Golperjogot

Golperjogot

রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 5 – Bangla Premer Story

Ragi Sir Jokhon Devil Husband

Sadia Afrin { Part 5 }

ভাইয়া আর নিলিমার বিয়ের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। আমি ভাইয়া নিলিমার অনেক শপিং করলাম। অনেক জায়গায় ঘুরলাম খাওয়া দাওয়া করলাম। ১৫ দিন দেখতে দেখতে চলে গেলো। দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসলো।

বিয়ের রিসিপশনে চলে গেলাম। অনেক নাচ গান হলো আমি ক্লান্ত হয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলাম। হঠাৎ সব কিছু নিশ্চুপ হয়ে গেলো। শুধু গিটারের আওয়াজ আসছে। সাথে আমার প্রিয় একটা গান।

Ro Ro Ke Arjjah Gujaarda da eh DilHaye mera Dil, haye mera DilRo Ro Ke Arjjah Gujaarda da eh DilHaye mera Dil, haye mera DilJagg Diyan Najjran toh chori Kite MilHaye mera Dil, haye mera DilTeri Yaadan di Sandhookdi daHo ke reh geyaDil Sadda khure kehdeRahe Pe GeyaYaadan di Sandhookdi daHo ke reh geyaDil Sadda khure kehdeRahe Pe GeyaKehnda tuhi sadda Rah te Tuhi ManzilHaye mera Dil, haye mera DilRo Ro Ke Arjjah Gujaarda da eh DilHaye mera Dil, haye mera DilJinna tere naal c PyaarHun kitte ho b na sakdaRaatan nu, Main Sou b nahi sakdaKee kra Main, Roo B nahi SakdaHaan…

Tere Muchu muchu nonu Sonu monuWali Gallan Chete oundianJinna marzi Bhulna main ChawaMudh Mudh SatoundianMain Chayidi eh tuYa Chayidi ni tuMeinu dus ta deGirl what you doMeri Zind meri jaan meri Rooh eh tuBut bhuldi kiyu ThatI love youYou know it’s trueJust me and youFhir kiyu krdi eh ehda tuAppe hogeye ah Vakkh Chal koi naHun kalle beh ke royi na tuUnjh Maadiyan te bhaweMathe diya leekan neAlfaaz nu haje bTerian ahu deekan ne…Unjh Maadiyan te bhaweMathe diya leekan neAlfaaz nu haje bTerian ahu deekan ne…Jeeda Chandigarh Lagda na tere bina DilHaye mera Dil, haye mera DilRo Ro Ke Arjjah Gujaarda da eh DilHaye mera Dil, haye mera Dil

আমি মুগ্ধ হয়ে গানটা শুনছি। কখন যে গানটা শেষ হয়ে গেছে টেরই পাইনি। হঠাৎ কারো ঠাক্কায় হুশ ফিরলো। সাথী আমাদের স্কুলের এক সাথেই পড়ি। আমাদের আরেকটা কলিজার ফ্রেন্ড হচ্ছে সাথী। আরো কয়েকজন আছে কিন্তু ওদের দেখতে পাচ্ছি না। মনে হয় এদিকেই কোথাও আছে। তার পর সাথীর সাথে অনেক গল্প করলাম।

Related Story

আমাকে আম্মু ডাকছিলো তাই সাথীর সাথে কথা শেষ করে চলে আসি। আম্মুর সাথে কথা বলে আবার চলে আসি হঠাৎ কোনো অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে। নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছিলো তাই কথা বলতে বলতে হাঁটছিলাম। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যেতেই অপর ব্যাক্তিটা আমাকে ধরে ফেলে।

আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি। পরে বুঝতে পারি আমি তো পরি নাই আর ব্যাথাও পাই নাই। তার পর আস্তে আস্তে চোখ খুলি। চোখ খুলে তো আমি অবাক। আমি স্বপ্ন দেখছি না তো। নাকি পাগল টাগল হয়ে গেছি। তাই নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলাম। ওরে আল্লাহ এটা তো সত্যি। রাফি স্যার এখানে কিভাবে আসলো।

স্যার আমার এরোকম ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বিরক্ত হয়ে আমাকে ছেড়ে দিলো। আর আমি সোজা মাটিতে পড়ে গেলাম।

আমি : ওরে আল্লাহ আমার কোমরটা শেষ। ডাক্তার এম্বুলেন্স তাড়াতাড়ি আসো। ওরে আল্লাহ মরে গেলাম। বাঁচাও কেউ আমাকে।(কাঁদতে)রাফি স্যার : সাট আপ। নেকামি বন্ধ করো।(ধমক দিয়ে)

