Golperjogot

Golperjogot

Valobashi Dujone Love Story Bangla Part 4 | Golper Jogot

Valobashi Dujone

Imtihan Imran ( Part – 4 )

সিজান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে হেসে স্টেজ থেকে নেমে আসে । স্টেজ থেকে নামতেই অনেকে সিজানের কাছে ছুটে আসে। সিজানের গান যে অনেক সুন্দর হয়েছে,তা সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে সিজানকে বলছে। সিজানও সবাইকে হাসিমুখে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।কয়েকটা মেয়ে তো সিজানের সাথে সেলফিও তুলে নিয়েছে। 

এইদিকে ফারিন সব কিছু দেখছে আর রাগে ফুলছে। মেয়েরা কেনো সিজানের সাথে সেলফি তুলবে, সে কি কোনো ফিল্মের নায়ক।তা তো না, তাহলে মেয়েরা কেনো এতো ঘা ঘেষাঘেষি করবে? ফারিন জাস্ট এইসব নিতে পারছে না। 

সে দৌড়ে সিজানের কাছে এসে সিজানের হাত ধরে ভীড় থেকে টেনে বের করে নিয়ে যায়। সিজানও হাফ ছেড়ে বাঁচল। এরা তো একে ছাড়ছিলও না। ফারিনের কারনে আজকে রক্ষা পেলো। সে ঠিক করলো,সে কিছুক্ষনের মধ্যেই এরজন্য ফারিনকে একটা ধন্যবাদ দিবে।কিন্তু এইদিকে যে ফারিন রেগে বোম হয়ে যায়,সেটা তো সিজান জানে না। 

{ Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla } 

ফারিন সিজানকে নিয়ে কোলাহলমুক্ত স্থানে নিয়ে আসে। সিজানকে সামনে দাড় করিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। 

” কী সমস্যা তোমার,হ্যাঁ?  

” আমার আবার কীসের সমস্যা?(অবাক হওয়ার ভান করে) 

” একদম ঢঙ করবা না।খুব ভালো লাগছে মেয়েদের সাথে ইটিশ-পিটিশ করতে,তাই না? খুব ভালো লাগছে?  

” ফারিন কী বলছিস এইসব? আমি কখন, কোন মেয়ের সাথে ইটিশ পিটিশ করলাম? তুই কিন্তু আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছিস,এটা ঠিক না। 

” ওরে আমার সুবোধ বালক রে। তুমি বুঝি কিছুই করছ না,হ্যাঁ। মেয়েদের সাথে সেলফি তুলতে কে বলেছে তোমাকে? 

” তো তু আমিলি নাই।মেয়েরাই তুলছে। 

” যারাই তুলুক,তুমি কেনো তাতে সায় দিবে।তুমি কেনো গিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে?বলো..? 

” আরে বাবা ওরা তুলতে চাইলে,আমি কীভাবে মানা করবো? ওরা তো আমার ভার্সিটির’ই স্টুডেন্টস তাই না..? 

” আমি এতো কথা শুনতে চাই না। এবারেই তোমাকে লাস্ট ওয়ার্নি দিচ্ছি। এর পর থেকে কারো সাথে সেলফি তুলবে না। যদি তুলো…. 

” আচ্ছা তুলবো না। এবার চল বাসায় যাই। 

” বাসায় যাবো..তার আগে ফুচকা খাবো,চলো। 

” এখন কীসের ফুচকা? বাসায় চল। 

” বলছি না আমি ফুসকা খাবো সো খাবোই। 

” আচ্ছা চল, ঘাড়ত্যাড়া মেয়ে একটা।।  

” ভালো জামাই একটা। (হেসে) 

সিজান,ফারিনকে নিয়ে ফুচকার দোকানে যায়। 

” মামা ফুচকা দিয়েন তো। 

” মামা ঝাল বেশি দিয়েন। 

{ Romantic Love Story Bangla }

ফারিন ঝাল ফুচকা খেয়ে,ঝালে যায় যায় অবস্থা। সে ঝাল কমানোর জন্য,অলরেডি হাফ কেজি পানি শেষ করে দিয়েছে। 

” ঝালে মরতেছে,তারপরেও ঝাল ফুচকা খেতে চায়। কী একটা চিজ,মাইরি। 

” বেশি কথা বলবা না।দেখছো না আমি ঝালে মরে যাচ্ছি।আমার ঝাল কমানোর ব্যবস্থা করো, তাড়াতাড়ি।,  

” আমি কীভাবে তোমার ঝাল কমানোর ব্যবস্থা করতে পারি। আইস্ক্রিম আনব? 

