Golperjogot

Golperjogot

তোমাতে আসক্ত – অনুগল্প |  Ifrat Jahan Mariyam

তোমাতে আসক্ত

Ifrat Jahan Mariyam { অনু গল্প }

“জানো আমি আমার হৃদয়কে অনেক ভালোবাসি। কেনো ভালোবাসি জানো?( অনিক)” কেনো? ( আফরিন)” কারণ এই হৃদয়ের মাঝে যে তুমি থাকো। তুমি আমার সবকিছু। তোমাকে ছাড়া আমি যে কিছুই না।(অনিক)

” কথাগুলো বলতে বলতে অনিক আফরিনের কাছে চলে আসে। আফরিন বারান্দায় দাড়ানো ছিলো। অনিক এসে কথাগুলো বলতে শুরু করলো। অনিক আফরিনের কাছে গিয়ে দুই গালে হাত দেয়। আফরিন চোখ বন্ধ করে নেয়।”

” তোমার এই স্নিগ্ধ মুখ, ভেজা চুল আমাকে পাগল করে দেয় আফরিন। তোমার মধ্যে যে আমি ডুবে যাই।(অনিক)” ছা..ছাড়ুন।( আফরিন)” এক মুহূর্ত তোমাকে চোখের আড়াল করতে ইচ্ছে হয় না। তোমার কিছু হলে আমি পাগলই হয়ে যাবো আফরিন।(অনিক)

“! অনিক আফরিনের ঘাড়ে চুমু দেয়। কেঁপে উঠে আফরিন। আফরিনকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়। আফরিনের উপরে উঠে ওর চোখে মুখে চুমু দেয় । তারপর আফরিনের বুকে শুয়ে পড়ে আফরিনকে শক্ত করে ঝাপটে ধরে। আফরিন না পারছে লড়তে না পারছে সইতে একসময় আফরিনও ঘুমিয়ে পড়ে। ” সন্ধ্যার দিকে অনিকের ঘুম ভেঙে যায়। অনিক উঠে আফরিনের ঠোটে চুমু দেয় আফরিনেরও ঘুম ভেঙে যায়। আফরিন অনিক ফ্রেশ হয়ে নেয়।অনিক বসে বসে মোবাইল টিপতেছে আর আফরিন নাস্তা বানাতে চলে যায়। । ”

” বউগো কি করছো?” দেখতেই পাচ্ছেন নাস্তা বানাচ্ছি।” কি নাস্তা বানাচ্ছো গো।” নুডলস আর চা করছি।

“! অনিক উঠে গিয়ে আফরিনকে পিছন থেকে কোমড়ে হাত জড়িয়ে ধরে।”

” কি করছেন কি। আপনি সারাসারাক্ষণ….” সারাক্ষণ কি?” ছাড়ুন তো

“!অনিক আফরিনের ঘাড়ে চুমু দিতেই দরজা খোলার শব্দ হলো!”

” আল্লাহ জামাই বউ এর রোম্যান্স চলছে। (পাশের বাসার ভাবি)” রোমান্স এরই তো সময় ভাবি।( আফরিনকে আরেকটা চুমু দিয়ে)” যান তো।( ধাক্কাদিয়ে)। ভাবি বসেন।” আপনি আর আসার সময় পেলেন না ভাবি যাও একটু রোমান্স করছিলাম।(অনিক)”! আফরিনের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়!”” হ্যাঁ তাও কথা। দরজাটা লাগিয়ে দিলেই পারতে।”উফস দরজাটাই লাগাতে ভুলে গেছি।

“! এর মধ্যে আফরিন নাস্তা নিয়ে আসে!”

” ভাবি নাস্তা নিন।(আফরিন)”কি অবস্থা তোমার?” ভালোই ভাবি। আপনি কেমন আছেন?” ভলো আছি। তা অনিক বউয়ের সাথে সারাক্ষণ থাকো লাগে। হ্যাঁ?(চোখ টিপ দিয়ে)” থাকলেও কি হবে ভাবি বউ একটুও আদর করে না।

“! আফরিন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না লজ্জায় ওর মাথা নুইয়ে যাচ্ছে। “” আদর করে না কি বলো?” আদর করলে তো এতো দিনে বেবি থাকতো গো ভাবি।” আয়হায় শোন বেচারার কথা।

“!নাস্তা শেষে কথা বার্তা বলে যাওয়ার সময় ভাবি আফরিনকে বললো,

” সত্যিই এমন জামাই পেয়ে তুমি ভাগ্যবতী। ও শুধু তোমাতেই আসক্ত আজ পর্যন্ত ওকে কোনো মেয়ের দিকে অন্য চোখে তাকাতে পর্যন্ত দেখি নি।

উনি যেতেই অনিক আফরিনকে জড়িয়ে ধরতে নেয়। কিন্তু উনি ফেরত এসে বলেন,

” দরজাটা লাগিয়ে নাও।( চোখ টিপ দিয়ে)

আফরিন লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে চলে যায়। অনিক দরজা লাগিয়ে নেয় তারপর আফরিন কতক্ষণ ফোনো পরিবারের লোকের সাথে কথা বলে শুয়ে থাকে। আর অনিক ল্যাপটপে কাজ করতে থাকে। তারপরে দুজনে নামাজ ডিনার শেষ করে নেয়।

” আফরিন চলো দুই রাকাআাত নফল নামাজ পড়ে নিহ।” হুহ চলেন।

আফরিন অনিক নফল নামাজ শেষ করে নেয়। তারপর অনিক আফরিনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আফরিনের ঘাড়ে চুমু দিয়ে নিজের দিকে ঘুরায়।

Short Story

“আফরিন তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি সেদিন থেকে তোমাকে পাওয়ার তীব্র ইচ্ছে জাগে, তোমাকে যে আমার পেতেই হবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তোমাকে পেয়েও গেছি আফরিন।” হুহ।( নিচের দিকে মাথা নামিয়ে)” আফরিন…..” জ্বি বলুন……”তোমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে দিতে এই মন ব্যাকুল হয়ে আছে। তোমার সর্বত্র শুধু আমি থাকতে চাই। তোমাতে পুরোপুরি ডুবে যেতে চাই। কোনো বাঁধা রাখতে চাই না। চাই না কোনো দূরত্ব থাকুক। সম্পূর্ণ আমার করে পেতে চাই তোমায় আফরিন।

“! আফরিন লজ্জায় মাথা নুইয়ে নেয়। একটা শিহরণ বয়ে যায় তার সারা শরীরে।”

” আফরিন তুমি কি আমাকে সেই সুযোগ দিবে।

আফরিন লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না। সে অনিকের বুকে মুখ লুকায়। অনিকের বুকে একটা চুমু দেয়।অনিক সম্মতি পেয়ে যায়। সে আফরিনকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শোয়ায়। আফরিনের কপালে চুমু দেয়। আফরিনের ঠোঁটে চলে যায়। আফরিনও আজ রেসপন্স করে। কোনো বাঁধা নেই আজ তাদের মধ্যে। পবিত্র ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ তারা।

সমাপ্ত

 

Writer :- Ifrat Jahan Mariyam

Leave a Comment