Senior Girlfriend
Amrin Talokder { Part 3 }
তার পরের দিন আবার সেই আগের মত অফিসে চলে গেলাম। আমার ডেস্কে কাজ করতে ছিলাম,এমন সময় একটা মেয়ে এসে আমার পাশের ডেস্কে বসলো,কালকে আপনাদের বলেছিলাম,সেই মেয়েটি হয়তো।
বোরকা পরে ছিল,আর শুধু চোখ দুটি বের করে ছিল।তাই বুঝতে পারছি না কে সে। তবে আমার মনে হচ্ছে আমার কাছের কেও.
পুষ্প: কিরে আমরিন চিনতে পারিস নাই, কথা বলছিস না কেন??
আমি কন্ঠ শুনে এক প্রকার অভাক। আজ ৭ বছর পর পুষ্পর সাথে আমার দেখা। কিন্তু আমি তো পুষ্পকে চিনতে পারলাম না কিন্তু পুষ্প ঠিক চিনে নিল কেমনে, ওওহ তো নেকাব করে আছে তাই তো চিনতে পারি নাই,তাও ৭ বছর পর, কিন্তু আমাকে দেখেই তাই চিনতে পারছে।
চলুন পারিচয় হয়ে আসি পুষ্পটাকে।পুষ্প হচ্ছে আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড+ মামাতো বোন,আমরা একে অপরকে ছারা কখনই কোথাও থাকতাম না,সবাই বলতো আমাদের নাকি দুইজনের বিয়ে দিয়ে দিবে,কিন্তু আজ আছি আমার জিবন নিয়ে আর পুষ্প আছে তার জিবন নিয়ে, আর কিছু বলতে চাই না।
পুষ্পর সাথে কিছু কথা হয় কাজের বিষয়ে তাছারা কোন প্রকার কথা বলতে ইচ্ছে করে না।পুষ্পও কোন কথা বলে না। এভাবেই চলছে। কিন্তু মাঝে মাঝে পুষ্প আমার দিকে তাকিয়ে থেকে কি যেন ভাবে, সেটা আমার অজানা। এভাবে চলে যায় অনেক দিন, আমাদের পুরানো বস নাকি তার মেয়েকে দায়িত্ব দিয়ে অবসর নিতে চায়,
সালার বস এখন মেয়ে হবে,জানি না আগের কম্পনির মতো এই মেয়ে বস করবে নাকি,বসের মেযে এখন পর্যন্ত দেখি নাই,কিন্তু বস বলেছে তার মেয়ে নাকি অনেক রাগি,
Related Story
আজ নতুন বস জয়েন করবে, তাই সবাইকে তারাতারি আজ তারাতারি অফিসে আসতে বলছে, বসের কথা মত ঠিক সময় মত চলে আসছি,কিন্তু অফিসে এসে পরেছি এক বিপদে,আজকে কিছু খেয়ে আসি নাই,তাই ক্যান্টিনে চলে গেছি খাবার খেতে,কেননা নতুন বস নাকি জ্যামে আটকা পরেছে। খেতে খেত একটু লেট হযে যায়। এর মাঝে নতুন বস নাকি এসে পরেছে ১০ মিনিট হলো,আর আমি এখনও বসে বসে খাচ্ছি। আসলে আমার খাবার সময় একটু দেরি লাগে, কেননা তারাতারি খেতে পারি না।
কিছু খাবার রেখেই চলে গেলাম কেননা দেরি হয়েছে অনেক তাই,আমার ডেস্কে বসে কাজ করতেছি এমন সময় পিয়ন এসে বললো বস নাকি ডাকে।
তো চলে গেলাম বসের রুমে।
স্যার আসবো???
আপনারা হয়তো ভাবছেন বস তো মেয়ে তাহলে স্যার বললাম কেন,আসলে আগের বস ডেকেছে তাই স্যার বলেছি।
হ্যাঁ আমরিন আসো। তোমার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম,তোমার সাথে পরিচয় করে দেই,এই হচ্ছে তাসফি আমার মেয়ে। এখন থেকে আমার অবর্তমানে তাসফি দায়িত্ব পালন করবে। আর তোমাকে প্রমোশন দেওয়া হলো আজ থেকে তুমি আমার মেয়ের পিএ হয়ে কাজ করবে। তোমাকে আরো কিছুদিন আগেই প্রোমোশন দিতে চাইছিলাম,কিন্তু আমিতো থাকবো না তাই নতুন বসের নতুন পিএ হিসেবে তোমাকে সারপ্রাইজ দিলাম,এতক্ষণ স্যারের কথা শুনতেছিলাম।
ম্যামের দিকে তাকিয়ে আমি অবাক। কেননা এই সেই মেয়ে যারে কিনা প্রোপোজ করেছিলাম কলেজ লাইফে,তার দিকে একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলাম|কেননা পুরানো সৃতি গুলা খুব মনে পরছে,তাসফিকে অনেক ভালোবাসতাম। কিন্তু তাকে পাইনি।হয়তো এত দিনে সে বিয়ে করে নিছে। আমার কথা কি আর তার মনে আছে,কিন্তু এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে কেন আছে বুঝতে পারছি না।
আর আমি তার জন্য এখনও অপেক্ষা করে আছি,যাই হোক এগুলো ভাবতে ছিলাম তখনই স্যার ডাক দিল,
আমরিন তাহলে কাজ করো আমি যাই,আর কোন সমস্যা হলে আমার মেয়েকে বইলো,আর দুজনে মিলে ভালো ভাবে কাজ করো কেমন।
স্যার আমি পিএ পদটা নিতে পারবো না।
এই আজ প্রথম স্যারের মুখের উপর কোনা কথায় না করে দিলাম,স্যারও বেশ অবাক হয়েছে আমার কথা শুনে।।
কিন্তু কেন আমরিন,আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বলে তোমাকে পিএ পদটা দিছি,তোমার মত বিশ্বাসী লোক আমাদের কম্পানিতে দুইটো নেই। তুমি আমার কথা প্লিজ রাখো না করো না।
আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছি না,এক দিকে বস এমন ভাবে অনুরোধ করছে যা ফেলতে পারছি না দ্বিতীয় তো বসের মেয়ে আমার এক তরফা ভালোবাসা। এখন যদি সেই এক তরফা ভালোবাসা পিএ হিসেবে কাজ করি তাহলে তার সাথে সাথে থাকতে হবে সব সময়, তার তো বিয়ে হয়ে গেছে মনে হয়,তো এখন যদি তার মায়ায় পরে যাই তাহলে কেমন হবে তাই মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা আপনাদের পরে বলবো। এমন সময় স্যার বললো
-কি আমরিন বলো আমার কথা রাখবে??
