বেশ অনেক্ষন হয়ে গিয়েছে অর্কিড নিজের কেবিনে এসে বসে আছে কিন্তু ছিমছিমের হদিস নেই। যদিও ছিমছিম প্রতিদিন অর্কিডের পিছু পিছু তার কেবিনে আসে। কফি দেয় এবং দিনের সব কাজ সম্পর্কে অর্কিডকে জানায় কিন্তু আজ অর্কিড বলার পরেও আসেনি।
এদিকে ছিমছিম,
---"আমি কি করে স্যারের মুখোমুখি দাঁড়াব? উনি অন্য একজনের সাথে এনগেইজড আমি সেটা জেনেও কি করে এসব করলাম? ছি ছি...উনি নিশ্চয় আমার কাছ থেকে এমন আচারন আশা করেন নি। উনি যদি তআমার কাছে জানতে চান আমি কেন এমন করেছি?এ কি জবাব দিব আমি? আমি কোনভাবেই উনার যোগ্য নই তবুও আমি এমন করেছি উনি আমাকে লোভী ভাবছেন, খারাপ মেয়ে ভাবছেন, ভাবাটাই স্বাভাবিক। আমি জানি উনি আমাকে চাকরি থেকে বের করে দিবেন.
না আমি পারব না উনার মুখোমুখি হতে। (মনে মনে)
যেমন ভাবনা তেমন কাজ ছিমছিম অন্য একজন মেয়েকে রিকুয়েষ্ট করল আজ তার কাজগুলো যেন সে করে দেয় কারন তার শরীর ভাল লাগছে না। তাই বাসায় যেতে চায়। মেয়েটি ছিমছিমের কথায় রাজি হয়ে কিছুক্ষন পর কফি নিয়ে অর্কিডের রুমে গেল।
---"স্যার আপনার কফি...
অর্কিড মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বিরক্তভরে বলল,
---" আমাকে কফি দেওয়াটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। মিস ছিমছিম কোথায়?
---"আসলে স্যার ছিমছিম বলছিল ওর শরীর খারাপ লাগছে তাই বাসায় যেতে চায়...আমাকে বলল আপনাকে কফি দিতে।
---"ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন।
মেয়েটি চলে যেতেই অর্কিড অফিসের লেন লাইনে ম্যানেজারকে ফোন দিল,
---"জ্বি স্যার বলুন..
---"মিস ছিমছিম কি ছুটির আবেদন করেছেন?
---"জ্বি স্যার আমাকে বলেছে তবে এখনো এপ্লিকেশন জমা দেয় নি।
---"ঠিক আছে, এপ্লিকেশন জমা দিলে বলবেন ছুটি দেয়া হবে না।
---"কিন্তু স্যার....
---"আমি যা বল্লাম তাই করুন।
---"স্যার ছিমছিম তো কাজে ফাঁকি দেয় না আজ হয়ত সত্যিই শরীর ভাল না...
---"সেটা আমি বুঝব আপনাকে বুঝতে হবে না। ওকে আমার রুমে পাঠান।
---"জ্বি স্যার...
অর্কিড রাগে গজগজ করতে করতে ফোন রাখাল। কিছুক্ষন পর ছিমছিম দরজায় নক করে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
---"স স স্যার আসব..?
কিছুটা বিরক্ত নিয়েই জবাব দিল
---"আসুন...
ছিমছিমকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে অস্বস্তিতে আছে। তবে এই অস্বস্তিকে লজ্জা কম, ভয় মনে হচ্ছে বেশি । সে রীতিমতো কাঁপছে। ছিমছিম ভয়ে ভয়ে অর্কিডের দিকে একটা কাগজ এগিয়ে দিল, অর্কিড কাগজটা হাতে নিয়ে অগ্নি চোখে তাকাল।তারপর ধমকে বলল,
---"আপনি নিজেকে কি মনে করেন মিস ছিমছিম?
---"স স্যার...?
---" রিজাইন লেটারের মানে কী...? আপনি আর চাকরি করতে চান না তাই তো...?
---"আসলে স্যার...
