তখন কেবল ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ি, ঢাকা শহরে খুব ভালো একটা নামিদামি কলেজের ছাত্র। স্কুল জীবনে কিছু বন্ধু ছিল ,বন্ধুদের সাথে অনেকদিন দেখা হয় না। হঠাৎ, একদিন পুরাতন বন্ধু সাইদের সাথে দেখা হল। দীর্ঘদিন পর দেখা হয়ে যাওয়ার কারণে, দুজনের কাছাকাছি থাকতে পারি এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম ।আমার তখন ফোন ছিল না সাইদ বলল ,আমরা একটা কাজ করতে পারি, আমাদের পাশেই একটা কোচিং সেন্টার আছে সেখানে আমি পড়ি তুই এসে ঐখানে কোচিং করতে পারিস ।তাহলে ,আমাদের প্রতিদিনই দেখা সাক্ষাৎ হবে।
ওই দিনের এই সিদ্ধান্তের কারণে আমার জীবনে আজকের এই পরিণতি কিনা, ওই দিন যদি এই এত বড় সিদ্ধান্তটা না নিতাম তাহলে হয়তো মিতু নামের চ্যাপ্টারটা আমার জীবনে কখনো আসতো না।
বাসায় এসে চাচাকে ব্যাপারটা জানালাম আমি কোচিং এ ভর্তি হতে চাই ।ও আমি চাচার বাসাতে থাকি । পড়ালেখার ভারটা তিনি বহন করেন। আমি কখনো কোচিং,কিংবা কোন শিক্ষকের কাছে গিয়ে কখনো প্রাইভেট পড়ি নাই। চাচা আকস্মিক এমন সিদ্ধান্ত না করলো না । তবে, একটু বিরক্ত হলো, বাসায় এত শিক্ষিত মানুষ থাকতে বাইরে গিয়ে শিক্ষাটা তার চোখে ভালো ঠেকলো না ।তবু এক ধরনের জোর করে আমি কোচিং এ ভর্তি হলাম।
দিনটি ছিল শনিবার আমি কোচিং এ গেলাম ভর্তি হব বলে স্যারের নামটা ঠিক মনে পড়তেছে না ,খুব সম্ভব সাইফুল ইসলাম বা জামশেদ ইসলাম এমন কিছু একটা হবে। স্যারের সাথে বসতেই স্যার আমাকে কম্পিউটার থেকে একটা ভিডিও দেখান স্যার নিজেকে অভিনেতা হিসেবে জাহির করল। ইতিপূর্বে তাকে আমি কখনো দেখেছি কি না এটা নিয়ে আমার অনেকক্ষণ ধরে মাথার ভিতরে অঙ্ক কষতে লাগলো ।
অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলাম আগে ওনাকে কখনো দেখিনি। তবে আশেপাশে উনার হয়তো কোচিং এর কোন পোস্টটর দেখেছি। স্যার নিজেকে বড় ব্যাবসায়ীর ভাই বলে দাবি করলেন। বসুন্ধরা সিটিতে ওনাদের অনেক গুলো দোকান আছে বলে একটা অট্র হাসি দিলো,আমিও না বুঝে নিজেও হাসলাম। অনেকক্ষণ ধরে আমার কলেজ নিয়ে গল্প করলো , এমন ভাবে বললো উনি কলেজটিতে পড়েছেন।
আমাদের ক্লাস নিবেন আমার অনেক পরিচিত বন্ধু আছে সমর ,সাইদ ,পরশ আরো কয়েকজন পরিচিত বন্ধু কয়েকজন মেয়েও আছে। আমি পিছনের বেঞ্চিতে বসে আছি ,স্যার আসতে পারি কন্ঠ শুনে তাকালাম ।একটা হরিণী চোখী, গায়ের রং শ্যামলা, চুলগুলো বাধা নেই চোখের সামনে দিয়ে সামনের বেঞ্চিতে গিয়ে বসলো। স্যার ইংরেজি পড়াচ্ছিলো মেয়েটা দেখলাম বেশ ইংরেজি পারে হুট হাট স্যারকে প্রশ্ন করছে।
মাঝে মাঝে পাশের বান্ধবী তাকে কিছু বললে হেসে উঠছে ।সাদা দাঁতগুলো কি সুন্দর বোঝানো যাবে না । হালকা বাতাসে চুল গুলো একটু একটু দুলতে থাকা অবস্থায় খুব সুন্দরী লাগছিলো। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম মেয়েটার কি সুন্দরী । ক্লাস শেষ হল আমরা সবাই বাইরে আসলাম । আমি অনেকক্ষণ মেয়েটাকে লক্ষ করলাম , মেয়েটা বুঝেই উঠলো না এই ব্যাপারটা ,তার দিকে কেউ একজন লক্ষ করছে।
বাসায় গিয়ে সারাক্ষন একটা অনুভুতি নিয়ে থাকলাম , অনেক ক্ষন মুখে হাত রেখে ভাবতে ভাবতে সারাদিন কেটে গেলো ।রাতে দেখলাম ঘুম আসে না। কোচিংএ যাওয়ার প্রতি আগ্রহটা বেড়ে চলেছে। মনে হলো এই রাতে যদি ক্লাসে যেতে পারতাম।
আমার মেয়েটাকে নিয়ে রাতে ভাবতে ভাবতে ঘুম আসলোনা। অনেকক্ষণ আমি সপ্নের স্পর্শে বিভর থাকলাম। বসে ছিলাম মেয়েটা দেখলাম আসলো আমি তাকিয়ে থাকলাম। সে আমার কাছে আসলো আমাকে বললো….