-বাবা তুমি চলে যাও আমি দেখে নিব একে, কাজ করবে নাকি করবে না।
আমি বলতে যাবো তার আগেই তাসফি এরকম কথা বলে দিল।
তার কথা শুনে বুঝতে পারছি আমার উপর অনেক রেগে আছে,যানি না কি হবে.
তার পরের দিন অফিসে বসে কাজ করতেছি এমন সময় পিয়ন এসে বলে গেল ম্যাম নাকি আমাকে ডাকে। যেহেতু ম্যামের পিএ তাই সব সময় তার পাশে পাশে থাকতে হয়।
-ম্যাম আসবো???
-হুমম,আসো।
-আমাকে বলে ডেকেছিলেন??
-হুমম, কালকে আব্বুর সামনে আমার পিএ পদে থাকতে চাইলেন না কেন?
-জানি না.
-কেন জানো না,তুমি জানো,আর সত্যি স্যরি আসলে তুমি চলে আসার পর তোমাকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাই নাই।
Also Read : Opurno Valobasha Sad Love Story
Also Read : Love Never Ended Emotional Story
Also Read : Shishir Bindu Sad Story
-ম্যাম মাফ করবেন আমি বিবাহিত। (একদম মিথ্যে কথা এখন বুঝতে পারলাম না বিযের সাধ কেমন, আর এখানে বলে দিলাম বিয়ে করেছি )
-আমার বিশ্বাস হয় না তুমি বিয়ে করেছো,এখনও তুমি আমাকে ভালোবাস।
-ম্যাম কাজের কথা থাকলে বলেন। না হলে আমি চললাম। আমার কাজ আছে।
-এই দারাও,অফিস কি তোমার না আমার??
-আমার হতে যাবে কেন,আপনার।
-তো আমি তোমাকে এখানে দারাতে বলছি তুমি এখানে দারিয়ে থাকবে। কোন কথা যেন না শুনি,
-ম্যাম আমি চাকরি করবো না আর এখানে ৫ মিনিট ওয়েট করেন আমি রিজাইন লেটার আনছি।
-কালকে বলেছিলাম না আপনাদের যে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটাই নিয়েছি।
-আচ্ছা যাও রিজাইন লেটার আনো।
৫ মিনিট পর রিজাইন লেটার নিয়ে গেলাম তাসফির রুমে।
যেই রিজাইন লেটার দিতে যাবো একটা ফোটকপি কাগজ আমাকে ছুরে মারলো,কাগজটা হাতে নিয়ে দেখি আমি আমার জিবন থাকতে এই অফিস থেকে রিজাইন নিতে পারবো না। এটা কেমনে হলো আমার সিগনেচার ও দেওয়া আছে,ও মনে পরেছে কালকে বোধয় এই কাজ করেছে। তাসপির পিএ হিসেবে প্রোমোশনের জন্য যে সিগনেচার নিল,এটার কারণেই,কাল যদি কাগজ পরে দেখতাম তাহলে আজ এমন দিন দেখতে হতো না। আর যাই হোক কি আর করবো যখন কথা দিয়ে ফেলেছি তাই ডিজাইন স্যরি, রিজাইন লেটার ফিরিয়ে নিয়ে দারিয়ে রইলাম।
-এখন বলো আমাকে এখনও ভালোবাস।
-না আমি আপনাকে ভালোবাসি না। আমার স্ত্রী আছে তাকে ভালোবাসি।
-আমরিন আমাকে কিন্তু তুমি চিন,তোমার দেখা পাওয়ার সাথে সাথে তোমার সব ডিটেইলস বের করেছি। আমি জানি তুমি এখনও আমাকে ভালোবাস।
-দেখেন আপনিতো বিবাহিতা মেয়ে হয়ে কেন আমাকে এমন কথা বলছেন।
-দেখো আমরিন তোমাকে ভালো ভাবে বলছি তুমি চলে যাওয়া পর বুঝতে পারছি তুমি কি ছিলে,তার পর থেকে তুমি যা অপছন্দ করেতে সেগুলো ত্যাগ করে নতুন ভাবে নিজেকে তৈরি করছি, শুধু তাই নয় তোমাকে এর মাঝে কত বার খুঁজেছি তা অজানা। আমার বিশ্বাস ছিল তোমাকে খুজে পাবো একদিন। আর তুমিও আমাকে ভালোবাসো তাই আমাকে ছারা তুমি অন্য কাওকে বিয়ে করো নি।
-ম্যাম দেখেন।
-ওই কে তোর ম্যাম হ্যাঁ, আমি তোমার জান কলিজা,হার্ট,আমাকে নাম ধরে ডাকবে।
-দেখুন..........................
আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করেন