Golperjogot

Golperjogot

Romantic Bangla Valobashar Golpo School Jiboner Prem Part 4

স্কুল জীবনের প্রেম

M.T Minhaz ( Part 04 )

আমার বন্ধুরা সবাই এক সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে, আমি গিয়ে বললাম, আমি চাই অন্য স্কুল থেকে পড়াশুনা করতে,

এই কথা শুনার পর সবাই আমাকে জরিয়ে ধরে বললো….

সবাইঃ দোস্ত তুই যাস না, তোকে ছাড়া ভালো করে আড্ডা জমে না,
আমিঃ আরে আমি তো সারাজীবনের জন্য যাচ্ছি না, কয়েকদিন পর পর এসে দেখে যাবো, আর ফোন নাম্বার তো আছেই তাহলে সমস্যা কোথায়।

রিফাতঃ তোর তো মোবাইল নেই,
আমিঃ সমস্যা নেই, হিমেলের মোবাইল তো আছেই, কয়েকদিন পর মোবাইল কিনবো।
সবাইঃ তাহলে ভালো, আমাদের একদম ভুলে যাবি না কিন্তু।
আমিঃ তোদের সবাইকে কি করে ভুলে থাকতে পারি।
হিমেলঃ তাহলে তোরা থাক, কালকে দেখা হচ্ছে,
সবাইঃ হুম

Bangla Valobashar Golpo

তারপর চলে আসলাম রাস্তাই ,হিমেল বললো…..

হিমেলঃ কেন আজ এমন করলি।
আমিঃ কি করলাম আমি।
হিমেলঃ এই সবাইকে যে বললি এই স্কুলে আর পরবি না।

আমিঃ ঠিকি বলছি, কারন দীপ্তি হাসিবের সাথে থাকলে নিজেকে সামলে রাখতে পারি না, এখানে থেকে পড়াশুনা করলে আবারো ভেঙ্গে পরতে পারি।

হিমেলঃ তা নাইনে কোথায় ভর্তি হবি,
আমিঃ আমি ভাবছি ভোকশনালে ভর্তি হবো।
হিমেলঃ ভালো আইডিয়া তাহলে ভর্তি হয়ে যা।
আমিঃ বাসাই আম্মুর সাথে কথা বলে দেখি।
হিমেলঃ হুম

তারপর বাসাই চলে আসলাম দেখলাম আম্মু সোফায় বসে কফি খাচ্ছে,আমি গিয়ে বললাম….

আমিঃ আম্মু আজকে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে (পাম দিচ্ছি)
আম্মুঃ আজ হঠাৎ করে পাম দেওয়া কারন কি টাকা লাগবে নাকি,
আমিঃ না টাকা লাগবে না, আমি একটা কথা বলবো রাখবে।
আম্মুঃ হুম, বল।
আমিঃ আমি স্কুল বদলাতে চাই,

আম্মুঃ এই স্কুলে না পরলে তাহলে কোথায় থেকে পড়াশুনা করবি।
আমিঃ ভোকেশনালে।
আম্মুঃ এটাও ভালো আইডিয়া, তা তোর জন্য রাতে সারপ্রাইজ আছে,
আমিঃ কি সারপ্রাইজ।
আম্মুঃ এখন বলা যাবে না।
আমিঃ তাহলে বলা লাগবে না, আমি গেলাম।

এই বলে রুমে চলে আসলাম, এসেই সোজা টিভি নিয়ে বসলাম দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে গেলো লাঞ্চ করে রুমে এসে ঘুমিয়ে পরলাম

Bangla School Life Love Story

ঘুম থেকে উঠে দেখলাম ১০ টা বাজে, উঠে ফ্রেস হয়ে গেলাম খাবার টেবিলে দেখলাম সবাই আব্বু বসে আছে, আমাকে দেখেই বললো….

আব্বুঃ মিনহাজ, তোর জ,

এই বলে আম্মু আব্বুকে থামিয়ে দিলো

আমিঃ কি হলো পুরো কথা না বলে থামিয়ে দিলে কেন? ( আম্মুকে বললাম)
আম্মুঃ এমনেই, আগে খেয়ে নে।
আমিঃ হুম।

তারপর খাবার খেয়ে রুমে এসে পরলাম, হঠাৎ করে টেবিলে চোখ গেলো দেখলাম একটা মোবাইলের কভার। মনে মনে ভাবলাম, এত দামি মোবাইল আমার রুমে কেন?

