Valobashi Dujone
Imtihan Imran ( Part – 5 )
সিজানের গান গাওয়া শেষ হয়। ফারিন মুগ্ধ হয়ে এতোক্ষণ সিজানের গান শুনছিল।
” দারুন লাগে তোমার গলায় গান শুনতে। গান শুনার নেশা ধরে যায়। একটার পর একটা শুনতেই ইচ্ছে করে কিন্তু তুমি তো আর গাইবে না জানি আমি, তাই বলবও না।
” হুম ঠিক ধরেছিস একটা হলেই ভালো হয়। খালি গলায় আরেকটা ভালো নাও লাগতে পারে।
” জি না গায়ক সাহেব। আপনি খালি গলায়ও গান গুলা দারুন গাইতে পারেন।
” হুম হইছে। এখন উঠ বাসার ভিতরে যেতে হবে। এভাবে আর কতোক্ষন ছাদে বসে থাকব?
” আচ্ছা চলো।
ফারিন আর সিজান ছাদ থেকে নেমে যার যার বাসায় চলে যায়।
সকালে প্রতিদিনের ন্যায় সিজান,ফারিনকে নিয়ে ভার্সিটির জন্য রওনা দেয়।ভার্সিটিতে এসে দুজনে সোজা ক্লাসে চলে যায়।ক্লাস শেষে সিজান,ক্যান্টিনে গিয়ে বসে।আয়ান ও নীলা এসে সিজানের সাথে বসে।
“দোস্ত সামনে ভার্সিটি থেকে টূরে যাবে আমি তো খুব এক্সাইটেড।
” কোথায় যাবে?
” কোথায় যাবে ঠিক জানি জা তবে শোনা শোনা শুনছি পাহাড়ি এলাকায় যাবে।
” তাই নাকী? তাহলে তো ভালোই পাহাড় আমার অলয়েজ ভালো লাগে।
{ Valobashi Dujone Romantic Love Story Bangla }
এমনসময় ফারিন এসে সিজানের পাশের চেয়ারে বসে বলে,
” হঠাৎ পাহাড়ের কথা কেনো আসলো?
” আরে সামনে ভার্সিটি থেকে টূরে যাবে। সেই জন্যই পাহাড়ের কথা আসলো।
” ওয়াও সত্যি টূরে যাবো আমরা।
” হ্যাঁ।
সিজানের ফোন বেজে উঠে। সিজান নাম্বার দেখে আননোন নাম্বার। সিজান ফোন রিসিভ করে,
” হ্যালো.
” হ্যাঁ আমি সিজান।
” হ্যাঁ।
” সত্যি,আমি আসতেছি।
সিজান ফোন রেখে তাড়াহুড়ো করে উঠে দাঁড়ায়।
{ Bangla Heart Touching Love Story ]
” ফারিন,তুই কষ্ট করে আজকে একটু একা একা বাসায় চলে যাস। আমাকে এক জায়গায় যেতে হবে এখন।
” কোথায় যাবে তুমি? আর কে ফোন দিয়েছে?
” ফিরে এসে সব বলব। এখন যাই, হ্যাঁ। তুই সাবধানে বাসায় যাস।
” আচ্ছা তুমিও সাবধানে যেও।
সিজান চলে যায়। ফারিনও কিছুক্ষন নীলা আয়ানের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসে।
দুপুরের দিকে ফারিন,সিজানের বাসায় আসে।দেখে সিজান এখন বাসায় ফেরে নি।ফারিন নিজের ফোন বের করে সিজানের নাম্বারে ডায়াল করে। সিজান ফোন রিসিভ করে,
” হ্যাঁ বল?
” কোথায় তুমি? এখনো বাসায় এলে না।
” এইতো আসছি,পথেই আছি।
” আচ্ছা সাবধানে এসো।
কিছুক্ষণ পর সিজান বাসায় চলে আসে। এসে দেখে ফারিন তাদের বাসায়।
” এতোক্ষন লাগে আসতে?
