Golperjogot

Golperjogot

তোমাতে আমি – ইমোশনাল লাভস্টোরি অন্তিম পর্ব 3

তোমাতে আমি – ইমোশনাল লাভস্টোরি অন্তিম পর্ব 3 | Tomate Ami

Tomate Ami

Amrin Talokder { Part 3 }


এভাবেই চলছিল আমাদের জিবন,আর তাসফিকে প্রতি নিয়ত কষ্ট দিতে কেন যেন এখন অনেক বেশিই ভালো লাগে।আর তাসফিও আমার কাছে সব সময় আসতে চায়,কিন্তু সে কষ্ট ছারা আর কিছুই আমার কাছ থেকে পায় না।

না আর এরকম করবো না পেয়েছে টা কি হুমম,অনকে পিছন পিছন ঘুরেছি, শুধু অবহেলা ছারা কিচ্ছু পাই নাই।যখন যানতো না তখন আমার পিছে সারাক্ষণ পরে থাকতো,আর যখনই শনেছে আর ওমনেই ভাব বেরে গেল,

থাক না ও ওর মতো,আমিও দেখবো কিভাবে এত ভাব থাকে।(তাসফি এগুলো ভাবতেছিল মনে মনে, কিন্তু হঠাৎ করে মাথা গুরে পরে যায়,)
সকাল বেলা যখন জ্ঞান ফিরে তখন রাতের কাহিনি মনে করতে লাগে,কেননা তাসফি বিছানায় না ঘুমিয়ে ফ্লোরে শুয়ে আছে,তার পর সকালের নাস্তা করে কাওকে কিচ্ছু না বলে চলে যায় ডাক্তারের কাছে।ডাক্তার সব পরিক্ষা করার পর তাসফিকে কালকে আসতে বলে,ডাক্তারের কথা মতো তাসফি চলে যায়,আর বাসায় যেয়ে কাওকে কিচ্ছু জানায় না,তার পরদিন এগারোটার দিকে আবার তাসফি ডাক্তারের কাছে যায় রিপোর্ট আনতে,তাসফি যানে রিপোর্টে খারাপ কিছু আসতে পারে,কারণ এর আগেও তাসফি কয়েকবার মাথা গুরে পরে গেছিল,

ডাক্তার : Mst: Tasfi Jahan.আপনার তো অনেক বড় সমস্যা হয়েছে আপনি এই সমস্যা বাসার কাওকে বলেন নাই,

তাসফি : কি হয়েছে ডক্টর, কি এমন হয়েছে যার জন্য এরকম করছেন,(তাসফি নিজেও কিছুটা ভয় পেয়েছে,কেননা কি এমন হলো যার জন্য ডক্টর তাসফিকে এভাবে বলছে)

ডাক্তার : আপনার ব্রেইন টিউমার হয়েছে,যত তারাতকরি সম্ভব এটার অপারেশন করাতে হবে,না হলে আর কিছু তিন পর কিচ্ছু করার থাকবে না।আপনি যদি চান তাহলে আজ বা কালকের মধ্যে আমরা অপারেশনের ব্যবস্থা করি.

তাসফি: আচ্ছা দেখি..
তাসফি বাসায় যেয়ে কারো সাথে কোন কথা না বলে সোজা আমরিনের কাছে যায়।আর ভাবে(হয় আমরিন আজ আমাকে আপন কর নিবে না হয় আমি অপারেশন করবো না।)
তাসফি: আমরিন আমি তোমাকে ভালোবাসি তাও কেন আমাকে এত অবহেলা করতাছো,আগে না আমার পিছু পরে থাকতে আর এখন ফিরেও তাকাও না কেন,কি এমন করেছি আমি হুমম যার জন্য আমাকে এত অবহেলা, আমি কি সত্যি অবহেলার জিনিস,
আমিঃ.............
তাসফি: ও আচ্ছা কথা বলবি না তো ওকে ভালো থাকিস,আর কখনও যেন আমার ভালোবাসা পেতে চাস না।

