Golperjogot

Golperjogot

Ragi Sir Jokhon Devil Husband Valobashar Golpo Part 2

রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 2 | Valobashar Golpo

Ragi Sir Jokhon Devil Husband

Sadia Afrin { Part 2 }


আমি ঃ এই রাফি আবার কে? থাক ভাই চেপে যাই।যেই হোক তাতে আমার কি (মনে মনে)
আমি ঃ হে হে রাফি স্যার। রাফি স্যারের ওয়াইফ আমি।

তাদের মধ্যে একজন ঃ ত্রিশা ওকে যাইতে দে। স্যার জানলে আমাদের ভার্সিটি থেকে বের করে দেবে।

তাদের মধ্যে আরেকজন ঃ তোমরা যাও আর স্যারকে কিছু বইলো না। আমরা তোমার সাথে জাস্ট মজা করছি।
আমি ঃ ওকে। বায়।

ওখান থেকে চলে আসলাম। ক্লাস রুমে এসে বসে নীলিমার সাথে গল্প করছি। বাইরে অনেকে বলাবলি করছে রাফি স্যার বিয়ে করতে যাচ্ছে। মেয়ে নাকি এই ভার্সিটিরই। মেয়ের নাম সাদিয়া আফরিন। আরেক জন বলছে স্যারের মতো রাগী মানুষ যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে তার কি হবে আল্লাহই জানেন।

এই সব আলোচনা শুনে তো আমার পরান পাখি উড়ে যাওয়ার উপদ্রুপ। সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে স্যার অনেক রাগী। প্রথম দিন এসেই যা গন্ডগোল বাধাইছি আল্লাহই জানেন কি হবে এখন। স্যার যদি জানে আমিই সেই মেয়ে তাহলে আমার কি হবে। আল্লাহ বাচাইয়ো

নিলিমা ঃ দেখলি তোর ওভার স্মার্টনেসের জন্য কতো কি হচ্ছে। তোর জন্য আমাকেও ভার্সিটি থেকে বের করে দেবে।
আমি ঃ এই চুপ থাক।

ঐ দিকে রাফি স্যার কার নিয়ে হিরোর মতো ভার্সিটিতে এন্ট্রি নিলো। ভার্সিটির সকল মেয়ের ক্রাশ রাফি স্যার। স্যার কার থেকে বের হতেই সব মেয়েরা স্যারের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। অফিসে যেতেই সব স্যার ম্যামেরা স্যারকে কনগ্রেটস করলো। স্যার কিছু বোঝে উঠছে না। কিছু বলতে যাবে তখনই পিওন এসে বললো প্রিন্সিপাল স্যার রাফি স্যারকে ডাকছে। তাই রাফি স্যার প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গেলো।

রাফি স্যার ঃ Mey i came in sir
প্রিন্সিপাল ঃ Yes coming
রাফি স্যার ঃ স্যার ডাকছিলেন আমাকে?
প্রিন্সিপাল ঃ Congratulations
রাফি স্যার ঃ স্যার……...

রাফি স্যার কিছু বলার আগেই প্রিন্সিপাল স্যার বললো,

প্রিন্সিপাল ঃ ফাইনালি আপনি বিয়ে করছেন। শুনলাম মেয়ে নাকি এই ভার্সিটিতে পড়ে। ফাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট সাদিয়া আফরিন।
রাফি স্যার ঃ কিন্তু স্যার,

রাফি স্যার কিছু বলতে যাবে তখনই প্রিন্সিপাল স্যারের ফোন আসলো।

পড়ুন  ভিলেন পর্ব 74 - প্রেমের গল্প | Romantic Premer Golpo

প্রিন্সিপাল ঃ Excuse me

রাফি স্যার বসে ভাবতে লাগলোঃ আমার বিয়ে অথচ আমি জানি না? বাকিরা সবাই জানে কে সে কিসে পড়ে আর আমি কিছুই জানি না? এই সব প্রশ্নের উত্তর ঐ মেয়েটাই দিতে পারবে যার সাথে আমার বিয়ে হবে বলে সবাই মনে করছে।

প্রিন্সিপাল স্যার কথা বলা শেষ করে চেয়ারে এসে বসে রফি স্যার বলতে যাবে তখনি ভার্সিটির ঘন্টা বাজে।

প্রিন্সিপাল ঃ ঘন্টা বেজে গেছে আপনি ফাস্ট ইয়ারের ক্লাসে যান। আজকে ওখানেই প্রথম ঘন্টার ক্লাস আপনার।
রাফি স্যার ঃ জ্বী স্যার। আসসালামু আলাইকুম।

রফি স্যার অফিস থেকে বের হয়ে ফাস্ট ইয়ারের ক্লাসে আসলো।

আমি এতোক্ষণ বেঞ্চে মাথা দিয়ে বসে ছিলাম। স্যার রুমে আসতেই সবাই দাড়িয়ে স্যারকে সালাম দিলো। আমি টের পাইনি। নিলিমা আমাকে খোঁচা দিতেই টের পেলাম। তাই তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালাম। স্যার সবাইকে বসতে বললো। সবাই বসে পড়লাম। আজকে আসতে আসতে একটু লেট হয়ে গেছিলো তাই অনেক পিছনে বসতে হয়েছে। এজন্য স্যারকে ভালো ভাবে দেখতে পাচ্ছি না।

স্যার এসেই তার বক্তব্য শুরু করলো…...

স্যার ঃ Hlw guise I'm Mannan Rafi.

