Golperjogot

Golperjogot

Romantic Premer Golpo Tomar Amar Prem Part 4

Romantic Premer Golpo Bangla Tomar Amar Prem Part 4

তোমার আমার প্রেম বাংলা ভালোবাসার গল্প

Imtihan Imran [ Part – 04 ]

দুই বন্ধু সিড়ি বেয়ে নিচে নামতেই আয়ানের বোন আইরিন এসে সামনে দাঁড়ায়।

” ভাইয়া গোছল করতে যাচ্ছিস?
” দেখতেই পাচ্ছিস।
” চল আমিও তোদের সাথে যাবো।
” তুই আমাদের সাথে যাবি কেন?
” তোদের কাপড় পাহারা দিতে হবে। অনেক দুষ্ট মেয়ে আছে, কাপড় নিয়ে যায়।

Bangla Romantic Premer Golpo

আইরিনের কথা শুনে সিজানের চোখ বড় বড় হয়ে যায়।

” কি সাংঘাতিক।
” কাপড় নিয়ে যাবে কেনো? মজা করছিস?
” আরে চুরি করার জন্য কাপড় নিবে না। তোদেরকে নাচানোর জন্য কাপড় নিবে।
” আমাদের কেনো নাচাবে?
” আপনার মতো শহুরে সুন্দ্রী ছেলেদের দেখলে একটু নাচাতে তো তারা চাইবেই।
” আয়ান দেখ, কী বলছে। আমি যাবো না।

সিজানের কথা শুনে আইরিন খিক করে হেসে দেয়। এই শহুরের ছেলেটাকে তো খুব সহজে জব্দ করা যাবে।

” আরে ব্যাটা দেখ,আইরিন হাসছে। তাহলে বুঝ এতোক্ষন সব মজা করে বলছে।
” না না মজা না সিরিয়াসলি। আরে এতো চিন্তা করিয়েন না তো, আমি থাকতে কেউ আপনাদের কাপড় নেওয়ার সাহস করবে না।
” আচ্ছা তুই আমাদের সাথে চল।

দুই বন্ধুর সাথে আইরিনও পুকুর ঘাটে যায়। বাড়ির শেষ সীমানায় পুকুর টা। সিজান দেখে আরো অনেেক পুকুরে গোছল করছে। কিন্তু আইরিন যে বলল, এমন কোনো ঘটনা তো চক্ষে পড়ছে না। আর এরাও তো নির্বিগ্নে গোছল করছে।

আয়ানকে দেখে পুকুর থেকে একটা ছেলে চিৎকার করে ডাক দেয়।

” আয়ান ভাই যে, কেমন আছেন?
” ভাল আছি রে। তুই কেমন আছিস?
” আমিও ভালো আছি। সাথে কে?
” বন্ধু, শহর থেকে এসেছে।
” ভাইয়া বকবক না করে তাড়াতাড়ি গোছল করে নে। আম্মা খাবার নিয়ে বসে থাকবে।
” আচ্ছা।

দুই বন্ধু পুকুরে নেমে যায়। আয়ান পুকুরে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু সিজান আস্তে আস্তে নামে। মনে হচ্ছে পিছলে গেলে সে গভীর জলে তলিয়ে যাবে।

” আরে ঝাঁপ দেন। এতো ভয় পাচ্ছেন কেনো? ডুববেন না, চিন্তা নেই। (আইরিন হেসে)

আইরিনের কথা কানে না নিয়ে সিজান আস্তে আস্তে নামে।

পড়ুন  বাংলা প্রেমের গল্প – রাগী স্যার যখন ডেভিল হাসবেন্ড পর্ব 16

” ভাইয়া, তোর বন্ধুর কাছে কাছে থাক। নাহলে উনি ডুবে যা। (হেসে)

গোছল করা শেষে দুই বন্ধু পাড়ের উপর উঠে আসে।

” কাউকে তো দেখলাম না, কাপড় নিয়ে যেতে।
” নিবে কিভাবে? আমি পাহারায় ছিলাম তো। (হেসে)
” সিজান ওর কথা একদম বিশ্বাস করবি না। ও সব মজা করছিল। আমি এতোক্ষণে বুঝে গেছি।
ফাযিল মেয়ে একটা।