---"বেশ চাকরি করার প্রয়োজন নেই বলেই রিজাইন লেটারে সাইন করে দিল অর্কিড। নিন! এবার খুশি?
ছিমছিম বুঝতে পারল না কি উত্তর দিবে।
---"আপনি চাকরি ছেড়ে দিতে চাইলে তাতে আমার কিছু বলার নেই কিন্তু গতকাল রাতের ব্যাপারে বলার আছে।
--"রাতের ব্যাপারে?
--" আপনার আর আমার মধ্যে এখন বস এ্যাসিস্ট্যান্টের সম্পর্ক শেষ এবার বলুন আপনি গতকালের ঘটনার দায়িত্ব কিভাবে নিবেন?
---"দায়িত্ব...?
---"অবশ্যই দায়িত্ব এই ঘটনার সম্পূর্ন দায়ভার আপনার। কি কি করেছেন আশা করি মনে আছে এখানে আমার কোন হাত ছিল না।
---"আ আ আমি সত্যিই দু:খিত এবং লজ্জিত স্যার। আমাকে ক্ষমা করে দিন।
---"ক্ষমার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আগে সমস্যার সমাধান করুন। এই ঝামেলার শেষ কোথায়?
---"স্যার আপনি নিচিন্ত থাকুন আমি এই ব্যাপারে কাউকে কিছু বলব না।
---"আশ্চর্য! আপনি বলুন বা না বলুন তাতে কিছু বদলাবে?
---"আপনি কি বলতে চাইছেন বুঝতে পারছি না ।
---" ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে থাকলে বুঝবেন কি করে? আমার দিকে তাকান... তাকান বলছি (ধমক দিয়ে)
ছিমছিম তাকাতেই অর্কিড বলল,
---"ধরুন এই সেইম কাজটা যদি আমি করতাম মানে আমি যদি আপনাকে জোর করে রাত কাটাতাম ফলাফল কি হত?
---"স্যার আ আ আ আমি...
ছিমছিম আর কিছু বলতে পারল না তার চোখ ফেঁটে কান্না পাচ্ছে সে নিজেকে আটকাতে না পেরে কেঁদেই ফেলল। অর্কিড রেগে বলে উঠল,
---"মিস ছিমছিম এটা আপনার বাসা নয় অফিস, প্লিজ সিন ক্রিয়েট করবেন না। কান্না থামান।
ছিমছিম কেঁদেই চলেছে,
---"কি হল কান্না থামাতে বললাম না? আমি খারাপ কিছু করার আগে থামুন।
ছিমছিম কোনমতে চোখ মুছল।
---"সাথে ফোন আছে?
---"জ্বি স্যার..
---"বেশ,বাসায় একটা ফোন করুন তো..
---"কার বাসায় স্যার?.
---"কার বাসায় মানে? অবশ্যই আপনার বাসায়।
---"কিন্তু কেন? বাসায় ফোন করব কেন?
---"মাকে ফোন করে বলবেন দুটি খবর দেয়ার আছে একটা ভাল,একটা খারাপ। কোনটা আগে শুনতে চায়? যদি বলে খারাপ টা আগে শুনতে চায় তাহলে বলবেন আপনার চাকরি চলে গিয়েছে আর ভাল খবর হল আজ আপনার বিয়ে।
অর্কিডের কথায় ছিমছিম যেন আকাশ থেকে পড়ল,
---"ব ব বিয়ে...? মানে কি? গতকালের ঘটনা থামাচাপা দেয়ার জন্য উনি এখন যার তার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিবে (মনে মনে)
---"কি এত ভাবছেন ফোন করুন।
---"স্যার বিয়ের কোন প্রয়োজন নেই আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি কাল রাতের ব্যাপারে কেউ কোনদিন কিছু জানতে পারবে না। আমাকে এত বড় শাস্তি দিবেন না প্লিজ।
---"কিসের শাস্তি? শাস্তি আমি আপনাকে দিচ্ছি নাকি আপনি আমাকে দিচ্ছেন? আর বিয়ের প্রয়োজন নেই মানে কী? এতকিছুর পরেও বিয়ে করবেন না?
