Golperjogot

Golperjogot

রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 20 – বাংলা প্রেম কাহিনী

Ragi Sir Jokhon Devil Husband

Sadia Afrin { Part 20 }

আফরিন রাগ করে চলে যাচ্ছিলো রাফি টান আফরিনকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

আফরিন : ছাড়ুন বলছি একদম আমাকে টাচ করবেন না।না।রাফি : কই যাও তোমার এই সুইট কিউট হাসবেন্ড রেখে।আফরিন : সরুন রান্না বসাতে হবে।রাফি : তার দরকার নাই।আফরিন : বললেই হলো রাতে খাবেন কি?

রাফি টেবিল থেকে দুইটা প্যাকেট আফরিনের সামনে ধরে

আফরিন : কি এগুলো।রাফি : তোমার ফেভারিট বিড়িয়ানি।

আফরিন বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করে। তাই সে খুশি হবে বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে টেবিলে বসে খেতে শুরু করে। রাফি আফরিনের বাচ্চামি দেখে মিটিমিটি হাসতে শুরু করে।

রাফি : তা ম্যাডাম আপনি একাই খাবেন নাকি এই বাচ্চা ছেলেটাকেও দিবেন।

আফরিন রাফিকে একটা প্লেটে অন্য প্যাকেটের বিরিয়ানি দেয়। রাফি খাওয়ার আগে আফরিনের খাওয়া শেষ। আফরিন একবার রাফির দিকে তাকাচ্ছে একবার রাফির বিরিয়ানির দিকে তাকাচ্ছে।

রাফি : কি? কি দেখছো ঐইভাবে?আফরিন : না মানে দেখছি অপনি বিরিয়ানি খাচ্ছেন কি না।রাফি : এহ ছোছাআফরিন : এহ আমি কি ছোছামি করছি আজব।

আফরিন উঠে চলে যাচ্ছিলো রাফি আফরিনের হাত ধরে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়। আফরিন রাফির চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। রাফি ও আফরিনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

Related Story

আফরিনের হুশ ফিরতেই আফরিন একটু লজ্জা পেয়ে উঠে দাড়ায়। রাফি তখন বলে,

রাফি : বসো আমার সাথে।

আফরিন লক্ষী মেয়ের মতো বসে পরে। রাফি নিজের প্লেট থেকে আফরিনের মুখের সামনে বিরিয়ানি ধরে খাওয়ার জন্য। আফরিনও লক্ষী মেয়ের মতো খেয়ে নেয়।

রাফি : আমি খাইয়ে দিচ্ছি তোমাকে। আমাকে খাইয়ে দিবে না তুমি?

আফরিন মুচকি হাসি দিয়ে রাফিকে খাইয়ে দেয়। আর রাফি দুষ্টুমি করে আফরিনের হাতে কামড় বসিয়ে দেয়।

আফরিন : উফফ কি করছেন? আমার হাত খেয়ে ফেলবেন নাকি।রাফি : রাফি হাসতে শুরু করে। আফরিন ও রাফির হাসি দেখে হাসতে শুরু করে।

তারপর তারা দুজন খাওয়া দাওয়া করে সব কিছু গুছিয়ে উপরে চলে যায়।

রাফি : এক কাপ কফি নিয়ে আসো।আফরিন : আনছি।

আফরিন রাফির জন্য কফি তৈরি করে রাফির জন্য নিয়ে যায়। আফরিন রুমে গিয়ে দেখে রাফি রুমে নেই। তখনই বেলকুনি থেকে ভেসে আসে গিটারের আওয়াজ।

আফরিন : স্যার আপনি কি বেলকুনিতে আছেন।রাফি : হে এখানে নিয়ে আসো।

আফরিন বেলকুনিতে যায়। টেবিলের উপর কফির মগ রেখে সেও বসে। রাফি গিটার রেখে কফির মগ হাতে নেয়।

