Golperjogot

Golperjogot

তোমার আমার প্রেম – লাভস্টোরি পর্ব 10 | Bangla Premer Golpo

Tomar Amar Prem

Imtihan Imran { Part 10 }

” দাঁড়ান দাঁড়ান আমরা সেলফি তুলবো।

” দাঁড়াবো..? (হেসে)

” আরে না..(হেসে)

আইরিন নিজের মোবাইল বের করে খচখচ করে কয়েকটা সেলফি তুলে নেয় নিজের আর সিজানের।

” দেখেন সুন্দর ফটো উঠেছে।

” হ্যাঁ সুন্দর হয়েছে।

” আচ্ছা আপনার ফিউচার প্ল্যান কী?

” বাবার বিজনেস দেখভাল করবো,এটাই।

” আর বিয়ে সাদি?

” সময় হোক,তারপর করব।

” পছন্দের কেউ আছে?

” আপাতত কেউ নাই?

” যাক ভালোই হয়েছে (বিরবির করে)

” কিছু বললে মনে হয়?

” না না কিছু বলি নি। আচ্ছা আপনার কেমন মেয়ে পছন্দ?

” যেমন মেয়ে ভাগ্যে আছে। তেমন মেয়েই পছন্দ। (হেসে)

” ধুর মজা করবেন না। বলেন না..?

” বলবো..?

” হ্যাঁ বলেন।

” লজ্জা পাবে না তো?

” লজ্জা পাবো কেনো?

” পেতেও পারো।

” বলেন তো, ঢঙ না করে। আমি লজ্জা পাবো না।

” তোমার মতো।

” এ্যা।..আমার মতো..?

” হ্যাঁ আমার মতো।

” মিথ্যা কথা কেনো বলছেন? আমি মোটেও সুন্দর না। পঁচা আমি।

” তুমি জানতে চেয়েছ,আমি বলেছি। বিশ্বাস না করলে আমার কিছু করার নেই।

” হু।

আইরিনের এবার লজ্জা লাগছে। প্রশ্ন টা করা তার উচিত হয়নি। এখন এই মানুষ টা তাকে ফাসিয়ে দিয়েছে। লজ্জা দিচ্ছে তাকে। আইরিন কে লজ্জা পেতে দেখে সিজান মুচকি হাসে। এই মেয়ে এমন কেনো? সত্যি সত্যি দেখি লজ্জা পাচ্ছে। বোকা আছে মেয়েটা।

অনুগল্প

” আহা!আইরিন দেখি লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছে। দেখছো আমি বলছি না তুমি লজ্জা পাবে। ঠিকি লজ্জা পাচ্ছো.। তা হঠাৎ এতো লজ্জা কোথায় থেকে এলো?( হেসে)

” জানি না। তখন তো বলেছিলাম লজ্জা লাগবে না। এখন আমার লজ্জা লাগছে, আমি কী করবো.?

” তোমাকে কিছু করতে হবে না। তুমি লজ্জা নিয়েই বসে থাকো। (হেসে)

” আপনি আমাকে নিয়ে মজা করছেন? (গাল ফুলিয়ে)

” না না একদম না। আমি কি তোমাকে নিয়ে মজা করতে পারি বলো..?

” হ্যাঁ সেটাই। আপনি তো আমার সাথে মজা করবেন না।

” ঠিক তাই।

গল্প করতে করতে রিক্সা এসে কনের বাড়ির সামনে এসে থামে। সিরিয়াল মেইনটেন করে সবাই দাঁড়িয়ে যায়। আস্তে আস্তে সবাই রিক্সা থেকে নেমে হেটে ভিতরে চলে যায়। আইরিন সিজানও রিক্সা থেকে নামে। তবে তারা ভিতরে ঢুকেনি। তারা বরের সাথে বরকে নিয়ে ঢুকবে। গেইটের সামনে এসে নতুন বর আয়ান এসে দাঁড়ায়।তার সাথে আইরিন সিজানও আছে।

