Tomar Amar Prem
Imtihan Imran { Part 16 }
"মেয়েদের সাথে লাইনও মারতে পারেন,বলা যায় না।
" হোয়াট..? এই মেয়ে তুমি আমাকে কী ভাবো.?
" আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই ভাবি।
" বেশি কথা না বলে, ফোন রাখো।(ধমক দিয়ে)
" ধমক দিয়েন না তো,ভয় লাগে।
সিজান কিছু না বলে ফোন রেখে দেয়।
" কী ভাব ছেলের.? হু।
|
বিকালের পর সিজান বাসায় আসার সময় রাস্তায় গাড়ি থামায়। আইরিনের জন্য চিপস, চকোলেট নিতে হবে। নিজ থেকে চাইছে,না আনলেও খারাপ দেখায়।
" মামা দামী কিছু চিপস, চকোলেট দেখান তো।
" এই নেন মামা,এগুলাই আছে আমার কাছে।
" চকোলেট এউটা,আর চিপস এইটা দিয়েন। বড় প্যাকেট আছে আপনার কাছে? তাহলে প্যাক করে দিয়েন দুইটা একসাথে।
" আছে,সমস্যা নাই দিচ্ছি।
চিপস, চকোলেট এর প্যাকেট নিয়ে সিজান বাসায় রওনা হয়।
গাড়ির আওয়াজ শুনে আইরিন বাসার ভিতর থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে। সিজান গাড়ি থেকে বের হয়। সিজান, আইরিনের সামনে আসতেই আইরিন পথ আটকে দাঁড়ায়।
" কী সমস্যা? পথ আটকালে কেনো?
" আপনাকে কিছু আনতে বলেছি।
" হুম, আনি নাই।
" কেনো আনেন নাই?
" আমার ইচ্ছা, আমি আনি নাই। আনতে হবে কেনো? কে তুমি?
" আচ্ছা লাগবে না। (মন খারাপ করে)
" ভাইজান প্যাকেট টা কি ভিতরে নিয়ে যাবো.?
" ওর হাতে দেও।
ড্রাইভার প্যাকিং করা একটা প্যাকেট এনে আইরিনের হাতে দেয়।
" কী এখানে.? (অবাক হয়ে)
" যা চেয়েছিলে, তাই।
" তো এতোক্ষণ ঢঙ করলেন কেনো?
সিজান জবাব না দিয়ে ভিতরে চলে যায়।
" বাবারে বাবা ঢঙ তো ভালোই করতে পারে। যাই হোক এতো বড় প্যাকেট কেনো? আল্লাহ জানে কতো চিপস, চকোলেট এখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছে, ভাবতেই খুশিতে মন ভরে যাচ্ছে আমার।😌
আইরিন প্যাকেট টা কোলে নিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। গিয়েই প্যাকেট খুলতে বসে যায়। একটা কেঁচি যোগাড় করে, ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচাং করে প্যাকেট এর বাঁধাই কাটতে শুরু করে।
কাটা শেষ হলে এত্তোগুলা চকোলেট ও চিপসের প্যাকেট বের হয়ে বিছানায় স্তূপ হয়ে যায়। আর এইসব দেখে আইরিনের মুখ ইয়া বড় হা হয়ে যায়। সে চকোলেট, চিপস পেয়েছে ঠিকি কিন্তু এত্তোগুলা আশা করে নি।
" আল্লাহ! এত্তো চিপস, চকোলেট। সব আমার জন্য।
সব আমি খাবো।(অবাক হওয়ার ভান করে)
|
আইরিন সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে সিজানের রুমের সামনে দাঁড়ায়। দরজায় ঠক ঠক করে আওয়াজ করে সে। রুমের ভিতর থেকে সিজানের গলার আওয়াজ ভেসে আসে।
" কে.?
" আমি।
" আইরিন.?
" হ্যাঁ।
" কী দরকার?
" ভিতরে আসি.?
" আসো।
আইরিন রুমের ভিতরে প্রবেশ করে হা হয়ে যায়। এতো সুন্দর রুম.? একটা ছেলে মানুষের হতে পারে। আইরিন নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না। কীভাবে সম্ভব?
" এভাবে হা করে কী দেখছো?
সিজানের কথায় আইরিনের অবাক হওয়ার ধ্যান ভাঙে।
" হ্যাঁ, কিছু বললেন.?
" কোন গ্রহে হারিয়ে গেলে.? কি বলছি শুনতেই পাচ্ছো না.?
" না মানে...
" বাদ দেও। কোনো দরকার আছে.?
" আপনাকে ধন্যবাদ দিতে এসেছি।
" কিন্তু কেনো.?
" ওমা জানেন না কেনো? ওতোগুলো চিপস, চকোলেট দিয়েছেন, তার জন্য।
" তুমি এখন আমার বাড়ির মেহমান। মেহমান মুখ ফুটে কিছু চেয়েছে, দিতেই হতো। ধন্যবাদ দিতেই হবে না।
Related Story
" তারপরেও আপনাকে ধন্যবাদ।
" হু।
" আপনার রুম টা না অনেক সুন্দর। আমার পছন্দ হয়েছে।
" পছন্দ হওয়ার মতোই।
" আমি না এই রুমে থাকতে চাই।
" হোয়াট..?
এই কথা বলে আইরিন দাঁড়ায় নি। এক দৌড়ে রুমের থেকে পালিয়ে যায়। এক দৌড়ে গিয়ে নিজের রুমে এসে থামে।সিজান ভ্রূ কুঁচকে আইরিনের দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
" পাগল নাকি মেয়েটা.?.
আইরিন নিজের রুমে একা একাই বিরবির করছে,
" আইরিন তোর লজ্জা শরম একেবারে উঠে যাচ্ছে। মুখে যা আসে তাই বলে দিচ্ছিস। কী ভাবে বলতে পারলি, আমি আপনার এই রুমে থাকতে চাই। বাহ তোর সাহসের সুনাম করতে হয়।