোজ আপনাদের বিরক্ত করলে আমার কাছে দিয়ে আসবেন।ও মনে হয় না আমাকে ছাড়া বেশিক্ষন থাকতে পাড়বে তাই বাধ্য হয়েই দিয়ে আসতে হবে।
আর হ্যা এটা ঠিক রোজের নাম আপনার নামের সাথে মিলিয়েই রেখেছিলাম কারন আমার প্রথম ভালবাসা রাজ ছিল। সময়ের সাথে রাজের রুপের পরিবর্তন হলেও তার জন্য আমার ভালবাসা একেই রকম ছিল।
আসলে গাইয়া তো তাই বেশবুসা বদলাতে করতে পাড়লেও মন টা বদলাতে পাড়িনি।
তাই মনের কোন এক কোণে আজও রাজের নামটা লিখা আছে।
রাজ অসহায় ভাবে তাকিয়ে বলল আমাকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না....??দুহাত বাড়িয়ে ভিক্ষা চাইছি আমার রুহিকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও প্লিজ....
রুহিঃ রুহি যে গরিব কাউকে দেওয়ার মত কিছুই তার কাছে নেই।আমি আগেও রাজের হাতের পুতুল ছিলাম এখনো আছি তবে রাজের নয় নীলয়ের।কিন্তু রাজ জোর করে পুতুল করে রেখেছিল এখন নিজের ইচ্ছায় আছি।আমার সব ভালবাসার একমাত্র মালিক নীলয়।আমি চাইলেও সেটার ভাগ অন্য কাউকে দিতে পাড়ব না।
রাজঃ আমি তোমাকে অন্য কারোর সাথে থাকতে দিব না রুহি।দরকার হলে নীলয় কে.....
রুহিঃ থাক বাকি টা আর বলো না রুহি বেঁচে থাকতে সেটা সম্ভব না।আজ যদি রুহি সেই গাইয়া,গরীব রুহি থাকত তুমি তাকে চিনতে কিনা সন্দেহ আছে ভালবাসা তো অনেক দুরের কথা।তোমার রুপের সব দিকেই তো আমার জানা তাই না?আমাদের জীবন থেকে সরে যাও রাজ।
রুহি আগেও নস্টা ছিল এখুনো আছে আর তাতে তার স্বামির কোন সমস্যা নাই। তাই আমার জীবনে নাক গলাতে এসো না।
রাজঃ...........
রুহিঃ যানো রাজ নীলয় না খুব ভাল আমাকে কোন কিছুতেই বাধা দেয় না,তোমার সাথে আমার রিলেশান ছিল সেটা জেনেও আমাকে কখনো কিছু বলে না রোজ এর নাম তোমার সাথে মিলিয়ে রেখেছি তাতে একবারো আপত্তি করে নি।আমি এত ছেলেদের সাথে ফ্লাডিং করি তবুও কোনদিন আমাকে নস্টা বলে নি।
আমি গরীব বলে কারো সামনে আমাকে ছোট করে না।আমি গাইয়া জন্যে কখনো বলে না তোমাকে সবার মাঝে বেমানান লাগছে । রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গিয়ে বলে না কখনো খায় নি তো তাই খাওয়াতে নিয়ে এসেছি। আমার টাকা নেই বলে না বন্ধুদের কাজ করে দিতে বলে না বরং আমার কাজ করার জন্য সার্ভেন্ট রেখে দিয়েছে তুমিই বল না এই মানুষটাকে কি ছাড়া যায়?নিলয় এত স্মার্ট আর বড়লোক হয়েও আমার অসহায় মুহূর্তে এত গাইয়া গরীব মেয়েকে বিয়ে করেছিল এই তো অনেক।বলতে বলতে রুহি চোখের জল ফেলছে।চোখ মুছে বলল,
রোজ কে কি তুমি রাখবে? মনে হয় না এরপর রেখে কোন লাভ আছে তার চেয়ে দিয়ে দাও।
আমি আমার অভ্যাস পরিবর্তন করব না আর নীলয়কেও ডিভোর্স দিব না।তাই রোজ তোমাকে পাপা ডাকলেও কোন লাভ আছে কি?
রাজ জীবনে এত কষ্ট কোনদিন পায় নি রুহির প্রতিটা কথা তার বুকে তীরের মত আঘাত করছে।
ভালবাসা কি রাজ আজ হারে হারে টের পাচ্ছে। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে তার। রুহিকে সে হারিয়ে ফেলেছে বোঝতে পাড়ছে।
রুহি তুমি আমারই চোখের সামনে অন্য কারোর বাচ্চার মা হয়ে দাঁড়িয়ে আছো।
তোমার মনে আমি থাকলেও তোমার জিবনে আমার কোন অস্তিত্ব নেই, তার জন্যে অবশ্য একমাত্র আমিই দায়ি কি করে সহ্য করব এই যন্ত্রনা?তুমি যদি নীলয় কে ভালবাসতে তোমি সুখে আছো ভেবে নিজের কষ্ট মেনে নিতাম কিন্তু তুমিও যে এখনো রাজকেই ভালবাসো।
রুহি তুমি আমায় ভালবাসো আমিও তোমাকেই বাসি কিন্তু আমরা আর কখনো এক হতে পাড়ব না এর চেয়ে বড় শাস্তি কি পৃথবীতে আছে?আমি তো আজ বেঁচে থেকেও মরে গেছি।
রাজের ভাবনার ছেদ পড়ল রোজের কান্নার আওয়াজে।
উপড় থেকে রোজের কান্নার শব্দ ভেসে আসছে।
কাজের লোক রোজ কে নিয়ে আসল।রুহি রোজকে কোলে নিয়ে নিল,রোজ রুহির কোলে উঠেই চুপ হয়ে গেল।
রুহিঃ বলেছিলাম না ও আমাকে ছাড়া থাকতে পাড়বে না। আমরা এখন যাই রাজ রোজের মনে হয় ক্ষুদা পেয়েছে।
রাজ নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
রুহি রোজকে নিয়ে চলে যাচ্ছে.....এমন সময়
রোজ বলে উঠল পাপা তুমিও চলো না আমাদের সাথে।
রাজ এতক্ষন চোখের পানি ধরে রাখলেও রোজের কথায় রাজের চোখে পানির বাঁধ ভাংগল।
রুহির চোখেও পানি,
রুহি দাঁড়িয়ে রাজের দিকে তাকিয়ে বলল,আমি যদি গরীব আর গাইয়া না হতাম আজ আমাদেরও এমন একটা সংসার থাকত রাজ।
কিন্তু গরীবের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় কখনো পুরন হয় না।সেদিন যদি আমার টাকা থাকত তুমি আমায় ফিরিয়ে দিতে না। আমাকে তুমি বলতে না সেজেগুজে হোটেলের সামনে দাঁড়াতে।
দেখো আজ আমার বাড়ি আছে গাড়ি আছে,স্বামি আছে সন্তান আছে কিন্তু সব থেকেও আমি নিঃস্ব।
কাঁদতে কাঁদতে রুহি চলে গেল......
রাজের চোখে অঝর দাঁড়ায় পানি পড়ছে ।

পড়ুন  Cute School Life Love Story Shishir Bindu Part 3
পরবর্তী পর্বের জন্য ক্লিক করুন :>> চলবে

Writer :- মোনা হোসাইন

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top