Golperjogot

Golperjogot

অভিমান – অনুগল্প | Romantic Short Love Story Bangla

অভিমান

Ifrat Jahan Mariyam { অনু গল্প }

” অনেক জোরে একটা চড় পড়লো নিহার গালে। এতোই জোরে পড়লো যে নিহার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে পড়লো। বাড়ির সবাই নিলয় এর কান্ডে অবাক। নিলয় একটু গম্ভীর টাইপের। অতো কথাও বলে না। রাগ উঠলে ওকে আগ্নেয়গিরির মতো লাগে। তাই ওকে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।”” তোকে কলেজে এসব করার জন্য পাঠিয়েছি আমরা। প্রেম ভালোবাসার জন্য পাঠিয়েছি। তোর কলেজ যাওয়াই বন্ধ করে দিবো। যা নয় তাই করবি তুই?” ভাইয়া আমার তো কোনো…..” চুপ একদম চুপ তোর মুখ থেকে কোনো কথা শুনতে চাই। এক্ষুণি সরে যা আমার সামনে থেকে।” নিহা কাঁদতে কাঁদতে রুমে গিয়ে দরজা করে দেয়। নিহা নিলয়ের ফুপাতো বোন। ছোটবেলায় নিহার মা মারা যাওয়ার পর থেকে ওকে ওর মামা মামীই মানুষ করছে। নিহার বাবা বিয়ে করেছেন, অবশ্য মেয়েকে নেওয়ার কথা বলেছেন কিন্তু নিহার মামা দেয়নি। আজ নিহাকে একটা ছেলে ফুল দিয়ে প্রপোজ করছিলো নিলয় সেটা দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। নিহা কিছু বলার আগেই নিহার হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসে। “” নিলয় তুই মেয়েটাকে মারলি কেন। কি করেছে ও?( নিলয়ের মা)” কলেজে প্রেম ভালোবাসার জন্য পাঠিয়েছো। ওকে ছেলেরা ফুল দিয়ে প্রপোজ করে।” তাতে ওর কি দোষ। মা মরা মেয়েটাকে তুই এমন করলি কেন। মেয়েটা কষ্ট পায় নাই। সবকিছুতে তোর বাড়াবাড়ি।” বেশি কথা বলবে না মা। কাল থেকে ওকে বলবে বোরকা পড়ে কলেজে যেতে পারলে যেতে নাহলে যেতে হবে না। ও বাচ্চা না এখন।” আচ্ছা বাবা ঠিকআছে। রাগ টা একটু সামলা। মেয়েটাকে কত কষ্ট দিয়েছিস তুই।” নিলয় সেখান থেকে উঠে নিজের রুমে চলে যায়।”” আমিতো জানি বাবা তুই কেনো নিহার সাথে কাউকে সহ্য করতে পারিস না, কিন্তু তোর এই রাগের কারণে মেয়েটা না তোকে ভুল বোঝে।( মনে মনে)….” খালাম্মা নিহা আপুমণিকে ডাকছি উনি খেতে আসছেন না। বলছেন খাবে না। খিদে নেই।” কেন কি হয়েছে নিহা মায়ের।(নিলয়ের বাবা)” কি আর হবে তোমার গুনধর ছেলে ওকে মারছে। একটা ছেলে ওকে প্রপোজ করছে বলে। তাই হয়তো আসছে না আমি গিয়ে দেখি।” নিলয় এসব কি অসভ্যতামি। আজকে যদি নিহা মা না খায় তাহলে তুমি আমার সাথে কোনো কথাই বলবে না।”……….” নিহা ও নিহা খেতে আসছিস না কেনো।” না মামী খাবো না। একা থাকতে দাও। মায়ের কথা মনে পড়ছে।” নিহা….” মামী প্লিজ….” খাবে না। এবার বলো তোমার ছেলেকে ওর রাগ ভাঙাতে।” নিলয় আমি যেনো শুনি নিহা খেয়ে নিয়েছে। আমি যাচ্ছি।!” নিহা শুয়ে শুয়ে তখনো কাঁদছে। নিলয়ের মাথা তখন আরো গরম হয়ে যায় নিহার কাজে। ও খাবার নিয়ে নিহার রুমের সামনে যায়!””