Golperjogot

Golperjogot

Cute Bangla Premer Golpo School Jiboner Prem Part 2

স্কুল জীবনের প্রেম

M.T Minhaz ( Part 02 )

 

রুমের দরজা টা খুলে দেখলাম, সারারুম অন্ধকার। সামনে কি আছে না আছে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমি হিমেল ডাকদিলাম কিন্তু তার সারাশব্দ নাই, হঠাৎ করে লাইট জ্বলে উঠলো, সবাই একসাথে বলতে লাগলো, হ্যাপি বার্ডডে টু ইউ মিনহাজ

আমি তো পুরাই অবাক। আজকে আমার জন্মদিন মনেই ছিলো না, তারপর দীপ্তি বললো……

দীপ্তিঃ হ্যাপি বার্ডডে,,
আমিঃ থ্যাংকস।
দীপ্তিঃ ওয়েলকাম।

আমিঃ আমার বার্ডডে আজকে ভুলেই গিয়েছিলাম। তোমরা কোথায় থেকে জানলে যে আজকে আমার বার্ডডে।
দীপ্তিঃ তোমার সার্টিফিকেট থেকে জানতে পারলাম। এসব বাদ দেও,,,এখন চলো কেক কাটবে।
আমিঃ হুম।

Bangla Premer Golpo

তারপর সবাইকে এক এক করে কেক খাইয়ে দিলাম, তারাও আমাকে খাইয়ে দিলো।

আরো কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে আমি আর হিমেল বাসাই চলে আসলাম। হিমেল চলে গেলো তার বাসায়। বাসায় এসে দেখলাম আম্মু বসে আছে। তারপর বললাম…..

আমিঃ তুমি এখনো ঘুমাও নাই।
আম্মুঃ তুই নেই তাই ঘুম আসছিলো না। তা কেমন কাটলো জন্মদিন।
আমিঃ ভালোই , এবার যাও ঘুমিয়ে পরো।
আম্মুঃ হুম।

তারপর আম্মু চলে রুমে, আমি চলে আসলাম আমার রুমে, এস ঘুমিয়ে পরলাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে টাইম দেখেই অবাক, ১২ টা বাজে ৷ তারপর রাতের কথা মনে পরে গেলো, অনেক রাত করে ঘুমিয়ে ছিলাম তো তাই। মনে হয় তারাও আজ স্কুলে আসছে না। না আসলেই ভালো।

তারপর ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে টিভি নিয়ে বসলাম। এভাবে কেটে গেলো সারাদিন,,, সন্ধায় পরতে বসলাম, ১১ টার দিকে পড়া শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সকাল ফ্রেস হয় স্কুলে চলে গেলাম, আজ হিমেল স্কুলে যাবে না তাই আমি একাই যাচ্ছি, স্কুলে এসে দেখলাম দীপ্তি এখনো আসছে না, তাই একা একা বসে থাকলাম, কিছুক্ষন পর রিফাত এসে বললো……

রিফাতঃ কিরে কি খবর।
আমিঃ ভালো, তোর কি খবর।
রিফাতঃ ভালো,,
আমিঃ বাকি গুলো কোথায়।
রিফাতঃ একটু পর আসবে।
আমিঃ ওহ,,,,

তারপর আমি আর রিফাত আড্ডা দিতে লাগলাম, হঠাৎ করে দীপ্তি এসে বললো….

দীপ্তিঃ আমাকে ফেলে তোরা আড্ডা দিচ্ছিস।
আমিঃ আরে রাগ করো না তো,,,তুমি নেই তাই আমি আর রিফাত আড্ডা দিচ্ছিলাম।
দীপ্তিঃ ওহ,,,,

তারপর আমরা তিনজন মিলে আড্ডা দিতে লাগলাম,,,

এভাবে কেটে গেলো আরো একমাস।

দিন যতই যাচ্ছে দীপ্তির প্রতি দূর্বল হয়ে পরছি, কিছুতেই বলতে পারতেছিনা, যদি রাগ করে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই তাই।

দিন যেতে যেতে আরো ১ বছর কেটে গেলো, এবার আমরা ক্লাস সেভেনে।

Cute School Life Love Story

একদিন আমি আর দীপ্তি আড্ডা দিচ্ছিলাম, দেখলাম হিমেল কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে, তারপর আমি গিয়ে সোজা মোবাইল টা কেরে নিয়ে দেখলাম, নাম্বার টি তাইয়েবা নামের সেভ করা। ফোন কেটে নিয়ে হিমেলকে বললাম……

