Golperjogot

Golperjogot

সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড-বাংলা প্রেমের গল্প শেষ পর্ব 4

সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড-বাংলা প্রেমের গল্প শেষ পর্ব 4 | Senior Girlfriend

Senior Girlfriend

Amrin Talokder { Part 4 }


-ম্যাম দেখেন।
-ওই কে তোর ম্যাম হ্যাঁ, আমি তোমার জান কলিজা,হার্ট,আমাকে নাম ধরে ডাকবে।
-দেখুন..........................।।।
-কি দেখবো হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে আমি চাই।
-আমিতো আপনাকে ভালোবাসি না।
-সেটা পরে দেখা যাবে।
-হুমম

আসলে এখনও তাসফিকে বালোবাসি,কিন্তু কি করবো আপনারাই বলেন,ভার্সিটি লাইফে যা করেছে,তার জন্য আগে প্রতিশোধ নিবো তার পর তাকে মেনে নিব।

এভাবেই চলছিল আমাদের দিন গুলো,এখন আস্তে আস্তে তাসফির পাগলামো গুলো বেড়েই যাচ্ছে,আর আমিও চাচ্ছি তাসফিকে মেনে নিতে, কিন্তু পারছি না, কেন মেনে নিতে পারছি না তা নিজেও বুঝতে পারছি না।

এর মাঝে কত যে তাসফি আমাকে ভালোবাসে সে কথা বলেছে তা অজানা। কিন্তু কেন যেন সাহস করে বলতে পারছি না,আমিও তোমাকে বালোবাসি।

আজকে তাসফির বার্থডে,সেই উপলক্ষে অফিসের সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে,এখন ভাবতেছি যাবো কিনা যাবো না।

না আজ আমাকে যেতেই হবে,কেননা আজ সবার সামনেই বলে দিব তাসফি আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আজ যদি না বলি তাহলে হারিয়েও ফেলতে পারি। তাই একটু সেজে চলে গেলাম দোকানে,দোকান থেকে কিছু ফুল,আর একটা গিফট কিনলাম,সেটা কাগজে মুড়িয়ে নিয়ে চলে গেলাম তাসফিদের বাসায়। কিছুক্ষণ পর শুরু হলো অনুষ্ঠান। তো অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাসফির বাবা যা বলল তা নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছি না।

-হাই জেন্টেলম্যানস। আজ আমার মেয়ের জন্ম দিন, সাথে আমার মেয়ের এংগ্যাজমেন্টও।

এটা শুনার সাথে সাথে চলে আসতে চাইছিলাম কিন্তু মাথা ঘুরা শুরু করে। তারপর আর কাছু মনে নেই। সকালে উঠে দেখি তাসফি আমার বুকে শুয়ে আছে আর আমাদের শরিরে একটা সুতাও নেই,আমিতো অবাক,কাল তাসফির না এংগ্যাজমেন্ট হলো,তার পরও আমার সাথে এরকম করতে পারলো,ছি ছি,আমি তাসফিকে ভালো মনে করেছিলাম কিন্তু শেষ মেষ তাসফি এতটা নিচে নামবে বুঝতে পারি নাই। নিজের ঘরে স্বামী রেখে আমার সাথে কি ভাবে করলো এটা,ভাবতেই ঘৃনা লাগছে।

এমন সময় তাসফি ঘুম থেকে উঠে দেখে আমি জেগে গেছি,আমাকে দেখে মুচকি হেঁসে বলল কেমন আছো,
আমি ভাবতেছি কেমন মেয়ে কালকে বিয়ে করলো অন্য জনকে আর রাত কাটালো আমার সাথে।

-কি হলো কি ভাবো তুমি। আমি তোমাকেই বিয়ে করেছি জান।

তাসফির কথা শুনে তো আমি আকাশ থেকে পরলাম, তাইতো বলি কাল রাতে এভাবে মাথা গুরে পরে গেলাম কেন।
মনে মনে অনেকটা খুশি হয়েছি,কেননা যাকে ভালোবাসতাম,যার জন্য এতদিন অপেক্ষা তাকে আজ আপন করে পেযেছি,কিন্তু তাসফিকে সেটা বুঝতে না দিয়ে বললাম