নিহা দরজা খোল।” খুলবো না।” দরজা খোল বলছি। কুইক।” নাহ।” তুই দরজা খুলবি না? আমি কি দরজা ভেঙে ফেলবো? আমার মাথা গরম করিস না”! নিহা ভয়ে উঠে দরজা খুলে দেয়। নিলয় রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। টেবিলে খাবার রেখে নিহার পাশে গিয়ে বসে!”” রাগ করে আছিস?”…….” দেখ নিহা আমি তোকে ইচ্ছে করে মারিনি। আমার রাগ উঠে গেছিলো তখন। তোকে কত বারণ করবো ছেলেদের সাথে মিশতে না। সাজগোছ করতে না। বোরকা পরে যেতে। কাল থেকে যদি তুই বোরকা পরে না যাস তাহলে তোর কলেজ যাওয়া বন্ধ।”! নিহা কেঁদে দেয় নিলয়ের ধমক মারা কথা শুনে। নিলয় নিহাকে হঠাৎ বুকে জড়িয়ে নেয়। নিহার যেনো হঠাৎ মনে হয় নিহার পরম শান্তিতে আছে, নিরাপদে আছে।”” দেখ নিহা কাঁদবি না তোর কান্না আমার সহ্য হয় না।”……..” খাবার খেয়ে নে।”……” নিহা কথা বলছি তো। খাবার খা।” খাবো না আমি। আপনি সবসময় আমায় বকাঝকা করেন। আমার আম্মু নেই বলে আমাকে অবহেলা করেন। আমি কিছু না করলেও। আমি এতি….”নিহা…(চিৎকার করে).আর একবার বাজে কথা বলবি তো।” তো কি মারবেনই তো।”! নিলয় নিহাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নেয়। কপালে একটা চুমু দেয়। নিহা শীতল হয়ে যায়।”” কেন এমন করিস নিহা। তুই কি কখনোই বুঝবি না তোকে আমি কতটা ভালোবাসি। তোর আসেপাশে কাউকে যে সহ্য হয় না। তাইতো বারবার কষ্ট দিয়ে ফেলি। তোকে কষ্ট দিয়ে যে আমিও কষ্ট পাই। এমন অভিমান করে থাকিস না।”আপনি খুব পচা।” জানিতো। এবার তো খাবি।” নাহ।নিলয় নিজের হাতে ভাত মাখিয়ে নিহার মুখে ধরে।” নে হা কর।” নাহ আমি খাবো না।”এত্তো অভিমান। খেয়ে নে ভালোয় ভালো নইলে আবার মারবো।”! নিহা মুখ ফুলিয়ে থাকে। নিলয় নিহার মুখ টিপে ভাত মুখে দেয়। নিহার রিএ্যাকশন দেখে হাসতে থাকে। গম্ভীর মানুষটাকে হাসতে দেখে নিহা একমনে তাকিয়ে থাকে। সত্যি হাসলে তাকে অসম্ভব সুন্দর লাগে।””তোকে এভাবে দেখলে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।” পাজি লোক একটা।”হা হা হা” সত্যি হাসলে আপনাকে দারুন লাগে।( মনে মনে)

সমাপ্ত

Writer :-Ifrat Jahan Mariyam

2 thoughts on “অভিমান – অনুগল্প | Romantic Short Love Story Bangla”

    • Vaiya amader sob golpo amader official writer der diye lekhano. Tader taka diye ai golpo gula lekhano hoi.
      Apnar youtube channel er link den jdi amader team approve kore tahole dite parben.onnotha dile copyright sttike deoya hoi

      Reply

Leave a Comment