আফরিন : আপনি গান করেন?রাফি : আগে গান করতাম। এখন মাঝে মধ্যে।আফরিন : আপনার যেই গানের গলা।(বলেই হাসতে শুরু করে।)রাফি : হাসছো কেনো

আফরিন : না সেদিন তো শুনলাম আপনার গান। আমি ফাইসা গেছি আমি ফাইসা গেছি আমি ফাইছা গেছি মাইনকার চিপায়।🤣

রাফি মুচকি হাসি দিয়ে কফির মগটা টেবিলে রেখে। গিটার হাতে নেয়। আর গান ধরে,

Kina chir tenu dil ch luka ke rakheyaKite vakh na ho jaani metho tuTenu saahan di larhi ch main paro ke rakheyaKite saahan ton na ho jaani tu door

Main vi sangdaTu vi sangdiKive bullan ton kahawaanJo main chahwanTuvi mangdiJind naa tere lawaan

Kina chir tenu dil ch luka ke rakheyaKina chir tenu dil ch luka ke rakheya

Ajj jaan ni main jaan tenu denaGal sang wali saari main mita deni aaPhoto dil de kone chjo luka si main rakhiAjj akhan de samne khada dena aa

Takda hi jawanEna tenu chahwanNazran tere ton hatwaan mainTera injh sharmaunaAkhan nu jhukaunaTenu vekhda e thaan mar jawaan main

Kina chir tenu dil ch luka ka rakheyaKina chir tenu dil ch luka ke rakheya

Jithe tera raahOhi meri thaanPyar di othe main tainuKar dawa shaan

Supne vi tu mera dil vi teraTere kadman ch rakhan jaanMarjana dil bas wich reya naHaan’ane ni teri ajj karwauni haanTuvi armana nu lako ke rakheyaAjj pyar da tu kar izhaar

Kina chir tenu dil ch luka ke rakheyaKina chir tenu dil ch luka ke rakheyaKina chir tenu dil ch luka ke rakheyaKina chir tenu dil ch luka ke rakheya

আফরিন হা করে তাকিয়ে আছে রাফির দিকে।

রাফি : এইবার বলো কেমন হয়েছে গান।আফরিন : এইটা আপনার কন্ঠ?রাফি : হে কেনো?

আফরিন : তারমানে কলেজের অনুষ্ঠানে ভাইয়ার বিয়েতে আপনিই গান গাইছিলেন?রাফি : হে কি হয়েছে?

আফরিন : আপনি জানেন না আমি আপনার কতো বড় ফেন হয়ে গেছি। আমি অনেক খুঁজছি যে গান গাইছিলো তাকে। কিন্তু আপনি ছিলেন আমি বুঝতে পারিনি। I’m sorry. আমি আপনার কন্ঠ নিয়ে মজা করছিলাম। I’m very sorry.

রাফি : It’s ok.

আফরিন দৌড়ে রুমে চলে যায়। রুম থেকে একটা খাতা কলম নিয়ে আসে।

আফরিন : একটা অটোগ্রাফ দিন প্লিজ।রাফি : আমি থাকতে অটোগ্রাফের কি প্রয়োজন?আফরিন : না প্লিজ প্লিজ দেন।রাফি : অটোগ্রাফ চাই তোমার?আফরিন : হে।

রাফি আফরিনের থেকে খাতা কলম নিয়ে টেবিলে রেখে দেয়। আফরিনের কাছে গিয়ে বসে। তার খুব কাছে চলে যায়।

আফরিন : কিককি করছেন?রাফি : অটোগ্রাফটা যদি খাতায় না দিয়ে তোমার ঠোঁটে দেই।

রাফি আফরিনের অনেক কাছে চলে যায়। আফরিনের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। রাফির নিঃশ্বাস আফরিনের মুখে লাগছে। আফরিন চোখ বন্ধ করে ফেলে। রাফি মুচকি হাসি দিয়ে আফরিনের কপালে একটা চুমু খায়।

আফরিন কিছু বলতে যাবে তখনই রাফি আফরিনকে কুলে তুলে নেয়। আফরিন রাফির চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। রাফি আফরিনকে শুইয়ে দেয়। আর আফরিনের গালে হাত দিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

আফরিন : স্যার,,,,

রাফি আফরিনের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলে

রাফি : রাফি। রাফি বলবা এখন থেকে, স্যার না। আর কখনো আপনি করে বলবা না। বলবা তুমি।

আফরিন : কিন্তু স্যার,,,,,,রাফি : কি বলছি আমি।আফরিন : রাফিরাফি : মনে থাকবে তো?