তারপর আম্মুকে ডাকতে লাগলাম, কিছুক্ষন পর আম্মু এসে বললো….

আম্মুঃ এভাবে চিল্লাচ্ছিস কেন?
আমিঃ চিল্লাচ্ছি কি আর স্বাদে এই মোবাইল কার জন্য আর আমার রুমে কেন?
আম্মুঃ তোর জন্য।
আমিঃ আমার জন্য মানে

আম্মুঃ হুম,,সকালে তোদের স্যার ফোন করে বলেছিলো, তুই সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছিস, শুধু তাই নয় ১০ বছরের সম্মান টা আবার ফিরিয়ে দিয়েছিস তাই তোর জন্য এই মোবাইল সারপ্রাইজ।

আমিঃ ওহ,
আম্মুঃ তুই থাক আমি গেলাম

তারপর আম্মু চলে গেলো, আমি মোবাইল টা খুলতে লাগলাম, দেখি বেশ দামি মোবাইল ভিতরে একটা সিম কার্ড আছে তাই সিম লাগিয়ে মোবাইল টা চার্জে বসিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম

সকালে উঠে দেখলাম মোবাইলের চার্জ ফুল হয়ে গেছে তাই চার্জ থেকে খুলে ফেললাম, ফ্রেস হয়ে হিমেল ফোন দিলাম

হিমেলঃ হ্যালো, কে বলছেন।
আমিঃ আমি মিনহাজ।
হিমেলঃ এটা কার নাম্বার(অবাক হয়ে)
আমিঃ বাসাই আয় তারপর সব বলবো।
হিমেলঃ ওকে

Bangla Love Story

তারপর ফোন কেটে দিয়ে কিচেনে গেলাম, দেখলাম আম্মু রান্না করছে, তাই একটু কাজে সাহায্য করলাম রান্না শেষে দেখলাম ৮ টা বাজে তাই আমি আম্মু আব্বু মিলে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম, কিছুক্ষন পর হিমেল আসলো

আমিঃ চল হিমেল স্কুলে,
হিমেলঃ আজ স্কুলে কেন?
আমিঃ কাগজ পত্র আনতে হবে স্যারের কাছ থেকে।
হিমেলঃ ওকে চল।

তারপর রাস্তাই এসে পরলাম হিমেল বললো…..

হিমেলঃ এবার ব্যাপার টা খুলে বলতো।
আমিঃ তাহলে শুন( তারপর সব বললাম)
হিমেলঃ তাহলে ভালোই হয়েছে মোবাইল একটা পেয়ে গেছিস।
আমিঃ হুম, ফেসবুক আইডি খুলে দেতো একটা।
হিমেলঃ ওকে

তারপর স্কুলে আসতে আসতে ফেসবুক আইডি খুলে দিলো হিমেল।

অবশেষে স্কুলে চলে আসলাম, কাগজ পত্র নিয়ে সবার থেকে বিদায় জানিয়ে চলে আসতে লাগালাম, সামনে দেখি দীপ্তি দাড়িয়ে আছে, আমার কাছে এসে বললো….

দীপ্তিঃ তাহলে চলেই যাচ্ছো।
আমিঃ হুম

দীপ্তিঃ পারলে মাফ করে দিয়ো, তোমার জন্য এখন একটু একটু ভালোবাসা জেগে উঠছে কিন্তু হাসিবকে এখন ঠকাতে পারবো না।

আমিঃ প্লিজ এসব কথা বন্ধ করো ( একটু জুরেই বললাম কথাটা)
দীপ্তিঃ সরি
আমিঃ আমাকেও ভুলে যাও, এখন থেকে মনে করবে মিনহাজ নামের আমার জীবনে কেও ছিলো না, শুধু ছিলো হাসিব।
দীপ্তিঃ (নিশ্চুপ)
আমিঃ মন খারাপ করো না, আমি ও তোমাকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে মাফ করে দিও ভালো থেকো

তারপর চলে আসলাম, হিমেল কে ফোন দিয়ে রাস্তায় আসতে বললাম, তারপর হিমেল আসলো একসাথে বাসাই চলে আসলাম, আজকে মন টা খারাপ সারাদিন রুমেই সময় কাটালাম

