Tomate Ami
Amrin Talokder { Part 1}
আমি: আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তাসফি: আমি তোকে ভালোবাসি না। তুই আমার সামনে থেকে যা তো।
আমি: কেন আমাকে ভালোবাসো না,কি সমস্যা আমার,যার জন্য আমাকে ভালোবাস না।
তাসফি: আমি বলছি তোকে ভালোবাসি না তো বাসি না।তুই যেন আর আমার সামনে না আশিস।
আমি: আমি তোমার সামনে না আসলে তুমি খুশি।আমাকে তোমার অসহ্য লাগে তাই না।আমি তোমার আপদ না।আচ্ছা চলে যাবো অনেক দুরে, যখন যাবো তখন বুঝবে আমি কতটা তোমাকে ভালোবাসি।তখন আমার কাছে আসার চেষ্টা করবে কিন্তু আমাকে আর খুঁজে পাবে না।ভালো থেকো।
এখন প্রায় সবাই জানেন আমি আপনাদের মাঝে নতুন রাইটার আমরিন তালুকদার। পরিচয় এতটুকুই থাক আর কিছু বলতে চাই না।
এখন চলুন এতোক্ষণ যার সাথে কথা বললাম তার পরিচয় টা দিযে নেই।
তাসফি হচ্ছে আমার চাচাতো বোন,সে তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে,অনেক আদরের,আর আমার ভালোবাসা।কিন্তু তাসফি আমার ভালোবাসা বুঝতে পারে না।কেন বুঝেনা সেটা তাসফি নিজেই জানে।আগে ভাবতাম তাসফি হয়তো একদিন বুঝতে পারবে,কিন্তু আজ যা বললো তা শুনে মনে হয় না আমার ভালোবাসা তার কাছে প্রাধান্য পাবে,
তাই যেখানে আমার ভালোবাসা নেই, এখানে থাকলে শুধু শুধু তার মায়ায় না জরিয়ে আরো নিজেকে কষ্ট দিব, তাই চলে যাচ্ছি নানুর বারিতে।
বাসায় যেয়ে কাওকে কিচ্ছু না বলে চলে আসলাম নানু বারিতে।নানু বারিতে এসে আম্মুকে ফোন দিয়ে বলে দিলাম।আমি নানু বারিতে আসচ্ছি,আর কাওকে যেন কিচ্ছু না জানায়।
তাসফি বাসায় এসে আমাকে না দেখতে পেরে আম্মুকে বলল...
তাসফি: ছোটমা আমরিন কোথায়??
আম্মু: তোর সাথে কি কিছু হয়েছে ফোন করে বলল,কাওকে কিছু না বলতে।তোকেও না।কি হয়েছে আগে বল।
Related Story
তাসফি: আসলে ছোটমা আমরিন সারাটা দিন শুধু আমাকে ভালোবাসে সে কথাই বলে বেরায়।তুমি তো জানো আমরিন জানে না আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে,আচ্ছা এখন যদি তাকে বলি আমিও ভালোবাসি তাকে তাহলে কি তোমার গুনধোর ছেলে পরাশুনা বাদ দিয়ে আমাকে নিয়ে পরে ধাকবে,তখন তো বলবে আমার জন্যই তোমাদের ছেলে পরাশুনা করে নাই।তা এখন বলো তোমার গুনধোর ছেলে কই গেছে??
আম্মু তাসফির কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ,
তাসফি: এই যে শাশুড়ী মা এভাবে না হেসে বলে দাও,কোথায় গেছে,না বললে তোমাদের মা ছেলে দুজনকেই টাইড দিযে দিব বলে দিলাম।
আম্মু : নানির বারি ছারা যাবে কই,যা গিয়ে নিয়ে আয়।
তাসফি ও চলে আসলো আমার নানুুর বাড়ি।
তাসফি: ও নানু শাশুড়ী কেমন আছো তুমি,তোমার কি খবর।হুমমম
নানু: এইতো সতিন ভালো,তা নাগর আসার সাথে সাথে এসে পরেছো,তোমার সাথেই তো সারাক্ষণ থাকে,একটু আমার কাছে আসছে আর তুমিও পিছে পিছে এসে পরেছো।
তাসফি: আরে সতিন নানু তোমার বরটা আমার উপর রাগ করে এসেছে।
তুমি তো সব জানো তাহলে এরাম কথা কেন বলছো,এখন যদি তোমার বরটাকে আমি মেনে নিই তাহলে তোমার কাছেও আর আসবে না আর পরাশুনা চাঙ্গে উঠবে,তখন কি করবে,আমাকে কি খাওয়াবে বলতো।
নানু: হুম তাও ঠিক।
তাসফি: এখন বলো তোমার আর আমার বরটা কই আছে??হুমম
নানু: খুজে নেও আমি বলতে পারবো না।
আমি এই দিকে ঘুমিয়ে আছি,ঘুম থেকে উঠে দেখি তাসফি এসেছে,তাসফি কিভবে জানলো আমি এখানে আসচ্ছি।হয়তো খুজতে আসচ্ছে। তাই রুম থেকে বের হলাম না।কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাসফি নিজেই আমার রুমে এসে হাজির।
কি করবো বেবে না পেয়ে মুখ বালিশের নিচে লুকালাম।
তাসফি: কিরে আমাকে দেখে কি লজ্জা পাচ্ছো নাকি হুমম।বালিশ থেকে মুখ উঠাও।
কি ব্যপার তুই থেকে তুমি কাহিনি কি??আর ও জানলো কেমনে আম্মুকে না বলে ছিলাম কাওকে যেন না জানায়,আম্মু তো আমার সাথে বেইমানি করার কথা না।তাহলে কে করলো এরকম আমার সাথে।
তাসফি: কিরে ভালো ভাবে বলছি কানে যায় না।মুখ তুল কান্না করছিস নাকি আবার হুমম।
আমি : দেখুন আপু আপনি বলেছেন আপনি আমাকে দেখতে চান না।তাই এরকম করে আছি,আর আমি কান্না করবো কার জন্য, কাওকে ভালোইবাসি নি, কোন কারণ ছারা কেও কি কান্না কনে বলেন।
তাসফি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে দারিয়ে রইলো, আমি আর কিছু বলছি না বলে চুপি চুপি চলে গেল।
এইদিকে তাসফি নানুর কাছে যেয়ে....