আফরিন মাথা ঝাঁকিয়ে হে সম্মতি জানায়।

রাফি আফরিনের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়। তারা হারিয়ে যায় ভালোবাসার এক অন্য জগতে।

এর কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন আফরিন মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। রাফি অফিসে ছিলো। তাই সে এসবের কিছুই জানতো না।

রাতের বেলা রাফি বাসায় আসে।

রাফি : মা আফরিন কই?আফরিন : বউমা নিজের রুমে আছে।

রাফি রুমে চলে যায় গিয়ে দেখে রুমের লাইট অফ।

রাফি : আফরিন তুমি কি রুমে আছোআফরিন : …..(নিশ্চুপ)

কারো আওয়াজ না পেয়ে রাফি লাইট অন করে। লাইট অন করার পর রাফি তো অবাক। অনেক সুন্দর করে রুমটা সাজানো হয়েছে।

হঠাৎ পিছন থেকে রাফিকে কেউ জড়িয়ে ধরে। সেটা আফরিনই ছিলো।

রাফি : ঘর এতো সুন্দর করে সাজানো কেনো?আফরিন : ভাবো কেনো সাজানো এতো সহজে তো বলছি না।

রাফি : আমি জানি কি জন্য সাজানো। আমি ভাবছিলাম তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো কিন্তু তোমার তো দেখছি সব মনে আছে। আফরিন কিছুই বুঝতে পারছে না।

আফরিন : মানে?রাফি : আগে চোখ বন্ধ করো।আফরিন : কিন্তু আমি তো,,,,রাফি : কোনো কিন্তু না আগে চোখ বন্ধ করো।

আফরিন আর কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে ফেলে।

রাফি : Happy Marriage anniversary (বলেই আফরিনের সামনে একটা বক্স এগিয়ে দেয়।)

আফরিন চোখ খুলে একদম অবাক। আজকে তাদের বিবাহ বার্ষিকী তা তার একদমই মনে নেই।

আফরিন : তুমি এই দিনটার কথা মনে রেখেছো?

রাফি : এই দিনটাতে আমার লাইফে সবচেয়ে দামী জিনিসটা আমি পেয়েছি আর আমি এই দিনটার কথা মনে রাখবো না?

রাফি আর কিছু না বলে সেই বক্সের থেকে একটা লকেট বের করে আফরিনের গলায় পড়িয়ে দেয়। আফরিন রাফিকে জড়িয়ে ধরে।

রাফি : আহা জড়িয়ে ধরলেও চলবে না। এখন আমার গিফট দাও।আফরিন : তোমার জন্যও অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ আছে।রাফি : Reallyআফরিন : হুম

রাফি : কি সারপ্রাইজ?আফরিন : কাছে আসুন কানে কানে বলছি।

রাফি ও আফরিনের কথা মতো ওর কাছে যায়।

আফরিন : তুমি বাবা হতে যাচ্ছো।

রাফি এটা শুনে একদম স্তব্ধ হয়ে যায়। কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না। মানে সে বুঝে উঠতে পারছে না কিছু।

রাফি : আবার বলোআফরিন : তুমি বাবা হতে যাচ্ছো।

রাফি আর কিছু না বলে আফরিনকে কুলে তুলে ঘুরাতে শুরু করে আর চিল্লিয়ে বলতে থাকে

রাফি : I’m so happy. Yes I’m going to be a dad.আফরিন : আরে কি করছো নামাও। মাথা ঘুরাচ্ছে।