– এ ভাবে তাকিয়ে থাকলে নজর লেগে যাবে ।
আমি বললাম নজর লাগলে ক্ষতি কি?
আমাকে একটা আঙ্গুল দিয়ে ছোঁয়া দিয়ে কোথায় যেনো চলে গেল। আমি ধড়িমড়ি করে চাচার ধমক খেয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। একমাস পর পরিক্ষা আর আমি ঘুমাতে ব্যাস্ত, সকাল সকাল একটা বকা খেয়ে ঘুম ঘুম চোখে সোজা টেবিলে গিয়ে বসলাম । সকাল সকাল কোচিং এ গেলাম ।
বাইরে একটু একটু বৃষ্টি পড়ছে । আমি কখনো ছাতা নিয়ে বের হয়না। একটু একটু ভিজে হয়ে কোচিংএ পৌঁছে দেখি ক্লাস অর্ধেকটা শেষ । বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টিতে টিনের চালে প্রচন্ড শব্দে স্যার কি বলছে কিছু শোনা যায়নি। স্যার একটু কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। স্যার অফিস রুমে বসতে গেলে ক্লাসে শুরু হলো গল্প আর আড্ডা।
অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টি হলো আমি অনেকক্ষণ তাকিয়ে আছি তার দিকে।সে লক্ষ্য করলো না। এদিকে আমার মনের ভিতরে তাকে পাওয়ার জন্ত্রনা শুরু হতে থাকলো। আমি ব্যাকুল হয়ে উঠলাম তাকে পেতে। দুদিনে আমি অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছ। বন্ধু সমরকে আমার মনের কথাটা বললাম আমার কথা শুনে হাসলো ও,
বললাম এই মেয়েটার সাথে আমার একটা সম্পর্ক করে দাও ।ও হয়তো অবাক হলো দুদিনে কি করে ভালোবাসা হয়। আমিও জানতাম না আসলেই কি আমি ভালোবেসেছি নাকি আমার চোখের মোহ,আবেগ।
তাই হোক আমি তাকে পেতে চাই বলে আবদার করে বসলাম ।যেন যুগ যুগ ধরে তাকে চিনছি ,যেন তার উপর আমার অনেক অধিকার, যেন তাকে পেতে আমার এখানে আসা।সমর আমাকে অনেক ভরসা দিল ,আশা দিলে। আমি সেই আশাতেই থাকতে থাকলাম বাসায় গিয়ে মেয়েটা ফেসবুক আইডিতে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলাম।যদিও সে একসেপ্ট করলো না।
আমি প্রতিদিনই তাঁকে কোচিংয়ে দেখি । একদিন, দুপুরবেলা সাইদ আর আমি হাটছি। অনেকক্ষণ, হাঁটার পরে সাইদ আমাকে বলল বন্ধু, সমর আর মিতুর তো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে দুজনের। আমি হঠাৎ সাইদের দিকে তাকালাম ,মনের ভিতরে একটা পোশ্ন নিয়ে আসতে থাকলো সত্যিই আমার বন্ধু নাকি?