গেইটের মধ্যে কনের কাজিনেরা ফিতা বেঁধে রেখেছে। বরের কাছে তারা দশ হাজার টাকা দাবি করেছে। টাকা না দিলে ভিতরে ঢুকতে দিবে না।

” এতো টাকা দিয়ে কী করবেন আপনারা..? তার থেকে ভালো দু একশ নেন, চকোলেট চিপস কিনে খাইয়েন।

” ছি! ছি! কী বলেন এইসব.? ফকির নাকি আপনারা.? আমাদের মেয়েকে কি অবশেষে একটা ফকিরের সাথে বিয়ে দিচ্ছি.?

আয়ান সিজানের কানে ফিসফিস করে বলে,

” ওই ফকির বলতেছে। টাকা দিয়ে দে।

” সত্যি দিয়ে দিবো.?

” আরে দিয়ে দে।

” আচ্ছা ধরেন। এই নেন টাকা। আর বুঝে নিন আপনাদের মেয়ে কতো বড় ঘরে যাচ্ছে।

গেইটের ঝামেলা শেষে বরকে স্টেজে নিয়ে বসানো হয়। কনের আত্নীয়রা এসে বরের সাথে সেলফি তুলে নিচ্ছে।

” এই যে মি.।

কারো কন্ঠ শুনে সিজান পিছনে তাকায়। পিছনে থাকা মানুষ টাকে দেখে সিজান সৌজন্যমূলক হাসি দেয়।

” আরে কেমন আছো.?

” জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনার তো দেখি কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছি না। ভুলেই গেছেন আমাকে।

” আরে ভুলি নাই। ভোলা কি এতোই সহজ নাকি.? আসলে বিয়ে বাড়ি তো, তাই বন্ধুকে একটু সাহায্য করতে হয়েছে। বাই দা ওয়ে তোমাকে শাড়িতে সুন্দর লাগছে।

” থ্যাঙ্কিউ। আপনাকেও পাঞ্জাবীতে দারুন লাগছে।

সিজান, ফারিন হেসে হেসে কথা বলছে। দূর থেকে তৃতীয় ব্যাক্তি দৃশ্য টা দেখে রেগে যাচ্ছে। সে আর দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে সিজানের কাছে আসে।এভাবে হঠাৎ করে আসায় সিজান ভড়কে যায়।

” আইরিন তুমি..।

” হ্যাঁ, উনি কে.?

” ও পরিচয় করিয়ে দিই। আইরিন ও হচ্ছে ফারিন, আমার ফ্রেন্ড বলতে পারো। আর ফারিন ও হচ্ছে আইরিন, আমার বন্ধ আয়ানের বোন।

” হাই।

” হাই।

Related Story

এই যে আপনার ফ্রেন্ড আপনাকে খুঁজছে। আর আপনি তাকে একা ছেড়ে এখানে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন.?এটা ঠিক করছেন না।

” ওও আচ্ছা। যাচ্ছি যাচ্ছি আমি।

সিজান আয়ানের কাছে চলে যায়।আইরিন ফারিনকে জিজ্ঞেস করে,

” ভালো আছেন..?

” জি। আপনি.?

” আমিও।

আচ্ছা উনাকে কতোদিন ধরে ছিনেন.?

” অনেকদিন থেকেই ছিনি। কেনো বলুন তো.?

” না এমনি।আচ্ছা বিয়ে ইনজয় করুন। আমি আসি।

” হুম।

নীলা আয়ানের বিয়ে হওয়ার মুহুর্তে নীলা খুব ভয়ে ভয়ে ছিল। এই বুঝি সিজান এসে উল্টাপাল্টা কিছু বলে বিয়েটা ভেঙে দেয়। কিন্তু না তেমন কিছুই হয়নি। সিজান কিছুই করেনি।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Imtihan Imran

Leave a Comment