--"এই ঘটনার পুরো দায়ভার আমার। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
---কিভাবে নিশ্চিন্ত হব শুনি? কে বলতে পারে আপনি আমার বাচ্চা পেটে নিয়ে ঘুরছেন না..?
---"কীহ? ব ব বাচ্চা! মানে কি...? বাচ্চা আসল কোথা থেকে?
---"কোথা থেকে এসেছে রিপিট করব?
ছিমছিম নিজের পেটের দিকে একবার তাকিয়ে আবার অর্কিডের দিকে তাকাল সাথে সাথে অর্কিড বলল,
---"এটাই তো স্বাভাবিক তাই না? এখন হয়ত জানবেন না কয়েক মাস পর জানবেন।
---"না এটা হতে পারে না।
---" হতে পারে না সেই গ্যারান্টি কে দিল?ধরুন হয়ে গেল তখন কি করবেন?এর দায়ভার কে নিবে?
---"ভুল যেহেতু আমি করেছি আমিই নিব
---"তা কী করে নিবেন? ওকে মেরে ফেলতে চাইবেন তাই তো?
---"স্যার...
---"কান্না করে কোন সমাধান হয়? তাহলে বাচ্চাদের মত কাঁদছেন কেন? কান্না থামান তাছাড়া একটা নিষ্পাপ বাচ্চার ক্ষতি করার অধিকার আপনার আছে কী? এসব ঘটার আগে বিয়ে করা উত্তম। আর কথা বাড়াবেন না গাড়িতে যান আমি আসছি কাজি অফিসে যাব।
---"স্যার আমার কথাটা একটু শোনোন...
---"জ্বি বলুন শুনছি এ ছাড়া কোন সমাধান আছে আপনার কাছে?
---" স্যার বাচ্চা তো নাও হতে পারে...
---"তাতে কি যা ঘটে গিয়েছে সেটা বদলে যাবে..?
---"তাই বলে বিয়ে করতে হবে...?
---"এমনভাবে কথা বলছেন যেন আপনাকে বিয়ে করার জন্য আমি দেওয়ানা হয়ে গিয়েছি?যা ঘটেছে তার একটা সুষ্ঠু সমাধান বের করার চেষ্টা করছি শুধু তানাহলে আপনাকে কে বিয়ে করত?
---"বিয়ে করত মানে? আ আ আপনি আমায় বিয়ে করবেন?অন্য কারো সাথে
অর্কিড স্তব্ধ চোখে ছিমছিমের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বুঝার চেষ্টা করল মেয়েটা আসলে সুস্থ নাকি মানুষিক বিকারগস্ত?
---"মিস ছিমছিম আপনি ঠিক আছেন? রাত কাটিয়েছেন আমার সাথে এখন অন্য কারো সাথে বিয়ে দিব মানে বুঝলাম না...
---"আপনি আমায় বিয়ে করবেন কি করে সম্ভব?
---"আপনার সাথে বিয়ের আগে এক বিছানায় ঘুমাব সেটাও তো সম্ভব ছিল না। যাইহোক যা হবার হয়ে গিয়েছে এখন এসব বাদ দিয়ে গাড়িতে যান।
---"কিন্তু স্যার আপনার পরিবার এই বিয়ে মানবে না ।
---"তাত মানবেই না। কিন্তু এছাড়া বিকল্প কোন রাস্তাও তো নেই তাই বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে হবে।
।
।
।
।
গাড়িতে অর্কিড আর ছিমছিম পাশাপাশি বসে আছে কারো মুখে কোন কথা নেই। ছিমছিমের ভিতরে ভীষন অপরাধবোধ কাজ করছে,
---"স্যার বাধ্য হয়েছেন আমাকে বিয়ে করতে। স্যারের পরিবার আমাকে কখনো মেনে নিবেন না। উনার গার্লফ্রেন্ড যখন সব জানতে পারবে তখন কি ঘটবে? আমি স্যারের জীবন টা নষ্ট করে দিলাম সাথে নিজের টাও। আমরা কোনদিনেই সুখী কাপল হতে পারব না।
---"কিছু কিনবেন?