” হুম। আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি, প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে, তুই খেয়েছিস?
” না আমিও খাই নাই।
” তাহলে বসো,একসাথে খাবো।
” আচ্ছা।
………………
সিজান রুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়। ফারিন এই ফাঁকে খাবার টেবিলে, খাবার সাজিয়ে রাখে। সিজান ফ্রেশ হয়ে নিচে খাবার টেবিলে চলে আসে। এসে দেখে ফারিন খাবার সাজিয়ে বসে আছে। সিজান এসে একটা চেয়ার টেনে বসে।
{ Bangla Valobashar Golpo }
ফারিন,সিজানকে খাবার সার্ভ করে দেয়। সেও নিজেও নিজের থালায় খাবার বেড়ে নিয়ে খাওয়া শুরু করে।
” আচ্ছা তুমি কোথায় গেলে বললে নাতো?
” এক মুভির ডিরেক্টর ভাই ফোন দিছিলো। উনার একটা মুভির গান আমাকে দিয়ে করাতে চায়। উনার কথা শুনে তো আমি হতভম্ব হয়ে যায়। উনি নিজে আমাকে ফোন দিয়ে,উনার মুভির গান,আমাকে দিয়ে করাবে।সেদিন যে ভার্সিটি ফাংশনে গানটা গাইলাম, ওই গান টা উনি শুনেছে । সেই সাথে আমার পেজে গিয়ে আগের গাওয়া গান গুলোও উনি শুনেছে, সব মিলিয়ে আমার গান তার ভালো লেগে যায়।
” ওয়াও, গ্রেট। আমিও বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি। ডিরেক্ট তুমি মুভির গান গাচ্ছো। এটা তো তোমার ক্যারিয়ারও গুরিয়ে দিতে পারে।
” হুম এতো তাড়াতাড়ি এতো বড় একটা সুযোগ পেয়ে যাবো, ভাবি নি।
” এই খুশিতে আজকে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে, আমাকে ট্রিট দিতে হবে ওকে।
” আচ্ছা আজকে তোকে নিয়ে ঘুরবে। তোকে ট্রিটও দিবো।
” ধন্যবাদ ধন্যবাদ শুনে অনেক খুশি হইলাম।
খাবার খাওয়া শেষে ফারিন নিজের বাসায় চলে যায়। সিজান নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়ে।
বিকালের দিকে কারো ধাক্কাধাক্কিতে সিজানের ঘুম ভেঙে যায়। সে বিরক্তি নিয়ে চোখ মেলে তাকায়, তাকাতেই দেখে ফারিন সেজেগুজে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
” কী রে কার বিয়া লাগছে? এভাবে সেজে গুজে এসে আমার ঘুমের ডিস্টার্ব করছিস কেনো? আমাকে ধাক্কাচ্ছিস কেনো?
Also Read Those Related Love Story
সিজানের কথা শুনে ফারিনের কপালে হাত চলে যায়। কী বলছে কী এই ছেলে? মাথা খারাপ হয়ে যায়নি তো আবার? তখন বলল বিকালে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবে, আর এখন সব ভুলে বসে আছে।
” ওই মাথায় সমস্যা তোমার? কী বলছো এইসব? সব ভুলে গেলে? বিকালে আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা ভুলে গেছো? আমাকে ট্রিট দেওয়ার কথাও ভুলে গেছো?
সিজানের এবার সব মনে পড়ে যায়। ও এইজন্য তাহলে মেয়েটা এভাবে সেজে এসেছে।
” ওও আচ্ছা মনে পড়েছে।
” মনে পড়েছে, তাহলে তো ভালোই হলো। এখন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নেও।
” উঠছি, না উঠলেও তো উপায় নেয়।
” জি গায়ক সাহেব।
” গায়ক সাহেব..?
