Golperjogot

Golperjogot

রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 1 | Romantic Love Story

Ragi Sir Jokhon Devil Husband

Sadia Afrin { Part 1}


ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ মায়ের জোরে জোরে চিল্লানিতে আমার প্রাণ পাখিটা উড়াল দিতে চাইছিলো।ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম।

আমি ঃ আম্মা ডাকাত দরো দরো।
মা ঃ এই মেয়ে তুই ডাকাত কই পেলি?
আমি ঃ ডাকাত নাই? তাইলে এতো জোরে চিল্লাইতাছো কেন? (বলেই আবার শুয়ে পড়লাম)
মা ঃ তুই উঠবি নাকি আমি ঝাড়ু নিয়ে আসতাম?

আম্মাজানের এরকম ভয়ংকর হুমকি শুনে আমার ঘুম পালাইছে। আমিও প্রাণ বাচিঁয়ে ওয়াশরুমে দৌড় দিলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে লম্বা একটা শাওয়ার নিলাম। তারপর সুন্দর করে সেজে ভার্সিটির জন্য রেডি হলাম। সুন্দর করে সেজে মানে এই না যে বস্তা বস্তা আটা ময়দা মাখলাম। আমি তো জাস্ট সুন্দর করে চুল বাদছি চোখে গাঢ় কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিছি।

এতেই আমাকে যা সুন্দর লাগছে না কি বলবো। সব ছেলেরা আমার উপর ক্রাশ খাবে। আায়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু ভাব নিচ্ছিলাম অমনি আমার কলিজার টুকরা বান্ধবী মানে নিলিমা আসলো।

নিলিমা ঃ আর কতো দেখবি নিজেকে? এবার চল নয়তো লেট হয়ে যাবে।
আমি ঃ খাবো না নাকি?
নিলিমা ঃ সারাদিন আয়নার সামনে বসে থাকলে খাবি কখন আর যাবিই বা কখন।
আমি ঃ তুই না কেমন বড় মানুষের মতো কথা বলিস।
নিলিমা ঃ আমি এখনো ছোট নাকি যে ছোট মানুষের মতো কথা বলবো?
আমি ঃ না তুই তো অনেক বড় হয়ে গেছিস। দুই তিনটা বাচ্চাও আছে।
নিলিমা ঃ যা শয়তান।

মা ঃ তোরা দুই জন জগড়াই করবি নাকি খেতেও আসবি।
নিলিমা ঃ দেখো না আন্টি কখন থেকে বলছি আমার কথা শুনছেই না।
মা ঃ ওর কানে ধরে নিয়ে আসো।

আম্মি রুম থেকে চলে গেলো। রুম থেকে যেতেই নিলিমা আমার কানে ধরলো।

আমি ঃ এই কি করছিস লাগছে তো।
নিলিমা ঃ শুনিসনি আন্টি কি বলছে।এবার চল।

নিলিমা কুত্তা আম্মুর কথা মতো কানে ধরে টানতে টানতে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলো। ভাইয়া আসতেই নিলিমা আমার কান ছেড়ে দিলো। নিলিমার লজ্জায় মুখ লাল টমেটো হয়ে গেলো।বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না ভাইয়ারও সেই একই রিয়াকশন। তারপর ভাইয়া আমি নিলিমা তিনজন খেতে বসলাম।

পড়ুন  অর্কিড – পর্ব ৩ রোমান্টিক প্রেমের গল্প | মনা হোসাইন

ও হে বলা হয়নি নিলিমা আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে। আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে এখন আমার বান্ধবী। নিলিমাকে আব্বু আম্মু আমার মতোই ভালোবাসে। ভাইয়া যে সময় দেশের বাইরে ছিলো সেই সময় প্রায়ই নিলিমা আামাদের বাসায় থাকতো।

ভাইয়া আাসার পর থেকে নিলিমা আামাদের বাসায় আসলেও থাকে না লোকে নানান রকম কথা বলবে তাই। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আামার সাথেই থাকে। ভাইয়া অফিস থেকে এসে ওকে দিয়ে আসে।

খাইতে বসছি আম্মু আমাদের খেতে দিয়ে রান্না ঘরে গেছে। আমি লক্ষ করলাম ভাইয়া আর নিলিমা বার বার একে অপরের দিকে তাকাচ্চে আর মিটিমিটি হাসছে।

