Golperjogot

Golperjogot

শেষ ঠিকানা তুমি – প্রেমের গল্প পর্ব 12 | Bangla Golpo

Shes Thikana Tumi

Riya Singh { Part 12 }

– মানে? অনুর কথা শুনে অরিন্দম যেন আকাশ থেকে পড়লো।- কি হলো তোর আবার? ঝটকা খেলি মনে হচ্ছে? (অরিন্দম)- তা ঠিক নয় তবুও কি সব ঠিক করে এলি? অয়ন্তিকা রাজি হয়ে গেল?(অরিন্দম)

হয়নি ,হয়ে যাবে বিশ্বাস আছে আমার। বাই দা ওয়ে মিস বসু থেকে অয়ন্তিকা? এইতো মিস বসু করলি অয়ন্তিকা থেকে আবার ওখানে থেকে অয়ন্তিকা হয়ে গেল রিটার্নে। (অনু)

এমনিই! তুই যাকে তাকে অয়ন্তিকার সাথে পরিচয় করাচ্ছিস আদৌও মানুষ ভালো তো? দেখে করিস যা করবি কেমন?(অরিন্দম)

– তুই চাপ নিস না তোর বোন এক্সপার্ট আছে বুঝলি,

অনুর কথা শুনে ওর কানটা ধরে হালকা করে টেনে অরিন্দম বললো,- আচ্ছা তারপর পড়াশোনা করছেন ওটাই করুন ঘটকালি করা শুরু করেছেন বন্ধ করে নয়তো আপনার কপালে দুঃখ আছে।

– আহ! দাভাই লাগে রে। তুই কি রে অয়ন্তিকা দি ঠিক বলে একদম ।(অনু)- কি বলে রে? এই শুনি কি বলে আমার নামে?(অরিন্দম)

কিছু না কিছুই বলে না তোর নামে,যা বলে ভালোই, এতো শুনতে হবে না বাদ দে আমি যাই হ্যাঁ।(অনু)

এই যাবি না তোদের ব্যাপার কি রে? আজকাল আমাকে কেউ পাত্তা ই দিস না কেন?

অরিন্দমের কথা শুনে অনু বললো,

দেবো তো ,তুমি থেকো কাল আমার চেনা ছেলেটা সাথে অয়ন্তিকা দি ও আসবে।আলাপ করে নিও, আমি একদম সিউর তুমি ছেলেটাকে পছন্দ করে ফেলবে। আর বলবে আমি একদম ঠিক করেছি।দির সাথে কি ভালো লাগছিল জানিস। এই কোথায় হারিয়ে গেলি?

– না কিছু না বলেই নিজের ঘরে চলে গেল অরিন্দম।- ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অনু নিজের মনেই বললো,

ফেঁসে গেছিস দাদা, এবার তোমার পেটের কথা বার করবোই, পালিয়ে যাবে কোথায় বাছাধন? তোর জেলাস ফীল করাটাই তোর মুখে মনের কথা গুলো আনবে। দেখতে থাক তুই আমি কি করি?

পরের দিন সকালে উঠেই অনু ম্যাসেজ করে দিলো দুজনকে ওর বাড়িতে আসার জন্য। যদিও জানে অরিন্দম বেরোবে কিন্তু আজ হয়তো নাও বেরোতে পারে কারণ অবশ্যই আছে। যথাসময়ে অয়ন্তিকা এলো আর ঠিক একটু পরেই অনুর আলাপ করা বন্ধুটাও। অরিন্দম নিচে নামছে দেখে ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে অনু বললো,

– আরেহ! একসাথে কি ব্যাপার?- ধুস কোথায়? আমি তো এসে দেখলাম তোর বন্ধু হাজির। (অয়ন্তিকা)- আমার একটা নাম আছে সেট হলো রনি ,সেটা বললেই ভালো হতো না?- বলেই রনি অয়ন্তিকা আর অনুর দিকে তাকিয়ে দেখলো।