অর্কিডের ডাকে হুঁশ ফিরল ছিমছিমের,
---"কিছু বলছিলেন স্যার..?
---"বলছি হুটহাট বিয়ে তারউপর পরিবারকে না জানিয়ে যাইহোক যতকিছুই হোক আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না। কোন কিছু কিনা হয়নি শাড়ি গয়না মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি মেকাপ...চলুন সব কিছু কিনে নিই।
---"না না স্যার কিছু লাগবে না...
---"আপনি বললে তো হবে না দায়িত্বটা আমার। আমি কোন রকম অপূর্নতা রাখব না চলুন বলছি।
ছিমছিম যেতে না চাইলেও অর্কিড জোর করে তাকে শপিং করে দিল তারপর মেকাপও করিয়ে আনল। অর্কিডের কিছু বন্ধুর উপস্থিতি তাদের বিয়ে পড়ানো হল। একদিকে অপরাধবোধ অন্যদিকে পরিবারকে না জানিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করার ভয় নিয়ে ঘোমটা মাথায় বসে আছে ছিমছিম। রাত প্রায় ১ টার কাছাকাছি কিন্তু অর্কিড রুমে আসছে না। অনিশ্চিয়তা আর ভয় চেপে ধরেছে ছিমছিমকে। খুব কান্না পাচ্ছে বারবার মনে হচ্ছে যা হয়েছে ঠিক হয়নি। অর্কিডকে এমন একটা অবস্থায় ফেলা কিছুতেই উচিত হয় নি। কথায় আছে সবচেয়ে ভারী বস্তু, অনুশোচনার ভার বয়ে নেওয়া। ঘড়িতে যখন রাত ২ টার কাছাকাছি ঠিক তখন অর্কিড রুমে ঢুকল আর ঢুকেই ভ্যাবাচেকা খেল কারন ছিমছিম হাওমাও করে কাঁদছে। হুট করে কি হল অর্কিডের মাথায় ঢুকল না তাই তাড়াতাড়ি ছিমছিমের কাছে গেল।
---"কি হয়েছে ছিমছিম তুমি কাঁদছো কেন?
অর্কিডের কন্ঠ শুনে ছিমছিম মুখ তুলল কিন্তু অর্কিডকে দেখে তার কান্না যেন দ্বীগুন বেড়ে গেল।
---"আরে কি হয়েছে বলবে তো..?
---"স্যার আপনি আমায় ক্ষমা করে দিন। আপনার এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি এসব চাইনি।
---"আমার এই অবস্থা বলতে কি বুঝাতে চাইছো?
---"আমার মত একটা মেয়েকে তো আপনার বিয়ে করার কথা ছিল না। কোথায় আপনি আর কোথায় আমি। আমার জন্য আপনার বাবা মা আপনার প্রেমিকা আপনাকে ভুল বুঝবে।
---"ওয়েট ওয়েট গতকাল থেকে শুনে যাচ্ছি আমার প্রেমিকা আমার প্রেমিকা এই প্রেমিকা আসলো কোথা থেকে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার প্রেমিকাটা কে শুনি?
---"কেন আপনি গতকাল যাকে আংটি পরিয়েছেন?
---"হোয়াট? তোমার মাথা ঠিক আছে ছিমছিম কি সব আবল তাবল বকছো? জেনি আমার প্রেমিকা মানে কি? তোমার ঠিক কি দেখে মনে হল জেনি আমার প্রেমিকা..?
---"উনি কাল আপনার সাথে?
---"আমার সাথে কি? পুরোটা বলো
---"উনি আপনাকে জড়িয়ে ধরেছিল আমি দেখেছি তাছাড়া আপনি উনাকে আংটিও পরিয়েছেন।
---"ছিমছিম জেনি আমার সৎ বোন। আমি ভাবতে পারছি না তুমি আমাদের নিয়ে এসব ভেবেছো...গতকাল ওর এনগেইজমেন্ট ছিল কিনতি ও অন্য একজনকে ভালবাসে তাই বাবা মায়ের পছন্দের ছেলের হাতে রিং পরতে চাচ্ছিল না তাই অফিসে এসেছিল আমাকে রিকুয়েষ্ট করতে যেন আমি এনগেইজমেন্ট টা হতে না দেই।আমিও তাই ওকে গিফটের নামে রিং উপহার দেই যাতে ওকে এনগেইজমেন্টের রিংটা পরতে না হয়। সবাই যখন জিজ্ঞাসা করল আমি কেন এমন করেছি তখন বাবা মাকে সবটা খুলে বলি আর বিয়েটা ভেঙে যায়। আর তুমি তারমধ্যে ছি...