-এটা ঠিক করেন নি,আমি এই বিয়ে মানি না,আমাকে জোর করে বিয়ে করছেন,আমি আপনাকে মানবো না।
-কি বললা,আমার সব শেষ করে,আমার সাথে বাসর করে এখন বলছো বিয়ে মানো না। আচ্ছা না মানলে সমস্যা নেই,তো কি চাও বলো।

পড়ুন  তোমার আমার প্রেম – লাভস্টোরি পর্ব 17 | Bangla Golpo

আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব,
তাই জানু,তুমি আমাকে ডিভোর্স দিতে পারবে না,তুমি চাইলে ট্রাই করতে পারো।

এই বলে চলে গেল,কিন্তু একটা কথা বুঝলাম না কেন ডিভোর্স দিতে পারবো না,আর আমিতো ডিভোর্স দিবো না। কেন এই কথা বললো বুঝতে পারলাম না তো,আপনারা কেও বুঝেছেন নাকি??

আস্তে আস্তে এখন তাসফিকে একটু একটু কেয়ার করা শুরু করেছি,তাসফিও আমাকে প্রচুর ভালোবাসে।
আজ তাসফি হঠাৎ করেই মাথা গুরে পরে যায়,সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়,ডাক্তারকে সব খুলে বলি,ডাক্তার তাসফিকে দেখে বললো,আগে মিষ্টি খাওয়ান,

-কেন মিষ্টি খাওয়াবো,আগে বলেন কি হয়েছে আমার স্ত্রীর।
-আপনি বাবা হতে চলেছেন,কনগ্রাচুলেশন!!

এখন তাসফির সাথে আগের মত ঝগড়া করি না,তাসফিকে কোন প্রকার কাজও করতে দেই না,সব সময় তাকে চোখে চোখে রাখি,কেননা তাসফি এখন একা নয়,তাসফির মাঝে বড় হচ্ছে আমার আর তাসফির ভালোবাসার ফসল,তার প্রতিতো আরো বেশি খেয়াল রাখতে হবে তাই না,তাসফিও অনেক খুশি,তাসফি নিজেও নিজের অনেক খেয়াল রাখে।

আজ তাসফির অনেক বেথা শুরু হয়েছে,কিছু ভেবে না পেয়ে তাসফিকে নিয়ে হসপিটালে চলে গেলাম,আর সাথে সাথে আ্যাডমিশন করে দিলাম,আমি চাই না তাসফি ও তার মাঝে বেড়ে ওঠা নিষ্পাপ বাচ্চাটা কোন কষ্ট পাক।

কিছুক্ষণের মাঝে তাসফির অপারেশন সাকসেসফুল হয়,

ও এর মাঝে সবাই জেনে গেছে আমি তাসফিকে বিয়ে করেছি,আমার বাবা মাও মেনে নিয়েছে,বাবা মা গ্রামে থাকে,তাদের বলেছিলাম শহরে আসতে কিন্তু তাদের নাকি শহুরে জিবন ভালো লাগে না তাই আসে নাই। তাসফিকে হসপিটালে এনে সবাইকে ফোন করে বলে দিছি।সবাই আমাদের এখানে আসতেছে।

-কিছুক্ষণ পরে তাসফিকে বেডে শিফট করে দিল,
মেয়েটাকে আদর করতেছিলাম,এমন সময় তাসফি বলল...

-মেয়েকে পেয়েতো সিনিয়র বউটাকে তো ভুলেই গেছ। আমাকে কি এখন আর ভালো লাগবে।

আজ তাসফি এত অভিমানী হলো কিভাবে বুঝতে পারলাম না,
-আরে পাগলি তোমার জায়গা যেখানে সেখানে তুমি সারাটা জিবন থাকবে,তোমার জায়গায় কি অন্য কারো স্থান আছে নাকি,আর থাকলে কি তোমার জন্য ৫ টা বছর অপেক্ষা করতাম,আর আমার মেয়ের জায়গায়ও অন্য কারো স্থান নেই,তো চুপ চাপ থাকো।

আমার কথা শুনে তাসফি কিছুটা রাগি ভাবে বলল,

-তোমার বুকে শুধু আমিই থাকবো তোমার মেয়েকেও থাকতে দিব না,আমার জিনিসের কোন ভাগ কাওকে দিব না,তুমি আমাকে এখন জরিয়ে ধরো।