Bangla Love Story

ডাইনিং টেবিলে বসে দুই বন্ধু খাবার খাচ্ছে। তাদের সাথে খেতে বসে আয়ানের বাবা কাশেম শিকদার। নাফিসা বেগম বসে বসে তাদের খাওয়ারের তদারকি করছে।

” আন্টি রান্না কে করেছে? খুব ভালো হয়েছে। যেনো অমৃত খাচ্ছি।

নাফিসা বেগম ছেলেটার কথা শুনে হেসে দেয়।

” তাহলে বেশি বেশি করে খাও। আয়ান কখনো তো মায়ের হাতের রান্নার সুনাম করলি না। আজকে দেখলি ছেলেটা কীভাবে আমার রান্নার সুনাম করছে।

” আমি সুনাম করছি,আম্মা তোমার রান্নার হাত অনেক ভালো।

খাওয়া দাওয়া শেষে দুই বন্ধু তাদের স্ব স্ব রুমে চলে যায়। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারা বিকালে গ্রাম ঘুরে দেখবে। অবশ্য সিজানকে ঘুরে দেখাবে।

এইদিকে নীলা, ফারিনকে নিয়ে তাদের বাড়িতে উঠে। নীলাদের বাড়িটাও মোটামুটি বড় আছে। এদের সবাই একই বাড়িতে তবে, ঘর আলাদা আলাদা। নীলা, তার আম্মা আব্বার সাথে ফারিনের পরিচয় করিয়ে দেয়। নীলার দু একজন খালা ইতিমধ্যে চলে এসেছে।

খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষে ফারিন, সিজানের নাম্বারে ফোন দেয়। সিজান শুয়েছিল। মোবাইলে রিং বাজতেই সে বালিশের পাশ থেকে মোবাইল টা হাতে নেয়।

নাম্বার দেখে ঠিকি চিনতে পারে, এটা ফারিনের নাম্বার। কারন বাসে নাম্বার আদান প্রদান তাদের হয়ে গেছে।

” হ্যালো।
” কী করেন?
” শুয়ে আছি। আপনি?
” আমি বসে আছি। খাওয়া দাওয়া শেষ?
” হুম খেয়ে শুয়েছি মাত্র।
” ওহো! তাহলে মনে হয় ডিস্টার্ব করলাম?
” না না সমস্যা নাই। আমি তো শুয়েই আছি।

দুজনেই ফোনে অনেকক্ষণ কথোপকথন চালিয়ে যায়। কথা শেষ হলে সিজান চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর জন্য। কিছুক্ষণ যেতে না যেতে আয়ানের ডাক পড়ে।
আয়ান ডাকতে ডাকতে সিজানের রুমে ঢুকে পড়ে।

” কীরে ভাই আর কতোক্ষন ঘুমাবি?
” আজব তো মাত্রই চোখ বন্ধ করলাম। এসে বলছিস কতোক্ষন ঘুমাচ্ছি।
” সময় দেখ কয়টা বাজে?
” আরে ভাই কী শুরু করছিস?

পড়ুন  Birthday Surprise – Bangla Short Story | বাংলা অনুগল্প

Bangla Valobashar Golpo

সিজান বিরক্তি নিয়ে বালিশের পাশ থেকে ফোন তুলে সময় দেখে। সময় দেখে সিজানের চোখ চড়কগাছ। চারটা ত্রিশ বাজে। সে রুমে এসেছে আড়াই টা বাজে। ফারিনের সাথে কথা বলতে বলতে সময় পার হয়ে গেছে কখন, টের’ই পেল না।

Also Read Another Story

” ঘুম না গিয়ে কী করেছিস এতোক্ষন বল তো?
” ফারিনের সাথে কথা বলেছিলাম। কখন সময় পার হল,টেরই পেলাম না।
” তাহলে তলে তলে এতোদূর।
” অন্য কিছু না ভাই। যা ভাবছো তার কিছুই না।
” তা আমি ভালো করেই বুঝছি।
” সর তো ফ্রেশ হয়ে আসি।

সিজান উঠে ফ্রেশ হতে যায়। সিজান যে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চায় না, তা দেখে আয়ান হেসে দেয়।

সিজান ফ্রেশ হয়ে এলে দুই বন্ধু ঘুরতে বের হয়ে যায়।

Click Here For Next Part- চলবে…

Writer- ইমতিহান ইমরান

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top