হঠাৎ এমন খবর আমার মনে একটা ভূমিকম্পের সৃষ্টি হলো , বুঝতে দিলাম না।কি বলব বুঝতে পারছিলাম না । শুধু বললাম মেয়েটাকে দেখি রাখতে বলিস আমি সত্যি মেয়েটাকে ভালবাসতাম । আমি বাসায় এসে অনেক্ষন চুপ করে বসে থাকলাম। আমার দিনগুলো খুব খারাপ কাটতে থাকলো।
ইন্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলো। আমি ও ব্যাস্ত হয়ে গেলাম পরিক্ষা নিয়ে। পরীক্ষা খুব খারাপ হলো। আমি যেন অতল সমুদ্রের নিচে ডুবে যেতে থাকি। আমি যেন হারতে থাকলাম বারংবার। একটা ভয়ংকর সপ্নের পিছনে ছুটতে গিয়ে আমার পিছনে সত্যিকারের বাস্তবতা তাড়া করতে থাকলো।
এভাবে কেটে একটা মাস।
মেয়েটি জানালো আমি নামের কেউ তাকে ভালবাসে। মিতু তখন জানতে পারলো আমি তাকে ভালোবাসতাম আমি তাকে পছন্দ করতাম। বন্ধুত্বের পরিচয়ে যে আমাকে হারালো তাকে আমি কিছু বললাম না, আসলে বলার অনেক ছিলো কিন্তু মেয়েটা ওকে ভালবাসে তাই এই প্রতিযোগিতায় নিজেকে সরিয়ে নিলাম। তাকে আমি বন্ধুত্ব রিকোয়েস্ট যখন পাঠিয়েছিলাম মিতুকে তখন সে গ্রহণ করিনি কারণ আমাকে সে চিনত না।
এখন সে আমাকে একটু একটু চেনে জানি আমি তাকে পছন্দ করতাম তাই সে আমার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করলো। আমি ম্যাসেঞ্জারে তার সাথে কথা বলি কথা বলার সময় মনে হল আমি তার কাছে একজন হাস্যকর ব্যক্তি। মনে হলো তার হিমালয় সমান সস্পদ হয়েছে ।আর আমি তার প্রজা হয়ে ভালোবাসার ভিখারি। নিজেকে একটু একটু জড় বস্তু ভাবতে থাকলাম।
ভেবেছিলাম হয়তো আমি কোন যোগ্যতা রাখি না। নিজেকে খুব ছোট ভাবতে শুরু করলাম।
আমি যেন তার মজার কোন বস্তুতে পরিণত হয়েছি। নিজেকে তখন কিছুই বললাম না। সরাসরি তাকে ভাবি ডাকার জন্য আমাকে অনুরোধ করল। তাদের বিয়েটা হয়ে গিয়েছে এমন একটা ভাব দেখালো । আমিও মেনে নিলাম ব্যাপারটা এখন তো আমার আর করার কিছু নেই । কিন্তু ব্যাপারটাকে মাথায় রাখলাম ভিতরে ভিতরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে লাগল ।
একদিন তাকে ভালোবাসিয়ে ছাড়বো ধীরগতিতে নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে লাগলাম | কি ভাবে সম্পর্কটাকে নষ্ট করা যায় ?খুজতে থাকলাম দোষ ত্রুটি কিন্তু কোনোভাবেই পেরে উঠতে ছিলাম
না । একসময় যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি । নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে শুরু করলাম । সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। কোচিং সড় সব মিলিয়ে মিতুকে এক প্রকার ভূলে গেছি। তখন হঠাৎ, একটা খবর আমার কাছে আসলে অবশ্যই আমার কাছে এটা একটা খারাপ খবর।
আমি এতটা প্রত্যাশা করি নি। যদিও আমার বুকে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতেছিল ।তবুও ,এত বড় একটা খবর আমার কাছে খুবই দুঃখের এবং মর্মাহত করে মনে ,কারণ সমর ও তার মাঝে কয়েকদিন আগে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তাদের নিজেদের ইচ্ছামতে কিন্তু সমর এটিকে অন্য রূপ দিতে, একটি ভিডিও ধারণ করেছে। মনে হল দুনিয়াটা খুব.. । যাইহোক ভিডিওর ভিতর ভিতরে ছিল সমর , মিতুর দুজনের অবৈধ সম্পর্কের চিত্র, ব্যাপারটা আমার কাছে বলার কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়েটাকে যে কোন ভাবে আমাকে রক্ষা করতে হবে ।
কারণ আমি তাকে ভালোবাসি এত বড় ক্ষতি তার হতে দিতে পারিনা। অনেক ক্ষন ধরে ভাবতে থাকি কি করা যায়। কোন কিছু মাথায় আসছিলো না। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে জানানো উচিত। আমি বাসায় আসলাম মিতু কে মেসেঞ্জারে নক দিলাম। কিন্তু সে আমার কথার কোন রিপ্লাই দিল না ।
