Golperjogot

Golperjogot

তোমার আমার প্রেম – লাভস্টোরি পর্ব 11 | Bangla Premer Golpo

Tomar Amar Prem

Imtihan Imran { Part 11 }

নীলা আয়ানের বিয়ে হওয়ার মুহুর্তে নীলা খুব ভয়ে ভয়ে ছিল। এই বুঝি সিজান এসে উল্টাপাল্টা কিছু বলে বিয়েটা ভেঙে দেয়। কিন্তু না তেমন কিছুই হয়নি। সিজান কিছুই করেনি।সুন্দরভাবে সব নিয়ম মেনেই বিয়েটা সম্পুর্ন হয়।

এবার বরকনে যাওয়ার পালা। সবাই এক এক করে রিক্সায় উঠে পড়ছে।

ফারিন আর সিজান দুজনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।ফারিন হেসে বলল,

” দুজনকে খুব সুন্দর মানিয়েছে,তাই না.?

” হুম আসলেই, অনেক সুন্দর মানিয়েছে।

” আমার না, কনের সাথে যেতে ইচ্ছে করছে।

” তাহলে চলে আসেন।

” না,থাক।কালকে যাবো তো। আর একদিন এমন কী.?

” কিন্তু তোমার তো যেতে ইচ্ছে করছে।

” করছে আবার নাও করছে।(হেসে)

ফারিনের কথা শুনে সিজান হেসে দেয়। এমনসময় আইরিন আসে।

” আপনি এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছেন? সবাই রিক্সায় উঠে পড়ছে তো। আসেন না কেনো?

” ওহো..ফারিন আসি তাহলে।

” আচ্ছা। কালকে দেখা হচ্ছে।

” হুম

” আপু আসি।ভালো থাকবেন।

” হুম, তুমিও।

Related Story

আইরিন, হঠাৎ করে সিজানের হাত ধরে। সিজানের হাত ধরে সে নিয়ে যাচ্ছে। সিজান অবাক হয়, আইরিনের হঠাৎ হাত ধরা দেখে। এই দৃশ্য দেখে ফারিনের কেনো জানি খারাপ লাগে।

আইরিন সিজানের হাত ধরে রিক্সার কাছে নিয়ে আসে। আইরিন প্রথমে রিক্সায় উঠে বসে। তারপর সিজান উঠে বসে।

বরের রিক্সা চলতে শুরু করে। সেই সাথে পিছন পিছন বাকী রিক্সা গুলো চলতে শুরু করে।

” এটা কী ছিল আইরিন.?

” কোনটা.?

” এই যে হাত ধরে টেনে নিয়ে এলে.?

” তাতে কী হয়েছে? আপনি তো আসতেই চাইছিলেন না। তাই তো নিয়ে এলাম।

” তাই বলে সবার সামনে হাত ধরে নিয়ে আসবে। সবাই কী ভাবছে.!

” কিছুই ভাবছে না। আপনিই শুধু শুধু ভাবছেন। শহরের ছেলেরা এরকমও হয় জানতাম না তো.।

” শহরের ছেলেরা কীরকম হয় জানতে.?

” সিম্পল। মেয়েদের হাত ধরা, তাদের সাথে চলাফেরা করা,এটা তো কমন ব্যাপার তাদের কাছে।

” হতে পারে। কিন্তু আমি না। (হেসে)

” হুম এবার জানতে পেরেছি।(হেসে)

বর কনে কে বরণ করে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর কনের বাসরঘর সাজানোর দায়িত্ব পড়েছে,বরের কাজিনদের হাতে। আইরিন অবশ্য এই সাজানোর দায়িত্বে সিজানকেও সামিল করেছে।

” আমি আবার কেনো.?

” আপনার বন্ধু, আপনার দায়িত্ব এটা।

” তুমি, তোমার কাজিনেরা আছে তো।

” আপনিই তো আর নেই। (হেসে)

” আইরিন তুমি না…

” আইরিন তুমি না…( ব্যঙ্গ করে) চলেন, বেশি কথা বলে।

সবাই রাতের খাবার জন্য একত্রিত হয়। নীলার পাশে আইরিন ও আয়ানের পাশে সিজান বসেছে।

” তা আয়ান তোমরা হানিমুনে কোথায় যেতে চাও.?

আয়ানের বাবা শিকদার সাহেবের কথা শুনে সবাই হোহো করে হেসে দেয়। সবাই মুচকি হাসলেও আইরিন উচ্চস্বরে হেসে উঠে। শিকদার সাহেব তা দেখে ভ্রূ কুঁচকায়।

” আইরিন আমি হাসির কী বললাম.?

” বাবা তুমিও না। ওরা এখনো বাসরঘরেও ঢুকতে পারেনি। আর তুমি এসেছো হানিমুন নিয়া। সবাই হাসবে না তো কী করবে.?

” ওও তাই বলো।আচ্ছা ইয়াংম্যান তোমার বন্ধু তো শুভ কাজটা সেড়ে ফেললো। তুমি কবে করবে.? ( সিজান কে উদ্দেশ্য করে শিকদার সাহেব বললেন)

” আমার এতো তাড়া নেই আঙ্কেল। আপনার ছেলে তো কলেজ থেকেই বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছিল। বেচারা অবশেষে এতোদিন পরে সফল হলো।

” ওওঅ…..এই ব্যাপার।

ভাই তুই এতো বিয়ে পাগল ছিলি। আগে বললিই পারতি। তাহলে এতোদিন দুই তিনটা বিয়ে করতে পারতি।

আইরিনের কথা শুনে সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠে।

” আরে না, ও মজা করছে। এমন ছিলাম না আমি।

Related Story

” না বন্ধু এখন আমাকে মিথ্যাবাদী বানানোর কোনো দরকার নেই তোমার। ক্যাম্পাসের সবাই জানে আয়ান যে বিয়ে পাগল ছিল। শুধু বাপের ভয়ে বিয়ের কথা টা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে পারেনি।আঙ্কেল আপনি কি আসলেই এমন ছিলেন..?

সিজানের কথা শুনে আয়ান সিজানকে কনুই দিয়ে গুতা দেয়।

” চুপ কর বেটা।

শিকদার সাহেবের চোখ বড়বড় হয়ে যায়।তিনি আসলে কী ছিলেন.?

” সিজান আমি কেমন ছিলাম.? ও আমার নামে তোমাদের কাছে কি বলেছে.?আয়ান তুই কী বলেছিস.?

” আমি কিছু বলি নাই। এই ছেলে মিথ্যা বলেছে।

” বাহ! ভালো। আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই,তানাহলে আজকে ধরিয়ে দিতাম।

” চুপ কর বেটা,বেশি কথা বলিস।

সবার হাসি ঠাট্টার মাঝেই রাতের খাবার খাওয়া শেষ হলো।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Imtihan Imran

Leave a Comment