পিছনে অরিন্দম এসে দাঁড়িয়েছে দেখেই অনু ওকে টেনে নিয়ে গেল আর অয়ন্তিকা কে বললো দি এসো উপরে যাচ্ছি।

অয়ন্তিকা ওকে দেখাদেখি উপরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে গেলে পিছনে থেকে অরিন্দম ওর হাতটা টেনে ধরলো।

এটা কি ধরনের অসভ্যতা মিস্টার স্যানাল? হাতটা ছাড়ুন

বলেই হাতটা ক্রমাগত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকলো অয়ন্তিকা। কিন্তু পারলো না তার আগেই অরিন্দম ওকে টেনে নিয়ে গেলো এককোণে। অয়ন্তিকা ওর হাবভাব লক্ষ্য করে দেখছে , কিন্তু না বোঝার জন্য হাতটা ছাড়াতে চাইছে বরং সেই দেখে অরিন্দম আরো শক্ত করে হাতটা ধরে নিলো।

বেশি জোর দেখিয়ে আমার সাথে পেরে উঠবে না তুমি,যতক্ষণ না ছাড়ছি তুমিও বোনের কাছে যেতে পারবে না তাই চুপচাপ থাকো

বলার পরেও অরিন্দম দেখলো অয়ন্তিকা ওর দিকে দেখছে না মুখ ঘুরিয়ে আছে।ওর গরম নিঃশ্বাস এখনো অয়ন্তিকা মুখে পড়ছে,একটু ফাঁক রেখে দুজন দাঁড়িয়ে আছে।

আমার হাতটা ছাড়ুন আপনি,আপনাকে ভালো ভাবতাম আমি।(অরিন্দম)

আমি ভালোই,নয়তো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেটার সদ ব্যবহার করতে আমার কোন অসুবিধা হতো না কিন্তু কারোর অনুমতি ছাড়া তার সাথে কিছু করতে আমি নারাজ তাও যদি আপন কেউ হয়।

Short Story

আমাকে এসব বলছেন কেন? শুনতে চেয়েছি এগুলো? হাতটা ছাড়ুন আমাকে যেতে দিন,অনু দেখলে অন্য কিছু ভাববে আর তাছাড়া…

অয়ন্তিকা কে থামিয়ে দিয়ে অরিন্দম বললো,

নতুন ছেলেটাকে পছন্দ নাকি ! তার জন্য এতো চিন্তা তাই না? কেন একদিনে ভালো মনে হলো তাকে? এখন তো মিশেই দেখোনি আর আপনি কি ? অরিন্দম বলতে না? তুমি বলতে এখন কি অসুবিধা বলতে?

অয়ন্তিকা হা করে অরিন্দমের কথাগুলো শুনছে আর ভাবছে,ওর মাথার উপর দিয়ে গেল কথাগুলো,কে ছেলে কাকে পছন্দ করেছেন ? কি আলফাল বকছে? অনু কে বলতে হবে তোর দাদা পাগল হয়ে গেছে ভুলভাল বকছে।

আপনি পরে দাঁড়ান তো! অস্বস্তি হচ্ছে আমার। বলে অয়ন্তিকা যেতে চাইলে ওকে ছেড়ে দিয়ে কানের কাছে অরিন্দম এসে বললো,

– ওই ছেলের থেকে দূরে থাকবে আর তুমি বলবে আপনি নয়।- এদিকে অয়ন্তিকা ঘোরের মধ্যে অনুর কাছে গিয়ে বসলো,ওকে অনু থাকতে বললো,- কিছু না। আমি কদিন আসবো না রে চাপ বাড়বে।- অনু মনখারাপ করে বললো,- তারমানে কদিন দেখা হবেনা তোমার সাথে, আবার কবে আসবে বলো?- ফোন করে দেবো চলবে তো?(অয়ন্তিকা)- আমি তোমার কথা অনুর থেকে শুনেছি,তুমি খুব ভালো গো (রনি)- কে ভালো? কি কথা হচ্ছে?