আমি বেশ চিন্তিত হলাম আমার মানসিক জন্ত্রনা হতে থাকলো। সন্ধ্যা বেলার মিতু আমাকে মেসেজ দিলো তখন আমি ভিডিও ধারনের ব্যাপারটি তাকে বললাম ।সে কোনমতে স্বীকার করল না। আমি তখন তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আশ্বাস দিলাম। তখন সে ব্যাপারটি স্বীকার করলো এবং নিজেকে মৃত্যুর কোলে ঢেলে দেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে থাকল। আমি তাকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করলাম ।
কয়েকদিনের ভিতরে আমাদের মাঝে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেল আমি তাকে সকল কিছুর উর্ধে থেকেও ভালোবাসা স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলাম । আমার স্বপ্নের জালে পা দিলো মিতু। আমরা ভিডিওর সরানোর চেয়ে ব্যাক্তিগত কথা বেশি বলতে শুরু করলাম।সমর এর প্রতি ওর ঘৃনা হতে থাকলো।
একদিন আমরা দুজন দুজনের সাথে দেখা করলাম।এই প্রথম সরাসরি তার সাথে কথা বলা । আমি যেন হারিয়ে যেতে থাকলাম। তার প্রেমের স্পর্শ দেখা শুরু করলাম। ভুলে গেলাম সমর আর তার সম্পর্ক। তাদের অবৈধ সম্পর্ক মন থেকে মুছে তাকে ভাল বাসতে শুরু করলাম । আবার নতুন করে স্পর্শ দেখা। মিতু ওঃ যেন ভিডিওর কথা ভুলে গিয়ে আমার সাথে সম্পর্ক শুরু করলো ।
আমরা নিজেদেরকে সারাদিন সারারাত ব্যস্ত করে ফেললাম একজন আরেকজনের খবর নিতে। আমাদের ভিতরে অধিকার বাড়তে থাকল এক এক করে আমরা একটা অনৈতিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ভিতরে খুলে যাচ্ছে সকল ধরনের লজ্জার আবরণ। আমরা নিজেদেরকে প্রাচীন যুগের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনছি। আমরা সারারাত কথা বলতাম ফোনে সারারাত কথা বললেও আমাদের কথা শেষ হতো না ।
এইভাবে আমরা প্রতিদিন রাতগুলো না ঘুমিয়ে সারারাত কথা বলতাম । ঘুমাতাম এইভাবে কেটে গেল এক মাস হঠাৎই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম তোলার সময়সীমা চলে আসলো পরীক্ষা সামনে ।
এক মাস কি দুই মাস এমন হঠাৎ একদিন আমার নিজের মনে হল এই সম্পর্কটা হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ কে নষ্ট করে দিতে যাচ্ছে । দুজনেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাক্ষণ কথা বলায় ব্যস্ত, আমাদের কথা বলার ভিতরে কোন কমতি নেই। আমরা সময় হলে বেরিয়ে পড়ছি । আমরা বৃষ্টি রোদ কোন কিছু পরোয়া করছি না। সকালবেলা কোচিং বাদ দিয়ে গার্ডেন এ গিয়ে বসে থাকি । দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকি সারাক্ষন। কথা বলছি সরাক্ষন আমরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে কথা বলছি ।
আর পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলোতে নজর দিচ্ছিনা তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের সম্পর্কটা নষ্ট করা উচিত। সন্ধ্যার দিকে মিতু আমাকে ফোন দিল আমি ফোন ধরেই এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করি। তাকে অকারণেই বাজে কথা বলতে শুরু করে । নিজেকে সরানোর জন্য এর থেকে আর ভালো কোন উপায় খুঁজে পেলাম না।
একসময় একসময় মিতু সত্যিই আমার থেকে দূরে সরে চলে গেল। আমাদের দেড় মাসের সম্পর্ক একদিনে শেষ হয়ে গেল।
আমি পড়াশোনায় মনোযোগ দিলাম সামনে ভার্সিটির এক্সাম হঠাৎ আমার চিকুনগুনিয়া রোগ আমি কয়েকদিন কোচিং এ যেতে পারছিনা। হঠাৎ মনে হল মিতুকে ফোন দেই কিন্তু তাকে ফোনে পেলাম না। আমার বন্ধুকে আমি নক দিলাম তার কাছ থেকে শুনে নিলাম মিতু আবার সমরের সাথে সম্পর্ক গিয়েছে। তখন মনে হলো সে কখনো আমাকে ভালোবাসেনি এরপর কেটে যাই এক বছর। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে যাই, কিন্তু মিতুকে আর খুজে পাইনি। । তাকে আমি অনেক জায়গা থেকে খুঁজতে থাকি ফেসবুক ইমেজটা কোথাও তাকে আর খুঁজে পাই না। হঠাৎ একদিন ফোন….
– আমাকে এখনো ভালবাসো?
আমি কণ্ঠ শুনেই বুঝতে পারলাম এটা মিতুর কন্ঠ আমি বললাম,
– না ভালোবাসি না ।
কিছু কিছু মূল্যবান ভালোবাসা কারো কাছে এভাবেই খেলনার জিনিস হয়ে থেকে যায় ।