আমিঃ কিরে মোবাইল পাইতেই না পাইতেই প্রেম করা শুরু করে দিলি।
হিমেলঃ দোস্ত পরে তোকে এসব বিষয়ে বলছি এখন থাম।
আমিঃ এখনি বল।
হিমেলঃ আসলে তাইয়েবাকে তো চিনিস আমাদের সাথেই পরে।
আমিঃ হুম।
হিমেলঃ তাকে আমি ভালোবাসি, সেও আমাকে বাসে।

আমিঃ তাহলে ট্রিট চাই,,,
হিমেলঃ টাকা নাই রে ভাই,,,,
আমিঃ তাহলে বাড়িতে এই কথা ফাস করে দিবো।
হিমেলঃ আরে না, এসব বলিস না,,তোকে ট্রিট দিবো।
আমিঃ কখন দিবি।
হিমেলঃ সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে আসিছ একটু পর,,,
আমিঃ ওকে।

তারপর সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম, গিয়ে দেখি হিমেল বসে আছে, তারপর খাবার খেয়ে চলে আসলাম স্কুলে, কিছু ক্লাস করে বাসাই চলে আসলাম। এসে দিলাম এক ঘুম, ঘুম থেকে উঠে বিকালে ঘুরতে বের হলাম, ঘুরা শেষে বাসাই চলে আসলাম, কিছুক্ষন পড়াশুনা করে ঘুমিয়ে গেলাম, আমার আর দীপ্তির বন্ধুত্ব টা গভীর হয়ে উঠছে, কিন্তুু ভালোবাসার কথাটি কিছুতেই বলতে পারতেছিনা। এভাবে কেটে আরো ১ টি বছর, এবার আমরা ক্লাস এইটে

দীপ্তি এখন আগের মতো আমার সাথে কথা বলে না। আগে যেভাবে আমরা কথা বলতাম স্কুলে এসে এখন সেই আর কথা বলে না আমার সাথে, কিন্তু তার এত পরিবর্তন এর কারন টা কি কিছুতেই ধরতে পারছিলাম না।

জে.এস.সি পরিক্ষার তিন মাস আগে,,,,,,

একদিন আমি আর হিমেল আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাৎ হঠাৎ করে হিমেল বলে উঠলো…….

হিমেলঃ কিরে এভাবে আর কত দিন।
আমিঃ বুঝলামনা।
হিমেলঃ আরে হাদারাম, ৩ বছর হয়ে গেলো এখন পর্যন্ত দীপ্তিকে তোর মনের কথা ট বলতে পারলি না।
আমিঃ ভয় করে।
হিমেলঃ তাহলে থাক আর বলতে হবে না কিছুটা রেগে)
আমিঃ রাগ করছিস কেন?

হিমেলঃ আচ্ছা রাগ করবোনা, এখন যদি দীপ্তিকে প্রপোজ না করিস তাহলে অন্য কেও এসে দীপ্তিকে নিয়ে যাক এটা তুই চাস নাকি।

আমিঃ এভাবে বলিস না, তাহলে কাল প্রপোজ করবো
হিমেলঃ সত্যি।
আমিঃ হুম।

তারপর বাসাই এসে ভাবতে লাগলাম কিভাবে প্রপোজ করবো এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি মনে নাই।

Bangla Love Story

তারপর সকালে ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করে হিমেলকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলাম, গিয়ে দেখি দীপ্তি ক্লাসে বসে আছে, তারপর বলললাম…….

আমিঃ কি খবর তোমার।
দীপ্তিঃ ভালো,,,তোমার।
আমিঃ তোমায় ছাড়া কি করে ভালো থাকতে পারি (মনে মনে).
দীপ্তিঃ কি হলো কিছু বলছো না কেন ?
আমিঃ ওহ কিছু না, একটা কথা বলি রাখবো তো।
দীপ্তিঃ হুম বলো……

আমিঃ চলো না নদীর পার থেকে ঘুরে আসি।
দীপ্তিঃ কিন্তু আজকের ক্লাস কি করবো।
আমিঃ আজকে না হয় ক্লাস করা লাগবে না।
দীপ্তিঃ আচ্ছা চলো।

তারপর দীপ্তিকে নিয়ে নদীর পাড়ে এসে পরলাম। তারপর বললাম….