আমি ঃ এই কি চলছেরে তোদের মধ্যে?🧐

ভাইয়া আমার কথা শুনে আমার দিকে তাকালো

ভাইয়া ঃ ককি চলছে মানে?
আমি ঃ সেটাই তো জিজ্ঞেস করছি কি চলছে?
ভাইয়া ঃ কই কি চলছে? তোর খাওয়া তুই খা।

ভাইয়া তারপর অফিসে চলে গেলো। নিলিমার দিকে লক্ষ্য করলাম নিলিমা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

আমি ঃ আরে ব্যাস তুই এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেনো?
নিলিমা ঃ কিছু না তুই খাবার শেষ করে আয় আমি অপেক্ষা করছি।

নিলিমাও উঠে গেলো। কি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমিও খাবার শেষ করে আম্মুর থেকে বিদায় নিয়ে নিলিমাকে নিয়ে বের হলাম। বের হতেই একটা রিক্সা পেয়ে গেলাম। রওনা দিলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্য।

ভার্সিটিতে যেতে যেতে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই। আমি সাদিয়া আফরিন। অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ি। বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে। তাছাড়া আমার একটা বড় ভাই আছে যাকে আব্বু আম্মু ছোট বেলায় কুড়িয়ে আনছে😜। বাকিটা পরে আস্তে আস্তে জানতে পারবেন।

পরিচয় দিতে দিতে ভার্সিটিতে চলে আসলাম। আজকে প্রথম ক্লাস। তাই নাইকার মতো এন্ট্রি নিলাম। ভেতরে যেতেই কতো গুলো ছেলে এসে ফুল দিয়ে আামাকে প্রপোজ করলো।লক্ষ্য করলাম কলেজের সব মেয়েরা এই দিকেই তাকিয়ে আছে। তাই একটু ভাব নিয়ে বললাম,

আমি ঃ সরি ভাইয়ারা আমার এই সবে ইন্টারেসট নাই।

বলেই ওখান থেকে চলে আসলাম।একটু সামনে যেতেই বড় আপুরা আমাকে আর নিলিমাকে ঘিরে ধরলো।

পড়ুন  সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড-বাংলা প্রেমের গল্প শেষ পর্ব 4 | Senior Girlfriend

আমি ঃ কি হলো তোমরা আমাদের রাস্তা কেনো আটকাচ্ছো?
তাদের মধ্যে একজন ঃ ভার্সিটিতে নতুন নাকি?
আমি ঃ এই ভার্সিটিতে আগে আসছি বলে তো মনে হয় না। প্রথম বার আসছি যখন তখন নতুনই হবো।

তাদের লিডার ঃ তোর নাম কি?
আমি ঃ সাদিয়া আফরিন
তাদের লিডার ঃ তুই জানিস আমরা কে?
আমি ঃ আসলে আমি কোনো জতিসি না যে মুখ দেখে সব বলে দেবো।
তাদের লিডার ঃ আমি হচ্ছি ত্রিশা খান। আমার বাবা চাইলে তোকে এক্ষনি এই ভার্সিটি থেকে বের করে দিতে পারে।
আমি ঃ আরে ব্যাস! এখনো ভার্সিটির ক্লাস রুমে ডুকতে পারলাম না আর আমাকে বের করে দেবে। সো ফানি।

তাদের লিডার ঃ তুই কে যে তোকে বের করতে পারবে না?
আমি ঃ আমি ! আমি এই ভার্সিটির সবচেয়ে হেন্ডসাম যেই টিচার তার হবু বউ।
নিলিমা ঃ কি বলছিস তুই(কানে কানে)
আমি ঃ চেপে যা (কানে কানে)

সেই দলের আরেক জন ঃ রাফি স্যারের ওয়াইফ?
আমি ঃ এই রাফি আবার কে? থাক ভাই চেপে যাই। যেই হোক তাতে আমার কি( মনে মনে)

আমি ঃ হে হে রাফি স্যার।রাফি স্যারের ওয়াইফ আমি।😅

Click Here For Next :চলবে

Writer :- Sadia Afrin

Leave a Comment

Home
Stories
Status
Account
Search