” তাড়াতাড়ি আনো। 

সিজাম দোকানে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে দুইটা কোণ আইসক্রিম নিয়ে এসে ফারিনের হাতে ধরিয়ে দেয়। 

ফারিন হাতে পাওয়া মাত্রই খাওয়া শুরু করে। কিছুটা ঝাল কমে আসলেও এখনো ঝাল কমেনি। 

” খা আরো বেশি করে ঝাল ফুচকা খা। ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না,ঘাড়ত্যাড়া মেয়ে একটা। এবার বাসায় চল।  ফারিন হা হুতাশ করতে করতেই সিজানের সাথে বাসায় চলে আসে। 

{ Bangla Valobashar Golpo }

সিজান বাসায় ঢুকে নিজের রুমে চলে যায়। বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই তার চোখে ঘুম নেমে আসে। সন্ধ্যার দিকে কারো ধাক্কাধাক্কিতে সিজান চোখ মেলে তাকায়। 

” কী সমস্যা শান্তিতে একটু ঘুমও যেতে দিবি না নাকী? 

” খাওয়া বাদ দিয়ে কীসের ঘুম হ্যাঁ? এখনো নাকী খাবার’ই খাও নাই.।  

” হুম তো..? 

” তো কী আবার..এখন খেতে চলো। 

” এই সন্ধ্যাবেলায় আমাকে কী খাওয়াতে চাস? 

” কিছু একটা খেলেই হবে। এখন উঠো তো শুধু ঘুম,ঘুম ছাড়া আর কিচ্ছু বুঝে না। 

ফারিনের জোরাজোরিতে সিজানকে বিছানা ছেড়ে উঠতেই হলো। সিজান ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে,ফারিন খাবার নিয়ে বিছানায় বসে আছে। 

” কীরে খাবার রুমে নিয়ে এলি যে? 

” কারন আমি তোমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবো তাই। নিচে তো আর সবার সামনে তোমাকে খাওয়াতে পারব না,লজ্জা করবে আমার। 

” তোকে নিজ হাতে খাওয়াতে কে বলল? আমার হাত সুস্থ সবল আছে। 

” আমার খাওয়াতে ইচ্ছে করছিল,তাই। 

এখন কথা বাড়িও না তো, এখানে বসে যাও।  সিজান,ফারিনের পাশে ধপাস করে বসে পড়ে। 

ফারিন লোকমা করে,সিজানের মুখে খাবার তুলে দেয়। সিজানও হা করে খেয়ে নেয়। 

ফারিন হ্নদয়ে ভালোবাসা নিয়ে সিজানকে খাইয়ে দিচ্ছে,আর সিজান এখন মজা করেই খাবার খাচ্ছে। 

খাবার শেষে ফারিন,সিজানের মুখ মুছে দেয়।মনে হচ্ছে সে ছোট কোনো বাচ্চাকে খাইয়ে দেওয়ার পর তার মুখ ধুয়ে দিচ্ছে। 

” ধন্যবাদ জামাই (হেসে) 

ফারিন খাবারের থালা নিয়ে চলে যেতে নিলে,সিজান ফারিনের ওড়না টেনে ধরে। ফারিন পিছনে ফিরে প্রশ্ন সূচক ইশারা দেয়,যার মানে দাড়াচ্ছে,কী?  

সিজান মুখে জবাব না দিয়ে,ফারিনের ওড়না টেনে নিয়ে,নিজের মুখ মুছে নেয়। ফারিন হা করে সিজানের দিকে তাকায়। সিজান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। যেনো সে কিছুই জানে না। 

ফারিন কিছু না বলে সিজানের কাছে আসে।এক হাতে থালা নিয়ে,অন্য হাতে সিজানের গাল টেনে দেয়।

” কিউট জামাই একটা।  

ফারিন হেসে রুম থেকে বের হয়ে যায়।আর এইদিকে ফারিন,সিজানকে হতবাক করে দেয়। সিজান নিজে নিজেই জিজ্ঞেস করে,

 

” যাক বাবা! এটা কী ছিল? 