আমি: ( কি করবো তুমি যে আমাকে খারাপ ভাবো তাই তো তোমার কাছ থেকে দুরে সরে দেখাতে চাচ্ছি তুমি যতটা খারাপ ভাবো আমাকে ততটা খারাপ আমি নই।তোমাতে তো মেনে নিবই আর কিছুটা দিন যাক।) এগুলো আমি মন মনে ভাবতেছি।

আমিতো জানি না তাসফির সমস্যা, কেননা তাসফি বাসার কাওকে জানায় নি।আর আজকের বলা কথা গুলোও প্রতিদিন কর মতো নিতাম,কিন্তু কে জানতো আজকে কথা না বলার জন্য আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে সারা জিবনের জন্য হারাবো, যদি জানতাম তাহলে আজকেই মেনে নিতাম,আই মিন আমি তাকে আর অবহেলা করতাম না😓😓😓।

আস্তে আস্তে তাসফির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে কিন্তু কাওকে এখন পর্যন্ত কিছু বলে নাই,একদিন রাতে হঠাৎ করে তাসফির রুমে আওয়াজ হয়,সবাই শব্দ শুনে তাসফির রুমে যায়।কিন্তু আমি ঘুমালে আর উঠতে পারি না তাই আমি কিচ্ছু বলতে পারছি না বা জানি না।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বারিতে কাজের বুয়া ছারা আর কেও বাসায় নেই,ঘুম থেকে উঠে বেশ অবাক হলাম,এই সাত সকালে সবাই কই চলে গেল,
আমি: আন্টি বারির সবাই কই চলে গেছে এই সকাল সকাল,
আন্টি কাজের বুয়াকে আন্ট বলে ডাকি
আন্টি: কেন বাবা তুমি জানো না।তাসফি মামনি কাল রাতে মাথা ঘুরে পরে যায়,কাল রাতেই তাসফি মামনি কে হসপিটালে নিয়ে যায়।

ও শিট,শালার ঘুমটা যে কি জিনিস না,একবার ঘুমালে আর উঠতে মন চায় না,
আমি: আচ্ছা আন্ট কোন হসপিটালে গেছে তুমি কি কিছু জানো??

আন্টি : বড়দা যাওয়ার আগে বলে গেল মেডিকেলে নিয়া যাইবো,এখন কোন হসপিটাল গেছে আমি তো বলতে পারমু না।

আমি: আচ্ছা আমি দেখছি কোথায় গেছে,
আমি আর দেরি না করে বাইক নিয়ে ছুটলাম ঢাকা মেডিকেলে, মেডেকেলে যেয়েই পেয়ে যাই, দেখি সবাই বসে আছে ওয়েটিং চেয়ারে।
আমি যাওয়ার সাথে সাথে বাবা আমার কাছে সে বললো...

আব্বু: তাসফি যে অসুস্থ তুমি তা জানতে না??

আমি: না আব্বু আমি জানলে তাকে ডাক্তার দেখাতাম।

কিছুক্ষন পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ডাক্তার বের হয়ে আসলো.

দেখুন পেশেন্টের অবস্থা অনেক খারাপ, এখন জ্ঞান ফিরেছে,তবে কতক্ষণ বাঁচবে সেটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভর করছে,
ডাক্তারের কথা শুনে আমি বসে পরলাম,
আমি : না এটা কোন ভাবেই হতে পারে না,তাসফি আমাকে ছেরে চলে যেতে পারে না।

ডাক্তার : দেখুন এই পৃথিবীতে কেও সারা জিবনের জন্য আসে না,আমাদেরও একদিন চলে যেতে হবে,তবে এখন যদি আপনারা কথা বলতে চান থাহলে কথা বলতে পারেন,তবে যেন বেশি বিরক্ত না করুন।
ডাক্তার এই বলে চলে গেল,আর আমার দু চোখ বেয়ে পানি পরছে,যদি তাসফির সাথে কথা বলতাম তাহলে আজ এরকম দিন দেখতে হতো না।

তাসফি মৃত্যু শ্যাজ্জায় শুয়ে আছে।

আমি: না, তাসফি তুমি আমাকে একা ফেলে কোথাও যেতে পারো না,তুমি চলে গেলে আমাকে সাথে নিয়ে যাও।