” জি। (হেসে)
সিজান ফ্রেশ হয়ে ওয়ারড্রব থেকে জামা নিতে গেলে ফারিন বলে উঠে,
” ওই শুনো নীল পাঞ্জাবী পড়বা আজকে। আমার সাথে ম্যাচিং করে।
সিজান প্রতুত্তরে কিছু বলেনি। সে নীল পাঞ্জাবী টা বের করে পড়ে নেয়। চুলে জেল লাগিয়ে নেয়। ফারিন বসে বসে সিজানকে দেখছে।
” এতো সাজতে হবে না। এতো সাজগুজের কী দরকার? মেয়েদের পাগল করার ধান্দা।
” একটা মেয়েকেও তো দেখলাম না কখনো পাগল হতে।
” তুমি তো দেখবা না। যে পাগল করে তার তো দেখার দরকার নেই। আমাদের মতো পাব্লিকেরা দেখে।
” শুধু কি আমি সেজেছি, নিজে সাঝেন নি মনে হচ্ছে।
” আমি সাজলেও কাউকে পাগল করি না। ও হ্যাঁ একজনকে পাগল করার চেষ্টা করি। (হেসে) কিন্তু মনে তো হচ্ছে সে পাগল হচ্ছে না।
” আচ্ছা, তা কাকে পাগল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? (সিজান ফারিনের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে)
” জানো না তুমি, কাকে পাগল করার চেষ্টা করি?
” না তো জানি না।
” তোমাকে।
” তাই..।
” হুম তাই। (হেসে)
” আচ্ছা চলো যাওয়া যাক।
” হুম চলো।
সিজান, ফারিন বাইরে এসে একটা রিক্সা নেয়। সিজান বাইক নিতে চাইলে, ফারিন মানা করে দেয়। সে রিক্সা করে যেতে চাই। তাই সিজান কে রিক্সা নিতে হল।
Also, Read These Another Love Story
সিজান,ফারিন পাশাপাশি রিক্সায় বসে আছে। ফারিন, সিজানের এক হাত টেনে জড়িয়ে ধরে বসেছে। ফারিনের চুল থেকে অসাধারণ একটা ঘ্রাণ আসছে। ফারিনের চুলের এমন ঘ্রাণের রহস্য জানতে সিজান ফারিনকে জিজ্ঞেস করেই বসে,
” তোর চুলের ঘ্রাণ এই রহস্য কী ফারিন?
” চুলের ঘ্রাণের আবার কীসের রহস্য? চুলে শ্যাম্পু করেছি, শ্যাম্পুর ঘ্রান হবে।
” যেটাই হোক নেশা ধরানো ঘ্রাণ।
” রিয়েলি।
” হু।
” ভালো। আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি?
” দেখি কোথায় যেতে পারি।
” আচ্ছা রিক্সায় চড়তে চড়তে ওই গান টা শুনাও না প্লিজ।
” কোন গান টা?
” ওই যে, এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হয় বলো তো..।
” আচ্ছা গাচ্ছি।
এই পথ যদি না শেষ হয়,
তবে কেমন হতো, তুমি বলো তো?
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?
কোন রাখালের,
ওই ঘর ছাড়া বাঁশিতে সবুজে
ওই দোল দোল হাসিতে রাখালের
কোন ঘর ছাড়া বাঁশিতে সবুজে
ওই দোল দোল হাসিতে
মন আমার মিশে গেলে বেশ হয়।
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়,
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?
এই পথ যদি না শেষ হয়,
তবে কেমন হতো, তুমি বলো তো?
” ভালোই হতো, তোমাকে নিয়ে শুধু ঘুরতে পারতাম। (হেসে)
” এতো সময় নাই বুঝছিস।
” হুম হুম আমি বললেই তোমার সময় থাকে না। হু
সিজান হাসে, মুখ ফুটে আর কিচ্ছু বলে না।
Click Here For Next Part- চলবে…
Writer- ইমতিহান ইমরান
![]() |
Valobashi Dujne Romantic Love Story Part 5 |