আমিঃ আরেকটা কথা বলি রাগ করবে না তো।
দীপ্তিঃ না, বল।

আমি ১০ কেজি সাহস নিয়ে পকেট থেকে গোলাপ ফুল বের করে দীপ্তির সামনে হাটু গেটে বসে পরলাম তারপর বললাম…

আমিঃ দীপ্তি আমি তোমাকে সেই ৩ বছর আগে প্রথম দেখাই ভালোবেসে ফেলেছি। বলতে পারিনি ভয়ে কারন, যদি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেও তাই, আমি তোমাকে সারাজীবন ভালোবেসে যেতে চাই যদি সেই অধিকার টা তুমি দেও।

আমার কথা শুনার পর তুমি কেমন রিয়েক্ট করবে জানিনা, বিশ্বাস করো এতদিন মনের কথাটা বলতে চেয়েছিলাম, ভয় বলতে পারিনি, কিন্তু ইদানিং মনের কথা না বলে থাকতে পারছিনা, i love you,,,,,,,,,,,,,

কিছুক্ষন পর দীপ্তি বললো…..

দীপ্তিঃ দেখ মিনহাজ,,তুই যতই এই কথা বলিস না কেন,, তোকে আমি ভালোবাসতে পারবো না।
আমিঃ কিন্তু কেন?
দীপ্তিঃ এখন বলতে পারবোনা, তোর এসব আজাইরা কথা শুনার আমার টাইম নেই, আমি গেলাম।

তারপর দীপ্তি চলে গেলো। আমি তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি, যাকে আমি ৩ বছর ধরে মনে মনে ভালোবাসি সেই আমার কষ্ট টা বুঝলো না।

তারপর বাসাই চলে আসলাম,,এসেই সোজা রুমে ডুকে পরলাম, আজ তার দেওয়া কষ্ট টা কিছুতেই সহ্য করতে পারতেছিনা। একটা ব্লেড নিয়ে, বাম হাতে লিখা শুরু করলাম, M+D, লেখা শেষ হয়ে দেখলাম, হাত থেকে টাজা রক্ত পরতে। কিছুক্ষনের মধ্যে আমার রুম রক্তে ভেসে গেছে, হঠাৎ করে আমি অজ্ঞান হয়ে মাঠিয়ে পরে গেলাম, তারপর কিছুই মনে নাই।

জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে হাসপাতালে আবিস্কার করলাম, উঠতে চাইলেও উঠতে পারছিনা, কারন হাতে সেলাইন লাগানো ৷ একটা নার্স আমাকে উঠতে নিষেধ করেছে তাই আর উঠলামনা, কিছুক্ষন পর আম্মু এসে ঠাসসসসসসস করে কয়েকটা চড় মারলো……..

আম্মুঃ তুই আমাদের কথা একবারো ভাবলি না, তোর কিছু হয়ে গেলো আমরা কিভাবে বাঁচতাম (কেঁদে কেঁদে)
আমিঃ (নিশ্চুপ)
আম্মুঃ সামান্য একটা মেয়ের জন্য আমাদের কাছ থেকে চলে যেতে চাইলি।
আমিঃ সরি,আম্মু আমাকে মাফ করে দেও।

আম্মুঃ থাক আর মাফ চাইতে হবে না, আল্লাহ তায়ালা তোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে এতে আমরা খুশি হয়েছি, হাতের কি অবস্থা করেছিস দেখ, এখন মানুষকে এই হাত দেখাবি কি করে।

Bangla Romantic Story

আমিঃএসব কথা রাখো আমাকে একটু একা থাকতে দেও প্লিজ
আম্মুঃ আচ্ছা থাক তাহলে হিমেলকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

তারপর আম্মু চলে গেলো, শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম কালকের ঘটনা গুলো, তার কথা গুলো মনে পরতেই চোখ দিয়ে পানি পরছে, কিছুক্ষন পর হিমেল এসে বললো…..

হিমেলঃ এখন কেমন লাগছে।
আমিঃ ভালো।
হিমেলঃ এসব পাগলামি কেন করতে গেলি।
আমিঃ কাল কে তার কথা গুলো শুনে মাথা ঠিক ছিলো না, কখন যে কি করেছি জানিনা।
হিমেলঃ দীপ্তির চিন্তা মাথা থেকে বের করে ফেল।

আমিঃ দেখি কি করা যায়, একটা কথা বুঝতেছিনা, আমার হাত থেকে তো অনেক রক্ত ক্ষয় হয়েছে,তাহলে রক্ত ছাড়া বেঁচে গেলাম কি করে।

হিমেলঃ একজনে রক্ত দিয়েছে।
আমিঃ কে সে?
হিমেলঃ এটা তোর না জানলেও চলবে, এসব কথা ছাড়।
আমিঃ তোকে বলতে বলেছি বল।

তারপর হিমেল নাম বললো,নাম শুনেই অবাক……….

Click Here For Next Part – চলবে

Writer -M.T Minhaz

Leave a Comment