পড়ুন  লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩৫ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

তাসফি: আআমরিিন তুুমি নাা চেয়েছিলাা আমিি যেননন তোোমার সামনে না আসি আর কখনও, সেই সময় এখন এসে পরেছে,আমাকে পারলে ক্ষমা করে দাও প্লিজ।

আর সবাই একটু বাহিরে যাবে।

তাসফির কথা শুনে সবাই চলে গেল,শুধু রযে গেলাম আমি আর তাসফি।

তাসফি : আমরিন আমি এখন কিছু কথা বলবো, সেগুলা রাখবে প্লিজ।।

আমি: হ্যাঁ তাসফি বলো আমি আমার সর্বচ্চো দিয়ে চেষ্টা করবো, পাগলিটা তুমি আমাকে রেখে যেও না প্লিজ।

তাসফি: দেখো আমরিন পাগলামি করো না,সবাই কে েকদিন মরতে হবে,আর আমি যা বলতে চেয়েছিলাম,আমি মারা যাওয়ার পর তুমি আমার মত একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিও,তুমি কিন্তু কথা দিছ আমার কথা রাখবে,
আমি: তোমার সব কথা রাখতে পারবো কিন্তু তোমাকে ছারা অন্য কাওকে আমি আমার জিবনে জরাতে পারবো না,তুমি এই কথাটা রাখতে বলো না প্লিজ জান।

তাসফি: আমার সময় বেশি নেই,আমার রুমের আলমারিতে একটা ডায়েরি আছে সেটা নিয়ে পইরো,আর কখনো ভাববে না আমি নেই,আমি যে তোমার মাঝে বেঁচে থাকবো,তোমার মাঝে আমাকে খুঁজে পাবে।আর একটা লাল টুকটুকে দেখে বিযে করে নিবে।

আমি: না তাসফি আমি তোমাকে না পেলে আর কাওকে আমার জিবনে জরাবো না,আমিও আসচ্ছি তোমার কাছে খুবই শিগ্রই।

তাসফি: না, আমার শেষ সময়ে তুমি কথা দেও তুমি তোমার দেহে একটা টোকা দিবে না,আর কোন ক্ষতিই তুমি আমার জন্য করবে না তোমার নিজের জিবনে।প্লিজ আমরিন কথা দেও,আমার আর বেশি সময় নেই।

আমি: আচ্ছা তোমাকে কথা দিলাম,তুমি যা কিছু বলেছো সব রাখবো।এবার একটু হাসো না প্রিয়।

তাসফি নিজে না চাইতেও মনের অজান্তে হেসে দিল আমরিনের কথা শুনে,আর এই হাসিটাই ছিল তাসফির হবিনে শেষ হাসি,আর আমরিনে প্রতি বালোবাসার চিহ্ন।
যা আমরিন কখনও ভুলতে পারবে না।সারাটা জিবন এই হাসির মায়ায় আমরিন কাটিয়ে দিতে চেযেছিল,কিন্তু তাসফিকে কথা দেওয়ায় আর চাচা চাচাির এক কথা আমরা একটা মেযেকে হারিয়েছি,এখন আমাদের মেযে চাই,বিয়ে করে আমাদের একটা মেয়ে এনে দাও।

আজ আমার বিযে,কিন্তু কোন রকম ভালো লাগছে না।আজ বড্ড বেশিই তাসফির কথা মনে পরছে,ও আপনাদের ডায়েরির কথা বলি নাই,তবে সেটা বলবো অন্য কোন গল্পে বা অন্য কোন কাহিনিতে।আজ তাসপির বলা শেষ কথা গুলো অনেক বেশিই মনে পরছে,আমার মাঝে তাকে খুঁজে নিতে বলেছে,
আমার মাঝে নাকি সব সময় তাসফি বিরাজমান,

তাসফি আজও আমরিনের মাঝে বেঁচে আছে।

(তোমাতে আমি👩‍❤️‍💋‍👨)

কিছু কিছু গল্প শেষ না হলেও শেষ হয়ে যায়,কেননা সব গল্পের সমাপ্তি অপ্রাপ্তই থেকে যায়।


Also Read Our New Story

ভিলেন এ্যাকশন লাভস্টোরি
Writer- Monna Hossain


আকাশের এন্ট্রি দেখে যে কারোরেই ভয় পাওয়ার কথা আকাশ একা নয় সাথে আরো অনেকগুলি ছেলে আছে। সবার হাতে বন্দুক আছে।

আকাশকে আসতে দেখেই আরোহীর বাবা এগিয়ে গেলেন...