বলতে বলতেই অরিন্দম অনুর ঘরে ঢুকে একবার অয়ন্তিকা কে দেখলো, চোখাচোখি হতেই অয়ন্তিকা চোখ নামিয়ে ফেললো এমনিতেই একটু আগের ঘটনাতে ওর কিরকম অদ্ভুত লাগছে।তার উপর অরিন্দম সামনে এসেই বসেছে।এমন করছে যেন কিছুই হয়নি তাই অয়ন্তিকা মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বললো,এই আমি সন্ধে সন্ধে চলে যাবো।

আমি তোমাকে ছেড়ে আসবো? একসাথে ই তো বেরোবো তাহলে (রনি)

তুমি চলে যেও আমি আছি তো পৌঁছে দেবো তাই তো অয়ন্তিকা আর তাছাড়া ও আমার বান্ধবী এতো দিন চিনি অনেকদিন ওর সাথে আলাদা করে কথা হয়নি।এই সুযোগে হয়ে যাবে,

বলেই সবার আড়ালে অয়ন্তিকা কে চোখ মেরে দিলো অরিন্দম। এদিকে অনু অরিন্দমের কথা শুনে ওর দিকে বড় বড় চোখ করে দেখছে এটাই ওর দাদখ আগে কাজের মধ্যে থাকতো এখন সময় করে বা অনু কে সময় দেয় ‌‌বেরোয় টুকটাক, এতো চেঞ্জ! মানুষ প্রেমে পড়লে কত কি করে?

তবুও একবার বললো,

– তুই সত্যি যাবি?- নয়তো কি মিথ্যে বলছি? এই তুই আমার কথা বিশ্বাস করিস না।(অরিন্দম)- না না ঠিক আছে।(অনু)

– কি তাহলে একসাথে বেরোবে তো অয়ন্তিকা তুমি? চলো অনেকদিন আলাদা আড্ডা দিই না।(অরিন্দম)- হ্যা মানে না ইয়ে মানে আমি রাজি যাবো তো,

Related Story

অয়ন্তিকা কে তোতলাতে দেখে এরকম অরিন্দম ফিক করে হেসে ফেললো কাউকে না বুঝতে দিয়েই।রনি একবার অয়ন্তিকা কে দেখে একবার অরিন্দম কে । তারপর অনু কে দেখলো একটা বাঁকা হাসি দিলো।

আড্ডা মিটতে রনি ও বেরোলো, অয়ন্তিকা অরিন্দমের সাথে ই এলো।ও পিছনে বসতে গেলে অরিন্দম বলে উঠলো,্্

আমি কিন্তু ড্রাইভার নয়।

তাই অয়ন্তিকা সামনে বসলো, অরিন্দম ওর দিকে ঝুঁকে এলো একটু পর চোখটা বন্ধ করেও খুলে দেখলো গাড়ির কাঁচ টা হালকা করে তুলে দিলো।

অন্য কিছু ভাবলে? আমি আদৌও সেরকম কিছু করিনি বা সেইজন্য ওটা করিনি।

অয়ন্তিকা অরিন্দমের কথা শুনে চোখগুলো গোল গোল করে বললো,

আমি কিছু ভাবিনি আপনি কাছে এলেন চাই আর কি এছাড়া কিছু নয়। তাছাড়া আপনাকে নিয়ে কেন ভাববো?

– অরিন্দম মুচকি হেসে বললো,- কতকিছু ভেবে ফেলেছো, আমি তখন বললাম তো তুমি বলবে।কথা শুনতে পাওনি?-আমি অচেনাদের আপনিই বলি সরি তুমি সম্ভব নয়।(অয়ন্তিকা)- আমি অচেনা? সত্যি তো! ভেবে বললে তো?(অরিন্দম)

একদম ঠিক বলেছি,দেরি হচ্ছে আমার আপনি দিয়ে আসবেন নাকি নেমে যাবো। প্লিস রাত হচ্ছে (অয়ন্তিকা)

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Riya Singh

Leave a Comment