রাফি আফরিনকে নিচে নামিয়ে দেয়।

রাফি : আমি বাবা হতে যাচ্ছি। আমাদের সন্তান পৃথিবীতে আসবে।আফরিন : হে। আমাদের সন্তান।

রাফি‌ আফরিনকে জড়িয়ে ধরে।

রাফি : আমাদের সন্তান। আমার আর তোমার সন্তান। Thank you so much. আমাকে বাবা হওয়ার আনন্দ দেওয়ার জন্য।

তারপর থেকে রাফি আফরিনে অনেক যত্ন নেয়। ঠিক মতো আফরিনকে খাইয়ে দেয়। অফিসেও বেশিক্ষণ থাকে না। আফরিনকে কোনো কাজই করতে দেয় না।

৫ মাস পর,,,

আফরিন : ওইরাফি : হুম বলো।আফরিন : I love youরাফি : Love you too

আফরিন : হুহ্ তুমি আমাকে আগের মতো ভালোইবাসো না।রাফি : তাই না তাহলে আগের মতো ভালোবেসে দেখিয়ে দেই।

এটা বলেই আফরিনের দিকে এগোতে থাকে।

আফরিন : এই একদম না। আমার কাছে আসার চেষ্টাও করবে না।রাফি : তুমিই তো বললা আগের মতো ভালোবাসি না। তাই আগের মতো ভালোবাসতে চাচ্ছি।

আফরিন : আপনি খুবই খারাপ।রাফি : সত্যি?আফরিন : না।রাফি : তাহলে কি?আফরিন : আপনি খুবই ভালো।

রাফি আফরিনকে জড়িয়ে ধরে,,,

রাফি : I love youআফরিন : I love you too

রাফি আফরিনের পেটের উপর কান পেতে বলে,,,

রাফি : বাবা তুমি আমাকে কতোটা ভালোবাসো? ও অনেক খানি। আর তোমার আম্মুকে কতোখানি ভালোবাসো? একটু? আফরিন দেখো আমার মেয়ে আমাকে বেশি ভালোবাসে।

আফরিন : জ্বি না আমার ছেলে আমাকে বেশি ভালোবাসে।রাফি : ছেলে না আমাদের মেয়ে হবে।আফরিন : না আমাদের ছেলে হবে।রাফি : বলছি না মেয়ে হবে।

আফরিন : আমাদের তোমার মতো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে হবে।রাফি : না তোমার মতো কিউট একটা মেয়ে হবে।আফরিন : ছেলে হবে।রাফি : মেয়ে হবে।

আফরিন : যাও তোমার সাথে আর কথাই বলবো না।রাফি : আচ্ছা সরি। মেয়ে হবে যাও।আফরিন : আহারে আমার রোমান্টিক জামাইটা অভিমান করলে কত্তো কিউট লাগে।(কাঁধে হাত রেখে বলে)

Golperjogot Status

রাফি অভিমানের ছলে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

আফরিন : আল্লাহ আমাদের ছেলে দেক বা মেয়ে আমরা তাতেই খুশি।রাফি : হুমআফরিন : মেয়ে হলে কি নাম রাখবে?

রাফি কিছুক্ষণ ভেবে বলে,,,

রাফি : আনাহিতা।আফরিন : অনেক সুন্দর।রাফি : আমাদের ছেলে হলে কি নাম রাখবা?

আফরিনও কিছুক্ষণ ভেবে বলে,

আফরিন : রিজভী।রাফি : অনেক সুন্দর নাম।

তখনই আফরিনের ফোনে কল আসে,,,,,,

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Sadia Afrin

শীঘ্রই আসছে আমাদের নতুন গল্প

মেঘলা আকাশের প্রেমজুরি 

Writer – Mona Hossain – পাবলিশ সময় ০৯/০৩/২০২২

Leave a Comment