আকাশঃ সামনে থেকে সরুন আংকেল বুঝতেই পারছেন আজ আমি কারোর কোন কথাই শুনব না আরোহীকে আমি নিতে এসেছি পৃথিবীর কোন শক্তিই আজ ওকে আমার কাছে থেকে সরাতে পারবে না তাই অযথা ঝামেলা বাড়িয়ে কি লাভ? সরুন প্লিজ।

কয়েকটা ছেলে আরোহীর বাবাকে সরিয়ে দিল।আকাশ এবার আরোহীর কাছে গেল।

আজ আরোহীর বিয়ে বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন পাত্র পক্ষও চলে এসেছে কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগ মুহুর্তে আকাশ নামের এই মসীবত এসে হাজির হয়েছে। 

আকাশ এবার আরোহীর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। 

তারপর আরোহীর থুতনিতে হাত দিয়ে বলল……

বাহ কি সুন্দর সেজেছিস রে আরোহী...দেখি দেখি বাপরে লিপষ্টিক পরেছেও তাও লাল রং এর।

আকাশ এবার আরোহীর হাত টেনে বলল মেহেদীও পড়েছিস নাকি দেখি বাহ সাহস তো ভালই হয়েছে দেখতে পাচ্ছি...

তবে এটা বুঝলাম না সেজেগুঁজে ঢং করার অধিকার তোকে কে দিল..??একবারো বুক কাঁপলো না?

আকাশের কথা বলার ধরন দেখেই আরোহীর পরাণ পাখি উড়ে গেল কারন আকাশ সাধারনত এভাবে কথা বলে না...আর মেয়েদের গায়ে হাত তো একেবারেই দেয় না। তাও এত লোকের সামনে....

আরোহী ভয়ে ভয়ে বলল ভ ভ ভ ভাইয়া বস না...

আকাশঃ হ্যা বসতে তো পারতামেই কিন্তু হাতে যে একদম সময় নেই বোন অনেক কাজ বাকি। চল তোকে এখন আমার সাথে যেতে হবে।

আরোহীঃ আ আ আমার তো আজ বিয়ে ভাইয়া আমি কি করে যাব..... 

কথা শেষ হওয়ার আগেই আকাশ স্বজোরে আরোহীর গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। আরোহী ছিটকে গিয়ে নিচে পড়ল। আকাশ গিয়ে আরোহীর চুলের মুটি ধরে টেনে তুলল..

আকাশঃ আজ তোর কি যানি আবার বল..? শুনতে পাই নি। আকাশ দাঁতে দাঁত চেপে বলল আমাকে না জানিয়ে তুই বিয়ের পীড়িতে বসিস এত সাহস কই পেলি? আচ্ছা চল তোর বিয়ে করার শখ আমি মিটিয়ে দিচ্ছি।বলেই আরোহীকে টানতে লাগল আকাশ।

আরোহীঃ তুই আমার কাজিন হয়ে এমন ভিলেনের মত আচারন কি করে করছিস ভাইয়া?

আকাশঃ মুখ দিয়ে আর একটা শব্দ বের হলে এখানেই মেরে পুঁতে রেখে দিব বলে বরপক্ষের সামনেই আরোহী কে নিয়ে আকাশ বেরিয়ে গেল।

আকাশের সাথের ছেলেদের প্রত্যেকের হাতে গান ছিল তাই কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।

আকাশ আরোহীকে গাড়ীতে করে নিয়ে যাচ্ছে...

চলুন এবার দেখে আসি এই আরোহী আর আকাশ কে...........................

পুরো গল্প পড়ুন

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top