Golperjogot

Golperjogot

ragi sir jokhon devil husband bangla premer golpo part 3

রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 3 | Bangla Premer Golpo

Ragi Sir Jokhon Devil Husband

Sadia Afrin { Part 3 }


রফিক মামা গিয়ে দেখে ওখানে আমি নাই। সারা ভার্সিটিতে খোঁজে কিন্তু আমাকে কোথাও পায় না।পাবে কি করে আমি তো বাসায় চলে আসছি।

রফিক মামা সারা ভার্সিটিতে আমাকে খুঁজে না পেয়ে রাফি স্যাররের কাছে যায়।

রফিক মামা ঃ স্যার,
রাফি স্যার ঃ ঐ মেয়ে কোথায়?
রফিক মামা ঃ সারা ভার্সিটিতে খুঁজছি কিন্তু পাইনি। মনে হয় বাসায় চলে গেছে।
রাফি স্যার ঃ কিহ্! ওর এতো বড় সাহস? আমি ডাকছি আর ও দেখা না করেই চলে গেছে? (রাগে কটমট করতে করতে)

এইদিকে আমি আর নিলিমা বাসায় সোজা রুমে চলে যাই।

নিলিমা ঃ কাজটা কি ঠিক হয়েছে?
আমি ঃ কোন কাজ?
নিলিমা ঃ স্যার তোকে ডাকলো অফিসে যাওয়ার জন্য তুই গেলি না কেনো?
আমি ঃ আমারে কি সুখে থাকতে ভুতে কিলায়? আমি অফিসে যাবো আর স্যার আমাকে শাস্তি দেক তাই না?
নিলিমা ঃ তাহলে কাল কিভাবে যাবি স্যারের সামনে?
আমি ঃ আরে জানেমান চিল কর। কালকের চিন্তা কালকে হবে আজকেরটা আজকে।

তারপর আমি আর নিলিমা দুইজন ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। খাওয়া দাওয়া করে আবার রুমে চলে আসলাম। দুই বান্ধবী মিলে খুনসুটি করতে করতে রাত হয়ে গেলো। ভাইয়াও চলে আসলো। আমরা সবাই এক সাথে খেতে বসলাম।

আম্মু ঃ নিলিমা?
নিলিমা ঃ জ্বী আন্টি
আম্মু ঃ তোমার আম্মুর সাথে কবে থেকে কথা হয় না। তোমার আম্মুকে বইলো আমাদের বাসায় আসতে।
নিলিমা ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

সবাই আর কোনো কথা না বলে খেয়ে ওঠলাম। আমি নোটিস করছি ভাইয়া আর নিলিমা কিছুক্ষণ পর পর তাকাতো আবার লজ্জা পেয়ে চোখ সরিয়ে ফেলতো। এদের মধ্যে কি যে হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।

খাওয়া দাওয়া শেষে নিলিমাকে নিয়ে উপরে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর ভাইয়া আসে।

ভাইয়া ঃ আসতে পারি?
আমি ঃ হইছে এতো ভদ্র সাজতে হবে না ভেতরে আয়।
ভাইয়া ঃ নিলিমা…..

ভাইয়া নিলিমার দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলছে না যেনো কোনো ঘোরে পরে গেছে। নিলিমাও ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি দুইজনের এরকম তাকানো দেখে কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি ভাইয়ার চোখের সামনে চুটকি দিতেই ভাইয়ার হুশ ফিরলো। নিলিমা লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে ঘুরে গেলো।

পড়ুন  ভিলেন – থ্রিলার প্রেমের গল্প পর্ব 27 | Villain Bangla Story

আমি ঃ কি?
ভাইয়া ঃ কিসের কি?
আমি ঃ এভাবে তাকিয়ে ছিলি কেনো?
ভাইয়া ঃ ক, কই?
আমি ঃ কি চলছে বলতো?
ভাইয়া ঃ কই কি চলছে? নিলিমা চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।

এটা বলেই ভাইয়া চলে গেলো। নিলিমাও আসি বলে চলে গেলো। আমি নির্বাক দর্শকের মতো সব দেখছি কিছু বুঝতে পারছি না।

এই দিকে রাফি স্যার বাসায় গিয়ে রাগে কটমর করছে। আামার রাগ বাসার সাবার উপর দেখাচ্ছে।

কাজের মেয়ে ঃ স্যার ভাত খাবেন না?
রাফি স্যার ঃ আমার যখন ইচ্ছা তখন খাবো তুমি যাও এখান থেকে।
ডাইভার ঃ স্যার আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ যদি কিছু টাকা দিতেন?
রাফি স্যার ঃ কিছু দিন পর পর শুধু টাকা? বের হয়ে যাও এখান থেকে।