১০ দিন পর………

আম্মুঃ এই মিনহাজ উঠ, তা নাহলে পানি ঢেলে দিবো।
আমিঃ কি হয়েছে সকাল সকাল ডাকছো কেন?
আম্নুঃ সকাল সকাল মানে,ঘড়িতে তাকিয়ে দেখ কয়টা বাজে।

তারপর ঘড়িয়ে তাকিয়ে দেখি ৯ টা বাজে।

আমিঃ আম্মু আরো আগে ডাকতে পারলা না।
আম্মুঃ এখন সব দোস আমার।
আমিঃ তোমার না, তোমার হাসবেন্ডের।
আম্মুঃ কি কইলি কুত্তা।
আমিঃ কিছু না, ফ্রেস হতে যাচ্ছি খাবার রেডি করো

তারপর দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম কারন আম্মু ধরতে পারলে মেরেই ফেলতো একেবারে ,যাক বাঁচলাম।

তারপর ফ্রেস হয়ে টেবিলে গিয়ে খাবার খেয়ে নতুন স্কুলের জন্য রেডি হচ্ছি, ওহ আমাদের তো বলায় হয়নি আজ নতুন স্কুলে নাইনে ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হতে যাচ্ছি।

Bangla Romantic Story

আমাদের বাসা থেকে স্কুল সাইকেল দিয়ে ৩০ মিনিট সময় লাগে, আমাদের এখান থেকে কেও ওই স্কুলে পড়ে না তাই আমাকে একা একা যেতে হচ্ছে।

তারপর সাইকেল নিয়ে চলে আসলাম নতুন স্কুলে, এসেই সোজা চলে গেলাম অফিস কক্ষে গিয়ে সব ঝামেলা মিটিয়ে স্কুলের মাঠে এসে বসে রইলাম একা একা এখানে কোন ফ্রেন্ড নেই তাই। কিছুক্ষন পর একটা ছেলে আমার দিকে আসছে এসেই বললো…..

ছেলেঃ তুমি এই স্কুলে নতুন নাকি।
আমিঃ হুম, ভাইয়া।
ছেলেঃ তা কোন ক্লাস।
আমিঃ নাইনে ভর্তি হয়েছি কিছুক্ষন আগে।
ছেলেঃ তাহলে তো আমাদের সাথে ভর্তি হয়েছো আমিও নাইনে।
আমিঃ ওহ।
ছেলেঃ আমরা ফ্রেন্ড হতে পারি।
আমিঃ অবশ্যই, একটা শর্ত আছে।
ছেলেঃ কি শর্ত।
আমিঃ আমাকে তুই করে বলতে হবে।
ছেলেঃ ওকে,তোর নাম কি?

আমিঃ মিনহাজ,,,তোমার নাম কি?
ছেলেঃ
আমিঃ এখানে রাগ করার কি আছে।
ছেলেঃ তুই আমাকে তুমি করে বললি কেন?
আমিঃ ওহ, সরি তোর নাম কি?
ছেলেঃ আমি মমিন।
আমিঃ নাইস নেম।

মমিনঃ থ্যাংকস কোন স্কুল থেকে জে.এস.সি পরিক্ষা দিয়েছিস।
আমিঃ ……….. এই স্কুল থেকে।
মমিনঃ চল আরো কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
আমিঃ হুম চল।

তারপর ক্লাসে চলে আসলাম, একটি ছেলে বললো……

ছেলেঃ মমিন এটা কে?
মমিনঃ ওর নাম মিনহাজ আজ নতুন ভর্তি হয়েছে।
ছেলেঃ হাই, আমি সাজিদ।
আমিঃ হ্যালো।
সাজিদঃ চল বসে পরি সিটে,
আমিঃ হুম চল

তারপর আমি, সাজিদ,মমিন একসাথে বসলাম,,ভাবতেই অবাক লাগছে ১০ মিনিটের পরিচয়, এত সহজেই আপন করে নিলো

হঠাৎ করে মমিন বললো….

মমিনঃ দোস্ত আমার বন্ধু কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরো আছে, তারা আজকে আসছে না কাল পরিচয় করিয়ে দিবো।
আমিঃ ওকে তোর বাসা কোথায়।
মমিনঃ ***** এই এলাকায়।
আমিঃ ওহ আর সাজিদ তোর বাসা কোথায়?
সাজিদঃ *****

সাজিদের কথা শুনে অবাক না হয়ে আর পারলাম না।

Click Here For Next Part – চলবে

Writer – M.T Minhaz

Leave a Comment