তাসফি : নানু আমরিন আমার উপর এতো রেগে আছে,যা কখনও এরকম রাগে নাই,সত্যি অনেক বেশিই করে ফেলেছি,তোমরাই তো সব নষ্টের মুল।আমরিনকে জানালে কি এমন ক্ষতি হবে যে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে,আমরা দুজনই কষ্ট করছি শুধু তোমাদের জন্য, না হলে কত সুন্দর প্রেম চলতো আমাদের,তোমরা কিচ্ছু হতে দিচ্ছো না,আমরিন যদি আমার জন্য কিছু করে বসে নন,তখন তোমাদের কাওকে ছারবো না।
এই বলে তাসফি চলে গেল আমাদের বারিতে।
আপনাদের বলে রাখা ভালো আমার নানু বারি আমাদের বাসা থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা। তাই দিনে ২ ৩ বার তো যাওয়া আসা কোন ব্যপার না।
তাসফি যাওয়ার পর নানু আমার কাছে এসে বললো..
নানু: কিরে আমরিন তাসপির সাথে কেন এতো রেগে আছিস বলতো, আমার কাছে বল।
আমি: নানুকে জরিয়ে ধরে 😰।তাসফি আমাকে তার কাছে যেতে না না করেছে,শুধু তার কাছে না তার সামনে যেন আমার মুখটাও না দেখাই।তুমিই বলো আমি তাসপিকে কতটা ভালোবাসি,আর তাসপি আমাকে তার সামনেই যেতে না করে দিছে,তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমাকে সহ্য করতে না পারে তার সামনে আর যাবো না,আচ্ছা নানু আমাকে একটা মেয়ে দেখে বিয়ে দেওয়া ব্যবস্থ করে দিবে প্লিজ।
নানু: তোর বিয়ে ঠিক হযে আছে,তোকে একটা কথা আমরা তোর কাছ থেকে অনেক দিন লুকিয়ে রেখেছি,কিন্তু আজ তাসফির জন্য আমি আর পারছি না তোকে না বলে থাকতে।
আমি : কি এমন কথা নানু যা আমি এখন পর্যন্ত জানি না??
নানু: তোর আর তাসপির বিয়ে সেই ছোট বেলা থেকে আমি ঠিক করে রেখেছি।আমিই কাওকে বলতে না করেছিলাম,কিন্তু তাসফির জন্য আজ তোকে বলে দিতে বাধ্য হচ্ছি,তাসফিও তোকে অনেক ভালোবাসেরে পাগলা।
আমি: কিন্তু তাসপি যে আমাকে তার সামনে যেতে না করে দিছে,যদি আমাকে ভালোই বাসতো তাহলে কেন এরকম কথা বলেছিল।
নানু: দেখ তুইতো এখনো কলেজ লাইফ শেষ করিস নি,তাই তাসফি চাচ্ছে তুই কলেজ একটা বাল রেজাল্ট কর।আর যদি তুই আগে থেকে যানিস তাহলে তাসফিকে সময় দিবি বেশি তাই তোর সাথে এরকম করা,আর তুই যতটা না তাসফিকে ভালোবাসি তার চেয়ে তাসফি তোকে বেশি ভালোবাসে,এমন কিছু করিস না যার জন্য পরে তোকে পর্স্তাতে হয়।
আমিতো নানুর কথা শুনে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। তবে চোখ দিয়ে একা একাই পানি গড়িয়ে পরছে,তবে এই পানি কষ্টের নয় ভালোবাসর পানি,যাক অবশেষে তাসফিতো আমারই,তাই আর দেরি না করে তারা তার করে চলে আসলাম বারিতে,বারতি এসে তাসপিকে খুঁজতে লাগলাম কিন্তু তাসফিকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না,তাই চলে গেলাম বাসার ছাদে,যেয়ে দেখি তাসফি একা একা বসে কাঁদছে,আমি চুপি চুপি তাসফির পিছন থেকে তার চোখ ধরলাম,
তাসফি তার চোখ থেকে আমার হাত ছুটানোর চেষ্ট করছে কিন্তু আমার শক্তির সাথে পেরে না উঠায় এক সময় চুপ করে বসে রইল। আর বলল...
তাসফি: কিরে রাগ করে চলে গেলি আবার আসলি কেন??
আর তোকে না বলেছিলাম আমার সামনে যেন না আশিস।
আমি: তুমি আমার কাছে তখন গেছিলে কেন??
তাসফি: এমনেই,কিন্তু তুই আসচ্ছিস কেন??
আমি.........