Also Read Those Related Love Story

  1. Valobashi Dujone Part – 1

  2. Valobashi Dujone Part – 2

  3. Valobashi Dujone Part – 3

  4. Valobashi Dujone Part – 4

  5. Valobashi Dujone Part – 5

  6. Valobashi Dujone Part – 6

সিজান রাতে ছাদে যায়,দোলনায় গিয়ে বসে দোল খায়। কিছুক্ষণ পর ফারিন এসে সিজানের পাশে ধপাস করে বসে পড়ে। শুধু বসেই সে শান্ত হয়নি,সিজানের কোলে নিজের মাথা এলিয়ে দেয়।

সিজান অবাক হয়ে ফারিনের কান্ড কারখানা দেখিছে। ফারিন সিজানের দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়। 

” কী সমস্যা? এটা করার মানে কী? 

” কোনো মানে নেই। আমার মন চাইছে,এভাবে জামাইয়ের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকতে। আর এমনিতেও এইসব হচ্ছে প্রেম ভালোবাসার লক্ষন। আমি তোমাকে যে ভালোবাসি,ভালোবেসে এইসব করি, এগুলা তোমাকে বুঝতে হবে। 

” আমার বুঝে আর কোনো কাজ নেই। 

” আচ্ছা আমাকে এখন একটা গান শুনাও না। 

” কেনো তোকে গান শুনাবো? আমার গান তো খুব বাজে হয়,তুই বললি। 

” ওটা তো মিথ্যা বলেছি। তোমার গান তো অলয়েজ দারুন হয়। 

” মিথ্যা কেনো বললি? 

” তুমি বুঝো না, কেনো বললাম? 

” কেনো বললে? 

” বললাম কারন, তোমার উপর তো এমনিতেও মেয়েরা ক্রাশ খেয়ে যায়। তার উপর তুমি যে চমৎকার গান গাও,মেয়েরা তো তোমাকে খেয়ে ফেলতেই চাই।যা দেখে আমার অনেক হিংসা হয়। 

” এতো হিংসুটে কেনো তুই, হ্যাঁ?  

” হুম আমি অনেক হিংসুটে, তোমাকে নিয়ে অন্য কেউ কিছু বলুক, আমি মোটেও সহ্য করতে পারব না।

” আচ্ছা। 

” হইছে অনেক কথা,এবার গান শুনাও তো। 

” আচ্ছা শুরু করতেছি। 

Also, Read These Another Love Story

🌼 বলতে যে মনে হয়, বলতে তবু দেয় না হ্নদয় 

কতোটা ভালো…বাসি তোমায়। 

চলতে গিয়ে মনে হয়, দূরন্ত কিছু নয় 

তোমারি কাছে…ফিরে আসি। 

তুমি তুমি শুধু এই মনে আনাচে কানাচে; 

সত্যি বলো না কেউ কি প্রেম হীনা কখনো বাঁচে..। 

🌼 ও মেঘের খামে, আজ তোমার নামে; 

উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম, 

পড়ে নিও, তুমি মিলিয়ে নিও; 

খুব যতনে যা লিখেছিলাম। 

ওও চায় পেতে আরো মন.. 

পেয়েও.. এতো কাছে। 

বলতে যে মনে হয়, বলতে তবু দেয় না হ্নদয় 

কতটা ভালো….বাসি তোমায়।❤️ 

🌼 ও অল্পতে প্রিয় গল্পতে, 

কল্পনায় স্বপ্ন আকেঁ; 

ভুল ত্রুটি আবেগে খুনশুটি, 

সারাক্ষন তোমায় ছুঁয়ে রাখে। 

ওও চায় পেতে আরো মন…  

পেয়েও এতো কাছে। 

বলতে যে মনে হয়,বলতে তবু দেয় না হ্নদয়।  

কতোটা ভালো…বাসি তোমায়।❤️

Click Here For Next Part-    চলবে

Writer- ইমতিহান ইমরান

Valobashi Dujone Romantic Love Story Part 4
Valobashi Dujone Romantic Love Story Part 4

Leave a Comment