আমি তো সারের ধমকে ভয় পেয়ে মুখে আঙুল দিয়ে বাচ্চাদের মতো বসে আছি।

তার পর স্যার ওনার হাতটা বাড়িয়ে দিলো।

রাফি স্যার : ওঠে আসো।

আমি মাথা নেড়ে না বললাম। তারপর আর কি দিলো আরেকটা ধমক।

রাফি স্যার : ওঠে আসো বলছি।

আমি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি হাত ধরে ওঠলাম। বুঝলাম না এতো ধমকায় কেনো। একটুও কি ভালো করে কথা বলতে পারে না। রাগী খরুচ কোথাকার শইতান বেডা।

আমি ঠিক দাঁড়িয়ে বললাম,,

আমি : আপনি এখানে এসেছেন কেনো? আমরা তো আপনাকে ইনভাইট করিনি।

স্যার আমাকে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে একটা হাত আমার সাইটে রেখে বললো।

রাফি স্যার : কি ভাবো নিজেকে তুমি? এতো ইগো কিসের তোমার? তোমার কি মনে হয় তুমি ইনভাইট করলেই আমি আসবো? কক্ষনো না। তোমার প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই। I hate you. আর আমি এখানে কনে পক্ষ। নিলিমা আমাকে ইনভাইট করেছে।

এই গুলো বলেই স্যার চলে গেলো। আমার খুব কান্না পাচ্ছে আমি কি দেখতে এতোটাই খারাপ? স্যার কেনো আমাকে এতো ঘৃণা করে। মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে আসলাম। একটা ফাঁকা জায়গায় এসে একা একা মন খারাপ করে বসে আছি। নিলিমা অনেক ডেকেছে ওর সাথে বসার জন্য আমি যাইনি।

বিয়ের সব অনুষ্ঠান শেষে আসলো বিদায়ের পালা। নিলিমা অনেক কান্না করছে। আমারো খুব কান্না পাচ্ছে মেয়েদের জন্য এই সময়টা সত্যিই খুব কষ্টের। তবে কষ্টটা তখন কম লাগে যখন নিজের স্বামী সান্তনা দিয়ে আগলে রাখে। যেমন ভাইয়া নিলিমাকে সান্ত করার চেষ্টা করছে।

আমার এই মুহূর্তে দুটি চোখ শুধু স্যারকে খুঁজছে হঠাৎ কেউ পিছন থেকে বললো,

; সরি

আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি রাফি স্যার। আমি স্যারের দিকে তাকিয়ে আছি এক অন্য রকম মায়া নিয়ে। স্যারের দিকে এবার ভালো করে তাকালাম। জিন্সের প্যান্ট কালো শার্ট হাতে গড়ি চোখে কালো সানগ্লাস এক কথায় অসাধারণ লাগছে স্যারকে। আমি তো আবার স্যারের উপর ক্রাশ খেলাম। তখন স্যারের কথায় হুশ ফিরলো…….

রাফি স্যার : কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?আমি : নান, না আসলে (আমি লজ্জা পেয়ে চোখ সরিয়ে নিলাম।)রাফি স্যার : ঐ সময়ের ব্যাবহারের জন্য আমি দুঃখিত।

সবাই গাড়িতে ওঠে গেছে আমি ও যাবো তখন স্যার আমার হাত ধরে ফেললো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।

রাফি স্যার : কালকে ভার্সিটিতে যাবা না?আমি : না

তখনই আম্মু ডাক দিলো আমি স্যারের থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেলাম।

সবাই বাসায় চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে ভাইয়ার বাসর ঘর সুন্দর করে সাজিয়ে নিলিমা, সরি ও তো এখন আমার ভাবি। ভাবিকে বসিয়ে দিলাম। নিলিমা তো আমার হাত ছাড়ছেই না।

আমি : কি হইছে?নিলিমা : যাইস না দোস্ত আমার খুব ভয় করছে।আমি : দোস্ত? কে আপনার দোস্ত ভাবি? আমি আপনার এক মাত্র ননদিনী।নিলিমা : যা শইতান।

আমি : আরে ভয় পাওয়ার কি আছে আমার ভাইয়া তো রাক্ষস না যে তোকে খেয়ে ফেলবে। আমার ভাইয়া তো তোকে আরো আগলে রাখবে।(একটা ধাক্কা দিয়ে বললাম সাথে সাথে সবাই হেসে উঠলো)