আমি কি আর বলবো,কেননা তাসফিও যত দিন আমার জন্য অপেক্ষা করে ছিল,আমিও তত দিন তার জন্য অপেক্ষাই ছিলাম,তাকে যে বড্ড ভালোবাসি,নিজের জিবনের চেয়েও।
তাই হয়তো আল্লাহ তায়লা আমাদের মিলিয়ে দিছে। মেয়েটাও আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে,আর তার বায়নাও বেড়ে যাচ্ছ,মা মেয়ে দুজনে মিলে আমাকে জালিয়ে খায়। তাই একদিন ভাবলাম এতো জালাও আমাকে তোমাদেরও আমি জালাবো।

পড়ুন  Best College Love Story Valobashi Dujone Part 11

আজ এক বন্ধুকে দিয়ে আমার ফোন দিয়ে তাসফির ফোনে ফোন দিলাম,বন্ধুকে যা যা শিখিয়ে দিছি সেভাবেই বলতেই শুনতে পেলাম তাসফির হাতের ফোনটা পরে গেল,তাই আমি আর দেরি না করে চলে গেলাম বাসায়,বাসায় যেয়ে দেখি তাসফি অজ্ঞান। আর আম্মু আমাকে দেখে বকা দিতেছে,তুই ফোন দিয়ে কি এমন বলেছিস মেয়েটা এরকম অজ্ঞান হয়ে গেছে,আজ যদি তাসফির কিছু হয় তাহলে তোর খবর আছে,

তাসফিকে দেখে সত্যি কান্না আসতেছে,কেননা সত্যি মেয়েটা আমাকে অনেক ভালোবাসে, শুধু শুধু এরকম না করতেও পারতাম,তার পর কিচ্ছু না ভেবে হসপিটালের নিয়ে গেলাম,তাসফির জ্ঞান ফিরার পর আমাকে সামনে দেখে,অনেক জোরে জরিয়ে ধরলো। মনে হচ্ছে ছেরে দিলে আমি কোথাও হারিয়ে যাবো। আমাকে এত জোরে জরিয়ে ধরায় দমটাও নিতে পারছি না,কিন্তু পাগলিটাকে কিছু বলতেও পারছি না।

-আমরিন তুমি ঠিক আছো তো,তোমার কি হয়েছিল। তুমি সত্যি আমার সামনে আছো নাকি আমি স্বপ্ন দেখছি,তোমাকে না পেলে আমিও আজ না ফেরার দেশে চলে যাবো।
-আর আমি ঠিক আছি আমার কিচ্ছু হয়নি,তোমার সাথে তখন মজা করে ফোন দিয়ে ওই সব বলেছি।
-তুমি কেন বুঝতে চাও না আমাকে বলতো,আমি তোমার সাথে দুষ্টুমি করি বলে আমাকে এরকম কষ্ট দিতে এরকম করেছো তাই না,আচ্ছা যাও আর কখনও করবো না।

-আরে না জান প্লিজ রাগো করোনা, তুমি আমার সাথে দুষ্টুমি করবে না তো কে করবে বলো,তুমিই তো আমার সব,তোমাকে নিয়েই আমার সব স্বপ্ন। তুমি আমার সাথে যা ইচ্ছে তাই করবে এতে আমি রাগ করি না কলিজা,বিশ্বাস করো। আর কখনও এরকম করবো না, এই তোমাকে কথা দিলাম,

-আচ্ছা আর যদি কখনও এরকম করো সত্যি সত্যি আমি না ফেরার দেশে চলে যাবো,

-এই আর এক বার না ফেরার দেশে যেতে চাইলে আমি নিজেই দুজনকে শেষ করে দিব বলে দিলাম,আল্লাহ ছারা এই পৃথিবীতে কোন শক্তি নেই আমাদের আলাদা করার,

-হুমমম জান,বালোবাসি তোমাকে অনেক।
-হুমমম আমিও।

এভাবেই চলছিল আমরিন আর তাসফির জিবন কাহিনি। আমরিন আর তাসফির সাথে ফাজলামো করে না,কিন্তু তাসফি অনেক দুষ্টুমি করে সেটা আমরিন হাসি মুখে মেনে নেয়,

সব গল্পের ইতি হয় না কিছু গল্প অসমাপ্তও থেকে সমাপ্ত হয়ে যায়,যেরকম এই গল্পটাও শেষ হয়ে গেলো।।

পড়ুন  বেকার ছেলে পর্ব 4 – Bangla Love Story | Bekar Sela Story

Also Read Our New Story

ভিলেন এ্যাকশন লাভস্টোরি
Writer- Monna Hossain


আকাশের এন্ট্রি দেখে যে কারোরেই ভয় পাওয়ার কথা আকাশ একা নয় সাথে আরো অনেকগুলি ছেলে আছে। সবার হাতে বন্দুক আছে।

আকাশকে আসতে দেখেই আরোহীর বাবা এগিয়ে গেলেন...