রাফি নাম শুনতেই আমার ঙ্গান হারানোর উপদ্রুপ। আমি একটু নিচু হয়ে বসলাম।

স্যার ঃ I am your English teacher. Today is your first class at versity. So there is no reading today.
সবাই এক সাথে ঃ hurrey
স্যার ঃ Silent. I will meet all of you today.

একটা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললো…...

স্যার ঃ What's your name?
ছেলেটি ঃ My name is Rakib

আরেকটা মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বললো…...

স্যার ঃ Your
মেয়েটি ঃ ইসরাত

এভাবে সবার পরিচয় পর্ব শেষে স্যার নিলিমাকে দড়াতে বললো। নিলিমাও তার পরিচয় দিলো। আমি এখনো মাথা নিচু করে বসে আছি। স্যার এবার আমাকে দাড়াতে বললো। আমিও ভদ্র মেয়ের মতো দাড়ালাম। আমি এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।

স্যার ঃ Hey look at me

আমি ভয়ে ভয়ে স্যারের দিকে তাকালাম। স্যারকে দেখে আমি রীতিমতো ক্রাশ খেলাম। কালো পেন্ট সাদা শার্ট তার উপরে কালো কোট, হাতে কালো ঘড়ি আর চোখ গুলুর কথা নাই-বা বললাম। যেকোনো মেয়েকে গায়েল করার জন্য যথেষ্ট। আমি হা করে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছি। স্যারের ধমকানিতে হুঁশ ফিরলো।

পড়ুন  লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩৭/অন্তিম পর্ব থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

স্যার ঃ What are you looking at like this?
আমি ঃ স্যার আপনি কি বাংলা জানেন না? (মুখ ফসকে বলে ফেললাম)
স্যার ঃ What?
আমি ঃ স্যার ভুলে বলে ফেলছি।
স্যার ঃ Bay the way what's your name?

আমি ঃ সাদিয়া আফরিন। আব্বু আম্মু সাদিয়া বলে ডাকে বাকি সবাই আফরিন বলে ডাকে। স্যার আপনি কি ডাকবেন?

স্যার ঃ What nonsense?
আমি ঃ এখানে Nonsense এর কি দেখলেন?
স্যার ঃ তুমিই সেই মেয়ে যে সারা ভার্সিটিতে বলে বেড়াইছো তুমি আমার হবু বউ তাই না? (আামার কাছে এসে আস্তে আস্তে বললো)
আমি ঃ এইরে স্যারের দেখি সব মনে আছে। (মনে মনে)

স্যার ঃ কি হলো উত্তর দাও (আস্তে আস্তে)
আমি ঃ স্যার……..
স্যার ঃ ছুটির পর আমার সাথে দেখা করবা।

বলেই স্যার চলে গেলো। আমার তো জান যায় যায় অবস্থা। স্যার বের হতেই তার কিছুক্ষন পর ম্যাম আসলো তিনিও সবার সাথে পরিচিত হলো। আজকের সব ক্লাস পরিচয় দিতে দিতে শেষ হইছে। ছুটির পর সবাই বের হতে যাবে তখন একটা লোক সম্ভবত পিওন হবে তিনি এসে বললো

লোকটি ঃ এখানে সাদিয়া আফরিন কে?
আমি ঃ আমি ( হাত তুলে বললাম )
লোকটি ঃ আসুন আমার সাথে স্যার আপনাকে ডাকছে।
আমি ঃ কোন স্যার?
লোকটি ঃ রাফি স্যার।

রাফি স্যারের নাম শোনে আমার জান যায় যায় অবস্থা।

আমি ঃ আমি যাবো না
লোকটি ঃ স্যার যখন বলেছে তখন তো যেতেই হবে।
আমি ঃ আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যান আমি পরে আসছি।
লোকটি ঃ ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আসুন।

লোকটি চলে গেলো।

নিলিমা ঃ তুই একা যাবি নাকি আমিও যাবো?
আমি ঃ গাধা কোথাকার। কেউ কি ইচ্ছা করে বাঘের পেটে ডুকতে চায়?
নিলিমা ঃ মানে?
আমি ঃ কোনো মানে নাই। তাড়াতাড়ি পালা।

নিলিমাকে নিয়ে দিলাম দৌড়। এক দৌড়ে গেটের বাইরে। বাইরে আসতেই একটা রিকশা পেয়ে গেলাম। রিকশা দিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম।

এই দিকে রাফি স্যার আমার অপেক্ষায় বসে আছে। আমি এখনো যাচ্ছি না বলে পিওনকে ডাক দিলো।

  • রাফি স্যার ঃ রফিক মামা…….
    রফিক মামা ঃ জ্বী বলুন স্যার।
    রাফি স্যার ঃ ঐ মেয়েটা কোথায়?
    রফিক মামা ঃ মেয়েটা তো বললো আসবে।
    রাফি স্যার ঃ যাও তোমার সাথে করে নিয়ে আসো।
    রফিক মামা ঃ ঠিক আছে স্যার।
    রাফি স্যার ঃ হুম যাও।
পড়ুন  বেপরোয়া ভালোবাসা – পর্ব ৩৯ রোমান্টিক গল্প | মোনা হোসাইন

রফিক মামা গিয়ে দেখে ওখানে আমি নাই। সারা ভার্সিটিতে খোঁজে কিন্তু আমাকে কোথাও পায় না। পাবে কি করে আমি তো বাসায় চলে আসছি।

Click Here For Next :চলবে

Writer :- Sadia Afrin

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top