Short Story

নিলিমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম লজ্জায় লাল টুকটুকে হয়ে গেছে। আমি ওর লজ্জা কমানোর জন্য বললাম,

আমি : তুই যদি চাস আমি তোর সাথে থাকতে পারি। (একটা চোখ টিপ দিয়ে বললাম আবারো সবাই আমার কথা শুনে হেসে উঠলো)

নিলিমা : যাহ শইতান।আমি : ওমা এতোক্ষণ যাইতে চাইছি যাইতে দিছে না এখন থাকতে চাইছি এখন আমাকে তাড়িয়ে দিতেছে।

আবারো সবাই হেসে উঠলো। দরজায় নক করার আওয়াজে সবাই দরজার কাছে ছুটে গেলো। আমিও গেলাম গিয়ে দেখি ভাইয়া। সবাই দরজা আটকে ধরেছি।

আমি : ১০,০০০ টাকা দে নয়তো আজকে বাসর ঘরে ঢুকতে দেবো না বাইরেই থাকতে হবে সারারাত।

ভাইয়া : আমার কিউটি সুইটি বোন তোর ভাই সারারাত বাইরে থাকলে কি তোর ভালো লাগবে? সরি তোকে কালকে একটা চকলেট কিনে দেবো।

আমার কাজিন : না না তা হবে না। ১০,০০০ টাকা দিতে হবে নয়তো বাইরে থাকতে হবে।ভাইয়া : আমার কাছে এতো টাকা নাই।

আরেকটা কাজিন : না না মানি না মানবো না। আমাদের দাবি মানতে হবে মানতে হবে। না মানলে বাসর ঘরে ঢুকতে দেবো না।

ভাইয়া : একটু কম করা যায় না।আমি : কতো আছে তোর কাছে?ভাইয়া : এইতো ৫০০ টাকা।আমি : যাহ শইতান তোর বাসর ঘরে ঢুকার দরকার নাই দূর হ।

দরজা বন্ধ করে ফেলবো তখন ভাইয়া বললো,

ভাইয়া : আফরিন দাঁড়া নে টাকা নে।

পরে ভাইয়া আমাদের ৫,০০০ টাকা দিলো। আমরা সবাই খুশিতে নাচতে নাচতে চলে গেলাম। ভাইয়াও ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেললো।

সারাদিনের ক্লান্তির কারনে ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুতেই ঘুমিয়ে গেলাম। বিয়ের বাড়ি তাই খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম।উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। গিয়ে দেখি মেহমান আসতে শুরু করে দিয়েছে। আম্মুর কাছে গেলাম আম্মু বললো ভাইয়াদের ডেকে দিতাম। তাই গেলাম ভাইয়ার রুমের দরজায় অনেকক্ষণ নক করলাম…..

আমি : ভাইয়া আম্মু বলছে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতে।

আমি ওদের ডেকে দিয়ে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর ভাইয়া ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো। নিচে আসতেই ভাইয়ার ফ্রেন্ডরা ভাইয়ার সাথে মজা করতে শুরু করলো। আমি আমার কাজিনরা ভাইয়ার রুমে গেলাম। নক করতেই নিলিমা দরজা খুলে দিলো।

আমি : ভাবি Good morningনিলিমা : Good morning ননদিনীআমি : তা ভাবি রাতটা কেমন কাটলো।(চোখ টিপ দিয়ে)

আমার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো। নিলিমা লজ্জায় অন্য দিকে ঘুরে গেলো।

আমার এক কাজিন বললো,,,,

কাজিন : গোসল করছেন তো? (আবার সবাই এক সাথে হেসে উঠলো)

নিলিমা এবার অনেক লজ্জা পেলো। আমি ওর লজ্জা কমানোর জন্য বললাম,

আমি : এই তোরা থামবি? আমার ভাবিকে এতো জ্বালাচ্ছিস কেনো? আর এতো সকাল সকাল কেউ গোসল করে নাকি?

আমার কথা শুনে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। বুঝলাম কিছু আমি। হা করে তাকিয়ে থাকার কি আছে?

তখনই পার্লারের লোকেরা আসলো। আমি সবাইকে বের করে দিলাম। তারপর সবাই নিলিমাকে সাজাতে শুরু করলো। পরে আমাকেও বলছিলো কিন্তু আমি সাজি নাই। আমার এই সব সাজগোজ ভালো লাগে না। আমি সুইট এন্ড সিম্পল একটা মেয়ে।😇

সাজগোজের পর আমি নিলিমাকে নিয়ে নিচে গেলাম।

Golperjogot Status

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Sadia Afrin

Leave a Comment