আকাশঃ সামনে থেকে সরুন আংকেল বুঝতেই পারছেন আজ আমি কারোর কোন কথাই শুনব না আরোহীকে আমি নিতে এসেছি পৃথিবীর কোন শক্তিই আজ ওকে আমার কাছে থেকে সরাতে পারবে না তাই অযথা ঝামেলা বাড়িয়ে কি লাভ? সরুন প্লিজ।

কয়েকটা ছেলে আরোহীর বাবাকে সরিয়ে দিল।আকাশ এবার আরোহীর কাছে গেল।

আজ আরোহীর বিয়ে বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন পাত্র পক্ষও চলে এসেছে কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগ মুহুর্তে আকাশ নামের এই মসীবত এসে হাজির হয়েছে। 

আকাশ এবার আরোহীর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। 

তারপর আরোহীর থুতনিতে হাত দিয়ে বলল……

বাহ কি সুন্দর সেজেছিস রে আরোহী...দেখি দেখি বাপরে লিপষ্টিক পরেছেও তাও লাল রং এর।

আকাশ এবার আরোহীর হাত টেনে বলল মেহেদীও পড়েছিস নাকি দেখি বাহ সাহস তো ভালই হয়েছে দেখতে পাচ্ছি...

তবে এটা বুঝলাম না সেজেগুঁজে ঢং করার অধিকার তোকে কে দিল..??একবারো বুক কাঁপলো না?

আকাশের কথা বলার ধরন দেখেই আরোহীর পরাণ পাখি উড়ে গেল কারন আকাশ সাধারনত এভাবে কথা বলে না...আর মেয়েদের গায়ে হাত তো একেবারেই দেয় না। তাও এত লোকের সামনে....

আরোহী ভয়ে ভয়ে বলল ভ ভ ভ ভাইয়া বস না...

আকাশঃ হ্যা বসতে তো পারতামেই কিন্তু হাতে যে একদম সময় নেই বোন অনেক কাজ বাকি। চল তোকে এখন আমার সাথে যেতে হবে।

আরোহীঃ আ আ আমার তো আজ বিয়ে ভাইয়া আমি কি করে যাব..... 

কথা শেষ হওয়ার আগেই আকাশ স্বজোরে আরোহীর গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। আরোহী ছিটকে গিয়ে নিচে পড়ল। আকাশ গিয়ে আরোহীর চুলের মুটি ধরে টেনে তুলল..

আকাশঃ আজ তোর কি যানি আবার বল..? শুনতে পাই নি। আকাশ দাঁতে দাঁত চেপে বলল আমাকে না জানিয়ে তুই বিয়ের পীড়িতে বসিস এত সাহস কই পেলি? আচ্ছা চল তোর বিয়ে করার শখ আমি মিটিয়ে দিচ্ছি।বলেই আরোহীকে টানতে লাগল আকাশ।

আরোহীঃ তুই আমার কাজিন হয়ে এমন ভিলেনের মত আচারন কি করে করছিস ভাইয়া?

আকাশঃ মুখ দিয়ে আর একটা শব্দ বের হলে এখানেই মেরে পুঁতে রেখে দিব বলে বরপক্ষের সামনেই আরোহী কে নিয়ে আকাশ বেরিয়ে গেল।

আকাশের সাথের ছেলেদের প্রত্যেকের হাতে গান ছিল তাই কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।

আকাশ আরোহীকে গাড়ীতে করে নিয়ে যাচ্ছে...

চলুন এবার দেখে আসি এই আরোহী আর আকাশ কে...........................

পুরো গল্প পড়ুন

About The Author

1 thought on “সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড-বাংলা প্রেমের গল্প শেষ পর্ব 4 | Senior Girlfriend”

  1. অনেক তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলেন। আরো একটু ডিটেইল্ড হলে ভালো হতো।

    anyways, I Enjoyed it.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top