ডাইভার চলে যাচ্ছিলো তখন স্যারের মা ডাইভারকে ডাক দিলো।

স্যারের মা ঃ কি হয়েছে?
ডাইভার ঃ আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ স্যারের কাছে কিছু টাকা চাইছিলাম। স্যার আমাকে তাড়িয়ে দিলো।
স্যারের মা ঃ ও আজ এতো রেগে আছে কেনো?
ডাইভার ঃ জানি না তো ম্যাম।

স্যারের মা ঃ আচ্ছা তোমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য কতো টাকা লাগবে?
ডাইভার ঃ দুই হাজার টাকা হলেই হবে।
স্যারের মা ঃ এই নাও। এখানে ১০ হাজার টাকা আছে। স্ত্রীকে ভালো ডাক্তার দেখিয়ো।
ডাইভার ঃ ম্যাম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
স্যারের মা ঃ আচ্ছা যাও এখন।

স্যারের মা স্যারের রুমে গেলো। গিয়ে দেখে স্যার মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।

স্যারের মা ঃ রাফি?
রাফি ঃ মা তুমি?
মা ঃ কি হয়েছে তোর?
রাফি ঃ না কিছু হয়নি।
মা ঃ তোর চোখ দেখলেই আমি সব বুঝতে পারি। তোর কিছু একটা হয়েছে।
রাফি ঃ আজ ভার্সিটিতে একটা মেয়ে আমার নামে গুজব ছড়াইছে।
মা ঃ কি গুজব?

রাফি ঃ সারা ভার্সিটিতে বলে বেড়াইছে সে নাকি আমার হবু স্ত্রী। যখন বললাম আমার সাথে দেখা করতে। তখন না দেখা করেই চলে গেলো। ঐ মেয়ের কতো বড় সাহস যে আমার কথা অমান্য করে? ঐ মেয়েকে আমি ছাড়বো না। ওকে আমি দেখে ছাড়বো।

পড়ুন  বেপরোয়া ভালোবাসা – পর্ব ৪১ রোমান্টিক গল্প | মোনা হোসাইন

মা ঃ আচ্ছা দেখবি এখন খেতে চল।

পরেরদিন সকাল বেলা…...

আম্মু ঃ এই যে মহারানী আজকে উঠবেন না নাকি?
আমি ঃ হুম
আম্মু ঃ এই উঠ বলছি
আমি ঃ কি হয়েছে?
আম্মু ঃ এই তুই ভার্সিটিতে যাবি না? কয়টা বাজে খেয়াল আছে?
আমি ঃ কয়টা?

আম্মু ঃ নয়টা বেজে গেছে রেডি হয়ে যাবি কখন?
আমি ঃ কিহ্! আরো আগে ডাকতে পারলা না?
আম্মু ঃ সেই কখন থেকে ডাকছি।সে বলছে আরো আগে ডাকতে পারলা না?

আমি কিছু না বলে তাড়াতাড়ি রেড়ি হয়ে গেলাম। নিলিমাও অনেক আগে এসেছে। তারা খাওয়া দাওয়া ও করে ফেলছে। আমি না খেয়ে নিলিমাকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি রিকশা না পাওয়ায় ভার্সিটিতে পোঁছাতে লেট হয়ে গেলো।

ভার্সিটিতে গিয়ে দেখি ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ক্লাস কিন্ত যে ক্লাস রাফি স্যারের করানোর কথা সেটা অন্য স্যার করাচ্ছে। স্যারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্লাসে ডুকলাম। সব গুলো ক্লাস করলাম আর একটা ক্লাস বাকি আছে। কিছুক্ষণ পর স্যার আসলো। স্যারকে দেখে আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো। হুম রাফি স্যার এসেছে।

ভয়ে আমার জান যায় যায় অবস্থা। আজকে স্যার খুব কঠিন কঠিন প্রশ্ন গুলো আমাকে জিজ্ঞেস করছে। তো কি হইছে আমি এতোটাও খারাপ স্টুডেন্ট না সব গুলোর সঠিক উত্তর দিছি। অবশেষে ক্লাস শেষ হলো। স্যার চলে গেলো। সবাই একে একে বের হচ্ছে ক্লাস থেকে।

নিলিমা পানি খাওয়ার জন্য বাইরে গেছে। আমার ব্যাগ গোছাতে গোছাতে লেট হয়ে গেছে। যখন ক্লাস থেকে বের হতে যাবো তখনই দরজার সামনে স্যার এসে দাঁড়ায়।

Click Here For Next :চলবে

Writer :- Sadia Afrin

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top