---"আপনি এসব কি বলছেন?
---"যা সত্যি তাই বলছি।
---"প্রেমিকা নাহয় নেই মানলাম কিন্তু আপনার বাবা মাও তো আমাকে মানবে না।
---"মানবে না কে বলল?
---"আপনিই তো বলছিলেন
---"আমি বলেছি লুকিয়ে বিয়েটা মানবে না। তোমাকে মানবে বা কখন বললাম? শিক্ষিত, সুন্দরী, ভদ্র একটা মেয়েকে মেনে না নেওয়ার কারন দেখতে পাচ্ছি না।তাছাড়া তুমি অচেনা কেউ না। মা বাবা দুজনেই তোমাকে পছন্দ করে। সবচেয়ে বড় কথা বাবা মা আমার বাইরে কোন কথা বলবে না।
---"যে মেয়ে নাইট ক্লাবে সে ভদ্র? আমি কাল ক্লাবে না গেলে আপনাকে এমন সিধান্ত নিতে হত না।
---"তুমি এত মাথা মোটা কেন ছিম? তোমার কি মনে হয় গতকাল আমাদের মধ্যে সত্যিই কিছু হয়েছে?
---"ম মানে?
---"মানে আমাদের মধ্যে কাল কোন কিছুই হয়নি।আমাকে তুমি এতটা নীচ ভাবলে কি করে যে আমি তোমার মাতাল হওয়ার সুযোগ নিব? তোমার সারা শরীর থেকে মদের স্মেল আসছিল তাই আন্টিকে বলেছিলাম জামা বদলে দিতে। তবে হ্যা আমরা একসাথে ঘুমিয়েছি এটা সত্যি আর সেটা শুধুমাত্র তোমাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যেন এরপর আর ক্লাবে যাওয়ার সাহস না পাও।
Related Story
---"আপনি সত্যি বলছেন?
---"বিশ্বাস করতে ইচ্ছা না হলে করো না।
---"তাহলে আমাকে বিয়ে করলেন কেন?
---"কারন গত তিন বছর ধরে আমি তোমাকে ভালবাসি তাই।
---"আপনি এসব কি বলছেন স্যার?
---"জানতাম তুমি অবাক হবে তবে এটাই সত্যি। আসলে আমি তোমাকে ভালবাসার কথা বলতে পারি নি যদি তুমি ভাবো আমি তোমাকে খারাপ চোখে দেখছি। বস হয়ে এসিস্ট্যান্টের উপর খারাপ নজরে তাকাচ্ছি এর চেয়ে লজ্জা জনক আর কি হতে পারে? তাই বলতে পারিনি। আমি এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম কবে তুমি এসে বলবে স্যার আমি আপনায় ভালবাসি। যাইহোক অবশেষে বলেছো আমি তাই খুশি এবার থেকে তুমি আমার আর আমি তোমার। আমি সরি তোমাকে এভাবে বিয়ে করার জন্য আসলে আমি এই সুযোগটা মিস করতে চাইনি।তাই বাচ্চা আর রাতের ব্যাপারে মিথ্যা বলেছিলাম।
---"স্যার আপনি সত্যিই আমায় ভালবাসেন?
---"উফফ ভাল না বাসলে এত কিছু করতাম তোনাকে সবসময় সাথে রাখি কেন রাখি বুঝোনা?
---"আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। মনে হচ্ছে সব স্বপ্ন দেখছি।
অর্কিড এবার এগিয়ে এসে ছিমছিমের কপালে চুমু খেয়ে বলে উঠল,
---"এবার বিশ্বাস হল...?
Writer :- মোনা হোসাইন